Dr. Imran ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান ➤ রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক(রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
➤ ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
➤ বিশেষত্বঃ আইবিএস, আইবিডি, প্যানক্রিয়াটাইটিস, অর্কাইটিস, ভেরিকোসিল...
➤ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
➤ ফোন : +৮৮ ০১৬৭১-৭৬০৮৭৪ এবং ০১৯৭৭-৬০২০০৪
➤ সাক্ষাৎ : সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৪ টা (শুক্রবার বন্ধ)
➤ শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য ফোনে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ
➤ প্রোফাইল ➤ ফেইসবুক ➤ ইউটিউব

প্যানক্রিয়াটাইটিস

অ্যাকিউট ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস এর কার্যকর চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি

পিত্তথলির পাথর

অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর নির্মূলের কার্যকর চিকিৎসা

আইবিএস

পেটের পীড়া আইবিএস নির্মূলের স্থায়ী চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি

আইবিডি

আলসারেটিভ কোলাইটিস ও ক্রনস ডিজিজ এর কার্যকর চিকিৎসা

ভেরিকোসিল

ভেরিকোসিলের অপারেশনবিহীন কার্যকর চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি

মলদ্বারের রোগ

পাইলস, এনাল ফিশার এবং ফিস্টুলা সমস্যায় হোমিওপ্যাথি

পুরুষের স্বাস্থ্য

পুরুষদের বিভিন্ন রোগের কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

নারী স্বাস্থ্য

নারীদের বিভিন্ন রোগের কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

নারী স্বাস্থ্য স্ত্রীরোগ
নারীদের অর্থাৎ স্ত্রীরোগ সম্পর্কিত বিষয়াবলী
মা ও শিশু স্বাস্থ্য
মা ও শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়াবলী
পুরুষদের স্বাস্থ্য
পুরুষদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়াবলী
রোগ-ব্যাধি অসুখবিসুখ
নানা প্রকার রোগ-ব্যাধি সম্পর্কিত বিষয়াবলী
স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যাবতীয় টিপস ও ট্রিকস

সাম্প্রতিক আপডেট

শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০২৩

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ টিউবারকুলিনাম এবং ব্যাসিলিনাম এর পার্থক্য কি?

হোমিওপ্যাথিতে ব্যাসিলিনাম এবং টিউবারকুলিনাম ঔষধ দুটির পার্থক্য মূলত কি? আমরা জানি টিউবারকুলিনাম একটি নোসোড ঔষধ। যক্ষ্মার জীবানু (ব্যাসিলাস) বা যক্ষ্মা রোগগ্রস্ত কোষ বা পুঁজ থেকে এটি প্রস্তুুত করা হয়। যে উৎস থেকে এটি প্রস্তুুত করা হয় সেই অনুযায়ী এর নামকরণ করা হয়। যক্ষ্মারোগীর ফুসফুসের ক্ষত থেকে বা থুথু থেকে যে ঔষধটি তৈরী হয় তাকে টিউবারকুলিনাম বলা হয়। এটি ডাঃ এ্যলেন মহোদয় বিশেষভাবে পরীক্ষা করেন।

আর যক্ষ্মারোগগ্রস্ত রোগীর ফুসফুসের কোষ বা থুথু যেখানে যক্ষ্মার জীবাণু রয়েছে সেখান থেকে প্রস্তুুত ঔষুধকে বলা হয় ব্যাসিলিনাম। এটি ডাঃ বার্ণেট মহোদয় বিশেষভাবে পরীক্ষা ও প্রচার করেন।
টিউবারকুলিনাম এবং ব্যাসিলিনাম ঔষধের মধ্যে পার্থক্য

টিউবারকুলিনাম ও ব্যাসিলিনাম এর মধ্যে পার্থক্য 

  • শৈশবের জীবন দর্শন পর্যালোচনা করলে জন্মের ১ দিন থেকে ১ বছর সময়কালে টিউবারকুলিনাম রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্যের দোষ পাওয়া যায় আর ব্যাসিলিনামের রোগীর আমাশয় অথবা পাতলা পায়খানার হিস্ট্রি পাওয়া যায়। 
  • টিউবারকুলিনাম শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশ যেমন ঘাড়, গলা, গ্ল্যান্ড আক্রমণ করে। অপরদিকে ব্যাসিলিনাম শ্বাসযন্ত্রের নিচের অংশ যেমন ফুসফুস আক্রমণ করে। এই কারনে শ্বাসকষ্ট, যক্ষা, নিউমোনিয়া লেগে থাকে।
  • টিউবারকুলিনাম অস্থির প্রকৃতি, আবেগ প্রবণ, বুদ্ধিমান হয়। বাচ্চারা ইঁচড়েপাকা হয়। অন্যদিকে ব্যাসিলিনাম হাবাটে টাইপের হয়।
  • টিউবারকুলিনাম শীতকাতর আর ব্যাসিলিনাম গরমকাতর
  • ব্যাসিলিনাম এর ভ্রু জোড়া লাগানো থাকে। অন্যদিকে টিউবারকুলিনাম ঠোট লাল, চুল জট পাকানো, নখ পাখির মতো পাকানো থাকে।
  • টিউবারকুলিনাম চর্মরোগ চাপা পড়ার পর রোগ আসে। আর ব্যাসিলিনাম ভ্যাক্সিনেশনের সাইড এফেক্ট থেকে রোগ আসে।
  • ব্যাসিলিনাম এর চর্মরোগ দেখতে দাদের মতো। অপরদিকে টিউবারকুলিনাম এর চর্মরোগ চামড়ার ভাজে ভাজে হয়, লাল হয়, সোরার মতো।
  • টিউবারকুলিনাম এর নির্গমণ ক্ষতকর প্রকৃতি হয়। আর ব্যাসিলিনাম এর নির্গমণ শুকনা হয়।
  • ব্যাসিলিনামে সোরা মায়াজম সাথে সাইকোসিস মায়াজমের প্রবনতা বেশি। অন্যদিকে টিউবারকুলিনামে সিফিলিস মায়াজমের প্রবনতা বেশি। তাই এরা ধংসাত্নক হয়।
  • ব্যাসিলিনামে যৌন ইচ্ছা স্বাভাবিক। অন্যদিকে টিউবারকুলিনামে যৌন ইচ্ছা অত্যাধিক। এটা কিশোর বয়সে দেখা যায় বেশি। যার জন্য তারা যেভাবেই হক তার ইচ্ছা পূরণ করে।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দুর্বল শিশু, বয়স্কদের ফুসফুস এবং হার্টের সমস্যা অত্যাধিক হলে ব্যাসিলিনাম ব্যবহার করা নিরাপদ। 
উভয়ই মেডিসিনের ক্ষয়দোষ ইতিহাস পাওয়া যায়। রোগীর অল্পতেই ঠান্ডা লাগবে, রোগী জানেনা কেন তার বার বার ঠান্ডা  লাগে।

বিঃদ্রঃ যেকোন সমস্যায় নিজে নিজে ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ হোমিও ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে হোমিওপ্যাথিক নিয়মে কেইস টেকিং এবং ইনভেস্টিগেশন প্রয়োজন। তাই অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

একিউট ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা !!

একিউট এবং ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কি হবে সেটা নিয়ে এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যান। কারণ বহু রোগ ব্যাধি রয়েছে যেগুলির কোন এলোপ্যাথিক স্থায়ী চিকিৎসা নেই অথচ হোমিওপ্যাথিতে উন্নত ম্যানেজমেন্ট রয়েছে। এই আধুনিক যুগেও বহু মানুষই নিজের অজ্ঞতা বশত সেইসকল রোগের চিকিৎসা নিতে এলোপ্যাথিক ডাক্তারের নিকট গিয়ে কাল ক্ষেপন করে করে রোগের জটিলতা বাড়াতে থাকে। অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ অর্থাৎ প্যানক্রিয়াটাইটিস তেমনি একটি রোগ যার মূলত কোন স্থায়ী এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই।

যেহেতু প্যানক্রিয়াটাইটিস এর স্থায়ী এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই তাই এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের নানা প্রকার বিধি নিষেধ মেনে এবং এর সাথে খাবার দাবারের একটা তালিকা মেনে জীবন যাপন করার উপদেশ দিয়ে থাকে। কিন্তু একবারও অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নিকট গিয়ে প্রোপার ট্রিটমেন্ট দিয়ে এই রোগ থেকে মুক্তি লাভের উপদেশ দেয় না।
প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
যেহেতু প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এই রোগ ধীরে ধীরে ঠিক করে নিয়ে আসা যায় তাই হোমিও চিকিৎসকরা সারা জীবনের জন্য এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের কোন খাদ্য তালিকা ধরিয়ে দেন না।
প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ব্যক্তি স্বাতন্ত্র অনুসারে আলাদা আলাদা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে এবং একেক জন প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসাকালীন খাদ্য তালিকাও একেক রকম হয়ে থাকে। 
আপনি প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর জন্য ইন্টারনেটে বহু খাদ্য তালিকা পেয়ে যাবেন যেগুলি অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই তেমন কোন উপকারে আসে না। তাই, যদি কেউ প্যানক্রিয়াটাইটিস এর মতো জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কাল ক্ষেপন করে করে রোগ জটিলতা না বাড়িয়ে এই রোগের চিকিৎসা দিতে পারেন এমন একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। আশানুরূপ ফলাফল পাবেন ইনশা-আল্লাহ।
বিস্তারিত

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস ও এর ফলে সৃষ্ট সিউডোসিস্ট চিকিৎসা

প্যানক্রিয়াটাইটিস যে সকল জটিলতা সৃষ্টি করতে করে থাকে এর মধ্যে রয়েছে- Pancreatic Pseudocyst  সিউডোসিস্টের গঠন, সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, কিডনি বিকল হওয়া, শ্বাসকষ্ট, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ইত্যাদি। এই জটিলতাগুলি সম্পর্কে আপনারা পূর্বের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনেছেন। যেমনঃ তীব্র প্যানক্রিয়াটাইটিস অগ্ন্যাশয়কে সংক্রমণ প্রবণ করে তুলতে পারে, দীর্ঘস্থায়ী প্যানক্রিয়াটাইটিস অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলির ক্ষতি করে থাকে, যার ফলে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা জেগে উঠে।

তীব্র প্যানক্রিয়াটাইটিস এর ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপন্ন তরল পদার্থ জমে জমে এই ধরনের সিস্ট তৈরি হয় যাকে সিউডোসিস্ট অর্থাৎ Pancreatic Pseudocyst বলা হয়ে থাকে যা পেটের ওপরের দিকে চাকার মতো অনুভূত হয়। আকারে ৬ সে.মি. এর চেয়ে ছোট হয় যা সাধারণত আপনা আপনি সেরে যায়। তবে যদি একটি বড় সিউডোসিস্ট ফেটে যায়, এটি সংক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটাতে পারে।
Pancreatic pseudocysts are collections of leaked pancreatic fluids. They may form next to the pancreas during pancreatitis.
প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহজনিত কারণে এর সেলগুলো এর নিজস্ব এনজাইম দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগ্ন্যাশয়ের গ্রন্থিযুক্ত অংশ থেকে প্রায় ২২ রকম এনজাইম নিঃসৃত হয়। স্বভাবিক অবস্থায় এই এনজাইমগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় অগ্ন্যাশয়ের কোষের মধ্যে থাকে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে না পৌঁছা পর্যন্ত সক্রিয় হয় না। এখন উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য অগ্ন্যাশয়ের কোনো অংশ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অথবা এর নালিগুলোতে চাপবৃদ্ধির ফলে সক্রিয় অগ্ন্যাশয় রস কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়লে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়ে যায়।
Pancreatic Pseudocyst
এনজাইমগুলোর মধ্যে 'ট্রিপসিন' নামক এনজাইমটি এক্ষেত্রে ভাইটাল রুল পালন করে থাকে। এই এনজাইমটি নিজে সক্রিয় হয়ে অন্য ধ্বংসাত্মক এনজাইমগুলোকেও সক্রিয় করে তোলে। শুধু তাই নয়, এই ট্রিপসিন রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তাকারী কিছু ফ্যাক্টর এবং এনজাইমগুলোকেও সক্রিয় করে তোলে। এর ফলে অগ্ন্যাশয়ের চার ধরনের পরিবর্তন ঘটে-
  • অগ্ন্যাশয়ের প্রোটিন জাতীয় পদার্থের ক্ষতি সাধন হয় 
  • রক্তনালিতে ক্ষত তৈরি হয়ে পরবর্তীতে রক্তপাত হয়
  • চর্বি জাতীয় পদার্থ ধ্বংস হয় 
  • প্রদাহজনিত পরিবর্তন হয় 
কোনটি বেশি হয় তা নির্ভর করে ক্ষতির ভয়াবহতা এবং কতক্ষণ ধরে তা ঘটেছে তার ওপর। শুধু অগ্ন্যাশয়ের চর্বি নয় এর আশপাশের উদর গহ্বরের চর্বিগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদি এরপরও রোগী বেঁচে থাকে তবে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ক্ষয়ক্ষতি কমতে থাকে এবং এ ধরনের সিউডোসিস্ট অর্থাৎ Pancreatic Pseudocyst তৈরি হতে পারে। ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস এর ক্ষেত্রেই আমরা এরূপ দেখতে পাই। তাই এর সুচিকিৎসা প্রয়োজন। 

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস সারানোর কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের বেশ উন্নত ম্যানেজমেন্ট রয়েছে। অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শক্রমে প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে প্যানক্রিয়াটাইটিস ধীরে ধীরে ভালো হতে থাকে যার ফলে এই ধরণের সিস্ট আর তৈরী হতে পারে না আর যেগুলি আগে থেকেই তৈরি হয়ে থাকে সেগুলিও মিলিয়ে যেতে থাকে।
পরিশেষে যে কথাটি বলবো, এই রকম বেদনাদায়ক জটিল ব্যাধিতে কেউ আক্রান্ত হোক এটা কারো কাম্য নয়। দুৰ্ভাগ্যবশতঃ যদি কেই প্যানক্রিয়াটাইটিস এবং এই সক্রান্ত জটিল পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে কাল বিলম্ব না করে একজন অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন আশা করি সুফল পাবেন। 
এই রোগের কোন এলোপ্যাথিক স্থায়ী চিকিৎসা নেই আগেই বলেছি তাই বাংলাদেশ ভারত কেন সুদূর ইউরুপ আমেরিকাতে গিয়ে এলোপ্যাথিক ডাক্তার দেখালেও কোন সুফল পাবেন না, কথাটি মনে রাখবেন তাতে আপনার অর্থ ও সময় দুটিই বাঁচবে। 

আর যারা সার্জারি নামক চিকিৎসা নিতে যান তারাও একটি ভুল করে থাকেন। কারণ, সার্জারি করে আপনি ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস আদৌ সমাধান করতে পারবেন না। আর সিস্ট সার্জারি করে কেটে ফেলে দিলেও আবার হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায় যেহেতু প্যানক্রিয়াটাইটিস ঠিক করা হচ্ছে না। তাছাড়া সার্জারি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। খবরে হয়তো দেখে থাকবেন প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের সিস্ট সার্জারি (তথ্যসূত্র: যমুনা টিভি এবং তথ্যসূত্র: আর টিভি) করতে গিয়ে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে চলে যেতে হয় অনেক রোগীকেই।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২

প্যানক্রিয়াটাইটিস এর প্রকৃত কারণ এবং কার্যকর সমাধান

অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ অর্থাৎ প্যানক্রিয়াটাইটিস Pancreatitis অ্যাকিউট বা ক্রনিক যেটিই হোক না কেন এর পেছনে রয়েছে কিছু প্রকৃত কারণ। এই কারণগুলি হোমিওপ্যাথিক নিয়মে ইনভেস্টিগেশন করে নির্ণয় করতে হয় যা অন্য কোন প্রকারে নির্ণয় করা দুরহ ব্যাপার। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্য যেকোন চিকিৎসা ব্যবস্থায় যে কারণগুলির কথা বলা হয়ে থাকে সেগুলি মূলতঃ অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ জেগে উঠার ক্ষেত্রে ট্রিগার করে থাকে। তাই উপরি উপরি চিন্তা করে সেগুলির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিলে এই রোগ আদৌ সারানো যায় না।

তাই এই রোগের চিকিৎসা নিতে হলে এর প্রকৃত কারণগুলি নির্ণয় করতে একটি প্রপার হোমিওপ্যাথিক ইনভেষ্টিগেশন প্রয়োজন। এবার আসুন প্যানক্রিয়াটাইটিস এর প্রকৃত এবং অপ্রকৃত কারণগুলি সম্পর্কে জেনে নেই।
প্যানক্রিয়াটাইটিস এর প্রকৃত কারণ

প্যানক্রিয়াটাইটিস এর অপ্রকৃত কারণগুলি কি কি

  • মদ্যপান
  • গলব্লাডারে পাথর
  • অগ্নাশয়ের বংশগত সমস্যা
  • এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন: স্টেরয়েড
  • পেটে আঘাত পাওয়া
  • প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার
  • মাম্পস

প্যানক্রিয়াটাইটিস এর প্রকৃত কারণগুলি কি কি

  • পিটিস (পোস্ট ট্রমা সিম্পট্রোম)
  • পিআরএস (পোস্ট রেবিস সিম্পট্রোম)
  • টিবি প্রিডোমিনেন্ট
  • সোরা
  • সাইকোটিক
উপরিউক্ত কারণগুলি হল আমাদের ডিএনএ তে বিদ্যমান প্রকৃত রোগ যেগুলি ভাইটাল ফোর্সের দুর্বলতম মুহূর্তে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন প্রকার রোগলক্ষণ জাগিয়ে তুলে।
 
এই রোগ থেকে সেরে উঠতে প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাই হলো বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক কার্যকর উপায়। প্যানক্রিয়াটাইটিস এর মতো জটিল প্রকৃতির সমস্যার সুচিকিৎসার জন্য অবশ্যই হোমিওপ্যাথিক নিয়মে ইনভেষ্টিগেশন করে প্রকৃত রোগ বা কারণগুলি নির্ণয় করে সেগুলির চিকিৎসা করা জরুরী। এর জন্য দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন। আশা করি নিরাশ হবেন না।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২

প্যানক্রিয়াটাইটিস এর লক্ষণ উপসর্গ এবং জটিলতা

অ্যাকিউট ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস বা অগ্ন্যাশয় প্রদাহের লক্ষণ উপসর্গ এবং জটিলতাগুলি কি কি রয়েছে। রক্তে অ্যামাইলেজের মাত্রা নির্ণয়, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটিস্ক্যান, ইআরসিপি, এমআরসিপি ইত্যাদি মেডিক্যাল টেস্ট করে এই রোগটি নির্ণয় করা হলেও আপনি কিছু শারীরিক আলামত দেখেও বুঝতে পারবেন প্যানক্রিয়াটাইটিস হয়েছে কি না। কোন কারণে আমাদের প্যানক্রিয়াসে আকস্মিক তীব্র প্রদাহ ঘটলে তাকে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস বলা হয়ে থাকে আবার ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর ঘন ঘন পেটে ব্যথা হয়। 

এই রোগটিকে একটি মারাত্মক সমস্যা বলে প্রচার করে থেকে এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ, কারণ ইমার্জেন্সি কেইসে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ছাড়া এলোপ্যাথিতে এই রোগ নির্মূলের কোন সুচিকিৎসা নেই। অথচ হোমিওপ্যাথিতে প্যানক্রিয়াটাইটিসকে তেমন কোন জটিল সমস্যা হিসেবে মনে করা হয় না। অর্থাৎ এই রোগ হলে শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। এতে আপনি সব দিক থেকেই নিরাপদ থাকবেন।
প্যানক্রিয়াটাইটিস এর লক্ষণ উপসর্গ এবং জটিলতা

প্যানক্রিয়াটাইটিস - লক্ষণ ও উপসর্গ

  • পেটের উপরিভাগে এবং পিঠে তীব্র ব্যথা।
  • পেট ফুলে যাওয়া।।
  • বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন।
  • তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি হতে পারে।
  • অনেক ক্ষেত্রেই রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়।
  • জ্বর হওয়া, ডায়রিয়া হওয়া।
  • ওজন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
  • অগ্নাশয় বা পিত্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
  • পিত্তনালি সরু হয়ে গেলে জন্ডিস দেখা দিতে পারে।
  • হঠাৎ প্রদাহে রোগী মারাও যেতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস - জটিলতা

  • অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কোষে ঘা বা ফোঁড়া তৈরি হওয়া।
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণে খিঁচুনি হওয়া।
  • অগ্ন্যাশয়-সংলগ্ন অন্ত্রনালি সরু হয়ে যাওয়া।
  • অগ্ন্যাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপন্ন তরল পদার্থ জমে জমে এক ধরনের সিস্ট Pancreatic Pseudocyst তৈরি করে।
  • জটিলতা হিসেবে রোগীর ডায়াবেটিসও হতে পারে।
  • শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে।
  • অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে যেমন- কিডনি বিকল হওয়া, লিভার বিকল হওয়া ইত্যাদি।
  • পিত্তনালি বন্ধ হয়ে গিয়ে জন্ডিস হতে পারে।
  • ভালো হয়ে যাওয়ার পরও অনেক রোগী দীর্ঘমেয়াদি ধীরগতির প্রদাহে আক্রান্ত হতে পারে। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু না হলে রোগী মারা যেতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস - চিকিৎসা

অগ্ন্যাশয়ে হঠাৎ প্রদাহ হলো একটি ইমার্জেন্সি কেইস। এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। মনে রাখতে হবে, আইসিইউ-এর ব্যবস্থা রয়েছে, এমন হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা ভাল। কারণ এ সময়ে হঠাৎই রোগীর বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আইসিইউ বা সিসিইউ জরুরি।

তবে এই রোগ থেকে সেরে উঠতে প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাই হলো বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক কার্যকর উপায়। প্যানক্রিয়াটাইটিস এর মতো জটিল প্রকৃতির সমস্যার সুচিকিৎসার জন্য অবশ্যই দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করবেন। আশা করি নিরাশ হবেন না।
বিস্তারিত

বুধবার, ৮ জুন, ২০২২

একিউট বা তীব্র এবং ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ কি?

প্যানক্রিয়াটাইটিস সেটা একিউট বা তীব্র এবং ক্রনিক যেটাই হোক না কেন সব অবস্থাতেই জটিল এবং ভয়ঙ্কর একটি রোগ হিসেবে বিবেচনা করে হয়ে থাকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে। কারণ এই রোগের স্থায়ী সমাধান আজ পর্যন্ত এলোপ্যাথি আবিস্কার করতে পারেনি। আর তাইতো এই রোগের কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই বলে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা। বছরের পর বছর ভুগতে ভুগতে এক সময় যখন অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসাধীন চলে আসে তখন তাদের ঘুম ভেঙে যায়। তখন তারা বুঝতে পারে, কি ভয়ানক কুচিকিৎসা আর অপচিকিৎসার শিকার তারা হয়েছে এযাবৎকালে। 

একসময় যখন প্রপার একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেন তখন তারা বুঝতে পারেন, বর্তমান বিশ্বে একমাত্র হোমিওপ্যাথিই হলো প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের সর্বাধিক উন্নত চিকিৎসা আর হোমিও চিকিৎসকরাই হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেডিসিন ডক্টর। তবে হ্যা, ইমার্জেন্সি অবস্থায় অর্থাৎ হাসপাতালে এই রোগের একটি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে পারে এলোপ্যাথি যদিও স্থায়ীভাবে সারাতে পারে না। এবার আসুন, এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
একিউট বা তীব্র এবং ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ

অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস

যে সকল কারণে উপরের পেটে মাঝারি হতে তীব্র ব্যথা হয় সেগুলির মধ্যে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটইটিস বা প্যানক্রিয়াসের আকস্মিক তীব্র প্রদাহ অন্যতম। কোন কারণে আমাদের প্যানক্রিয়াসে আকস্মিক তীব্র প্রদাহ ঘটলে তাকে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস বলা হয়ে থাকে। এর ফলে কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে বা হার্টফেল হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিত্তনালির পাথর বা গলস্টোন ফলে অ্যাকুইট প্যানক্রিয়াটাইটিস জেগে উঠতে দেখা যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান, রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, অগ্ন্যাশয়ে আঘাত, এলোপ্যাথিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত ওজন, সার্জারি, ইনফেকশন, জন্মগত ত্রুটি, আলসার বা জিনগত কারণেও অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ জেগে উঠতে পারে। তবে এইগুলি মূলত এই রোগের মূল কারণ নয়।

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস

প্রচুর মদ্যপানের কারণে দীর্ঘমেয়াদী বা ক্রনিক প্যানক্রিয়াটিটিস জেগে উঠতে দেখা যায় প্রায় ক্ষেত্রেই। এছাড়াও এই রোগের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এটা দীর্ঘসময় ধরে থাকে এবং রিয়েল হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট ছাড়া এর ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর ঘন ঘন পেটে ব্যথা হয়। খাদ্য হজম হয় না। ওজন কমে যায়। ফেনাযুক্ত পায়খানা হয়। ডায়াবেটিস হতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের প্রকৃত কারণ, লক্ষণ ও উপসর্গ এবং জটিলতা সম্পর্কে পরবর্তী পর্বে থাকছে বিস্তারিত।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

অর্শ বা পাইলসের প্রাথমিক উপসর্গ ও ঘরোয়া চিকিৎসা

অর্শ বা পাইলসের প্রাথমিক উপসর্গ সৃষ্টি হলে এর জন্য এলোপ্যাথি হোমিওপ্যাথি আয়ুর্বেদিক বা ঘরোয়া চিকিৎসা কোনটা নিবেন সেটা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান। তাই শুরুতে আপনি নিজে নিজেই কিভাবে ঘরোয়া চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন সেটাই থাকছে আজকের পর্বে। প্রাথমিক পর্যায়ের পাইলসে রক্ত যাওয়া, মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালা, ছোট মাংসের মতো দলা তৈরী হতে পারে। যখন শুধু রক্ত যায় আর মাংসপিণ্ড বা দলা তৈরি হয়, এ সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই কিছু নিয়ম কানুন অনুসরণ করেই আপনি সেরে উঠতে পারেন।

প্রথমেই অর্থাৎ সমস্যার শুরুতেই ফোলা ও ব্যথা কমানোর জন্য আপনি ঠিক কি করে উপরকার পেতে পারেন যেটা জেনে নিন।পাইলসের সমস্যা দেখা দিলে আপনি গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে সহনীয় পর্যায়ের গরম পানি নিয়ে দিনে ১০-১৫ মিনিট বসে পড়ুন। এভাবে দিনে কয়েকবার এই ভাপ নিতে পারেন। বিশেষত, পায়খানা করার পর যাদের ব্যথা বা জ্বালা থাকে তারা ভালো রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।
অর্শ বা পাইলসের প্রাথমিক উপসর্গ ও চিকিৎসা
আবার পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে বরফ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কারণ বরফ দেহে রক্ত চলাচল সচল করতে সহায়তা করে এবং ব্যথা দূর করে থাকে। এক টুকরো বরফ নিয়ে মলদ্বারের আক্রান্ত স্থানে দিয়ে আরাম পেতে পারেন।

যদি কারো দীর্ঘদিনের আমাশয়ের সমস্যা থাকে এবং এর ফলে অর্শ বা পাইলসের সমস্যা জেগে উঠে তাহলে যে খাবারগুলি গ্রহণ করলে আপনি ভালো থাকেন সেগুলি গ্রহণ করুন এবং যেগুলি খেলে আপনার পেটের সমস্যাসহ আনুসঙ্গিক আরো সমস্যা তৈরি হয় সেগুলি বিশেষ করে প্রাণীজ খাবার বাদ দিন। তাতেও উপরকার না হলে অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিয়ে আপনার পেটের অসুখ ঠিক করুন দেখবেন আপনার পাইলসের সমস্যাও দূর হয়ে গেছে। পুরাতন আমাশয় নির্মূলের জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা আপনাকে কিছুটা আরাম দিলেও প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ছাড়া এর থেকে নিস্তার পাওয়া দুস্কর।
 
পাইলসের সমস্যায় প্রতিদিন সকালে খালি পেটে স্বাভাবিক তাপমাত্রার গরুর দুধের সাথে একটি লেবু চিপে তার রস মিশিয়ে সাথে সাথে খেয়ে নিতে হবে। ভালো লাগলে টানা ৭-১০ দিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। সুফল পাবেন। কিন্তু যদি কারো ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে পেটের যন্ত্রনা বেড়ে যায় তাহলে তিনি সেটি পরিহার করবেন।

আরেকটি পদ্ধতি অনুসরণ করে দেখতে পারেন। আদা ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে তাতে ১ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। দিনে দুবার করে এই মিশ্রণটি খেয়ে যান। পাইলসের সমস্যা কমে আসবে। তবে যদি কারো দীর্ঘদিনের পেটের অসুখ থাকে তাহলে এই পদ্ধতি সহ্য নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি সেটা পরিহার করে বিকল্প পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

যদি দীর্ঘদিনের কোষ্টকাঠিন্য বা পায়খানা শক্ত থাকার কারণে কারো অর্শ বা পাইলসের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে পেটের এই সমস্যাটিই ব্যক্তির পাইলস সৃষ্টির পেছনের একটি প্রধান নিয়মক ও পরিপোষক কারণ হিসেবে কাজ করে। সেক্ষেত্রে যেভাবে জীবন যাপন করলে পায়খানা নরম এবং স্বাভাবিক থাকে সেভাবেই তাকে জীবনযাপন করতে হবে। প্রাণীজ খাদ্য যেমন গরু ছাগলের মাংস, ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড এবং উগ্র মসলা জাতীয় খাদ্য পরিহার করে সবুজ শাক সবজি নিয়মিত খেয়ে যেতে হবে। 

এর সাথে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় ইসবগুল, বেলের শরবত এবং এর সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করলে কোষ্টকাঠিন্য উপশম করে পাইলের সমস্যা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেখা গেছে এভাবে চললে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং এর সাথে পাইলসের সমস্যাটিও দূর হয়ে যায়। তারপরও যদি আপনি ঠিক না হতে পারেন তাতেও চিন্তার কিছু নেই। অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করে যথাযথ চিকিৎসা নিন, ঠিক হয়ে যাবেন ইনশা-আল্লাহ।
বিস্তারিত