নারী স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নারী স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯

স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সার টিউমার (Breast Cancer Tumors) কারণ লক্ষণ চিকিৎসা পদ্ধতি

শরীরের কোন স্থানে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি হলে সেটাকে টিউমার বলে। স্তনে দুই ধরনের টিউমার হতে পারে-  বিনাইন টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। বিনাইনের অবস্থান তার উৎপত্তি স্থলে সীমাবদ্ধ থাকলেও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আগ্রাসী ধরনের যা রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে দূরের বা কাছের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা গ্রন্থিকে আক্রান্ত করতে পারে।

স্তন ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এতোদিন এই ক্যান্সারের ব্যাপারে নারীদের সচেতন করার জোরটা ছিল বেশি, কিন্তু এখন পুরুষদেরকেও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারণ, পুরুষদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। এক হিসেবে দেখা যায় যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৪১ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, সেই তুলনায় মাত্র ৩০০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্তনের টিউমার দুই ধরনের-
  • বিনাইন টিউমার অক্ষতিকার টিউমার। উত্পত্তি স্থলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দূরের বা কাছের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে না।
  • ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আগ্রাসী, ক্ষতিকারক টিউমার। উত্পত্তি স্থলের সীমানা ছাড়িয়ে আশপাশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে কিংবা গ্রন্থিকে আক্রান্ত করে। এমনকি রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে দূরের কোনো অঙ্গেও আঘাত হানতে পারে। স্তনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই স্তন ক্যান্সার।
কারণসমূহ 
  • প্রথমত এর জন্য দায়ী আমাদের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন। যেমন আজকাল আমরা প্রচুর ফাস্ট ফুডখাচ্ছি, সবুজ শাকসবজি খুবই কম খাই, কম শারীরিক পরিশ্রম করি- যার ফলে আমরা অতিরিক্ত স্থূলতায় ভুগছি। অতিরিক্ত স্থূলতা ব্রেস্ট ক্যান্সার এর অন্যতম প্রধান কারণ।
  • দেরিতে বাচ্চা নেয়া
  •  বাচ্চাকে বুকের দুধ দিতে অনীহা বা অপারগতা (যেমন চাকরিজীবী মহিলারা এ সমস্যায় ভোগেন বেশি)
  • বেশি বয়স, গড় আয়ু বেড়ে যাওয়াতে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
  • এছাড়া রয়েছে বংশগত ভাবে প্রাপ্ত জিনগত ত্রূটি

লক্ষণ বা উপসর্গ

  • স্তনের কোন অংশ চাকা চাকা হয়ে যাওয়া অথবা কোন লাম্প দেখা যাওয়া
  • স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন
  • স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন
  • স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া
  • স্তনবৃন্তের আশেপাশে রাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
  • বগলে ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেয়া
  • স্তনের ভেতরে গোটা ওঠা বা শক্ত হয়ে যাওয়া
চিকিৎসা পদ্ধতি:
  • কেমোথেরাপি 
  • রেডিওথেরাপি 
  • হরমোন থেরাপি
  • সার্জারি
  • এছাড়া রয়েছে উন্নত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা 
বিস্তারিত

শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯

নারীদের বন্ধ্যাত্ব (Female Sterility) সমস্যার জটিল কারণসমূহ এবং বাস্তব প্রতিকার

নারীদের বন্ধ্যাত্ব Female Sterility হওয়ার পেছনে যে বাস্তব কারণ গুলি রয়েছে সেগুলি হলো - ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস (PCOS),হাইপোথ্যালামাস সংক্রান্ত সমস্যা,অনিয়মিত ঋতুস্রাব, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের সমস্যা, এন্ডোমেট্রিওসিস, হরমোন জটিলতা,অ্যান্টিবডির আক্রমণ,মানসিক চাপ, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।

নারীদের বন্ধ্যাত্ব  - কারণ

  • পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (PCOS)
  • ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেওয়া 
  • হাইপোথ্যালামাস সংক্রান্ত ত্রুটি
  • ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের না হলে বা বের হলেও তাদের আকৃতি স্বাভাবিক না হলে
  • ডিম্বাণু নিঃসরণের আগে ও পরে কিছু কিছু হরমোন নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী নিঃসৃত না হলে
  • ডিম্বনালির গঠনে সমস্যা থাকলে
  • জরায়ুর মধ্যের আস্তরণ জরায়ুর ভেতরের অংশ ছেড়ে ডিম্বনালি, ডিম্বাশয় বা জরায়ুর পেছন দিকে ছড়িয়ে গেলে
  • যৌনাঙ্গে যক্ষ্মা হলে
  • জরায়ুতে টিউমার হলে
  • জন্মগতভাবে জরায়ুতে ত্রুটি থাকলে
  • অকালে রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ হলে
  • যোনির মুখপথে সমস্যা থাকলে
  •  ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ থাকলে
  • পিটুইটারি গ্রন্থির কোনো সমস্যা হলে
  • থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য হলে
  • বহুমূত্র রোগ বা উচ্চরক্তচাপ থাকলে
  • কোন সংক্রমণ বা আঘাতের ফলে শুক্রাণু বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেলে
  • উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন, ধূমপান, মদ্যপান করলে
  • পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব হলে
  • নিয়মিত বিষণ্ণতার ওষুধ সেবন করলে
  • অতিরিক্ত ওজন হলে
নারীদের থাইরয়েড সমস্যা ও বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের একটি প্রাকৃতিক ফুড সাব্লিমেন্ট হল

নারীদের বন্ধ্যাত্ব  - লক্ষণ

  • অপ্রত্যাশিত মাসিক
  • দীর্ঘায়িত মাসিক
  • মাসিকে স্বল্প রক্তক্ষরণ
  • অবাঞ্ছিত লোম
  • মাসিক না হওয়া
  • নিপল দিয়ে রক্ত পড়া/তরল নির্গত হওয়া
  • যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়া
  • যৌনমিলনের সময় ব্যথা হওয়া
  • অস্বাভাবিক নাভি 

নারীদের বন্ধ্যাত্ব  - চিকিৎসা 

নারীদের বন্ধ্যাত্ব হওয়ার পেছনে যত গুলি কারণ রয়েছে সবগুলি কারণ দূর করে বন্ধ্যাত্ব নির্মূলের কার্যকর এবং স্থায়ী চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী। 
বিস্তারিত

বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নারীদের ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান ক্যান্সার Ovarian Cancer কারণ এবং উপসর্গ

নারীদের জরায়ুর দুই পাশে একটি করে মোট দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। সেখানে যে ক্যান্সার হয়ে থাকে তাকেই মূলত ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) বলা হয়ে থাকে। সেখানে তিন ধরনের ক্যান্সার হতে দেখা যায় -
  • এপিথেলিয়াল টিউমারস বা ক্যান্সার (Epithelial Tumor or Cancer)
  • স্ট্রোমাল(Stromal Cancer)
  • জার্ম সেল(Germ Cell Cancer)
সাধারণত সুস্থ অর্থাৎ স্বাভাবিক কোষগুলো জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষে পরিনত হয়ে থাকে। ক্যান্সার আক্রান্ত সেলগুলো খুব দ্রুত সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং টিউমার গঠন করে। এক পর্যায়ে মেটাস্টেসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।

ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) - উপসর্গ

ডিম্বাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ এবং উপসর্গ অনুপস্থিত বা খুব সূক্ষ্ম হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই রোগ সনাক্তকরণ এবং নির্ণয় করতে কয়েক মাস লেগে যায়, এর মধ্যেই রোগ ছড়িয়ে পড়ে অনেক। ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যথাহীন হতে থাকে। লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরে এর উপ্সর্গগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে। কম মারাত্মক টিউমারের সাধারণ লক্ষণগুলি পেটে ব্যথা বা শ্রোণীচক্রের ব্যথা অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। ডিম্বাশয় ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে....
  • পেট ফুলে যাওয়া বা স্ফীতি
  • পেটে ব্যথা বা পেলভিক ব্যথা
  • খাওয়ার অসুবিধা
  • ঘন ঘন মুত্রত্যাগ
  • অস্বাভাবিক মেন্সট্রুয়াল সাইকল
  • ক্ষুধা না লাগা
  • বদহজম
  • বমিভাব ও বমি
  • গ্যাস বেড়ে যাওয়া
  • কোষ্ঠ্যকাঠিন্য
  • পিঠ ব্যথা
  • ভ্যাজাইনাল ব্লীডিং
  • ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া
এই ক্যান্সারে ওভারিতে ব্যথা বাড়তে পারে । যে উপসর্গগুলিতে দেখা যাবে পেট-শ্রোণীচক্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যদি এই লক্ষণগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা বেশি গুরুতরভাবে ঘটতে থাকে, বিশেষত এই ধরনের উপসর্গগুলির উল্লেখযোগ্য ভাবে পুর্বের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সেটা ডিম্বাশয় ক্যান্সার বিবেচনা করা হয়।

ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) - ঝুঁকি

ডিম্বাশয় ক্যান্সারের হওয়ার ঝুঁকি থাকে মহিলাদের বেশি। সাধারণত যাদের কম মাসিক চক্র, মাসিক না হওয়া, বুকের দুধ খাওয়ানো, মৌখিক গর্ভনিরোধক ওষুধ, একাধিক গর্ভধারণ করা এবং অল্প বয়সে গর্ভাবস্থা থাকে ইত্যাদি সমস্যা থেকে এই রোগের সম্ভবনা বেশি। ডিম্বাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করা হয় টিউবাল লাইগেশনে উভয় ডিম্বাশয় অপসারণ করে বা গর্ভাশয় উচ্ছেদন বা হেস্টেরেক্টমি (একটি অপারেশন যা গর্ভাশয়, এবং কখনও কখনও গর্ভাশয়ের সার্ভিক্স অপসারণ করা হয়)। এছাড়াও বয়সও একটি ঝুঁকি কারণ। এ ছাড়া....
  • যে সব মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যানসার রয়েছে
  • ব্রেস্ট ক্যানসার বা ওভারিয়ান ক্যানসার এর পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে
  • যারা ৫ বছর বা তার অধিক সময় ধরে শুধু estrogen replacement নেয়
  • অধিক বয়স্ক মহিলা

ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) - চিকিৎসা

এর জন্য তেমন কোন এলোপ্যাথিক ঔষধ নেই তাই ওভারিয়ান ক্যানসার এর সকল স্টেইজ চিকিৎসার জন্য সার্জারী ব্যবহার করা হয়। মূলত ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) চিকিৎসার জন্য উন্নত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে তবে এরজন্য এক্সপার্ট কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী।
বিস্তারিত

সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নারীদের ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান টিউমার (Ovarian Tumor) লক্ষণ ও উপসর্গ

নারীদের ডিম্বাশয় বা ওভারিতে যে টিউমার হয়ে থাকে সেটিই মূলত ওভারিয়ান টিউমার (Ovarian Tumor) এই গুলি আবার দুই প্রকারের হয়ে থাকে। বিনাইন এবং ম্যালিগন্যান্ট। নারীদের দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। সেখানেই টিউমার হয়। ডিম্বাশয় বা ওভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওভারি থেকেই ওভাম বা ডিম উৎপন্ন হয় যা শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে একপর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা তৈরি হয়। ওভারিতে বা ডিম্বাশয়ে টিউমার হলে বিভিন্ন উপসগ দেখা যায়। এর মধ্যে আছে-

ওভারিয়ান টিউমার - লক্ষণ ও উপসর্গ

  • তল পেটে ব্যথা
  • বারবার প্রস্রাব হওয়া
  • প্রস্রাব আটকে যাওয়া
  • সহবাসের সময় তলপেটে ব্যথা
  • হজমে সমস্যা
  • কোমরের পেছনের দিকে ব্যথা
সবার যে একই রকম সমস্যা হবে তা নয়। একেক জনের ক্ষেত্রে একেকরকম সমস্যা হয়। আবার যদি টিউমার ছোট হয় তবে কোন সমস্যা নাও থাকতে পারে। ডিম্বাশয়ে টিউমার কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা করতে পারে। পেলভিসে টিউমার থাকলে প্রসব বাধাগ্রস্থ হয়। টিউমার পেঁচিয়ে গেলে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এটি জরুরি অবস্থা। এ অবস্থায় পেসেন্টকে হাসপাতালে পাঠানো জরুরি। টিউমারের ভেতরে রক্তক্ষরণও কিন্তু হতে পারে। আবার টিউমার ফেটে গিয়ে জটিল অবস্থা তৈরি হয়। টিউমার বাড়তে থাকলে উপসর্গও তত বেশী হয়। বমিভাব, বমি, ওজন কমে যাওয়া। শ্বাসকষ্ট, দূর্বলতা ইত্যাদি শুরু হয়।

ওভারিয়ান টিউমার - পরীক্ষা নিরীক্ষা

ভালভাবে ইতিহাস নিয়ে এবং পরীক্ষা করে অনেকটাই ওভারিয়ান টিউমার ডায়াগনসিস করা যায়। তবে নিশ্চিত হবার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি, রক্তের পরীক্ষা এবং বায়োপসি করা হয়।

ওভারিয়ান টিউমার - টিউমার 

এই সকল রোগের কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। তাই  ডিম্বাশয়ে টিউমার চিকিৎসায় সার্জারি, রেডিওথেরাপী এবং কেমোথেরাপী ব্যবহৃত হয়। শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিলে সমস্যাটি সমূলে নির্মূল হয়ে যায়। 
বিস্তারিত

জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার (Endometrial Cancer) কারণ এবং লক্ষণ

নারীদের জরায়ুর (Endometrial Cancer) এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার এমন একটি ক্যান্সার যেটি শুরু হয় জরায়ুর ভেতরের লেয়ার এন্ডোমেট্রিয়াম বা গর্ভের আস্তরণ থেকে। মহিলাদের মেনোপজ বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এটি বেশি হতে দেখা যায়। ঠিকঠাক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। এর জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে। .....
বিস্তারিত

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cysts) কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি

ওভারিয়ান সিস্ট Ovarian Cysts হল ডিম্বাশয় এর মধ্যে একটি তরল ভরা থলি যা হলে নারীদের বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়। মাঝে মাঝে উদরস্ফীতি, তলপেটে ব্যথা অথবা পিঠের নিচের অংশে ব্যথা দেখা যেতে পারে। অধিকাংশ সিস্টই ক্ষতিকর নয়। যদি সিস্টটি ফেটে যায় অথবা ডিম্বাশয় মুচড়ে যায়, প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। এর থেকে বমি হতে পারে অথবা দুর্বল লাগতে পারে। ওভারিয়ান সিস্ট এর হোমিও চিকিৎসা রয়েছে যার মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। এর জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে।

ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cysts) - কারণ

ওভারিয়ান সিস্টের কিছু কারণ হলো - অনিয়মিত ঋতুচক্র শুরু হলে, বন্ধ্যাত্ব, বংশগত ইতিহাস, ১১ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সে ঋতুচক্র শুরু হলে, হরমনাল ইমব্যালান্স, শরীরের উপরের অংশে বেশি মেদ জমলে।

অধিকাংশ ওভারিয়ান সিস্ট যেমন ফলিকিউলার সিস্ট সমূহ অথবা করপাস লুটেয়াম সিস্ট সমূহ ডিম্বপাত এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। অন্যান্য ধরনের মধ্যে আছে এন্ডোমেট্রিওসিস এর জন্য সিস্ট, ডারময়েড সিস্ট এবং সিস্টাডেনোমা সমূহ। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম অসুখে দুটি ডিম্বাশয়ে অনেক ছোট ছোট সিস্ট তৈরী হয়। শ্রোণীর প্রদাহ রোগ হলেও সিস্ট তৈরী হয়। কদাচিৎ, সিস্ট ডিম্বাশয় ক্যান্সার এ পরিবর্তিত হয়। আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে পেলভিক পরীক্ষা করে রোগনির্ণয় করা হয় অথবা আরও অন্যান্য পরীক্ষা করে বিস্তারিত অবস্থা বোঝা যায়।

যারা ঘন ঘন এই অসুখে আক্রান্ত হয় তাদের আর সিস্ট যাতে না হয় সেজন্য হরমোনাল গর্ভ নিরোধক ব্যবহার করা যায়। যদিও, বর্তমান সিস্টের চিকিৎসা হিসাবে গর্ভ নিরোধকের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কয়েক মাসের মধ্যে যদি এগুলি ঠিক না হয়, বড় হয়ে যায়, অস্বাভাবিক দেখতে লাগে, বা ব্যথা হয়, তাদের কখনো কখনো অস্ত্রোপচার করে সরানো যেতে পারে। প্রজনন সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলার প্রতি মাসে ছোট ছোট সিস্ট তৈরী হয়। রজোনিবৃত্তির আগে ৮% মহিলার বড় সিস্ট দেখা যায় যেগুলি অসুবিধা ঘটাতে পারে। রজোনিবৃত্তির পর প্রায় ১৬% মহিলার ওভারিয়ান সিস্ট থাকে এবং থাকলে সেগুলি থেকে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cysts) - লক্ষণ ও উপসর্গ

যদিও নিম্নলিখিত কিছু বা সব কটি উপসর্গই থাকতে পারে, তবুও কোনো উপসর্গই নেই এই অভিজ্ঞতাও সম্ভব-
  • পেটে ব্যথা, পেটে বা শ্রোণীচক্রে হাল্কা ব্যথা, বিশেষ করে যৌনসম্পর্কের সময়
  • জরায়ু থেকে রক্তপাত, ঋতু শুরুর প্রথমে বা চলার সময়ে বা শেষে ব্যথা; অনিয়মিত ঋতু, অথবা অস্বাভাবিক রক্তপাত বা রক্তের ছিটা লাগা
  • পেট ভরে থাকা, ভারি লাগা, চাপ লাগা, পেট ফোলা, বা পেট ফাঁপা
  • যখন ডিম্বাশয় তে একটি সিস্ট ফেটে যায়, তলপেটের একপাশে হঠাৎ ও তীব্র ব্যথা হতে পারে
  • মূত্রত্যাগ এর ঘটনের সংখ্যা এবং সহজতায় পরিবর্তন (যেমন মূত্রস্থলী) সম্পূর্ণরূপে খালি করায় অক্ষমতা, অথবা সংলগ্ন শ্রোণীচক্র এ চাপের কারণে বাওয়েল মুভমেন্ট এ অসুবিধা
  • ধাতগত উপসর্গ সমূহ যেমন অবসাদ, মাথাব্যাথা ইত্যাদি
  • বমি ভাব বা বমি
  • ওজন বৃদ্ধি

ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cysts) - প্রতিরোধ 

কিছু উপায় আছে যাতে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যা কিছুটা কমিয়ে দেয়া যায় - পরিমিত ও সুষম আহার ব্যায়াম ও বিশ্রাম অতিরিক্ত চাপ না নেয়া বা চাপ মুক্ত থাকা হরমোনাল ব্যালেন্স বজায় রাখা, প্রয়োজনে এক্সপার্ট চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে হোমিও চিকিৎসা চিকিৎসা গ্রহণ করা। সচেতনতা ও সময়নুযায়ী একটি প্রপার হোমিও চিকিৎসাই আপনাকে এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
বিস্তারিত

সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসার (Cervical Cancer) কারণ, উপসর্গ এবং প্রতিরোধ

মহিলাদের জরায়ুর মুখে যে টিউমার হয় তাকে বলে Cervical Tumor আর এ থেকে যে ক্যানসার হয় তাকে বলে Cervical Cancer বা জরায়ুমুখ ক্যানসার। নারীদের ম্যালিগনেন্ট টিউমার বা ক্যান্সারের মধ্যে মূলত এটিই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসারের কারণ 
  • জরায়ুর ক্যানসারের জন্য মূলত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দায়ী। এই ভাইরাস সহবাসের মাধ্যমে ছড়ায়। অল্প বয়সে বিয়ে হলে এবং পাঁচ বছরের বেশি সময়কাল ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি খেলে জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
  • রোগটি দেখা যায় ৩৫ বছর ও ৫০-৫৫ বছর বয়সে। ২০ বছরের নিচের বয়সী কোনো নারী গর্ভধারণ করলেও হতে পারে।
  • বহুগামিতা এ রোগের অন্যতম একটি কারণ।
  • যৌনাঙ্গ অপরিচ্ছন্ন রাখলে জরায়ু ক্যানসার হতে পারে।
জরায়ুর ক্যানসারের​ লক্ষণ
  • অনিয়মিত মাসিক হওয়া।
  • দুই মাসিক এর অন্তর্বর্তী সময়ে হালকা রক্তপাত হওয়া।
  • মাসিকের সময় রক্তপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি এবং দীর্ঘমেয়াদী হওয়া।
  • সহবাসের পরে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
  • মাসিক বন্ধ হবার পরও মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হওয়া।
  • মাসিক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১ বছর পরেও রক্তস্রাব দেখা যাওয়া।
  • যৌনসংগমের পর রক্তস্রাব হওয়া।
  • যোনিপথে বাদামি অথবা রক্তমিশ্রিত স্রাবের আধিক্য দেখা দেওয়া এবং সাদা দুর্গন্ধযুক্ত যোনিস্রাব হওয়া
জরায়ু মুখের ক্যানসার (Cervical Cancer) এর কারণ লক্ষণ প্রতিকার এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত ভিডিওতে.... নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসার (Cervical Cancer) কারণ, উপসর্গ এবং প্রতিরোধ 

নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসার (Cervical Cancer) প্রতিরোধ

সাধারণত ১০ বছর বয়সের পর থেকেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নেয়া যায়। মোট তিন ডোজ টিকা নিতে হয় – প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ টিকা নিতে হয়। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আক্রমণ হার কমিয়ে আনা যায়। ভাইরাস এইচপিভি-১৬, এইচপিভি-১৮, এইচপিভি-৬, এইচপিভি-১১-এর প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিয়মানুযায়ী নয় থেকে ২৫ বছর বয়সে এ টিকা কার্যকর হয়। গর্ভাবস্থায় এ টিকা প্রদানের অনুমোদন নেই। আক্রান্ত হয়ে ক্যান্সার সংঘটনের পর এই টিকা আর কোনো কাজে আসে না। তবে শুরু থেকে হোমিও চিকিৎসা নেয়া শুরু করলে ভালো ফল দিয়ে থাকে। 
বিস্তারিত

সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম PCOS এর চিকিৎসা বিষয়ে নারীদের যা জানতে হবে

নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) Polycystic Ovary Syndrome (PCOS) এর চিকিৎসা নেয়ার আগে এই সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ভিডিওটি দেখুন। এটি হলো হল মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার। এর কারণে মেয়েদের মুখে অবাঞ্ছিত লোম এবং ব্রণ, অনিয়মিত মাসিক,বন্ধ্যাত্ব, ওজন কমে যাওয়ার সমস্যা হতে দেখা যায়। এটি মূলত নারীদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার যা বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিলে ঠিক হয়ে যায়।

বেশির ভাগ PCOS থাকা নারীদের ওভারিতে ছোট ছোট অনেক সিস্ট হয়। এজন্য একে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বলে। মূলত: সিস্টগুলো যখন ছোট থাকে তখন তা ক্ষতিকর নয়, আকার বড় হলেই তা ক্ষতিকর হয়। এগুলোই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য দায়ী। সাধারণত: PCOS এর কারণে নারীদের ঋতুচক্রে অনিয়ম, প্রজননে সমস্যা, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। 
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
সিস্ট হলো ছোট পানি ভরা থলি, আর একাধিক সিস্টকে একসঙ্গে বলা হয় পলিসিস্ট। আর ওভারি যে ফিমেল রিপ্রোডাক্টিভ অরগ্যানগুলোর মধ্যে অন্যতম তা নিশ্চয়ই সবার জানা। ছোট ছোট সিস্ট (১০-১২টি) পুঁতির মালার মতো দেখতে ওভারি বা ডিম্বাশয়কে ঘিরে থাকে। এই সিস্টের জন্য ওভারির স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। PCOS এ আক্রান্ত নারীদের ক্ষেত্রে আমরা যা যা দেখে থাকি-
  • শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমা। 
  • ঠোঁটের নিচে, গালে বা চিবুকে কখনোবা বুকে, পেটে, পিঠেও পুরুষালি লোম গজায়। 
  • পিরিয়ডের গোলমালের সুত্রপাত হয়, শুরুতে দুই-তিন মাস পরপর পিরিয়ড হয়। কখনোবা হরমোনের তারতম্য বেশি হলে বছরে দুই-তিনবার বা তারও কম পিরিয়ড হয়। কারো আবার অতিরিক্ত ব্লিডিং হয়। বিবাহিতাদের সন্তান ধারণে সমস্যা হয় অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য। 
  • অনেক ক্ষেত্রেই ইনফার্টিলিটির এক অন্যতম কারণ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম।
  • অনিয়মিত মাসিক এবংবন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ পলিসিস্টিক ওভারি ৷ 
মেয়েদের হরমোনাল সমস্যার মধ্যে ৫-১০ % এই পলিসিস্টিক ওভারি ৷ এই রোগটি যখন অনেক গুলো উপসর্গ নিয়ে দেখা দেয় তখন একে বলা হয় পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম ৷ সংক্ষেপে PCOS ৷ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে এই ডিসঅর্ডার ঠিক করার কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে। 

PCOS এর কারণ

PCOS এর সঠিক কারণ যদিও অজানা। তবে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং বংশগতি একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ ক্ষেত্রে। যেসব নারীর মা এবং বোনের PCOS আছে তাদের PCOS হবার সম্ভাবনা বেশি। এর থেকে অনুমান করা যায় এর পেছনে জেনেটিক কারণ বর্তমান। তবে নারীদের শরীরে পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেনের অত্যাধিক উৎপাদনও এর আরো একটি কারণ। অ্যান্ড্রোজেন হরমোন নারী দেহেও উৎপাদিত হয় কিন্তু PCOS থাকা নারীদের দেহে মাঝে মাঝে এর উৎপাদনের মাত্রা বেড়ে যায়। যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম বের হওয়া এবং এর বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে।অতিরিক্ত ইন্সুলিন উৎপাদনও অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি কারণ হতে পারে। ইন্সুলিন হচ্ছে এমন একটি হরমোন যা শর্করা এবং শ্বেতসারকে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে সাহায্য করে।

PCOS এর লক্ষণ

PCOS এর উপসর্গ শুরু হয় সাধারণত নারীদের ঋতুচক্র শুরু হওয়ার পর থেকেই। তবে উপসর্গের ধরণ এবং তীব্রতা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। তবে সবচেয়ে সাধারণ যে উপসর্গ সবার মাঝে দেখা দেয় তা হলো অনিয়মিত পিরিয়ড। যেহেতু PCOS এ নারী হরমোনের পরিমান কমে পুরুষ হরমোনের পরিমান বেড়ে যায় তাই নারীদের মাঝে তখন কিছু পুরুষালী বৈশিষ্ট্য দেখা দিতে থাকে।
  • মুখে, বুকে, পেটে, হাতে এবং পায়ের আঙ্গুলে অবাঞ্ছিত চুল গজানো
  • স্তনের আকার ছোট হয়ে যায়
  • গলার স্বর গভীর হয়ে যায়
  • চুল পড়তে শুরু করে
  • ব্রণ, ত্বকে আঁচিল
  • শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
  • কোমরের নিচের অংশ ব্যাথা
  • মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা
  • বন্ধ্যাত্ব
  • ওভারি আকারে বড় হয়ে যায় এবং ডিম্বাশয়ের চারদিকে অসংখ্য তরল পূর্ণ সিস্ট তৈরি হয়
  • অনিদ্রার এবং ঘুমের সময় নিঃশ্বাসে সমস্যা
  • অতিরিক্ত ইন্সুলিনের উৎপাদন
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
  • ডায়াবেটিস হওয়া
উল্লিখিত উপসর্গের অনেকগুলোই অনেকের ক্ষেত্রে হয়ত দেখা নাও দেখা দিতে পারে।

PCOS এর চিকিৎসা

নারীদের এই সমস্যার একটি উন্নত চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। প্রপার কেইস টেকিং এবং বিস্তারিত পর্যালোচনা করে হোমিও চিকিৎসা দিলে এই সমস্যা ঠিক হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। এর জন্য রেজিস্টার্ড কোন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। 
বিস্তারিত

বুধবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৯

জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমার Uterine Fibroid Tumors ! নারীদের সন্তান জন্মদানের পথে অন্যতম অন্তরায়

মহিলাদের  জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি যেটি হয়ে থাকে সেটি হল ফাইব্রয়েড টিউমার (Uterine Fibroid Tumor) হয়ে থাকে। তবে অনেক মহিলাদেরই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকার দরুন অধিকাংশ সময়ই  তারা ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে অপারেশন করে জরায়ু কেটে পর্যন্ত ফেলে দিয়ে থাকেন, যা আর কোন ভাবেই তারা ফিরে পায় না। অথচ এর সবচেয়ে উন্নত  চিকিৎসা হলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে এই টিউমারগুলি নির্মূল করা।

মূলত মহিলাদের জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হয়ে থাকে। জরায়ুর পেশিতে ও ভেতরের ত্বকে, ফেলোপিন টিউবের মুখে, ব্রডলিগামেন্ট ও ডিম্বাশয়ের পাশে ফাইব্রয়েড সৃষ্টি হতে পারে। অনুমান করা হয়, যৌবনাবতীর দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণের সঙ্গে এই ফাইব্রয়েড সৃষ্টির কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে। কারণ নারীদেহে যখন ইস্ট্রোজেন সর্বাপেক্ষা বেশি ক্ষরণ হয়, সেই সময় অর্থাৎ ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সে ফাইব্রয়েড তৈরি হয়।

আবার মেনোপোজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাইব্রয়েড বৃদ্ধি থেমে যায়। ফাইব্রয়েডের জন্য বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে অস্বস্তি অনুভব, অকাল গর্ভপাত, রজস্রাব সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তস্বল্পতা, স্থায়ী বন্ধ্যাত্ব বা সাময়িক বন্ধ্যাত্বও হতে পারে এবং মূত্রথলিতে সংক্রমণ হতে পারে।

জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমার - কারণ

ফাইব্রয়েড মৌলিক পেশি কোষগুলোর প্রভূত সংখ্যাবৃদ্ধির ফলে তৈরি হয়। এগুলো আকারে যত বড় হয় ততই তাতে তন্তু মিশে যায়। ফাইব্রয়েড শুরু হয় অপূর্ণ পেশি কোষ থেকে, আর এর বীজ সুপ্ত থাকে জরায়ুর একেবারে আভ্যন্তরীন স্তরের অব্যবহিত বাইরের স্তর অর্থাৎ মায়োমেটরিয়ামে। ফাইব্রয়েডগুলো বেড়ে ওঠার জন্য ইস্ট্রোজেন হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। এই কারণে বয়ঃসন্ধির আগে ফাইব্রয়েড হতে দেখা যায় না এবং মেনোপজের পর ফাইব্রয়েড সাধারণত থাকলেও আর বাড়ে না। মেনোপজের পর নতুন করে আর ফাইব্রয়েডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ফাইব্রয়েডে আক্রান্ত নারীর গর্ভাবস্থায় ফাইব্রয়েড খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। ফাইব্রয়েডের সঙ্গে সঙ্গে অনেক সময় ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধিজনিত উপগর্গ যেমন অ্যানভিউলেশন (ডিম্বানু বার না হওয়া) বা এন্ডোমেটরিয়াল পুলিশ (জরায়ুর একদম ভেতরের স্তরে টিউমার) বা জরায়ুর একেবারে ভেতরের আস্তরণ বা এন্ডোমেটরিয়াল পুরু হয়ে গিয়ে কোনও উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।

জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমার - উপসর্গ ও লক্ষণ

সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গ দেখা যায় তা হল পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ও অত্যধিক রক্তস্রাব অথবা পিরিয়ড একভাবে অনেকদিন ধরে হয়ে যাওয়া। বেশ কয়েক মাস এ রকম হতে হতে অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অনেক সময় এমন হয় যে বহু বছর পিরিয়ডের সময় কোনও পেট ব্যথা হত না, হঠাৎ এক মাস ব্যথা শুরু হল। রোগী নিজেই তলপেটে একটা ডেলা বা পিন্ড অনুভব করতে পারেন, তবে সেটা অবশ্য হয় ফাইব্রয়েড আকারে ও আয়তনে যথেষ্ট বড় হবার পর। এর মাপ নির্ধারণ করা হয় গর্ভাবস্থায় জরায়ু যে সময়ে যতটা স্ফীত হয় সেই ভিত্তিতে। ১৪ সপ্তাহ গর্ভধারণের সময় জরায়ুর যে মাপ তার চেয়ে টিউমারটি বড় হলে তবেই রোগী নিজে তলপেটে ভার অনুভব করতে পারবে। 

পঁচিশ–ত্রিশ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে, ফাইব্রয়েডের একমাত্র উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে বন্ধ্যাত্ব। ফাইব্রয়েড যত বড় হয় ততই তলপেটে ভার অনুভূত হয় এবং এই টিউমার আশপাশের চাপ দিয়ে নানা অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন মূত্রথলিতে চাপ পড়লে বার বার প্রস্রাব পায়। তলপেটে টিপে দেখলে অনিয়মিত, অসমতল আবের মতো টিউমার চিকিৎসক অনুভব করতে পারেন। জরায়ুর আকারও পরিবর্তিত মনে হতে পারে।

জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমার  - চিকিৎসা 

জরায়ুর ফাইব্রয়েড নির্মূলের বেস্ট ট্রিটমেন্ট মূলত হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য অবশ্যই এক্সপার্ট কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী। 
বিস্তারিত

রবিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৯

ফ্যালোপিয়ান টিউব (Fallopian Tubes) ব্লক! নারীদের বন্ধ্যাত্বের ২০%-২৫% ক্ষেত্রেই দায়ী টিউবের সমস্যা

ফ্যালিওপিয়ান টিউব ব্লক (Blocked Fallopian Tubes)! নারীদের বন্ধ্যাত্বের ২০%-৩০% ক্ষেত্রেই দায়ী টিউবের সমস্যা। তাই এই সম্পর্কে জ্ঞান রাখা প্রতিটি মহিলারই উচিত। ফ্যালিওপিয়ান টিউবে কি কারণে ব্লক তৈরি হয় এবং এই সমস্যা দূর করার সহজ ও কার্যকর উপায় হল প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
বিস্তারিত

শনিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৯

জরায়ুর স্থানচ্যুতি বা জরায়ু নেমে আসা (Uterine/Genital Prolapse) কারণ, উপসর্গ ও প্রতিকার

মহিলাদের Pelvic Region এ যে সকল প্রজনন অঙ্গ আছে সেগুলি যদি স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নিচে নেমে আসে তাহলে তাকে Genital Prolapse বলা হয়ে থাকে। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হল জরায়ুর নেমে আসা (Uterine Prolapse) এর কারণ, উপসর্গ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে আজকে। মূলতঃ নারীদের বস্তিদেশ অর্থাৎ Pelvis থেকে প্রজনন তন্ত্রের অংশ যেমন জরায়ু ও যোনি স্বাভাবিক অবস্থান থেকে নিচে নেমে আসাকে Genital Prolapse বলা হয়ে থাকে আর যখন জরায়ু নেমে আসে তখন তাকে Uterine Prolapse বা জরায়ুর স্থানচ্যুতি বলা হয়।

জরায়ুর স্থানচ্যুতি বা জরায়ু নেমে আসা - প্রকারভেদ

  • প্রথম ডিগ্রী : জরায়ুর মুখ বা সার্ভিক্স যোনিতে নেমে আসবে কিন্তু যোনি পথের বাহিরে আসবে না
  • দ্বিতীয় ডিগ্রী : এ অবস্থায় সার্ভিক্স যোনি পথের বাহিরে নেমে আসবে। দেখা যায় দাঁড়ালে বা কাশি দিলে বাইরে চলে আসবে আবার শুয়ে পড়লে ভিতরে ঢুকে যাবে
  • তৃতীয় ডিগ্রী : এ অবস্থায় সম্পূর্ণ জরায়ু যোনিপথের বাহিরে বের হয়ে আসে বিশেষ করে দাঁড়ালে কিন্তু ভেতরে যায় না 

জরায়ুর স্থানচ্যুতি বা জরায়ু নেমে আসা - কারণ

  • জন্মগত 
  • একাধিক সন্তান প্রসব
  • ডেলিভারী দীর্ঘায়িত হলে 
  • প্রসবের পর গর্ভফুল বা Placenta বের করার জন্য টানাটানি করলে
  • সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুর মুখ সম্পূর্ণভাবে খোলার আগেই যদি অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হয়
  • প্রসব-পরবর্তী যত্ন সঠিকভাবে না নিলে এবং ভারী জিনিস ওঠানোর কাজ করলে
  • বারবার D&C করলে
  • যোনিপথ দিয়ে জরায়ু অপারেশন করলে
  • অনেক দিন ধরে কাশি থাকলে 
  • দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে

জরায়ুর স্থানচ্যুতি বা জরায়ু নেমে আসা - লক্ষণ এবং উপসর্গ

  • তলপেটে ও যোনিপথে কোনো কিছু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার মতো অস্বস্তিকর অনুভূতি
  • মাসিকের পথে জরায়ু বের হয়ে যাওয়া
  • কোমরে ও সহবাসের সময় ব্যথা
  • দাঁড়ালে কোমড়ে, পিঠে ব্যথা
  • প্রস্রাব ঘন ঘন হওয়া
  • প্রস্রাবে জ্বালা বা প্রস্রাব আটকে থাকা
  • পায়খানা বা প্রস্রাব করার সময় কষ্ট
  • পায়খানা বা প্রস্রাব করার সময় কি যেন বের হয়ে আসছে এমন অনুভূতি
  • কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পায়খানা সম্পূর্ণ হয়নি বলে অনুভূত হওয়া

জরায়ুর স্থানচ্যুতি বা জরায়ু নেমে আসা - চিকিৎসা

মূলত এই সমস্যার একমাত্র উন্নত এবং কার্যকর চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি। এলোপ্যাথিতে নারীদের জরায়ু নেমে গেলে এটি ঠিক করার কোন কার্যকর চিকিৎসা নেই। সন্তান নিতে আগ্রহী না হলে অথবা বয়স ৫০ বছরের বেশি এবং মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে, এমন রোগীদের জরায়ু কেটে ফেলা হয়। অথচ বয়স কম এবং সন্তান নিতে আগ্রহীদের ক্ষেত্রে জরায়ু আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করাই হলো চিকিৎসা। অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিলে এই সমস্যা সময়ের ব্যবধানে ঠিক হয়ে আসে।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

নারীদের সার্ভিক্সের বা জরায়ুর মুখের ক্ষয় (Cervicitis, Cervical Erosion) কারণ, উপসর্গ ও প্রতিকার

জরায়ুর মুখে যখন প্রদাহ হয় তখন তাকে Cervicitis বা সার্ভিক্সের ইরোশন Cervical Erosion or Ectropion বলা হয়ে থাকে। মূলত সার্ভিক্সের স্কোয়ামাস আবরণী কলা(Squamous epithelial cells ) পরিবর্তিত হয়ে কলামনার আবরণী কলা হয়ে যায় - একেই সার্ভিক্সের ইরোশন বলে। এর কারণ,লক্ষণ এবং চিকিৎসা
বিস্তারিত

বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৯

নারীদের জরায়ুর গাত্রের প্রদাহ (Endometritis or Endometriosis) কারণ, উপসর্গ ও প্রতিকারের উপায়

নারীদের জরায়ুর গায়ের যে আবরণী কলা থাকে, তাকে এন্ড্রোমেট্রিয়াম (Endometrium) বলে। এটি হল জরায়ুর ভেতরের লেয়ার যেখানে প্রদাহ হলে তাকেই এন্ডোমেট্রাইটিস (Endometritis or Endometriosis) বলা হয়ে থাকে। এই সমস্যাটির কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়
বিস্তারিত

সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৯

নারীদের ডিম্বাশয় ও ডিম্বনালীর প্রদাহ (Salpingitis & Oophoritis) কারণ, উপসর্গ ও প্রতিকারের উপায়

নারীদের ডিম্বাশয় ও ডিম্বনালীতে ব্যাকটেরিয়া দিয়ে সংক্রমণ হলে তাকে সালপিনগো উফরাইটিস বলা হয়ে থাকে। শুধু ডিম্বনালীর প্রদাহকে স্যালপিনজাইটিস বলে। নারীদের ডিম্বাশয় ও ডিম্বনালীর প্রদাহ (Salpingitis and Oophoritis) বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই সমস্যাটির কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকারের উপায়
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৯

যৌন বা শারীরিক অক্ষমতা (Sexual Inefficiency) নারী ও পুরুষের সমস্যা

যৌন বা শারীরিক অক্ষমতা (Sexual-Inefficiency) নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। যদিও আমাদের সমাজে পুরুষরাই এই সমস্যাটি বেশি অনুভব করে থাকেন। পুরুষদের মধ্যে এর জন্য
  • লিঙ্গের শিথীলতা বা উত্থানহীনতা (Erectile Dysfunction)
  • দ্রুতস্খলন (Premature Ejaculation)
  • যৌন আকাঙ্খার অভাব (Lack of Sexual Desire)
ইত্যাদি বেশি হতে দেখা যায়। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে 
  • যৌনকামনা নষ্ট হয়ে যায়
  • মিলনের চরম পর্যায়ে উত্তেজনা হারানো
  • যোনির শুষ্কতা এবং ব্যথা হতে দেখা যায়
এর পেছনে রয়েছে কিছু কারণ যা নির্ণয় করে সমস্যাটি দূর করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করাও সম্ভব হয়ে উঠে না সেক্ষেত্রে প্রপার একমাত্র হোমিও চিকিৎসা ছাড়া এর থেকে মুক্তি পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠে।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা এবং যৌন অনীহা বা আকাঙ্ক্ষার বিলুপ্তি ! নারী ও পুরুষের সমস্যা

নারী বা পরুষের মধ্যে অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা (Hypersexuality) এবং যৌন আকাঙ্ক্ষার বিলুপ্তি (Hyposexuality) যেকোন সময় দেখা দিতে পারে। অনেকেই এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের কাছে যেতেও লজ্জ্বা পান। আপনার জানা উচিত - এই সমস্যাগুলি যেকারো হতে পারে। এই সমস্যাগুলির পেছনে রয়েছে বহু কারণ। তবে কারণ যাই থাকুক সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে এই সমস্যাগুলি দূর করা সম্ভব।
বিস্তারিত

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮

নারীদের যোনিপথের রোগ মনিলিয়াসিস (Moniliasis) এর কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার

নারীদের যোনিপথের রোগ মনিলিয়াসিস মূলত Candida albicans নামক জীবাণু দ্বারা হয়ে থাকে বলে একে ক্যানডিডিয়াসিস (Candidiasis) ও বলা হয়ে থাকে। নারীদের গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, বহুমূত্র রোগ ও এন্টিবায়েটিক গ্রহণের ফলে এসব জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয় বিরল ক্ষত্রে দেখা যায় যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগ সংক্রমিত হচ্ছে। মনিলিয়াসিস (Moniliasis) এর কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার
বিস্তারিত

নারীদের যোনিপথের রোগ ট্রাইকোমোনিয়াসিস (Trichomoniasis) এর কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার

আমাদের মা বোনদের যোনিপথের একটি সাধারণ রোগ হলো ট্রাইকোমোনিয়াসিস যা Trichomonas vaginalis নামক পরজীবি দ্বারা সংক্রমিত হয়ে থাকে। সাধারণত বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌন মিলনের মাধ্যমে তাদের স্বামীদের মধ্যেও এই রোগ ছড়াতে পারে। তাই একই সাথে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই চিকিৎসা নেয়া জরুরি। ট্রাইকোমোনিয়াসিস (Trichomoniasis) এর কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার
বিস্তারিত

বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

গনোরিয়া (Gonorrhea) নারী পুরুষের যৌনবাহিত (STD) রোগ ! কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

গনোরিয়া (Gonorrhea) হল নারী পুরুষের একটি যৌনবাহিত (Sexually transmitted disease - STD) রোগ। এই রোগটি নাইসেরিয়া গনোরিয়া (Neisseria gonorrhoeae) নামক এক প্রকার জীবাণু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে। যৌনমিলনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেকজনের দেহে এই রোগের জীবাণু ছড়ায়। এটা যোনিপথ, মুখগহ্বর বা পায়ুপথ যে কোনো পথেই ছড়াতে পারে।
গনোরিয়ায় আক্রান্ত মহিলার সাথে একবার যৌনকর্ম করলে পুরুষলোকের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ২০%, তবে সমকামী পুরুষের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরও অনেক বেশি। আক্রান্ত পুরুষের সাথে একবার যৌনমিলনে একজন মহিলার এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি প্রায় ৬০-৮০%। বাচ্চা জন্মদানের সময় গনোরিয়ায় আক্রান্ত মায়ের শরীর থেকে এই রোগের জীবাণু বাচ্চাকে আক্রান্ত করতে পারে। এটি যখন বাচ্চার চোখকে আক্রান্ত করে তখন তাকে অফথালমিয়া নিওন্যাটোরাম বা নিওন্যাটাল কনজাংটিভাইটিস বলে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জীবাণু দ্বারা দূষিত বস্তুর মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এই বস্তুগুলো হলো গোসল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে প্রভৃতি। তবে এরকম ঘটনা খুবই বিরল।

গনোরিয়া (Gonorrhea) -লক্ষণ ও উপসর্গ

পুরুষের ক্ষেত্রে (প্রাথমিক অবস্থায়)
  • মূত্রনালিতে সংক্রমণ
  • মূত্রনালি হতে পুঁজের মত বের হয়
  • মূত্রনালিতে সংক্রমন হলে প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, জ্বালা-পোড়া করে
  • অনেক সময় লক্ষণগুলো খুব মৃদু কিংবা নাও হতে পারে.
পুরুষের ক্ষেত্রে (বিলম্বিত অবস্থায়)
  • হাটু বা অন্যান্য সন্ধিস্থলে ব্যথা করে, ফুলে ওঠে
  • প্রসাব করতে প্রচন্ড কষ্ট হয় এবং অনেক সময় বন্ধ হয়ে যায়
  • পুরুষত্বহীন হয়ে যেতে পারে
  • সমকামী পুরুদের বেলায় পাযুপথে সংক্রমণ হতে পারে
নারীদের ক্ষেত্রে (প্রাথমিক অবস্থায়)
  • নারীদের ক্ষেত্রে যোনিপথ
  • পুঁজ সদৃশ হলুদ স্রাব বের হয়
  • যোনিপথে এবং মূত্রনালিতে জ্বালা-পোড়া করে
  • অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীদের কোনো লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে
নারীদের ক্ষেত্রে (প্রাথমিক অবস্থায়)
  • তলপেটে ব্যথা হতে পারে
  • ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়
  • বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে
  • গর্ভবতী মহিলাদের গনোরিয়া থাকলে প্রসবের আগেই তার চিকিৎসা করা উচিত। অন্যথায় শিশুর চোখে সংক্রমণ ঘটে শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
  • গনোরিয়া হয়েছে কিনা তা কিভাবে জানা যায়
  • রোগীর ইতিহাস শুনে রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে। তবে ল্যাবরেটরী পরীক্ষা করেই কেবল রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
  • সংক্রমিত এলাকা থেকে রস সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর গনোরিয়ার জীবাণু পাওয়া গেলে গনোরিয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

গনোরিয়া (Gonorrhea) - প্রতিরোধ

প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে কেবল একজন সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখা নিশ্চিতভাবে যার গনোরিয়া নেই। বহুগামিতা পরিত্যাগ ও সঠিক পদ্ধতিতে কনডম ব্যবহারের মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

গনোরিয়া (Gonorrhea) - চিকিৎসা 

এলোপ্যাথিক পদ্ধতিতে মূলত এই রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় যেমন সেফট্রায়াক্সন, এজিথ্রোমাইসিন, ডক্সিসাইক্লিন ইত্যাদি। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় এই রোগ এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় নির্মূল হয় না। তবে গনোরিয়া (Gonorrhea) রোগের উন্নত চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

সিফিলিস (Syphilis) নারী পুরুষের যৌন বাহিত রোগ ! কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

সিফিলিস (Syphilis) - নারী পুরুষের যৌন বাহিত (Sexually transmitted disease - STD) রোগ। সিফিলিস ট্রেপোনেমা পেলিডাম নামক এক প্রকার জীবাণু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত যৌন মিলন এবং সিফিলিসে আক্রান্ত কারো সঙ্গে যৌন মিলনের কারণেই কেউ সিফিলিসে আক্রান্ত হন। তবে সিফিলিস আক্রান্ত কারো রক্ত গ্রহণের মাধ্যমেও এই রোগ হয়। আবার গর্ভাবস্থায় মায়ের সিফিলিস থেকে থাকলে সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
যৌনসংগমের দরুন যৌন অঙ্গের চামড়ায় সামান্য ক্ষত হলে ঐ স্থানে জীবাণু কর্তৃক আক্রান্ত হতে পারে। কারো কারো বংশে থাকলে তার সন্তানের হতে পারে। শরীরের যে কোন স্থানের ক্ষত জায়গা দিয়েও এই জীবাণু ঢুকে রোগ সৃষ্টি করে। চুম্বনের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। যে সকল পতিতার বা মহিলার মধ্যে এ জীবাণু আছে তাদের সাথে মুক্তভাবে সহবাস করলে এ রোগ হয়। সেবিকা, দাই, দন্ত চিকিৎসকের হাতের আঙ্গুলের দ্বারাও এ রোগ হয়ে থাকে। রক্ত আদান প্রদানের মাধ্যমে এ রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত মায়ের গর্ভের শিশুর ও এ রোগ হয়ে থাকে।

বংশগত সিফিলিসের  ক্ষেত্রে শিশু জন্মের সময় আক্রান্ত মায়ের কাছ থেকে অর্জন করে থাকে Transplacental Transmission বলে। এর লক্ষণ ও চিহ্ন হল বংশগত বিকৃতি, ঠোঁটে ক্ষত ঘা, দেহের যে কোনো অংশে রক্ত ক্ষরণ জনিত ক্ষত, চর্মের বিকৃতি, মানসিক বিকৃতি এবং বংশগত ভাবে পেরিকন্ড্রিয়াম, অস্থি ও তরুণাস্থিতে প্রদাহ। বংশগত ফিরঙ্গের জটিলতা হচ্ছে আক্রান্ত মায়ের শিশুর অল্প ওজন হয় এবং জন্মের সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করতে পারে এবং আক্রান্ত মায়ের অকাল প্রসব অথবা গর্ভপাত হতে পারে।

সিফিলিস - লক্ষণ 

এ রোগ সাধারণত তিন অবস্থায় দেখা যায়। প্রাথমিক অবস্থা জীবাণুযুক্ত যোনিতে সহবাসের ফলে লিঙ্গের মাথায় বা উহার গায়ে ছোট ছোট ফুসকুড়ি ওঠে এবং ঘায়ের সৃষ্টি হয়। স্ত্রী লোকের বেলায় এ ঘা Vulva, Labia Minora, Cervix এ আবির্ভূত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় যে ক্ষতটি হয় তা শক্ত থাকে। চুম্বনের মাধ্যমে মুখে ও ঠোঁটে ঘা হয় । ক্ষত ২/৩ দিন নরম থাকে ও পুঁজ নির্গত হয়। ঘা টির তলদেশ শক্ত হয় এবং সাথে কুঁচকিতে বেদনাহীন স্ফীত গোটা (lymph node) তৈরী হয়। কখনো একাধিক ঘা দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় এ ঘা দেখা যায় না। ১০/১৫ দিন পর রোগীর বর্গীর চামড়া পাতলা হয়ে পেকে ওঠে। যেখানে যেখানে দেখা যায়ঃ- সাধারণত জননাঙ্গে দেখা যায়- লিঙ্গ মুন্ড(Gland Panis), যোনিমুখ(Vulva), জরায়ুমুখ(Cervix) ইত্যাদি। জননাঙ্গের বাইরে- ঠোঁট ও তালু, মুখ, স্তন এবং আঙ্গুল।

২য় অবস্থা, প্রাথমিক ক্ষত প্রকাশের ২/৩ বা ৪ মাসের পর ২য় অবস্থা শুরু হয়। দুর্বল রোগীর ক্ষেত্রে অল্প দিনে এবং বলবান রোগীর ক্ষেত্রে দেরীতে প্রকাশ পায়। এ অবস্থায় রোগীদের নানা রকম রোগ হয়। চর্ম শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী, চক্ষু, স্নায়ুমন্ডলী এবং দেহের অন্যান্য অংশে এ রোগের জীবাণু সঞ্চিত হয়। এ সময় রোগীর সামান্য জ্বর, গলায় ব্যথা, নিস্তেজ ভাব, হাত ও পায়ে বেদনা, রক্তসল্পতা, শিরঃপীড়া ও ওজন হ্রাস পায়। চর্মে যে সমস্ত পিড়কা হয় তাতে কোন চুলকানী হয় না। অনেক ক্ষেত্রে তা তামাটে বর্ণের হয়। মাস খানেক পর এ পিড়কা আপনা আপনি মিলে যায়। তখন এই পিড়কা হাত ও পায়ের তালুতে দেখা যায়। মুখের কিনারায়, মলদ্বারের কিনারায় এবং দেহের অন্যান্য ভিজাস্থানে আঁচলি জাতীয় দানা উৎপন্ন হয়। উহার নাম Condylomata lata। এভাবে ১½ বছর হতে ২ বছর কাল চলে। পরে আর তেমন কষ্ট হয় না। মহিলাদের ক্ষেত্রে লজ্জা বশত এ রোগ পুষে রাখলে যোনির মুখ বড় ও বিকৃত পিণ্ডাকৃতি হয়। অভ্যন্তর ভাগ হতে দুর্গন্ধময় ক্লেদ রস নির্গত হয়।

৩য় অবস্থা অত্যন্ত কষ্টকর ও সাংঘাতিক। এ অবস্থা ২য় অবস্থার সঙ্গে চলতে থাকে। কখনো ২য় অবস্থার পর শূরু হয়। এ অবস্থার চর্মে, চর্মের নিম্ন ভাগে, মাংসে, অস্থি, মস্তিষ্ক, মুখ, পাকস্থলী, অন্ত্র, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ইত্যাদি আক্রান্ত হয় এবং সিফিলিস এর গামা দেখা যায়। চামড়ায় আক্রান্ত হলে তা ক্ষত হয়ে ক্লেদ বের হয়। ক্ষত বৃদ্ধি পেতে থাকলে রোগীর মুখের তালুতে আক্রান্ত হয় । নাসারন্ধ্র ও শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। মস্তিষ্কে আক্রান্ত হলে শিরঃপীড়া, স্মৃতিলোপ, আর্ধাঙ্গিক রোগ দেখা যায়। যকৃৎ বড় হয়ে পেটে শোথ হয়। হাড়ে, অস্থি, সন্ধিতে সিফিলিস এর গামা দেখা যায়। অণ্ডকোষে গামা উৎপন্ন করে এবং উহাকে বেদনাহীন ভাবে স্ফীত করে তোলে।
আধুনিক মতে, প্রাথমিক অবস্থা জীবাণু প্রবেশের ৯/১০-৯০ দিনের মধ্যে Chancre উৎপন্ন হয়। Chancre এর বৈশিষ্ট্য হল, অনেক বেশি লাল, ব্যথাহীন, একটি ক্ষত হবে। অনির্ধারিত তল কিনারা বিশিষ্ট জলীয় পদার্থ নির্গত হয়। সাধারণত একাকি ভাল হয় তবে সেখানে গৌণ সংক্রমণহলে ব্যথা উৎপন্ন হয়।

২য় অবস্থা সাধারণত প্রাথমিক Chancre এর ৬-৮ সপ্তাহ পর শুরু হয়। সেক্ষেত্রে সাধারণ রোগ সমূহ যেমন-মাথাব্যথা সঙ্গে সামান্য জ্বর থাকে এবং অসস্তি বোধ হয়। সাধারণত ৪টি মৌলিক চিহ্ন দেখা যায়- Syphilistic Rash, সমস্ত শরীর হাত ও পায়ের তালু। এটা সাধারণত ফুসকুড়ির মত হয়। অনেক সময় ফুসকুড়িতে জল হয়। Condylomata Lata, আর্দ্র জায়গায় ফুসকুড়ি ওঠে। সাধারণত মলদ্বারের পাশে। Generalized Lymphadenopathy, সাধারণত লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাবে। Mucous Patches, মুখ, গলা ও যৌনাঙ্গের শ্লেষ্মা ঝিল্লীতে জেব্রার ন্যায় দাগ হয়।

৩য় অবস্থায় উপনিত হতে মূলত ১০ বছর/ তারো অধিক সময় লাগে। সেক্ষেত্রে নিম্নের লক্ষণ প্রকাশ পায়, চামড়া ও চামড়ার নিচের টিস্যু্‌, শ্লেষ্মা ঝিল্লী, হাড়, এক ধরনের বিকৃতিকর অবস্থা পরিলক্ষিত হয়ে তাকে Gumma বলে। প্রধান অঙ্গসমূহ আক্রান্ত হয় মূলত CNS (নিউরো সিফিলিস), CVS (কার্ডিওভাসকুলার সিফিলিস)।

সিফিলিস - রোগ নির্ণয় 

  • ক্ষতস্থান থেকে রস নিয়ে অনুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয় (Dark-field microscopic examination of the serum collected from lesions).
  • A direct fluorescent antibody   test.
  • PCR(Polymerase chain reaction) পরীক্ষা।
  • VDRL পরীক্ষা (Veneral Diseases Research Laboratory-বহুল ব্যবহৃত পরীক্ষা)
  • Rapid plasma reagin পরীক্ষা।
  • TPHA (T.pallidum haemagglutination assay) পরীক্ষা।
  • TPPA(T. pallidum particle agglutination assay) পরীক্ষা।
  • FTA - ABS(Fluorescent treponemal antibody-absorbed test) পরীক্ষা
  • সুষুম্না রজ্জুর রস পরীক্ষা (CSF Study -যদি quaternary সিফিলিস হয়)

সিফিলিস - চিকিৎসা

এই রোগের ফলপ্রদ চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য এক্সপার্ট কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জুরুরী।
বিস্তারিত