শিশুর নেফ্রোটিক সিনড্রোম অর্থাৎ বাচ্চাদের জটিল এই কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ এবং এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো এই পর্বে। Nephrotic Syndrome সমস্যায় কিডনির ছাঁকনি সাময়িক ভাবে শরীরের আমিষ জাতীয় পদার্থ বা অ্যালবুমিন ধরে রাখতে পারে না এবং প্রস্রাবের সঙ্গে তা বের হয়ে যাওয়ার কারণে রক্তনালিতে অ্যালবুমিনের ঘাটতি দেখা দেয়। নেফ্রোটিক সিনড্রোম সাধারণত দুই থেকে ছয় বছরের শিশুদের হয়ে থাকে।

বিস্তারিত
শিশুদের নেফ্রোটিক সিনড্রোম ইন চিলড্রেন - কষ্টগুলি
- এই সমস্যায় শিশুর শরীর ধীরে ধীরে ফুলে যায়
- ফোলাটা প্রথমে মুখমণ্ডলের দিকে শুরু হয়। এরপর আস্তে আস্তে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে যায়
- প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়
- পেটে ব্যথা অনুভূত হয়
- শিশুর অনেক সময় জ্বর হয়
- কফ, কাশি হয়
- শ্বাসকষ্ট হতে পারে, কারণ নেফ্রোটিক সিনড্রমের ফলে ফুসফুসের পর্দায় পানি জমে যায়
শিশুদের নেফ্রোটিক সিনড্রোম কেন হয়?
শিশুদের নেফ্রোটিক সিনড্রোমে ৯০ শতাংশের কোন কারণ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেনি এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্র। তাই এলোপ্যাথিতে এর চিকিৎসা অনেকটাই জটিল। তবে হোমিওপ্যাথিতে এই সমস্যার একটি কার্যকর ম্যানেজমেন্ট রয়েছে। আর বাকি ১০ ভাগ হলো সেকেন্ডারি নেফ্রোটিক সিনড্রোম। অর্থ্যাৎ কোন না কোন কারণের জন্য এই সমস্যা হয়ে থাকে। যেমনঃ- কোন সংক্রমণ থেকে নেফ্রোটিক সিনড্রোম দেখা দিতে পারে যেমনঃ ম্যালেরিয়া
- সিফিলিসের কারণে হতে পারে
- বাচ্চার যদি লিম্ফোমা, লিউকোমিয়া হয় এসব কারণেও এই সিনড্রোম দেখা দিতে পারে
- বিভিন্ন প্রকার এলোপ্যাথিক ওষুধের কারণে হতে পারে
- উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাওয়ার জন্য নেফ্রোটিক সিনড্রোম হতে পারে
- পোকা, সাপ বা মৌমাছি কামড় দিলেও নেফ্রোটিক সিনড্রোম হতে পারে
আপনারা জেনেছেন, শিশুদের ৯০ শতাংশ নেফ্রোটিক সিনড্রোম কোন কারণ ছাড়াই হয়ে থাকে বলে দাবী করে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্র। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর প্রপার চিকিৎসা দিয়ে আরোগ্য করতে ব্যর্থ হয় এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা। অথচ শৈশবের জীবনদর্শন, শিশুর মাতাপিতা, দাদা-দাদী, নানা-নানীর হিস্ট্রি নিয়ে অনায়াসেই একটি কার্যকর ম্যানেজমেন্ট দিতে পারে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্র।
শিশুদের নেফ্রোটিক সিনড্রোম চিকিৎসা
অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড দিয়ে মূলতঃ শিশুর নেফ্রোটিক সিনড্রোম এর চিকিৎসা দিয়ে থাকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা। এলোপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগের ফলে জটিলতা যদি বেশি দেখা দেয়, তখন স্টেরয়েডের সঙ্গে অন্য ওষুধ ব্যবহার করে থাকে ডাক্তাররা। কারণ স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো বেশি জটিলতার সৃষ্টি করে থাকে। সর্বোপরি এই সমস্যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভাল চিকিৎসা নেই এলোপ্যাথিতে।তবে একেবারেই হতাশ হওয়ার আদৌ কোন কারণ নেই। বর্তমান বিশ্বে শিশুর নেফ্রোটিক সিনড্রোম সমস্যায় কার্যকর চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। তবে এটা ভাববেন না যে, একজন হোমিও ডাক্তারের কাছে গেলেন, রোগের কথা বললেন, ডাক্তার কিছু ঔষধ দিল সেগুলি আপনার শিশুকে খাওয়ালেন আর অমনি সে ভালো হয়ে গেল !! বিষয়টি এমন নয়।
এখানে প্রথমেই আপনাকে দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করতে হবে যিনি শিশুদের এই প্রকারের জটিল সমস্যাগুলি হ্যান্ডেল করতে পারেন। এখানে হোমিওপ্যাথিক নিয়মে একটি প্রপার ইনভেস্টিগেশন জরুরী। শৈশবের জীবনদর্শন, শিশুর মাতাপিতা, দাদা-দাদী, নানা-নানীর হিস্ট্রি পর্যালোচনাপূর্বক চিকিৎসক বুঝতে পারবেন কোন True Diseases প্রি-ডোমিনেন্ট থাকার ফলে শিশুটির মধ্যে নেফ্রোটিক সিনড্রোম এর মতো একটি জটিল সমস্যা জেগে উঠেছে। এখানে মূলতঃ সেই সমস্যাটিকে নির্ণয় করে রিসিসিভ করার জন্য যথাযথ চিকিৎসা দিবেন দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসক। তখনই মূলতঃ শিশুর নেফ্রোটিক সিনড্রোম নির্মূলের দিকে আগাবে এবং একসময় চিরতরে দূর হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ।
যা যা জেনেছেন
- নেফ্রোটিক সিনড্রোম ইন চিলড্রেন
- শিশুদের কিডনি রোগের লক্ষণ
- নেফ্রোটিক সিনড্রোম রোগীর খাবার
- শিশু কিডনি রোগ
- কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
- বাচ্চাদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের লক্ষণ
- কিডনি বড় হয়ে যাওয়া
- কিডনি ছোট হওয়ার কারন
- শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঢাকা