মহাত্মা হ্যানিম্যান বলেন, যাবতীয় রোগ মায়াজমের অশুভ প্রভাবে সৃষ্টি হয়। মায়াজম শব্দের অর্থ উপবিষ, কলুষ, পুতিবাষ্প, ম্যালেরিয়ার বিষ প্রভৃতি। যাবতীয় রোগের কারণই হল এই মায়াজম। তরুণ পীড়া তরুণ মায়াজমের অশুভ প্রভাবে এবং চিররোগ চির মায়াজমের অশুভ প্রভাবে সৃষ্টি হয়। ইহা প্রাকৃতিক রোগ সৃষ্টিকারী দানব।
ডাক্তার হ্যানিম্যান এর মতে মায়াজম হচ্ছে একটি অদৃশ্য রোগবীজ। তৎক্ষালীন সময়ে যদি মাইক্রোবায়োলজির উন্নত অবস্থা থাকতো তাহলে হয়তো হ্যানিম্যান মায়াজম না লিখে মাইক্রোঅর্গানিজম শব্দটি ব্যবহার করতেন। বর্তমান যুগের হোমিওপ্যাথি ফিলোসোফার প্রফেসর জর্জ ভিথুলকাস এর মতে মায়াজমের তিনটি চরিত্র রয়েছে -- দেহে মায়াজম সংঘটিত হতে হলে ইনফেশন থাকতে হবে।
- এর ইফেক্ট এর পরবর্তী ইফেক্ট থাকতে হবে।
- জেনারেশন ট্রান্সফার হওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।
তবে মায়াজমকে যখন বিস্তারিতভাবে দেখবেন, তখন আর রোগ বীজ থাকেনা, তখন মায়াজম হয়ে যায় অবস্থা। মায়াজম যে ব্যক্তিটি অর্জন করে তার শরীরে শুধুমাত্র রোগবীজ হিসেবেই থাকে কিন্তু যখনই পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয় তখন আর মাইক্রোঅনু বা জীবাণু অবস্থায় থাকে না। ধরুন, কোন এক ব্যক্তি সিফিলিস মায়াজম কে অর্জন করলেন দুষিত সহবাসে, এতে তার সিফিলিস বা অন্যান্য
রোগগুলো হলো, আমরা জানি এই ব্যক্তি যদি কুচিকিৎসায় তার সিফিলিস ক্ষত রোগটি চাপা দেয় তাহলে ব্যক্তিটির মধ্যে এর মায়াজমিক অবস্থা তৈরি হয়। এবং সেই মায়াজম আবার তার পরবর্তী প্রজন্মে যাবেই।
সোরিক, সিফিলিটিক, সাইকোটিক এবং টিউবারকুলার মায়াজমের প্রধান কিছু বৈশিষ্ট্যকিন্তু এই ব্যক্তির সন্তানদের সিফিলিস হবে? অথবা ওই ব্যক্তির সন্তানের সন্তানদের বা নাতি নাতনিদের অথবা তারও পরের প্রজন্মের কি ওই সিফিলিস রোগই হবে? উত্তর - না, সিফিলিস অর্জনকারী ব্যক্তির পরের প্রজন্মের কারোরই সিফিলিস রোগ হবে না। তাদের সিফিলিস রোগ না হয়ে, সিফিলিস রোগের ওই রোগ বীজ পরবর্তী প্রজন্মের শারীরিক, গাঠনিক, মানুষিক ও রোগজ পরিবর্তন করবে। হ্যা বংশগত প্রাপ্ত হওয়ার পাশাপাশি কোনো ব্যক্তি যদি নিজ জীবনেও পূণরায় একই মায়াজম অর্জন করে দূষিত সহবাসের মাধ্যমে তাহলে তার সিফিলিস ক্ষত বা গনোরিয়া জাতীয় রোগ হতেই পারে।
এই যে সিফিলিস রোগের পরিবর্তিত অবস্থা মানুষকে শারীরিক, গাঠনিক, মানুষিক ও রোগজ ভাবে পরিবর্তন করছে এর জন্যই মায়াজমকে রোগ বীজ না বলে অবস্থা বলা হয়। অর্থাৎ ব্যক্তির এখন সিফিলিস না দেখে, শারীরিক, মানসিক, গাঠনিক ও রোগজ অবস্থা দেখে মায়াজম চিনতে হয়, তাই আমরা সহজভাবে বলতে পারি ব্যক্তির শারীরিক, গাঠনিক ও মানসিক অবস্থাকে মায়াজম বলে।
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤