পুরুষের স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পুরুষের স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯

টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষের ক্যান্সার Testicular Cancer ! পুরুষদের একটি ভয়াবহ রোগ

টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষের ক্যান্সার Testicular Cancer মূলত পুরুষদের একটি ভয়াবহ রোগ।  এর আগের একটি আর্টিকেলে অন্ডকোষের টিউমার সম্পর্কে আলোকপাত করেছিলাম। শুধু পুরুষকে আক্রান্ত করে এমন এক ক্যান্সার হলো টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষের ক্যান্সার। পৃথিবীতে প্রতি ২৬৩ জন পুরুষের মাঝে একজন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। লক্ষণগুলো সহজে ধরা যায় না বলে এই রোগ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আসুন  টেস্টিকুলার ক্যান্সারের লক্ষণগুলি -

অণ্ডকোষে ব্যথাহীন একটি পিণ্ড : এই ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো টেস্টিকল বা অণ্ডকোষে ব্যথাহীন একটি লাম্প বা পিণ্ড। এতে কোনো ধরণের ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা যায় না, ফলে তা খেয়াল করেন না অনেকে। অণ্ডকোষে কোনো পিণ্ড তৈরি হয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
অণ্ডকোষ বা অণ্ডথলি ভারী অনুভূত হওয়া : কোনো পিণ্ড না থাকলেও অনেক পুরুষের কাছে অণ্ডথলি বা স্ক্রোটাম ভারী অনুভূত হতে পারে, চাপা ব্যথাও হতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারকে জানান এ লক্ষণটি।

সময়ের আগেই বয়ঃসন্ধি : টেস্টিকুলার ক্যান্সার শুধু বয়স্কদেরই নয়, বরং টিনেজার বা বয়ঃসন্ধিকালের কিশোরদেরও হতে পারে। অন্য কিশোরদের তুলনায় আগে বয়ঃসন্ধির লক্ষণ যেমন স্বরভঙ্গ এবং গোঁফ-দাড়ি গজানোটা টেস্টিকুলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

স্তনে ব্যথা : অনেকেই ভাবতে পারেন বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে শুধু নারীদের স্তনে ব্যথা হয়। কিন্তু টেস্টিকুলার ক্যান্সারের কারণে পুরুষের স্তনে ব্যথা এমনকি তরল নিঃসরণ হতে পারে। কিন্তু কেন? অণ্ডকোষে টিউমার হলে সেখানে এক ধরণের প্রোটিন তৈরি হয় যা স্তনে এসব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এ ঘটনায় বিব্রত না হয়ে অতিসত্বর তা ডাক্তারকে জানানো উচিত।
অণ্ডকোষের আকার পরিবর্তন : একটি অণ্ডকোষের তুলনায় অন্যটি ছোট বা বড় হওয়া, ফুলে যাওয়া বা একদিকে ঝুলে যাওয়া টেস্টিকুলার ক্যান্সারের উপসর্গ।

অণ্ডথলিতে পানি আসা : অণ্ডথলি বা স্ক্রোটামে পানি আসা স্বাভাবিক, কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে এই অবস্থা বজায় থাকাটা নিঃসন্দেহে অস্বাভাবিক। টিউমার থাকলে এমনটা হতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে  অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।

পিঠে ব্যথা ও কাশি :  ক্যান্সার যখন মেটাস্টেসিস প্রক্রিয়ায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়ায় তখন এর একটি লক্ষণ হতে পারে পিঠে ব্যথা, কাশি এমনকি ঘাড়ে ফুলে থাকা পিণ্ড। শরীরের যে কোনো স্থানে পিণ্ড দেখা দিলেই তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরী। কারণ এর অর্থ হতে পারে আপনার টেস্টিকুলার ক্যান্সার আছে এবং তা ছড়িয়ে পড়েছে।

তলপেটে ব্যথা: টেস্টিকুলার ক্যান্সার বেড়ে যাবার আরেকটি উপসর্গ হতে পারে তলপেতে ব্যথা। ফুলে যাওয়া লিম্ফ নোড এবং লিভারে এই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে।

এসব লক্ষণের যে কোনো একটি বা কয়েকটি শনাক্ত করতে পারলে অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারকে জানান দ্রুত। যত দ্রুত চিকিত্‍সা শুরু করতে পারেন, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ততই বেশি। পুরুষের টেস্টিস বা অন্ডকোষ সংক্রান্ত যত সমস্যাগুলি হয়ে থাকে মূলত সেগুলির তেমন কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। সেগুলির অধিকাংশগুলিই সার্জারি করে ঠিক করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে যদিও এই স্থানে সার্জারি ততটা নিরাপদ নয়। তবে টেস্টিস বা অন্ডকোষ সংক্রান্ত রোগের উন্নত চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। এর জন্য অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
বিস্তারিত

বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst পুরুষদের অন্ডকোষের রোগ ! উপসর্গ ও জটিলতা

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst পুরুষদের অন্ডকোষের রোগ। পুরুষদের প্রতিটি টেস্টিসের বা অণ্ডকোষের উপরের অংশ যেখানে শুক্রাণু সংরক্ষিত হয় তাকে এপিডিডাইমিস বলে। এর মাধ্যমে শুক্রাণু টেস্টিকল থেকে স্পার্মাটিক নালীতে যেয়ে থাকে। এতে কোন ধরনের অস্বাভাবিক থলি বা সিস্ট ডেভেলপ করলেই তাকে এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst বলা হয়।
জেনে নিনঃ  অন্ডথলিতে টিউমারের মতো ছোট ছোট গুটি - সেবাসিয়াস সিস্ট 

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst উপসর্গ

ছোট আকারের কারণে প্রথমে এপিডিডাইমাল সিস্টের লক্ষণগুলি অনেকের ক্ষেত্রেই বুঝা যায় না। তার বৃদ্ধির সময় ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে, এক সময় প্রসারিত সিস্টটি স্নায়ু এবং রক্তনালীগুলি সংকুচিত করতে শুরু করে। আরো যে যে লক্ষণগুলি দেখা যায়-
  • অণ্ডকোষে বা এপিডিডাইমিসে ব্যথা হয়
  • অণ্ডকোষ বা কুঁচকি ফোলে যেতে পারে
  • স্থানটি গরম হয়ে থাকতে পারে
  • মলত্যাগ করার সময় ব্যথা অনুভব করুন
  • বীর্যপাতের সময় বা যৌন মিলনের সময় ব্যথা
  • কারো কারো ক্ষেত্রে জ্বালাপোড়া হতে পারে
  • বেশি বড় হয়ে গেলে হাঁটতে অসুবিধা
  • জ্বর এবং আরও প্রদাহ হতে পারে

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst জটিলতা

কারো কারো ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে তীব্র ইনফ্লামেশন তৈরি করে তাদের শুক্রাণু এবং টেস্টোস্টেরোন হরমোন উৎপাদনে বাধাগ্রস্থ হয়ে থাকে। বেশি বড় হয়ে গেলে অবস্ট্রাক্টিভ এজোস্পার্মিয়া বা পুরুদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরী হয়ে থাকে। তাই ঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে বহু ক্ষেত্রেই জটিল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst চিকিৎসা

এলোপ্যাথিতে এই সমস্যা নির্মূলের কোন চিকিৎসা নেই। তাই এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ এটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরেকটি শাখা সার্জারিতে ট্র্যান্সফার করে থাকে। কিন্তু সার্জারি করে এটি দূর করা হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যাটি আবার হতে দেখা যায়। তবে এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst নির্মূলের একটি কার্যকর চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। প্রথম পর্যায়ে এই সমস্যার ভালো একটি হোমিও চিকিৎসা নিলে অতি দ্রুত এই রোগ নির্মূল হয়ে যায়। কিন্তু বহু দিন যাবৎ ভুগতে থাকার পর অর্থাৎ ক্রনিক অবস্থায় এই রোগের হোমিও চিকিৎসা নিলে এই ভালো হতে বেশ সময় নিয়ে নেয়। তাই শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। 
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে টিউমার Spermatic Cord Cyst or Tumor চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি

পুরুষদের স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে অনেকের ক্ষেত্রে সিস্ট এবং টিউমার হতে দেখা যায়। ঠিক কি কারণে Spermatic Cord Tumor হয় এর সঠিক কারণ অনেক ক্ষেত্রেই জানা যায় না। তবে অনেকের ক্ষেত্রে আঘাতের ফলেও এই টিউমার তৈরী হতে পারে। যখন এই সমস্যা হয় তখন অনেক পুরুষই বিষয়টি আমলে নেন না। এক সময় এটি তাদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও তৈরী করতে পারে। এখানে যে টিউমারগুলি হয়ে থাকে তাদের অধিকাংশই বিনাইন প্রকৃতির। যেমন লাইপোমা। তবে দেখা গেছে প্রায় ২৫% ক্ষেত্রে মালিগন্যান্ট প্রকৃতির কিছু টিউমার হয়ে থাকে। যেমন -
  • Liposarcoma
  • Leiomyosarcoma
  • Rhabdomyosarcoma
  • Malignant fibrous histiocytoma
  • Fibrosarcoma
স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে টিউমার হলে কি কি লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে আসুন জেনে নেই -
  • স্পার্মাটিক কর্ডে ফোলা অনুভূত হবে 
  • কারো ক্ষেত্রে শক্ত এবং কারো ক্ষেত্রে কিছুটা নরম অনুভত হতে পারে 
  • কারো ক্ষেত্রে ব্যথা অনুভত হতে পারে আবার কারো ক্ষেত্রে ব্যথা থাকে না
  • কারো ক্ষেত্রে শিরার পাশাপাশি অন্ডোকোষেও ব্যথা হতে পারে 
  • ইনফ্লামেশন বেশি থাকলে  অন্ডোকোষ ফোলে যেতে পারে 
স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে টিউমার হলে অবস্ট্রাক্টিভ এজোস্পারমিয়া বা একপ্রকার পুরুষ বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না নিলে এটি বেশ জটিল আকার ধারণ করে। এই সমস্যা নির্মূলের মূলত কোন ভালো এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে টিউমার Spermatic Cord Tumor নির্মূলের উন্নত চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী। 
বিস্তারিত

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

টেস্টিস বা অন্ডকোষের টিউমার ! স্থায়ী মুক্তি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

পুরুষদের টেস্টিস বা অন্ডকোষে যখন টিউমার হয় তখন তাকে Testicular Tumor বলা হয়ে থাকে। টেস্টিস বা অন্ডকোষের টিউমার হয় এর প্রকৃত কারণ অজানা। অন্ডকোষের বা টেস্টিকুলার টিউমার মূলত ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রেই বেশি হতে দেখা যায়।
অন্ডথলিতে টিউমারের মতো ছোট ছোট গুটি - সেবাসিয়াস সিস্ট!!
এখানে বিভিন্ন প্রকারের টিউমার হতে দেখা যায়। Germ cell tumors (95%) যেগুলির মধ্যে রয়েছে Seminoma tumor (40%) এবং Nonseminoma tumors 60% এর মধ্যে রয়েছে Embryonal carcinoma, Teratoma, Testicular choriocarcinoma, Yolk sac tumor, Mixed germ cell tumors তারপর আরেক প্রকারের মধ্যে রয়েছে Non germ cell tumors (5%) এখানে রয়েছে Leydig cell tumors, Sertoli cell tumors এবং Secondary testicular tumors যেমন Lymphoma. যখন অন্ডকোষে টিউমার হয় তখন মূলত টেস্টিস হঠাৎ করে ফুলে যায়, অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়। কারো ক্ষেত্রে ব্যথা থাকে কারো ক্ষেত্রে থাকে না।
টেস্টিস বা অন্ডকোষের টিউমার - লক্ষণসমূহ
  • টেস্টিসের অস্বাভাবিকভাবে বড় হওয়া
  • টেস্টিস হঠ্যাৎ ফুলে যাওয়া
  • বেশিরভাগ সময় ব্যথা থাকে না
  • কখনও কখনও প্রচন্ড ব্যথা নিয়েও আসতে পারে
  • ছোট বাদাম আকার থেকে কোকোনাট সাইজ পর্যন্ত হতে পারে
  • দূরবর্তী স্থানে ছড়াইয়া পরতে পারে যেমনঃ পেটে, গলায়, ফুসফুসে ইত্যাদি স্থান
  • স্তন ফুলে যেতে পারে
টেস্টিস বা অন্ডকোষের টিউমার - চিকিৎসা 
এই সমস্যার তেমন কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা না থাকলেও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অন্ডকোষের টিউমার দূর হয়ে যায়।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

যুবকদের যৌন সমস্যা নির্মূলের অব্যর্থ চিকিৎসা রয়েছে 100% Natural

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশেন বা সহবাসে স্থায়িত্বের অভাব, ইরেকশন ফেইলিউর বা পুরুষাঙ্গের উত্থানে দুর্বলতা, পেনিট্রেশন ফেইলিউর বা যৌনাঙ্গ ছেদনে অক্ষমতা। উত্থান জনিত সমস্যা, ইরেকশন সমস্যা সমাধান, পুরুষত্বহীনতা দূর করার উপায়, ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা, শীঘ্রপতন বন্ধ করার ঔষধ, ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর সমাধান হলো যথাযথ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করা। তবে এর জন্য এমন একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া দরকার যিনি ক্লাসিক্যাল, ক্লিনিক্যাল এবং কমপ্লেক্স হোমিওপ্যাথিতে পারদর্শী।

পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা আজকাল আমাদের সমাজে প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন সমস্যা।অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। এতে বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার। এই সমস্যা দূর করতে গিয়ে ৮০% তরুণরাই ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন এবং অকালে হারাচ্ছেন জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ। আপনার মনে রাখা জরুরী। পুরুষ ও মহিলাদের যৌন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিরাময়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং অব্যর্থ চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি।
বিস্তারিত

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পুরুষদের অন্ডকোষের জটিল রোগসমূহ | অন্ডকোষের রোগব্যাধি VS পুরুষ বন্ধ্যাত্ব

পুরুষদের কিছু জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে যেগুলির সময় মত চিকিৎসা না নিলে জীবনভর ভুগতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো অধিকতর জটিলতা তৈরী করে থাকে। তাই প্রত্যেক পুরুষকেই বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে রাখা দরকর। Low Testosterone, Low Sexual Desire, Low Sperm Count, Azoospermia, Orchitis, Varicocele, Spermatocele, Hydrocele, Epididymitis, Testicular Atrophy, Testicular Microlithiasis 
এই সকল সমস্যার ভাল এলোপ্যাথিক চিকিৎসা না থাকলেও উন্নত হোমিও চিকিৎসা রয়েছে। তবে এর জন অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯

স্বপ্নদোষ Nocturnal Emission! কখন স্বাস্থ্য সম্মত কখন রোগ এবং চিকিৎসা কি?

ছেলেরা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছালে তাদের বীর্যথলিতে বীর্য এবং অন্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি হয়। সময়ের সাথে সাথে বীর্য ক্রমাগত বীর্যথলিতে জমা হতে থাকে। বীর্যথলির ধারণক্ষমতা পূর্ণ হওয়ার পর নিদ্রারত অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপথে বীর্যপাত ঘটে দেহে বীর্যের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়, একেই স্বপ্নদোষ বলা হয়। স্বপ্নদোষের সময় অনেকে স্বপ্নে অবচেতনভাবে যৌন কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি অবলোকন করেন, তবে উক্ত অনুভূতি ছাড়াও স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষে বীর্যপাতের পরিমাণ কম বা বেশী হতে পারে।

স্বপ্নদোষ নারীদের ক্ষেত্রেও হতে পার, তবে তাঁর মাত্রা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া মেয়েদের স্বপ্নদোষের ফলে সাধারণত বীর্য নির্গত হয় না, ফলে তা স্বপ্নদোষ কিনা সেটি সহজে চিহ্নিত বা নির্ণয় করা যায় না।

স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এটি কোন শারীরিক সমস্যা নয়। এটি প্রজননক্ষম জীব হিসেবে মানব প্রজাতির স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার একটি অংশ। বয়ঃসন্ধিকালে দেহের যৌন বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ধনের ফলাফলস্বরূপ এটি ঘটে থাকে। স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটনের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে স্থান ও বয়সভেদে ব্যাপক বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। কিছু পুরুষ দাবি করেন যে তারা যে সময়কালটিতে সঙ্গম অথবা স্বমেহন কোনভাবেই যৌনকর্মে সক্রিয় হন না, কেবল তখনই এটি ঘটে থাকে।
কিছু পুরুষ তাঁদের টিন এজার বয়সে বা উঠতি কৈশোরে বহুসংখ্যকবার স্বপ্নদোষের সম্মুখীন হয়েছেন, আর বাকি পুরুষদের জীবনে একবারও এটি ঘটেনি। বয়ঃসন্ধিকালে যারা নতুনভাবে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন তারা অনেকেই প্রথমদিকে একে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না এবং আতঙ্ক ও হীনম্মন্যতা বোধ করেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নদোষের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এছাড়াও স্বপ্নদোষ হতে নানা কারণে পারে, যেমন-
  • বয়ঃসন্ধিকালে যৌন হরমোনের আধিক্যের জন্য
  • স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যৌন বিষয়ক চিন্তা করা
  • পর্ণগ্রাফি বা নীল ছবিতে আসক্ত হওয়া
  • যৌন উদ্দীপক বই পড়া
  • শয়নকালের পূর্বে যৌন বিষয়ক চিন্তা করা বা দেখা

স্বপ্নদোষ - স্বাভাবিক মাত্রা

স্বাভাবিক ভাবে সপ্তাতে ১/২ বা মাসে ৫/৬ বার হতে পারে। এছাড়া রাতের বেলা গুরুপাক খাদ্য খেয়ে ঘুমালে পেটের গোলযোগের কারণেও কখনো কখনো হতে পারে।

স্বপ্নদোষ - চিকিৎসা 

স্বপ্নদোষ যদি সপ্তাহে ২ বারের বেশি বা মাসে ৫/৬ বারের বেশি হতে থাকে এবং সেটা ক্রমাগত হতে থাকে তাহলে এটাকে রোগের পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়।  এ অবস্থায় এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন কারণ এর চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি। 
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯

টেস্টিকুলার এট্রোপি (Testicular Atrophy) পুরুষের অন্ডকোষ ছোট বা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ এবং প্রতিকার

টেস্টিকুলার এট্রোপি (Testicular Atrophy) বলতে বুঝায় কোন কারণে পুরুষের অন্ডকোষ ছোট হয়ে যাওয়া বা শুকিয়ে যাওয়া। এর পেছনে রয়েছে নানা কারণ। তবে এর উন্নত চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। এর জন্য এক্সপার্ট কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। বিস্তারিত ভিডিওতে....
বিস্তারিত

সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৯

পুরুষের বন্ধ্যাত্ব(Male Sterility) সমস্যার পেছনে যে জটিল কারণগুলি দায়ী ! মুক্তির উপায় কি?

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব (Male Sterility or Infertility) আমাদের সমাজে বলতে গেলে ততটা আলোচিত এবং পরিচিত বিষয় নয়। বন্ধ্যাত্বের কারণগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রী, ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী এবং ১০-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ত্রুটির জন্য গর্ভধারণ হয় না। বাকি ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে অনুর্বরতার কোনো সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। যদিও আমাদের দেশে এখনো গর্ভধারণ না করার জন্য প্রথমেই মেয়েদের দায়ি করা হয়।

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব (Male Sterility) হওয়ার জন্য দায়ী কারণ গুলির মধ্যে রয়েছে - জন্মগত সমস্যা, টেসটোস্টেরন হরমোনের অভাব, আযস্পেরমেনিয়া আযুস্পেরমিয়া Azoospermia বা শুক্রাণু তৈরি না হওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত শুক্রাণু, প্রজননতন্ত্রের নালী বন্ধ হয়ে যাওয়া, ত্রুটিপূর্ণ নালী, অণ্ডকোষ থলির সমস্যা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, প্রোস্টেট গ্রন্থির প্রদাহ, যৌন-বাহিত রোগসমূহ, শুক্রাশয়ের প্রদাহ, এপিডিডাইমিসের প্রদাহ, প্রায় সব ধরনের কেমোথেরাপি,মাম্পস, আঘাতজনিত অণ্ডকোষের ক্ষতি, অণ্ডকোষের ক্যান্সার, হরমোন জনিত সমস্যা ইত্যাদি।

এছাড়াও পরিবেশ দুষণ, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অতিরিক্ত গরমে কাজ করা, স্মাম্পস, টাইফয়েড, আর্থাইটিস, হাইড্রোসিল ইত্যাদি অসুখে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে গিয়ে দেখা দেয় বন্ধ্যাত্ব। সেই সঙ্গে অতিরিক্তি ধুমপানও বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে। বিস্তারিত ভিডিওতে...
পুরুষের বন্ধ্যাত্ব(Male Sterility) সমস্যার পেছনে যে জটিল কারণগুলি দায়ী সেগুলি উন্নত হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে মূল কারণটি খুঁজে পাওয়া যায় না তবে সেক্ষেত্রেও ভয়ের কোন কারন নেই। হোমিওপ্যাথিতে রোগীর সার্বদৈহিক অবস্থার আলোকে ঔষধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে বলে রোগের পেছনের কারণটি কি সেটা জানা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। পুরুষের বন্ধ্যাত্ব (Male Sterility) চিকিৎসার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন এক্সপার্ট হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৯

পুরুষ বন্ধ্যাত্ব!! শুক্রবাহী নালিতে ব্লক বা প্রতিবন্ধকতা (Obstructive Azoospermia)

পুরুষদের ভাসডিফারেন্স বা শুক্রানুবাহী নালিতে ব্লক বা প্রতিবন্ধকতা (Obstructive Azoospermia এজোস্পার্মিয়া) হলে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব তৈরী হতে পারে। এখানে যে ঘটনাগুলি ঘটে সেগুলি হলো -
  • Ejaculatory duct obstruction (EDO)
  • Obstruction of the Vas difference or Epididymis
  • Obstruction of the Epididymis
এর পেছনে যে কারণ গুলি রয়েছে - জন্মগত কারণ,কোন ধরণের আঘাত, জীবাণু সংক্রমণ, হাইড্রোসিলের সার্জারি, স্পার্মাটোসিলের সার্জারি ইত্যাদি। তবে এর রয়েছে সার্জারি-বিহীন স্থায়ী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। এর জন্য এক্সপার্ট কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন।

পুরুষদের বীর্যে যদি শূক্রাণু একেবারে না থাকে, তবে তাকে এজোসপারমিয়া বলা হয়। বীর্যে সম্বন্ধে একটু জানা দরকার। বীর্যটা হলো প্রজনন গ্রন্থির সিক্রেশান এর চারটি পদার্থের মিশ্রণ ছবি হবে।
  • অন্ডকোষে থেকে স্পার্ম 
  • ভাস গ্রন্থি থেকে তৈরি জলীয় পদার্থ 
  • প্রোস্টেট থেকে জলীয় পদার্থ এবং 
  • পিচ্ছিল পদার্থ।
শুক্রবাহী নালিতে ব্লক বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে যদি অন্ডকোষ থেকে স্পার্ম তৈরি না হয় অথবা কম পরিমাণ তৈরি হয় সে ক্ষেত্রে ঐ এজোসপারমিয়া Azoospermia অথবা ওলিগোসপারমিক Oligospermia বলা হয়ে থাকে। ওলিগোসপারমিক হলো স্পার্ম কম পরিমাণ থাকা। এই সমস্ত ক্ষেত্রে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা থাকে না অথবা কমে যায়। সাধারণত একজন সুস্বাস্থ্য ও সবল পুরুষের প্রতি সিসিতে ১২০ থেকে ১৫০ মিলিয়ন শূককীট থাকে, যদি এর পরিমাণ ৪০ মিলিয়নের নিচে থাকে তাকে ওলিগোসপারমিয়া বলা হয়। তবে এখানে একটু জানা ভাল যে, সময় মত ওলিগোসপারমিয়া পুরুষদের চিকিৎসা না করলে ধীরে ধীরে এজোসপারমিয়া পুরুষ হিসেবে পরিগণিত হবে যাহা হবে অত্যন্ত দুরভাগ্যজনক।
পুরুষদের বন্ধ্যত্ব শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রোগীর পরিপূর্ণ তথ্য ও ইতিহাস জানা। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন করা হয়। এই সমস্যার সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি কিন্তু এর জন্য এক্সপার্ট কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী।
বিস্তারিত

সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ভেরিকোসিল এর হোমিও ঔষধ ! R 42, PK-40, Rax 66, Varicocele Drops কতটা কার্যকর ??

Varicocele Drops, R 42, PK-40, Rax 66 এই ঔষধগুলি মূলত Varicose vein অর্থাৎ শিরাস্ফীতির ক্লিনিক্যাল আইটেম যেগুলি মূলত বেশ কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কম্বিনেশন যা ভেরিকোসিল বা শিরাস্ফীতির সমস্যা আদৌ নির্মূল করে না। এই সকল ঔষধ শুধু মাত্র বাণিজ্যিক উদেশ্যে তৈরী করা হয়ে থাকে যেগুলি আদৌ রোগ নির্মূল করে না, সামান্য একটু আরাম দেয় মাত্র। 
এই সব হোমিওপ্যাথিক কম্বিনেশন ঔষধ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন কারণ এই গুলি ভেরিকোসিল বা শিরাস্ফীতির সমস্যা আদৌ নির্মূল করে না। 
হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রে রোগীর কেইস টেকিং এর উপর ভিত্তি করে ঔষধ এবং ঔষধের নির্দিষ্ট শক্তি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে এবং রোগীর রোগের পর্যায় এবং তীব্রতাভেদে সময়ে সময়ে ঔষধের শক্তি বা পোটেন্সি পরিবর্তন করা হয়ে থাকে এবং রোগী ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে আগায় এবং একসময় সুস্থতা লাভ করে থাকেন। কিন্তু ক্লিনিক্যাল আইটেমে বহু ক্ষেত্রেই রোগীর নির্দিষ্ট ঔষধগুলি থাকে না বিধায় সেগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগ আরোগ্যে ব্যর্থ হয় বা কিছুটা উপশম দেয় মাত্র।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯

স্পার্মাটোসিল (Spermatocele) স্পার্মাটিক সিস্ট ! পুরুষদের একটি বিরল রোগ

পুরুষদের প্রতিটি টেস্টিসের বা অণ্ডকোষের উপরের অংশ যেখানে বীর্য সংরক্ষিত হয় তাকে এপিডিডাইমিস বলে। এর মাধ্যমে শুক্রাণু টেস্টিকল থেকে স্পার্মাটিক নালীতে যেয়ে থাকে। এতে কোন ধরনের অস্বাভাবিক থলি বা সিস্ট ডেভেলপ করলেই তাকে স্পার্মাটোসিল (Spermatocele) বা স্পার্মাটিক সিস্ট (Spermatic or Epididymal Cyst) বলা হয়।

স্পারমাটোসিল মূলত কি ?

  • দুধের মতো বা পরিষ্কার তরল থাকতে পারে
  • সাধারণত মৃত শুক্রাণু থাকতে দেখা যায়
  • আবার জীবন্ত শুক্রাণুও থাকতে পারে

কারণ ও লক্ষণ

স্পার্মাটোসিল(Spermatocele) এর সঠিক কারণ অজানা। তবে কোন কারণে যদি ইফারেন্ট নালীতে ব্লকেজ দেখা যায় তবে এই রোগ হতে পারে।এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা যে লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
  • টেস্টিস বা শুক্রাশয়ে ব্যথা হতে পারে 
  • অণ্ডথলিতে চাকা/পিণ্ড অনুভূত হতে পারে 
  • অণ্ডথলি ফুলে যেতে পারে 
  • কারো কারো ক্ষেত্রে প্রস্রাব আটকে যাওয়া 
  • কুঁচকিতে ব্যথা হতে পারে 
  • ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হওয়া
  • পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে 
  • কনুইয়ের দুর্বলতা দেখা দিতে পারে 
  • পায়ে শক্ত পিণ্ড দেখা দিতে পারে 

স্পার্মাটোসিল (Spermatocele) এর চিকিৎসা 

সাধারণত যখন এটি ছোট থাকে এবং একই অবস্থানে থাকে তখন এর কারণে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতায় কোন সমস্যা হয় না এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে এর কারনে ব্যথা হলে অথবা পুরুষাঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে বা পুরুষত্বহীনতার লক্ষণ দেখা দিতে থাকলে এই রোগের চিকিৎসা নিতে হয়। যদি স্পার্মাটোসিলের আকারে কোন পরিবর্তন না আসে অর্থাৎ একটি আকৃতিতে থাকে এবং অন্য কোন সমস্যার সৃষ্টি না করে তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু স্পার্মাটোসিল আকারে বেশি বড় হয়ে গেলে বা অসুবিধার সৃষ্টি করলে অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে চিকিৎসা নিন। এই রোগের আরেকটি চিকিৎসা হলো সার্জারি, যাকে স্পার্মাটোসেলেক্টোমি (Spermatocelectomy) বলা হয়ে থাকে। এর জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ কোন সার্জনের পরামর্শ নেয়া জরুরী। 
বিস্তারিত

শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৯

টেস্টোস্টেরন (Testosterone) স্বল্পতা ! বয়স ৩০ এর পর যারা যৌন দুর্বলতায় ভুগছেন।

টেস্টোস্টেরন একটি স্টেরয়েড হরমোন যা কোলেস্টেরল থেকে আসে। টেস্টোস্টেরনকে অ্যান্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোন বলা হয়। এই হরমোন কমে গেলে পুরুষদের যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায় এবং লিঙ্গোত্থানের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরী হয়।
এই হরমোন প্রধানত পুরুষদের শুক্রাশয় দ্বারা নিঃসৃত হয়ে থাকে, কিন্তু খুব অল্প পরিমাণ টেস্টোস্টেরন নারীদের অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স ও ডিম্বাশয় দ্বারাও নিঃসৃত হয়। বয়ঃসন্ধিকালে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়, কৈশোরের শেষের দিক থেকে ২০ বছর বয়সের প্রারম্ভে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বাধিক হয় এবং তারপর এ মাত্রা কমতে থাকে। ৩০ বছর বয়সের পর, একজন পুরুষের টেস্টোস্টেরন মাত্রা ধীরে ধীরে কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক এবং এ হ্রাস পাওয়া প্রতিবছর অব্যাহত থাকে।

আমাদের ডিজিটাল যুগে নানা প্রকার অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের কারণে আজকাল পুরুষরা বয়স ৩০ পার হলেই টেস্টোস্টেরন হরমোন স্বল্পতায় ভুগেন। যা তাদের দাম্পত্য জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। যখনই তারা এর স্বল্পতায় ভুগতে থাকেন তখন অনেকেই তাদের যৌনশক্তি কমে গেছে মনে করে নানাবিদ উত্তেজক ঔষধ গ্রহণ করতে থাকেন, যেগুলি তাৎক্ষণিক কিছুটা উত্তেজনা ছাড়া আদৌ ভালো কোন ফলাফল বয়ে আনে না।
বাজারে ন্যাচারাল, হারবাল, প্রাকৃতিক নাম দিয়ে যেসব যৌন উত্তেজক ঔষধ পাওয়া যায় সেগুলির অধিকাংশই ক্ষতিকর এবং এইগুলি ক্রমাগত গ্রহণের ফলে অনেকেরই ভাইটাল অর্গানগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। এর ফলে এক সময় অনেকেই ভয়ানক পেটের পীড়া, লিভার এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। কিছু নিয়ম কানুন পালন করেও আপনি টেস্টোস্টেরন হরমোনের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেন। যেমন
  • খাবার : দুধ. ডিম, মধু, মেথি, রসুন নিয়মিত খেতে পারেন 
  • ব্যায়াম : সকাল সন্ধ্যা ব্যায়ামের অভ্যেস করুন 
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং গভীর ঘুম
  • মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলুন
  • মাঝে মাঝে ভিটামিন ও খনিজ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন
তাছাড়া লক্ষণ সাদৃশ্যে কিছু দিন হোমিও চিকিৎসা নিলে এই সমস্যাটি দূর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে লক্ষণ সাদৃশ্যে একেক জনকে একেক রকম হোমিও ঔষধ দিয়ে ট্রিটমেন্ট দিতে হয়। ভালো হয় সব সময় অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জীবনযাপন করা। তাতে বহু অনাকাঙ্খিত স্বাস্থ সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্ত থাকা যায়।
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৯

যৌন বা শারীরিক অক্ষমতা (Sexual Inefficiency) নারী ও পুরুষের সমস্যা

যৌন বা শারীরিক অক্ষমতা (Sexual-Inefficiency) নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। যদিও আমাদের সমাজে পুরুষরাই এই সমস্যাটি বেশি অনুভব করে থাকেন। পুরুষদের মধ্যে এর জন্য
  • লিঙ্গের শিথীলতা বা উত্থানহীনতা (Erectile Dysfunction)
  • দ্রুতস্খলন (Premature Ejaculation)
  • যৌন আকাঙ্খার অভাব (Lack of Sexual Desire)
ইত্যাদি বেশি হতে দেখা যায়। অন্যদিকে নারীদের ক্ষেত্রে 
  • যৌনকামনা নষ্ট হয়ে যায়
  • মিলনের চরম পর্যায়ে উত্তেজনা হারানো
  • যোনির শুষ্কতা এবং ব্যথা হতে দেখা যায়
এর পেছনে রয়েছে কিছু কারণ যা নির্ণয় করে সমস্যাটি দূর করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করাও সম্ভব হয়ে উঠে না সেক্ষেত্রে প্রপার একমাত্র হোমিও চিকিৎসা ছাড়া এর থেকে মুক্তি পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠে।
বিস্তারিত

সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

পুরুষত্বহীনতা, ধ্বজভঙ্গ এবং লিঙ্গশিথীলতা(Impotence or Erectile Dysfunction)

পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ(Impotence) এবং লিঙ্গশিথীলতা(Erectile Dysfunction) সমস্যায় অনেক সময় নানা কারণে কোন না কোন পুরুষ আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এর পেছনে রয়েছে নানাবিদ কারণ। এ সম্পর্কে পুরুষদের কিছুটা জ্ঞান থাকা জরুরী। বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে......
বিস্তারিত

রবিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

পুরুষদের দ্রুতস্খলন বা অকাল বীর্যপাত (Premature Ejaculation) - কারণ ও প্রতিকার

যদি স্ত্রী সহবাস শুরু করার ২/১ মিনিটের মধ্যেই বীর্যপাত হয়ে যায় এবং এই সমস্যাটি যদি ক্রমাগত ভাবে চলতে থাকে তাহলে তাকে অকাল বীর্যপাত বা দ্রুতস্খলন বা প্রিম্যাচিওর ইজ্যাকিউলেইশন (Premature Ejaculation) বলা হয়ে থাকে। প্রপার ট্রিটমেন্ট না পাওয়ার কারণে অনেকেই নানা প্রকার চিকিৎসা নিয়েও এই সমস্যা থেকে খুব সহজে রেহাই পান না। অকাল বীর্যপাত বা দ্রুতস্খলন সমস্যাটির পেছনে রয়েছে কিছু বাস্তব কারণ যা প্রতিটি পুরুষেরই জেনে রাখা উচিত
বিস্তারিত

শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা এবং যৌন অনীহা বা আকাঙ্ক্ষার বিলুপ্তি ! নারী ও পুরুষের সমস্যা

নারী বা পরুষের মধ্যে অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা (Hypersexuality) এবং যৌন আকাঙ্ক্ষার বিলুপ্তি (Hyposexuality) যেকোন সময় দেখা দিতে পারে। অনেকেই এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের কাছে যেতেও লজ্জ্বা পান। আপনার জানা উচিত - এই সমস্যাগুলি যেকারো হতে পারে। এই সমস্যাগুলির পেছনে রয়েছে বহু কারণ। তবে কারণ যাই থাকুক সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে এই সমস্যাগুলি দূর করা সম্ভব।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

শুক্রমেহ, ধাতুদৌর্বল্য বা অবাঞ্চিত শুক্রক্ষরণ (Spermatorrhea) ! কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার

পুরুষদের শুক্রমেহ, ধাতুদৌর্বল্য বা অবাঞ্চিত শুক্রক্ষরণ (Spermatorrhea) অর্থাৎ যখন তখন সামান্য উত্তেজনায় বীর্যপাত এই সমস্যাটি সব বয়সের পুরুষদের মধ্যেই দেখা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে এটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অবিবাহিত তরুনদের মধ্যেই। সময় মতো সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা না এটি কারো কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুক্রমেহ, ধাতুদৌর্বল্য বা অবাঞ্চিত শুক্রক্ষরণ (Spermatorrhea) এর কারণ, উপসর্গ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি হোমিওপ্যাথি
বিস্তারিত

বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

অন্ডকোষের প্রদাহ বা অরকাইটিস Orchitis কি ? এর কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি

অরকাইটিস Orchitis হলো পুরুষের টেস্টিস বা অন্ডকোষের প্রদাহ অর্থাৎ অন্ডকোষ ফুলে যাওয়া, ব্যথা করা ইত্যাদি। এটি একটি বা দুটি অন্ডকোষের ক্ষেত্রে হতে পারে। অনেকে একে টেস্টিস ইনফেকশনও বলে থাকেন। অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা ঘটতে পারে। এটা সাধারণত এপিডিডাইমিসের প্রদাহের ফলস্বরূপ হয়। অণ্ডকোষের শেষ প্রান্তে থাকে এপিডিডাইমিস। এটা একটি নল, যা ভাস ডিফারেন্স (শুক্রবাহী নালি) ও অণ্ডকোষকে সংযুক্ত করে।এপিডিডাইমিসে প্রদাহের ফলে অরকাইটিস হলে তাকে Epididymo Orchitis বলা হয়ে থাকে। তবে  অন্ডকোষে ভেরিকোসিলের মতো জটিল সমস্যাগুলি হওয়ার প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে অনেক বেশি। 

অরকাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসজনিত কারণ হচ্ছে মাম্পস। মাম্পসের প্রায় ৩০ শতাংশ রোগীর অসুস্থতার সময় অরকাইটিস হয়। এটা সবচেয়ে বেশি হয় বয়ঃসন্ধিকাল পার হয়ে আসা ছেলেদের। ১০ বছর বয়সের আগে এটা তেমন একটা দেখা যায় না। এটা সাধারণ মাম্পস হওয়ার চার থেকে ছয় দিন পরে ঘটে। অরকাইটিস রয়েছে এমন এক-তৃতীয়াংশ ছেলেদের এটা ঘটে থাকে মাম্পসের কারণে। পরিণতিতে অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যায়।
অন্ডকোষের প্রদাহ
অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ প্রোস্টেট বা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। যৌন সংক্রামক রোগ যেমন গনরিয়া ও ক্লামাইডিয়ার কারণেও এটা হতে পারে। আবার যক্ষায় আক্রান্ত হলেও এই সমস্যা হতে পারে। সাধারণত ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বেশি হয়।

অরকাইটিস (Orchitis) - লক্ষণ

  • অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া
  • অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া
  • ফুলে যাওয়া ও ভারী বোধ হওয়া
  • মাঝে মাঝে বীর্যে রক্ত যাওয়া
  • কুঁচকিতে ব্যথা অনুভব করা
  • যৌনসঙ্গমের সময় কিংবা বীর্যপাতের সময় ব্যথা করা
  • প্রস্রাবে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা

অরকাইটিস (Orchitis) - কারণ

  • বয়স ৪৫ বছরের বেশি
  • যক্ষা এবং পরবর্তী এলোপ্যাথিক চিকিৎসা
  • মাম্পস রোগের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা
  • মূত্রপথের জন্মগত সমস্যা
  • জনন-মূত্রপথে অস্ত্রোপচার
  • অস্বাভাবিক যৌন আচর
  • যৌনসঙ্গিনীর আগে কোনো যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস
  • একাধিক যৌনসঙ্গি
  • গনরিয়া অথবা অন্য যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস
  • দীর্ঘদিন ফলিস ক্যাথেটারের ব্যবহার

অরকাইটিস (Orchitis) - জটিলতা

অরকাইটিসের কারণে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং একটি বা দু’টি অণ্ডকোষই ছোট হয়ে যেতে পারে। অরকাইটিসের কারণে আরো যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে সেসবের মধ্যে রয়েছে অণ্ডথলিতে ফোড়া হওয়া, অণ্ডকোষে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া, অণ্ডথলির ত্বকে ফিস্টুলা হওয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হওয়া। অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হলে তাৎক্ষণিক অপারেশনের প্রয়োজন হয়। যদি আপনার অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হয়, তাহলে দ্রুত হোমিও চিকিৎসা নেয়া জরুরী।

অরকাইটিস (Orchitis) - চিকিৎসা

যেকোন চিকিৎসার প্রথমে আপনাকে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। এই সমস্যার সবচেয়ে উন্নত একটি চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। এর জন্য অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী।

যে বিষয়গুলি আপনি জেনেছেন -

  • অরকাইটিস কেন হয়
  • অরকাইটিস হলে করণীয়
  • অণ্ডকোষ বড় হওয়ার কারন
বিস্তারিত

রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

ভেরিকোসিল Varicocele কি? কিভাবে হয়? এর উপসর্গ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি

অনেকেই Varicocele ভেরিকোসিলকে পুরুষদের অন্ডকোষের শুক্রনালীর শিরা-ঘটিত রোগ বলে অবহিত করে থাকেন। এটি কারো বাম পাশে কারো ডান পাশে আবার কারো উভয় পাশে (Bilateral Varicocele) হয়ে থাকে। সাধারণত কিছু কিছু পুরুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে কাউকে বলতে চান না এমনকি চিকিৎসাও নিতে চাননা। অথচ এর ভালো চিকিৎসা রয়েছে। স্পার্মাটিক কর্ডের মাধ্যমে রক্ত অণ্ডকোষে প্রবাহিত হয়ে যায়। ঠিক কি কারণে ভ্যারিকোসিল হয় তা নিশ্চিত নয়। যখন কর্ডের ভিতরের ভাল্ভ সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয় তখন ভ্যারিকোসিল সৃষ্টি হয়। এর কারণে শিরাগুলো প্রসারিত হয়ে অণ্ডকোষের ক্ষতি করে। বয়ঃসন্ধিকালে সাধারণত ভ্যারিকোসিল বেশি হতে দেখা যায়।

এটি সাধারণত বামদিকে বেশি হয়, তবে ডান দিকেও হয়ে থাকে। তবে যেকোনো একটি অণ্ডকোষের ভ্যারিকোসিল উভয় অণ্ডকোষের শুক্রাণু উৎপাদনে প্রভাব ফেলে যা এক সময় পুরুষ বন্ধ্যাত্ব সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। অনেক ক্রনিক রোগের মত এই সমস্যারও মূলত কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। ভেরিকোসিল রোগের একমাত্র ভালো চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি।
ভেরিকোসিল Varicocele

ভেরিকোসিল রোগের কারন

  • যক্ষা বা টিবি রোগ
  • মাম্পস 
  • আঘাত পাওয়া
  • কিছু এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • যৌন উত্তেজক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • তীব্র হস্তমৈথন আসক্তি এবং এক সময় হঠাৎ ছেড়ে দেয়া 
  • ভারী জিনিস উত্তোলন
  • দীর্ঘদিন যাবৎ ক্রমাগত দাঁড়িয়ে কাজ করা 
  • দীর্ঘদিন যাবৎ ক্রমাগত গরম পরিবেশে কাজ করা
  • এছড়াও আরো নানা কারণে ভেরিকোসিল হতে পারে 

ভেরিকোসিল রোগের উপসর্গ 

  • বাম দিকে বেশি হয় এবং ডান দিকে কম হয়
  • টেস্টিসের উপরের শিরাগুলিতে টক্সিক ব্লাড জমে শিরাগুলি ফুলে যায়, 
  • টেস্টিসের উপরের শিরাগুলিতে টক্সিক ব্লাড জমে কাল হয়ে যায়, পেঁচিয়ে যায় 
  • স্পার্মাটিক কর্ডে ব্যথা হয় এবং কেচুর মতো ফুলে যায় 
  • অন্ডকোষে ব্যথা হয় 
  • অন্ডকোষ ঝুলে যায়  
  • অণ্ডথলিতে চাকা বা পিণ্ড
  • কুঁচকিতে ব্যথা
  • অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া 
  • বন্ধ্যাত্ব
  • তলপেটে ব্যথা
  • অনৈচ্ছিক মূত্রত্যাগ
  • পুরুষত্বহীনতা
  • পুরুষাঙ্গে ব্যথা হওয়া 
  • পায়ুপথে ব্যথা হওয়া
  • পুরুষাঙ্গ কখনো শক্ত ও সোজা হয়, কখনো বাঁকা হয়ে থাকে 

ভেরিকোসিলের চিকিৎসা 

  • হোমিওপ্যাথি - বলতে গেলে একটি উত্তম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। যদিও ক্রনিক অবস্থায় ভেরিকোসিল স্থায়ীভাবে ঠিক হতে কিছুটা সময় লাগে। 
  • সার্জারী - তবে সার্জারী করলে পুনরায় হওয়ার সম্ভবনা থাকে ৯৮% . হয় কয়েক মাসের মধ্যে আবার হবে অথবা কয়েক বছরের মধ্যে আবার হবে। আর যখন পুনরায় হয় তখন দ্বিগুন লক্ষণ নিয়ে শুরু হয়। তখন সমস্যাটি আরো জটিল আকার ধারণ করে। কারণ ভেরিকোসিল সার্জারি করা মানে হলো যে শিরাগুলি ফোলা সেগুলি ব্লক করে দেয়া যেটি এই রোগের কোন সুচিকিৎসা নয়। বিশেষ করে যুবকদের জন্য ভেরিকোসিল সার্জারি মানে হলো - সারা জীবনের জন্য মহা দুর্ভোগ বয়ে আনা।
বিস্তারিত