ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস Irritable bowel syndrome (IBS) একটি উপসর্গ ভিত্তিক জটিল প্রকৃতির পেটের পীড়া যা সম্পূর্ণ নিরাময় হয় একমাত্র প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়। এর বৈশিষ্ট্যাবলী হচ্ছে পেটব্যথা, পেটফাঁপা, পেটে অস্বস্তি, আমাশয়, পাতলা পায়খানা বা কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা দুটিই, মেজাজের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি। এর কোন জৈবিক কারণ না পাওয়ায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সমস্যাকে একটি ফাংশনাল গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ডিসওর্ডার বলা হয়ে থাকে। এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে, কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় ঘুম থেকে উঠেই অথবা কারো ক্ষেত্রে আবার খাওয়ার পর পরই টয়লেটে দৌড়াতে হচ্ছে।
সাধারণ ভাবে বলতে গেলে - আইবিএসকে পেটের বিভিন্ন উপসর্গের সমাহার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানবদেহে অন্ত্র ও খাদ্যনালী মাংসপেশি দ্বারা তৈরি টিউব বা নল। এই মাংস পেশির যখন অতিরিক্ত সঙ্কোচন ও প্রসারণ হয় তখন অন্ত্রের মধ্যে থাকা ও মলের গতি ব্যাহত হয়। এরপর পালাক্রমে শুরু হয় কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এবং এর সাথে পেটের নানা প্রকার উপসর্গ তো থাকেই। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্র এই সমস্যাকে বিভিন্ন টাইপে ভাগ করে থাকে যেমনঃ-
পাশ্চাত্য দেশে প্রতি ১০ জনে একজন অন্তত তার জীবদ্দশায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে যারা কখনই স্থায়ী ভাবে ভালো হয় না কারণ তারা মূলত এলোপ্যাথিক ঔষধ খেয়ে বেঁচে থাকে। সমীক্ষায় দেখা যায়, একটি দেশের লোকসংখ্যার ২০ শতাংশ আইবিএসের লক্ষণ বহন করে এবং ১০ শতাংশ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। পুরুষদের চেয়ে নারীরা দুই থেকে তিন গুণ বেশি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অন্ত্রের ক্যান্সারের সাথে এ রোগের মিল পাওয়া যায়। তবে আইবিএস থেকে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয় না।
আশা করি আইবিএস সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা হয়েছে আপনাদের। ইতিপূর্বে সেড়েছেন এমন অনেক পেসেন্টই ছিলেন যাদের কেউ কেউ ২০/২৫ বছর যাবৎ এই সমস্যা নিয়ে একটি দুর্বিসহ জীবন পার করে আসছিলেন। কিন্তু কেন?
যারা বলেন আইবিএস ভাল হয় না, তারা মূলত এই সমস্যার চিকিৎসা দিতে জানেন না। আপনি দেখবেন বহু উচ্চ ডিগ্রিধারী এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরাই এই ধরণের আজগুবি কথাবার্তা বলে থাকে কারণ, প্রথমতঃ এলোপ্যাথিতে এই সমস্যা নির্মূলের আদৌ কোন ঔষধ বা চিকিৎসা নেই আর তারা সেটাই শিখে এসেছেন। দ্বিতীয়তঃ অধিকাংশ এলোপ্যাথিক চিকিৎসকেরই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এবং হোমিও চিকিৎসকদের সক্ষমতা সম্পর্কে ২% এর বেশি জ্ঞান নেই। কারো কারো দেখা যায় হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে কোন কনসেপ্ট পর্যন্ত নেই। তারা অনেকেই না জেনে না বুঝে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে থাকে। তবে কিছু কিছু এমবিবিএস(MBBS) কোর্সের এলোপ্যাথিক চিকিৎসক আছেন যারা হোমিওপ্যাথি ভালো বুঝেন। তাদের কেউ কেউ আবার এলোপ্যাথি ছেড়ে দিয়ে হোমিওপ্যাথি প্রাকটিস করছেন।
যেসকল রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই সাধারণ মানুষ যদি সে বিষয়গুলি না জেনে বা এই বিষয়ে সচেতন না হয়ে অযথা বছরের পর বছর এলোপ্যাথির পেছনেই ছুটে চলেন তাহলে অর্থ ও সময় অপচয়, শারীরিক ও মানুষিক দুর্ভোগ ছাড়া তারা কিছুই পান না। তাই চিকিৎসা নেয়ার পূর্বেই আপনাকে জানতে হবে আপনার রোগটি কোন চিকিৎসা পদ্ধতি নির্মূল করতে পারবে। তারপর সেই চিকিৎসা পদ্ধতির অভিজ্ঞ একজন চিকিৎসক খুঁজে বের করে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিতে হবে। তাহলেই আপনি অর্থ ও সময় অপচয়, শারীরিক ও মানুষিক দুর্ভোগ সব কিছু থেকেই বেঁচে যাবেন আশা করি।
এটি আবার ভাববেন না মাসের পর মাস নিজে নিজে হোমিও ঔষধ খেয়ে গেলেই আপনি ভালো হয়ে যাবেন। দুরারোগ্য জটিল ব্যাধিগুলির চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আপনার কাজ হলো এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করা অন্যথায় এখানেও আপনার সময় নষ্ট হবে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, লোকজন ভালো চিকিৎসকদের কাছে না গিয়ে হোমিও ঔষধ বিক্রেতাদের নিকট যাচ্ছে চিকিৎসা নিতে। ফলশ্রুতিতে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অযথাই ঔষধ খেয়ে চলেছে মাসের পর মাস অথচ এলোপ্যাথির মত কিছুটা আরাম দেয়া ছাড়া আরো কোন উন্নতি নেই। শেষে যত দোষ সব হোমিওপ্যাথির। অথচ চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ায় তার কোন প্রপার ট্রিটমেন্টই হয়নি।
এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসক কেইস টেকিং করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নিয়ে নির্দিষ্ট ঔষধ নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার শরীরে প্রয়োগ করে করে আপনাকে ইম্প্রোভমেন্টে নিয়ে যাবেন এবং এক সময় এই সমস্যা পুরুপুরি ঠিক হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ।
সাধারণ ভাবে বলতে গেলে - আইবিএসকে পেটের বিভিন্ন উপসর্গের সমাহার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানবদেহে অন্ত্র ও খাদ্যনালী মাংসপেশি দ্বারা তৈরি টিউব বা নল। এই মাংস পেশির যখন অতিরিক্ত সঙ্কোচন ও প্রসারণ হয় তখন অন্ত্রের মধ্যে থাকা ও মলের গতি ব্যাহত হয়। এরপর পালাক্রমে শুরু হয় কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া এবং এর সাথে পেটের নানা প্রকার উপসর্গ তো থাকেই। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্র এই সমস্যাকে বিভিন্ন টাইপে ভাগ করে থাকে যেমনঃ-
- IBS-C : Constipation Symptoms
- IBS-D : Diarrhea Symptoms
পাশ্চাত্য দেশে প্রতি ১০ জনে একজন অন্তত তার জীবদ্দশায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে যারা কখনই স্থায়ী ভাবে ভালো হয় না কারণ তারা মূলত এলোপ্যাথিক ঔষধ খেয়ে বেঁচে থাকে। সমীক্ষায় দেখা যায়, একটি দেশের লোকসংখ্যার ২০ শতাংশ আইবিএসের লক্ষণ বহন করে এবং ১০ শতাংশ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। পুরুষদের চেয়ে নারীরা দুই থেকে তিন গুণ বেশি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অন্ত্রের ক্যান্সারের সাথে এ রোগের মিল পাওয়া যায়। তবে আইবিএস থেকে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয় না।
স্যার, আইবিএস সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে যাই। সেখানে বড় একজন এলোপ্যাথিক ডাক্তার বলে দিয়েছে - আমার এই রোগ কখনো ভালো হবে না। সারা জীবন ঔষধ খেয়ে বাঁচতে হবে !! আমার বড় ভাই এমবিবিএস (MBBS) কোর্সের এলোপ্যাথিক ডাক্তার। তিনিও আমার চিকিৎসা করেছেন আর বলেছেন এই রোগ ভালো হয় না। সেই থেকে ১৮ বছর যাবৎ এই সমস্যা নিয়ে আছি। কিন্তু এখন কোন ঔষধেই কাজ করছে না।কথাগুলি বলছিলেন কুমিল্লা থেকে (১৬-১২-২০১৯) তারিখে আগত ২৫ বছর বয়সী আমার একজন পেসেন্ট। তিনি আরো বলছিলেন - আমার এলোপ্যাথিক ডাক্তার ভাই আমাকে যখন যে ঔষধ দিতেন সেভাবেই খেয়ে কোন ভাবে ভালো থাকতাম কিন্তু কিছু না কিছু শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকতো। কিন্তু বিগত ১ মাস যাবৎ কোন ঔষধই আমার শরীরে আর কাজ করছে না। আমার ডাক্তার ভাইও কিছু করতে পারছেন না। পেটের অবস্থা খুবই খারাপ এখন। কোন খাবারই খেতে পারি না, কোন ঔষধই কোন ফল হচ্ছে না।
- পেট সব সময় ফেঁপে থাকে
- খাওয়ার পরই পেটের অস্বস্থি আরো বেড়ে যায়
- খাওয়ার পরই অনবরত ঢেঁকুর উঠতে থাকে
- প্রতিনিয়ত বায়ু নির্গত হয়
- পেটে ব্যথা শুরু হলে তীব্র যন্ত্রনা কমাতে ইনজেকশন নিতে হয়
- টয়লেট একবারই হয় ভোর বেলায়
- মাঝে মাঝে টয়লেটের বেগেই ঘুম ভাঙে
- নরম পায়খানা, প্রচুর, কিছুটা রক্তযুক্ত, আমযুক্ত, ফেনাযুক্ত
- দুধ অসহ্য, খেতেই পারি না
- পিপাসা নেই
- জিহ্বা সাদা বর্ণের
- ক্ষুধা নেই বললেই চলে
- ডিম খেতে খুব পছন্দ
- ঘাম স্বাভাবিক
- প্রস্রাবে সমস্যা নেই
- ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে হয়
- যুদ্ধ-বিগ্রহ আর মারামারির স্বপ্ন দেখে
- গরম কাতর, গোসলে অনীহা আছে
- পেটের যন্ত্রনা খাওয়ার পর এবং বিকালে বাড়ে
- ছোটবেলায় প্রায় সবগুলি টিকা নিয়েছেন
- টাইফয়েড হয়েছিল একবার
- চর্মরোগ হয়েছিল যেটা মলম দিয়ে সাড়িয়েছিলেন
- ১৬-১২-২০১৯ তারিখে প্রথম ঔষধ প্রয়োগ করি
- ২২-১২-১০১৯ তারিখে ফোন করে বলছেন প্রায় ১০% উন্নতি হয়েছে
- ০১-০১-২০২০ তারিখে আবার ফোন করে বলছেন প্রায় ৪০% উন্নতি হয়েছে
- ০৬-০১-২০২০ তারিখে দ্বিতীয় দফায় ঔষধ প্রয়োগ করি। এই ধাপেই প্রায় ৮০% উন্নতির কথা তিনি বলেছিলেন। প্রায় সব ধরণের খাবার দাবারও খেতে পারছেন। এর মধ্যে দাওয়াত খেয়েছেন কয়েক বার কিন্তু তেমন কোন সমস্যা হয়নি।
- ২৭-০২-২০২০ তারিখে তৃতীয় দফায় ঔষধ প্রয়োগ করি। ভালো আছেন এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ঔষধ ছাড়াই।
উনার উন্নতি দেখে স্ত্রীকেও দ্বিতীয় বারই নিয়ে আসছিলেন হোমিও ট্রিটমেন্টের জন্য। উনার স্ত্রী মাস খানেক আগে আমার চেম্বারে আসছিলেন। স্বামীর কথা জিজ্ঞেস করলে বলছিলেন - তিনি ভাল আছেন কোন সমস্যা হচ্ছে না। আইবিএস এর এরকম বহু কেইস (কিছু প্রামাণ্য ভিডিও দেখুন) আমি হ্যান্ডেল করেছিলাম এবং এখনো করছি।
যে চিকিৎসক আপনার শরীরে কোন প্রকার জটিলতা তৈরী না করে সম্পূর্ণ ভাবে আপনার রোগ নির্মূল করতে পারেন তিনিই হলেন সবচেয়ে ভালো চিকিৎসক।
এটি আবার ভাববেন না মাসের পর মাস নিজে নিজে হোমিও ঔষধ খেয়ে গেলেই আপনি ভালো হয়ে যাবেন। দুরারোগ্য জটিল ব্যাধিগুলির চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আপনার কাজ হলো এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করা অন্যথায় এখানেও আপনার সময় নষ্ট হবে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, লোকজন ভালো চিকিৎসকদের কাছে না গিয়ে হোমিও ঔষধ বিক্রেতাদের নিকট যাচ্ছে চিকিৎসা নিতে। ফলশ্রুতিতে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অযথাই ঔষধ খেয়ে চলেছে মাসের পর মাস অথচ এলোপ্যাথির মত কিছুটা আরাম দেয়া ছাড়া আরো কোন উন্নতি নেই। শেষে যত দোষ সব হোমিওপ্যাথির। অথচ চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ায় তার কোন প্রপার ট্রিটমেন্টই হয়নি।
এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসক কেইস টেকিং করে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নিয়ে নির্দিষ্ট ঔষধ নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার শরীরে প্রয়োগ করে করে আপনাকে ইম্প্রোভমেন্টে নিয়ে যাবেন এবং এক সময় এই সমস্যা পুরুপুরি ঠিক হয়ে যাবে ইনশা-আল্লাহ।
যা যা জেনেছেন
- IBS কি
- আই বি এস রোগ
- আই বি এস থেকে মুক্তির উপায় কি
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤