প্রপার একটি হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে আইবিএস এর মতো জটিল পেটের পীড়া স্থায়ীভাবে নির্মূল করা যায়। তবে এক্ষেত্রে যদি সাফল্যের হার চিন্তা করেন তাহলে আমার কয়েক বছরের চিকিৎসার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু তথ্য উপস্থাপন করতে পারি। যথা সময়ে প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে আইবিএস এর মতো জটিল পেটের পীড়া থেকে মুক্তি পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না যদিও শুরুতে অধিকাংশ পেশেন্টই হোমিও চিকিৎসার তথ্যাবধানে আসেন না। তাই সেক্ষেত্রে সাফল্যেটা সবার ক্ষেত্রে দ্রুত আসে না। কিছু ক্ষেত্রে আবার চিকিৎসা নিয়েও খুব ফল হয়ে থাকে। তবে-
সবশেষে - তারপরও বলবো যারা খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসায় রেজাল্ট পাচ্ছেন না তারাও হতাশ হবেন না। কারণ যারা ধৈর্য ধারণ করে তারাও এক সময় ধৈর্যের সুমিষ্ট ফল লাভ করে থাকেন। হয়তো কিছুটা সময় পর আপনিও রোগ থেকে মুক্তি লাভ করে সুস্বাস্থ ফিরে পাবেন ইনশা-আল্লাহ।
১০০% IBS পেশেন্টের মধ্যে ৭০% আইবিএস রোগীরা প্রায় নির্দোষভাবে সুস্থতা লাভ করে থাকেন চিকিৎসার বিভিন্ন পর্যায়ে। ২০% আইবিএস রোগীদের পূর্ণ সুস্থতা লাভ করতে কিছুটা সময় লাগে আর বাকি ১০% ক্ষেত্রে খুব কম ফলাফল পাওয়া যায় বিভিন্ন কারণে।
রোগের শুরুতেই প্রপার হোমিও চিকিৎসার তথ্যাবধানে আসলে প্রায় শতভাগ আইবিএস রোগীই আরোগ্য লাভ করে থাকেন। তবে পুরুপুরি ভালো হতে হয়তো একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম সময় লাগতে পারে। বছরের পর বছর ধরে রোগে ভুগার পর অথবা দেরিতে হোমিও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ক্ষেত্রে আমরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলি দেখে থাকি-
দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসা পেশেন্টদের মধ্যে ৫০% আইবিএস রোগী নির্দোষ ভাবে এবং স্থায়ীভাবে হোমিও চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেন যাদের ফলাফল পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয় না। তবে পুরুপুরি ভালো হতে হয়তো একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম সময় লাগতে পারে।
আবার দেরিতে আসা ২০% আইবিএস রোগীদের ৮০-৯০% সমস্যাই দূর হয়ে যায় তবে চিকিৎসার পর তাদের জীবনধারায় হালকা কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসলেই তারা প্রায় ১০০% সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন কোন প্রকার অসুবিধা ছাড়াই। তাই এক অর্থে বলা যায় ৭০% আইবিএস রোগীই স্থায়ী ভাবে আইবিএস থেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন যাদের ফলাফল পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
এবার আসুন, দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসা ৩০% আইবিএস রোগীদের দিকে মনোযোগ দেই যাদের মধ্যে ২০% রোগীতে ফলাফল আসতে কিছুটা দেরি লাগলেও ১০% এর ক্ষেত্রে খুব কম ফলাফল পাওয়া যায় নিন্মোক্ত কারণে-
আবার দেরিতে আসা ২০% আইবিএস রোগীদের ৮০-৯০% সমস্যাই দূর হয়ে যায় তবে চিকিৎসার পর তাদের জীবনধারায় হালকা কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে আসলেই তারা প্রায় ১০০% সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন কোন প্রকার অসুবিধা ছাড়াই। তাই এক অর্থে বলা যায় ৭০% আইবিএস রোগীই স্থায়ী ভাবে আইবিএস থেকে মুক্তি পেয়ে থাকেন যাদের ফলাফল পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
এবার আসুন, দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসা ৩০% আইবিএস রোগীদের দিকে মনোযোগ দেই যাদের মধ্যে ২০% রোগীতে ফলাফল আসতে কিছুটা দেরি লাগলেও ১০% এর ক্ষেত্রে খুব কম ফলাফল পাওয়া যায় নিন্মোক্ত কারণে-
চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংক্ৰান্ত ত্রুটি
- হোমিওপ্যাথি একটি মহা সমুদ্রতুল্য চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিশ্বের আর সকল চিকিৎসা শাস্ত্রের ঔষধের পরিমান হোমিওপ্যাথির অর্ধেক ঔষধের সমপরিমাণ হবে না। হোমিওপ্যাথদের প্রতিনিয়ত পড়াশোনায় থাকতে হয়। একজন চিকিৎসক হিসেবে এবং মানুষ হিসেবে নির্দ্বিধায় স্বীকার করতেই হবে সর্বাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চিকিৎসা দানের ক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে হয়তো কিছু না কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে যদিও চিকিৎসক সেটা খুব দ্রুতই শুধরে নিয়ে থাকেন।
- তাছাড়া চিকিৎসক নির্বাচনে যদি আপনি ব্যর্থ হন তাহলেও আপনি এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের কোন আশা করতে পারেন না। কারণ আপনি ভাববেন না যে, একজন হোমিও চিকিৎসকের কাছে গেলেন, কিছুদিন চিকিৎসা নিলেন আর তাতেই আপনি সেরে উঠবেন। এখানে মূলতঃ দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসক প্রপার ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে আপনার DNA তে প্রিডোমিনেন্ট True Disease নির্ণয় করে সেগুলিকে রেসিসিভ করবেন। তাই যে হোমিও চিকিৎসকের কাছে গেলেন তার যদি এই বিষয়গুলি নিয়ে পর্যাপ্ত পড়াশোনা না থাকে তাহলে তিনি আপনার দৃষ্টিতে যত নামী আর বিখ্যাত চিকিৎসকই হন না কেন আপনার আইবিএস নির্মূলের ক্ষেত্রে হয়তো সাফল্য নাও পেতে পারেন।
- তাছাড়া যেসব চিকিৎসকরা স্থূল মাত্রার হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করে ক্রনিক ডিজিসের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করে থাকে তাদের চিকিৎসায় আইবিএস কখনই নির্মূল হবেনা আপনি সে বিষয়ে ১০০% নিশ্চিত থাকতে পারেন। কিভাবে বুঝবেন ? আপনি দেখবেন চিকিৎসার সময় ৪/৫টি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বোতল ধরিয়ে দিবে এবং ৬ মাস, ৮মাস, ১ বছর, ২ বছর ইত্যাদি কোর্স ধরিয়ে লাগাতার আপনার শরীরে নানা অসদৃশ হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করতে থাকবে। এমনটি হলে শুরুতেই চিকিৎসক পরিবর্তন করুন। তা নাহলে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে হয়ত উল্টো PTS Predominant হয়ে উঠতে পারে।
- ইনভেস্টিগেশনে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব। কিছু রোগীরা তাদের ফ্যামিলি হিস্ট্রি বলতেই পারেন না।
- ইনভেস্টিগেশনে তথ্য লোকানো বা অসমাপ্ত কেইস টেকিং। চিকিৎসক যেহেতু আপনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আপনার DNA তে প্রিডোমিনেন্ট True Disease নির্ণয় করবেন তাই ভুল/অসত্য/অসম্পূর্ণ তথ্য বা তথ্য লোকানোর কারণে ইনভেস্টিগেশন অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। আর এক্ষেত্রে চিকিৎসক চিকিৎসা দিলে হয়তো বহুক্ষেত্রেই তাৎক্ষণিক ফলাফল আশা করা যায় না।
- যেকোন দুরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রে শুধু কারেন্ট সিম্পটোম অথবা পেশেন্টের সার্বদৈহিক অবস্থার আলোকে হোমিও ঔষধ সিলেক্ট করে চিকিৎসা দিলে অধিকাংশ পেশেন্টের ক্ষেত্রেই আশানুরূপ ফলাফল আসে না বিধায় এক্ষেত্রে পেশেন্টের পাস্ট হিস্ট্রি এবং ফ্যামিলি হিস্টিসহ পূর্ণাঙ্গ ইনভেস্টিগেশন জরুরি, যাতে চিকিৎসক বুঝতে পারেন আপনার DNA তে প্রিডোমিনেন্ট প্রকৃত রোগগুলির সম্যক অবস্থা এবং সেগুলি রেসিসিভ করতে পারলেই অধিকাংশ পেশেন্টরা এক প্রকার দ্রুতই সেরে উঠেন।
- যিনি চিকিৎসা নিতে আসছেন অর্থাৎ রোগীর DNA তে প্রিডোমিনেন্ট মাল্টিপল True Disease এর উপস্থিতি তার চিকিৎসা কাল দীর্ঘায়িত করতে পারে।
- দীর্ঘদিন বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক, আয়ুর্বেদিক, হারবাল এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বা এলোপ্যাথিক ঔষধের নির্বিচার প্রয়োগের ফলে অনেকেরই PTS প্রকট হয়ে উঠে এবং ভাইটাল ফোর্স দুর্বল থেকে দুর্বলতর অবস্থায় পৌঁছায়।
- কোন দুরারোগ্য রোগের ক্ষেত্রে (যেমনঃ যক্ষা) এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেয়ার ফলে নানা প্রকার জটিল শারীরিক সমস্যা এবং এর সাথে পেটের অসুখ বা আইবিএস এর মতো সমস্যাও জেগে উঠেছে। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, খুব তাড়াতাড়ি আপনি সেরে উঠবেন না বা আদৌ সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ হবেন কিনা সেটাও কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। কারণ এক্ষেত্রে রোগীর ভাইটাল ফোর্সের অবস্থা চরম দুর্বলতর অবস্থায় পৌঁছায়।
- অনেকেই আবার সার্জারি বা বিভিন্ন অপচিকিৎসায় PTS প্রাপ্ত হয় এবং রোগ জটিলতা বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেন তাদের অনেকের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত আশানুরূপ ফলাফল আশা করা যায় না আবার কিছু ক্ষেত্রে মাত্র কিছুটা ফলাফল পাওয়া যায়।
- কিছু পেশেন্ট আছে ২/১ বার এসেই কিছু না কিছু ফলাফল আসল কি আসলো না অমনি অন্য দিকে দৌড় দেয় অর্থ্যাৎ তারা চিকিৎসা নিতে আসে না বরং একের পর এক ডাক্তার পরিবর্তন করে করে এর দুর্নাম ওর কাছে বলে বেড়ায় অথবা দেশ বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন তার গল্প বলে বেড়ায়। এক্ষেত্রে এটা তাদের এক প্রকার দূর্ভাগ্যই বলা চলে।
- অধিকাংশ শিক্ষিত লোকজনই হোমিওপ্যাথির মতো অসাধারণ একটি ট্রিটমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখেন না। দেখা যায়, যে রোগটি এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় আদৌ ভালো হয় না সেক্ষেত্রেও তারা বছরের পর বছর এলোপ্যাথির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে, বিভিন্ন দেশ-মহাদেশ ঘুরে এক সময় হোমিও চিকিৎসা নিতে আসে - ততদিনে জল হয়তো নদী পাড়ি দিয়ে সাগরে পৌঁছায়। অথচ সময় মতো প্রপার হোমিও চিকিৎসা নিলে হয়তো খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠত।
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤