হোমিওপ্যাথিতে ব্যাসিলিনাম এবং টিউবারকুলিনাম ঔষধ দুটির পার্থক্য মূলত কি? আমরা জানি টিউবারকুলিনাম একটি নোসোড ঔষধ। যক্ষ্মার জীবানু (ব্যাসিলাস) বা যক্ষ্মা রোগগ্রস্ত কোষ বা পুঁজ থেকে এটি প্রস্তুুত করা হয়। যে উৎস থেকে এটি প্রস্তুুত করা হয় সেই অনুযায়ী এর নামকরণ করা হয়। যক্ষ্মারোগীর ফুসফুসের ক্ষত থেকে বা থুথু থেকে যে ঔষধটি তৈরী হয় তাকে টিউবারকুলিনাম বলা হয়। এটি ডাঃ এ্যলেন মহোদয় বিশেষভাবে পরীক্ষা করেন।
আর যক্ষ্মারোগগ্রস্ত রোগীর ফুসফুসের কোষ বা থুথু যেখানে যক্ষ্মার জীবাণু রয়েছে সেখান থেকে প্রস্তুুত ঔষুধকে বলা হয় ব্যাসিলিনাম। এটি ডাঃ বার্ণেট মহোদয় বিশেষভাবে পরীক্ষা ও প্রচার করেন।
বিঃদ্রঃ যেকোন সমস্যায় নিজে নিজে ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ হোমিও ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে হোমিওপ্যাথিক নিয়মে কেইস টেকিং এবং ইনভেস্টিগেশন প্রয়োজন। তাই অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। ধন্যবাদ।
আর যক্ষ্মারোগগ্রস্ত রোগীর ফুসফুসের কোষ বা থুথু যেখানে যক্ষ্মার জীবাণু রয়েছে সেখান থেকে প্রস্তুুত ঔষুধকে বলা হয় ব্যাসিলিনাম। এটি ডাঃ বার্ণেট মহোদয় বিশেষভাবে পরীক্ষা ও প্রচার করেন।
টিউবারকুলিনাম ও ব্যাসিলিনাম এর মধ্যে পার্থক্য
- শৈশবের জীবন দর্শন পর্যালোচনা করলে জন্মের ১ দিন থেকে ১ বছর সময়কালে টিউবারকুলিনাম রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্যের দোষ পাওয়া যায় আর ব্যাসিলিনামের রোগীর আমাশয় অথবা পাতলা পায়খানার হিস্ট্রি পাওয়া যায়।
- টিউবারকুলিনাম শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশ যেমন ঘাড়, গলা, গ্ল্যান্ড আক্রমণ করে। অপরদিকে ব্যাসিলিনাম শ্বাসযন্ত্রের নিচের অংশ যেমন ফুসফুস আক্রমণ করে। এই কারনে শ্বাসকষ্ট, যক্ষা, নিউমোনিয়া লেগে থাকে।
- টিউবারকুলিনাম অস্থির প্রকৃতি, আবেগ প্রবণ, বুদ্ধিমান হয়। বাচ্চারা ইঁচড়েপাকা হয়। অন্যদিকে ব্যাসিলিনাম হাবাটে টাইপের হয়।
- টিউবারকুলিনাম শীতকাতর আর ব্যাসিলিনাম গরমকাতর
- ব্যাসিলিনাম এর ভ্রু জোড়া লাগানো থাকে। অন্যদিকে টিউবারকুলিনাম ঠোট লাল, চুল জট পাকানো, নখ পাখির মতো পাকানো থাকে।
- টিউবারকুলিনাম চর্মরোগ চাপা পড়ার পর রোগ আসে। আর ব্যাসিলিনাম ভ্যাক্সিনেশনের সাইড এফেক্ট থেকে রোগ আসে।
- ব্যাসিলিনাম এর চর্মরোগ দেখতে দাদের মতো। অপরদিকে টিউবারকুলিনাম এর চর্মরোগ চামড়ার ভাজে ভাজে হয়, লাল হয়, সোরার মতো।
- টিউবারকুলিনাম এর নির্গমণ ক্ষতকর প্রকৃতি হয়। আর ব্যাসিলিনাম এর নির্গমণ শুকনা হয়।
- ব্যাসিলিনামে সোরা মায়াজম সাথে সাইকোসিস মায়াজমের প্রবনতা বেশি। অন্যদিকে টিউবারকুলিনামে সিফিলিস মায়াজমের প্রবনতা বেশি। তাই এরা ধংসাত্নক হয়।
- ব্যাসিলিনামে যৌন ইচ্ছা স্বাভাবিক। অন্যদিকে টিউবারকুলিনামে যৌন ইচ্ছা অত্যাধিক। এটা কিশোর বয়সে দেখা যায় বেশি। যার জন্য তারা যেভাবেই হক তার ইচ্ছা পূরণ করে।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে দুর্বল শিশু, বয়স্কদের ফুসফুস এবং হার্টের সমস্যা অত্যাধিক হলে ব্যাসিলিনাম ব্যবহার করা নিরাপদ।
উভয়ই মেডিসিনের ক্ষয়দোষ ইতিহাস পাওয়া যায়। রোগীর অল্পতেই ঠান্ডা লাগবে, রোগী জানেনা কেন তার বার বার ঠান্ডা লাগে।
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤