আইবিএস IBS এর চিকিৎসা - হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কি কি হতে পারে এ সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে আজকের পর্বে। ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম Irritable bowel syndrome (IBS) থেকে মুক্তির উপায় যারা খুঁজছেন তারা মোটামোটি এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বেশ ভালো একটা ধারণা পেয়ে যাবেন আজ। পেটের এই সমস্যায় প্রথমেই আমাদের দেশের মানুষ এলোপ্যাথিক চিকিৎসার দ্বারস্থ হন কিন্তু যখন দেখেন মাসের পর মাস ঔষধ খেয়ে যাচ্ছেন অথচ সমস্যার সুরাহা নেই শুধু সাময়িক একটু আরাম পাওয়া যায় তখন তাদের চোখ খুলে যায়। আবার হাসপাতালে অথবা চিকিৎসকের নিকট গেলে তাদের বুঝানো হয় এই সমস্যা ভাল হয় না ঔষধ খেয়ে থাকতে হয়।
কিছু লোক সরল বিশ্বাসে এভাবেই ঔষধ খেয়ে খেয়ে একটি জরাজীর্ণ জীবন পার করে দেন মূলত তাদের অজ্ঞতা আর মূর্খতার কারণে। এর মধ্যে আবার কিছু লোক এর বিকল্প সমাধান খুঁজতে থাকেন অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রের মধ্যে। তাদের কেউ কেউ এক সময় সুস্থ হয়ে উঠেন প্রপার হোমিপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট পেয়ে। আর কেউ কেউ ভুল ট্রিটমেন্ট বা ঔষধ ব্যবসায়ীদের যাঁতাকলে পড়ে অযথাই মাসের পর মাস ঔষধ খেয়ে যায় অথচ তেমন কোন ফল পান না। এর প্রধান কারণ হলো তাদের নিজেদেরই অজ্ঞতা।
আইবিএস IBS হলো এমন একটি সমস্যা এর মূলত হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্য কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে স্থায়ী কোন সমাধান নেই। অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রে মূলত ঔষধ খেয়ে খেয়ে এই সমস্যায় সাময়িক আরাম পাওয়া যায় কিন্তু রোগ নির্মূল কখনই হয় না। তবে আপনি যদি আবার প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা না পান তাহলে এই সমস্যা থেকে এখানেও আপনার মুক্তি মিলবে না। এর জন্য অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দরকার যিনি হোমিওপ্যাথির নির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করে আপনার ট্রিটমেন্ট করবেন। এখন আমরা জানব ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম বা আইবিএস সমস্যায় হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে সাধারণত কি কি ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
অম্ল, অজীর্ণ, আমাশয়, পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যায় কোম্পানি ভেদে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম্নে দেশের বিশুদ্ধ একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানি "সাধনা ঔষধালয়"এর তৈরিকৃত কিছু ঔষধ উল্লেখ করা হলো যেগুলি অম্ল, অজীর্ণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার লক্ষণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এগুলি ছাড়াও আরো বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক কোম্পানির বিভিন্ন নামে ঔষধ রয়েছে যেগুলি পেটের অম্ল, অজীর্ণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশয়, পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার লক্ষণে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। কিন্তু আইবিএস এর ক্ষেত্রে এই ঔষধগুলি বা আরো যে আয়ুর্বেদিক ঔষধ রয়েছে সেগুলি কিছুটা উপশম দিয়ে থাকে কিন্তু রোগ নির্মূল করে না। অর্থাৎ কিছু কিছু আয়ুর্বেদিক ঔষধ খেয়ে আপনি আরাম পেতে পারেন কিন্তু আইবিএস আদৌ নির্মূল হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় অর্থাৎ সমস্যার শুরুতে আপনি এই ঔষধেই উপকার পেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে "আয়ুর্বেদ" হলো মূলত প্রাইমারী ট্রিটমেন্ট সিস্টেম।
অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন ইন্টারনেট বা ইউটিউবে বিভিন্ন ডাক্তার আইবিএস এর জন্য বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন - সেগুলি কি IBS সারায়? সোজা উত্তর হলো : না, এভাবে ঔষধ প্রয়োগে IBS আদৌ সারে না। কেউ কেউ কিছুটা আরাম পাবেন কিন্তু আপনার রোগ আদৌ নির্মূল হবে না বরং ভেতরে ভেতরে দিন দিন রোগ জটিলতা আরো বাড়তে থাকে। তাছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ অসদৃশ ঔষধ প্রয়োগের ফলে মেডিসিনাল ট্রমা তৈরী হয়।
তবে যদি আপনার সমস্যাটি আইবিএস না হয়ে সাধারণ একটি নতুন পেটের পীড়া হয়ে থাকে তাহলে ঐ সকল ঔষধ লক্ষণ মিলিয়ে যেকোন একটি প্রয়োগ করিলেই সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আইবিএস হলে এভাবে ঔষধ প্রয়োগে আদৌ ঠিক হবে না। কারণ প্রপার হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট ছাড়া আইবিএস এর মতো জটিল পেটের সমস্যা কখনই ঠিক হয় না। এর পিছনে মূলত আরো বহু ফ্যাক্টর থাকে।
আবার অনৈচ্ছিক মলবেগের সমস্যা তাদের জন্য রেপার্টরীতে এই রুব্রিকে যে যে ঔষধ রয়েছে -
বিশ্বে বহু ট্রিটমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। সেগুলির মধ্যে একমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্র সার্জারি বহির্ভুত প্রায় ৯০% রোগের চিকিৎসা দিতে পারে। আপনাকে আগে জানতে হবে কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে আপনার রোগের প্রপার ট্রিটমেন্ট রয়েছে তারপর সেই ট্রিটমেন্ট সিস্টেমের একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তথ্যাবধানে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে। তাহলেই স্থায়ী ভাবে রোগ মুক্তি হয়ে আপনি সুস্বাস্থ্য লাভ করবেন।এর বাহিরে, যে চিকিৎসা শাস্ত্রে আপনার রোগের সঠিক সমাধান নেই সেখানেই যদি আপনি ঘুরতে থাকেন আর অযথাই উপশমমূলক ঔষধ খেয়ে খেয়ে কিছুটা আরাম নিয়ে নিয়ে মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর অতিবাহিত করতে থাকেন তাহলে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন রাসায়নিক ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় আরো জটিল জটিল শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। মূলতঃ এভাবে রোগ কখনই নির্মূল হয় না, একে বলা হয় রোগ পুষে রাখা।
আইবিএস IBS হলো এমন একটি সমস্যা এর মূলত হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্য কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে স্থায়ী কোন সমাধান নেই। অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রে মূলত ঔষধ খেয়ে খেয়ে এই সমস্যায় সাময়িক আরাম পাওয়া যায় কিন্তু রোগ নির্মূল কখনই হয় না। তবে আপনি যদি আবার প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা না পান তাহলে এই সমস্যা থেকে এখানেও আপনার মুক্তি মিলবে না। এর জন্য অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দরকার যিনি হোমিওপ্যাথির নির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করে আপনার ট্রিটমেন্ট করবেন। এখন আমরা জানব ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম বা আইবিএস সমস্যায় হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে সাধারণত কি কি ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এলোপ্যাথিতে আইবিএস এর চিকিৎসা
এলোপ্যাথিতে এই সমস্যার স্থায়ী কোন চিকিৎসা নেই। মূলত এই চিকিৎসা শাস্ত্রে তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য লক্ষণ ভিত্তিক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে আর সাথে সাথে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়ে থাকে।সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যেকোন ঔষধ ব্যবহার করা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
আইবিএস এর ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার লক্ষণে নিম্নোক্ত ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে-
- Loperamide - Imotil
- Rifaximin - Xifaxan
- Eluxadoline - Viberzi
- Alosetron - Lotronex
আমাশয়ের লক্ষণে ব্যবহৃত হয় -
- Anti-Amoebic Drugs - Metronidazole
- Antibiotics - Cefixime, Ciprofloxacin
- Fiber supplements
- Laxatives - Lactulose, Liquid paraffin etc
- Lubiprostone - Amitiza
- Linaclotide - Linzess
এছাড়া পেটে অস্বস্তি বা পেট ব্যথায় ব্যবহার করা হয়
- Antispasmodics - Mebeverine hydrochloride
- Antidepressants or Anti-anxiety medications - Diazepam
আয়ুর্বেদে পেটের পীড়ার চিকিৎসা
০১. আমলকি রসায়ন
০২. রোহিতকারিষ্ট
০৩. ভাস্কর লবন
০৪. বজ্রক্ষার
০৫. অগ্নিবটি
০২. রোহিতকারিষ্ট
০৩. ভাস্কর লবন
০৪. বজ্রক্ষার
০৫. অগ্নিবটি
০৬. বৃহৎ অগ্নিকুমার রস
০৭. কুটজারিস্ট
০৮. মহাগন্ধক
০৯. কোষ্ঠশুদ্ধি বটিকা
১০. অষ্টাঙ্গ লবন ইত্যাদি
০৭. কুটজারিস্ট
০৮. মহাগন্ধক
০৯. কোষ্ঠশুদ্ধি বটিকা
১০. অষ্টাঙ্গ লবন ইত্যাদি
হোমিওপ্যাথিতে আইবিএস এর চিকিৎসা
আগের একটি পর্বে আপনারা জেনেছেন হোমিওপ্যাথিতে আইবিএস নির্মূল হয়ে যায় তার মানে এই নয় যে - আপনি একজন হোমিও ডাক্তারের কাছে গেলেন ঔষধ খেলেন আর আপনি ভালো হয়ে গেলেন। এর জন্য দরকার একটি প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষ পায় না। এর প্রধান কারণ কি জানেন ?
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষেরই হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই। এটি যে কত উঁচু মানের ট্রিটমেন্ট সিস্টেম তা বহু উচ্চ শিক্ষিত এলোপ্যাথিক চিকিৎসকও জানে না যেহেতু তারা হোমিওপ্যাথি পড়ে না। হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে প্রায় ৮২০০ ঔষধ যা বিশ্বের আর কোন চিকিৎসা শাস্ত্রে নেই। হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি সরাসরি মানুষের শরীরের উপর প্রয়োগ করে প্রমাণিত তাই নিয়মনীতি অনুসরণ করে প্রয়োগে হোমিও ঔষধের কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। তাছাড়া হোমিওপ্যাথি বহু বছর যাবৎ সরাসরি মানুষের উপর গবেষণা লব্ধ পরীক্ষিত ফলাফল। এর রয়েছে নিজস্ব সংবিধান যা বিশ্বের আর কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমের নেই।
কিছু কিছু মানুষকে আবার নিজের অজ্ঞতা আর মূর্খতা বশতঃ হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে নানা প্রকার বিরূপ কথাবার্তা বলতে দেখা যায়। কিন্তু যখন তারা নিজেরা কোন দুরারোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয় আর মাসের পর এলোপ্যাথি বা অন্যান্য ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে চিকিৎসা নিয়েও কোন ফল পায় না তখন তাদের টনক নড়ে উঠে আর হোমিও ট্রিটমেন্ট নিতে আসে। ঠিক তখনই অধিকাংশ মানুষই যে ভুলটি করে থাকে তা হলো - হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে পূর্ব ধারণা না থাকায় তারা কোন হোমিও চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে মূলত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবসায়ীদের নিকট যায় হোমিও ট্রিটমেন্টের জন্য। যার ফলে প্রপার একটি হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট থেকে বঞ্চিত হয় তারা, আর রোগ আগে যেমন ছিল তেমনই থেকে যায় কিছুটা উপশম হয়তো পেয়ে থাকে এলোপ্যাথিক ঔষধের মতো।
কিভাবে বুঝবেন আপনি কোন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে মূলতঃ ঔষধ ব্যবসায়ীর নিকট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন -
কিছু কিছু মানুষকে আবার নিজের অজ্ঞতা আর মূর্খতা বশতঃ হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে নানা প্রকার বিরূপ কথাবার্তা বলতে দেখা যায়। কিন্তু যখন তারা নিজেরা কোন দুরারোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয় আর মাসের পর এলোপ্যাথি বা অন্যান্য ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে চিকিৎসা নিয়েও কোন ফল পায় না তখন তাদের টনক নড়ে উঠে আর হোমিও ট্রিটমেন্ট নিতে আসে। ঠিক তখনই অধিকাংশ মানুষই যে ভুলটি করে থাকে তা হলো - হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে পূর্ব ধারণা না থাকায় তারা কোন হোমিও চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে মূলত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবসায়ীদের নিকট যায় হোমিও ট্রিটমেন্টের জন্য। যার ফলে প্রপার একটি হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট থেকে বঞ্চিত হয় তারা, আর রোগ আগে যেমন ছিল তেমনই থেকে যায় কিছুটা উপশম হয়তো পেয়ে থাকে এলোপ্যাথিক ঔষধের মতো।
কিভাবে বুঝবেন আপনি কোন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে মূলতঃ ঔষধ ব্যবসায়ীর নিকট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন -
- তারা আপনার কেইস টেকিং করবে না, কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করেই আপনাকে ঔষধ ধরিয়ে দিবে।
- কেউ কেউ আপনাকে ৪ মাস, ৬ মাস, ৮ মাস, ১ বছর, ২ বছর ইত্যাদি কোর্স ধরিয়ে দিবে।
- আপনাকে বলবে তারা জার্মানী, সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি বিদেশী ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করে। অর্থাৎ আপনার সামনে ঔষধের গুনকীর্তন করবে, যেহেতু তারা ঔষধ ব্যবসায়ী। অথচ আপনার রোগ ভালো হবে কি হবে না সেটা কোন দেশের কোন কোম্পানির ঔষধ ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে না, সেটা নির্ভর করে ডাক্তারের ডাক্তারির উপর। অর্থাৎ চিকিৎসক যদি ঠিকঠাক ঔষধ সিলেক্ট করে দেন তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে কম রেটিং এর হোমিও কোম্পানির ঔষধটি প্রয়োগ করলেও আপনি ভালো হয়ে যাবেন।
- আইবিএস সমস্যায় গদবাধা কিছু ঔষধ - Nux, Podophyllum, Aloe Socotrina, Robinia Q, China Q, Chaparro Q, Kurchi Q, Hydrastis Q ইত্যাদি মাসের পর মাস আপনাকে খাওয়াবে যেগুলি মূলত আইবিএস সারায় না, এলোপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদের মতো কিছুটা আরাম দেয় মাত্র।
অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসক যত্ন নিয়ে আপনার কেইস টেকিং করবেন। সময় নিয়ে আপনার হিস্টি শুনবেন। তিনি আপনার - বর্তমান কষ্টের বিস্তারিত বিবরণ, সার্বদৈহিক অবস্থা - পিপাসা, জিহ্বা, লালা, ক্ষুধা, খাদ্য, ঘুম, স্বপ্ন, ঘাম, পায়খানা, প্রস্রাব, পূর্ব রোগের ইতিহাস, জীবনদর্শন, আপনার পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানীর হিস্ট্রি নিবেন এবং সেই আলোকে ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট সময় পর পর আপনার শরীরে ঔষধ প্রয়োগ করে আপনাকে ইম্প্রোভমেন্টে নিয়ে যাবেন এবং এক সময় আপনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পূর্ণ সুস্বাস্থ্য লাভ করবেন।
তবে যদি আপনার সমস্যাটি আইবিএস না হয়ে সাধারণ একটি নতুন পেটের পীড়া হয়ে থাকে তাহলে ঐ সকল ঔষধ লক্ষণ মিলিয়ে যেকোন একটি প্রয়োগ করিলেই সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আইবিএস হলে এভাবে ঔষধ প্রয়োগে আদৌ ঠিক হবে না। কারণ প্রপার হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট ছাড়া আইবিএস এর মতো জটিল পেটের সমস্যা কখনই ঠিক হয় না। এর পিছনে মূলত আরো বহু ফ্যাক্টর থাকে।
হোমিওপ্যাথিতে এই সমস্যায় বহু মেডিসিন রয়েছে - যেমন ধরুন কারো পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার সমস্যা। রেপার্টরীতে এই রুব্রিকে যে যে ঔষধ রয়েছে -
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা তাদের জন্য রেপার্টরীতে এই রুব্রিকে যে যে ঔষধ রয়েছে -
আবার মলদ্বারের নিষ্ক্রিয়তা থাকলে রেপার্টরীতে এই রুব্রিকে যে যে ঔষধ রয়েছে -
কারো কারো ক্ষেত্রে জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে রেপার্টরীতে যে যে ঔষধ রয়েছে -
কারো কারো আবার পেট ফেঁপে থাকে সে ক্ষেত্রে রেপার্টরীতে যে যে ঔষধ রয়েছে -
কারো ক্ষেত্রে আবার পেটে ডাকাডাকি করে অর্থাৎ শব্দ হয় তাদের ক্ষেত্রে-
এখানে মাত্র কিছু রুব্রিক দেখানো হয়েছে। এছাড়াও আইবিএস পেসেন্টদের মধ্যে বহু উপসর্গ থাকে যেমন - ঢেঁকুর আসা, পেটে ব্যথা বা অস্বস্থিভাব, অনবরত বায়ু নিঃস্বরণ, মনের খিটখিটে ভাব ইত্যাদি সেগুলির উপরও মেডিসিন আসবে। যাদের মেজাজ খিট্খিটে ভাব থাকে তাদের ক্ষেত্রে রেপার্টরীতে এই রুব্রিকে যে যে ঔষধ রয়েছে-
অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসক মূলতঃ আপনার সর্বদৈহিক অবস্থা - বর্তমান কষ্টের বিস্তারিত বিবরণ, আপনার পিপাসা, জিহ্বা, লালা, ক্ষুধা, খাদ্য, ঘুম, স্বপ্ন, ঘাম, পায়খানা, প্রস্রাব, পূর্ব রোগের ইতিহাস, জীবনদর্শন, আপনার পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানীর হিস্ট্রি নিবেন তারপর আপনার উপযোগী সব রুব্রিক বিবেচনা পূর্বক নির্দিষ্ট ঔষধ নির্বাচন পূর্বক নির্দিষ্ট মাত্রায় আপনার শরীরে ডাইনামিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করবেন। এক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনার কনস্টিটিউশনও বিবেচনায় আনবেন। কারণ মানুষ জন্মগত ভাবেই অনেক দুরারোগ্য রোগের জেনেটিক মেটেরিয়াল পেয়ে থাকে। যখন তাদের ভাইটাল ফোর্স ডাউন হয়ে যায় তখন সেগুলি জেগে উঠে। সে অবস্থায় চিকিৎসককে আরো গভীরভাবে চিন্তা করে চিকিৎসা দিতে হয়।
হোমিওপ্যাথি ছাড়া বিশ্বের কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমই ঐ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। তাই অন্যান্য ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে উপরি উপরি চিন্তা করে লক্ষন ভিত্তিক এর পেছনের বা ঐ স্থানের সাময়িক কারণটি নির্ণয়ের চেষ্টা করে থাকে আর সেখানকার স্থানিক লক্ষণ এবং এর সাময়িক কারণের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। যার ফলে সেটা সাময়িক ভাবে ঠিক হয়। কিন্তু ভেতরের রোগ আগের মতোই প্রকট থাকায় সেটা আবার লক্ষণ এবং উপসর্গ তৈরী করে। ফলে সারা জীবনধরে ঔষধ খেয়ে খেয়ে লক্ষন বা উপসর্গকে কমিয়ে রাখা হয় প্রকৃত রোগ আদৌ নির্মূল হয় না।
এবার আসুন দেখি পেসেন্টরা কি কি মায়াজম অথবা কনস্টিটিউশনের হয়ে থাকে এবং সেগুলির ক্ষেত্রে কি কি মেডিসিন হতে পারে। এখানে মূলত আমি Synthesis Repertory রেপার্টরি থেকেই বিষয়টি আপনাদের দেখাচ্ছি-
হোমিওপ্যাথি ছাড়া বিশ্বের কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমই ঐ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। তাই অন্যান্য ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে উপরি উপরি চিন্তা করে লক্ষন ভিত্তিক এর পেছনের বা ঐ স্থানের সাময়িক কারণটি নির্ণয়ের চেষ্টা করে থাকে আর সেখানকার স্থানিক লক্ষণ এবং এর সাময়িক কারণের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। যার ফলে সেটা সাময়িক ভাবে ঠিক হয়। কিন্তু ভেতরের রোগ আগের মতোই প্রকট থাকায় সেটা আবার লক্ষণ এবং উপসর্গ তৈরী করে। ফলে সারা জীবনধরে ঔষধ খেয়ে খেয়ে লক্ষন বা উপসর্গকে কমিয়ে রাখা হয় প্রকৃত রোগ আদৌ নির্মূল হয় না।
এবার আসুন দেখি পেসেন্টরা কি কি মায়াজম অথবা কনস্টিটিউশনের হয়ে থাকে এবং সেগুলির ক্ষেত্রে কি কি মেডিসিন হতে পারে। এখানে মূলত আমি Synthesis Repertory রেপার্টরি থেকেই বিষয়টি আপনাদের দেখাচ্ছি-
কনস্টিটিউশন (Constitution) অনুসারে ঔষধগুলিও আপনারা দেখুন -
হিস্ট্রি নেয়ার সময় দেখা যায় - কারো ভাই বা বোন যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, কারো পিতা ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কারো মা শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, কোষ্টকাঠিন্যে ভুগছেন। কারো দাদা ক্যান্সারে মারা গেছেন। কারো নানার CVA (Cerebrovascular Accident) করে মারা যান। কেউ কেউ সরাসরি বলেন - সমস্যাটি আমার দাদারও ছিল আমারও আছে.... ইত্যাদি ইত্যাদি। কেউ কেউ আবার বলেন একবার টাইফয়েড হয়েছিল আমার, তারপর থেকে সেই যে পেটের পীড়া হল কত ঔষধ খাই কিন্তু ঠিক হচ্ছে না। আপনার নিকট আত্মীয়দের মধ্যে বিদ্যমান রোগ-ব্যাধিগুলি আপনার মধ্যে থাকা প্রকৃত রোগ বা সেগুলির জেনেটিক মেটেরিয়াল বিদ্যমান থাকার প্রকটতা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে। আইবিএস সমস্যাটি মূলত সেই জেনেটিক মেটেরিয়াল দ্বারা সৃষ্ট কিছু উপসর্গ মাত্র।
হিস্ট্রি নেয়ার সময় দেখা যায় - কারো ভাই বা বোন যক্ষায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, কারো পিতা ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কারো মা শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, কোষ্টকাঠিন্যে ভুগছেন। কারো দাদা ক্যান্সারে মারা গেছেন। কারো নানার CVA (Cerebrovascular Accident) করে মারা যান। কেউ কেউ সরাসরি বলেন - সমস্যাটি আমার দাদারও ছিল আমারও আছে.... ইত্যাদি ইত্যাদি। কেউ কেউ আবার বলেন একবার টাইফয়েড হয়েছিল আমার, তারপর থেকে সেই যে পেটের পীড়া হল কত ঔষধ খাই কিন্তু ঠিক হচ্ছে না। আপনার নিকট আত্মীয়দের মধ্যে বিদ্যমান রোগ-ব্যাধিগুলি আপনার মধ্যে থাকা প্রকৃত রোগ বা সেগুলির জেনেটিক মেটেরিয়াল বিদ্যমান থাকার প্রকটতা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে। আইবিএস সমস্যাটি মূলত সেই জেনেটিক মেটেরিয়াল দ্বারা সৃষ্ট কিছু উপসর্গ মাত্র।
এবার হয়তো কিছটা হলেও ধারণা পেয়েছেন একটি দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা দিতে গেলে একজন হোমিও চিকিৎসককে কিভাবে আগাতে হয় এবং তাকে কত মাথা খাটাতে হয়। চিকিৎসক যদি যত্ন নিয়ে চিকিৎসা করেন এবং পেসেন্ট যদি ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা নেন তাহলে আইবিএস এর মত সকল জটিল স্বাস্থ্য সমস্যাই নির্মূল হয়ে রোগী পূর্ণ সুস্বাস্থ্য লাভ করে থাকে হোমিওপ্যাথিতে।
যা যা জেনেছেন
- IBS এর হোমিও ঔষধ
- আইবিএস এর ঔষধ
- আই বি এস রোগের ঔষধ
- আই বি এস এর চিকিৎসা
- আমাশয় হোমিও চিকিৎসা
- আই বি এস এর প্রাকৃতিক চিকিৎসা
- আইবিএস হোমিওপ্যাথি
- আইবিএস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- পেটের সমস্যায় হোমিওপ্যাথি
- আই বি এস রোগের হোমিও ঔষধ
- আই বি এস থেকে মুক্তির উপায় কি
- আইবিএস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤