ডেঙ্গু জ্বরে ব্যক্তির সাধারণত উচ্চ জ্বর হয় অর্থাৎ তাপমাত্রা ১০৪-১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার থেকে বেশি হবে। ডেঙ্গু জ্বরের Dengue Fever যে উপসর্গ বা লক্ষণগুলি দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা,পেশি এবং গাঁটে ব্যথা এবং ত্বকে হামজ্বরের মতো র্যাশ। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভার-এ পর্যবসিত হয় ,যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম-এ পর্যবসিত হয়, যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
এই Dengue Fever বা ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য কার্যকর ঔষধ রয়েছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই এক্সপার্ট কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি যিনি আপনার যাবতীয় লক্ষণ সমষ্টি পর্যালোচনা করে ঔষধ প্রয়োগ করবেন। নিজে নিজে ঔষধ গ্রহণ করা থাকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
এই Dengue Fever বা ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য কার্যকর ঔষধ রয়েছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই এক্সপার্ট কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি যিনি আপনার যাবতীয় লক্ষণ সমষ্টি পর্যালোচনা করে ঔষধ প্রয়োগ করবেন। নিজে নিজে ঔষধ গ্রহণ করা থাকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ
একজন ডেঙ্গু জ্বরে ব্যক্তির সাধারণত উচ্চ জ্বর হয় অর্থাৎ তাপমাত্রা ১০৪-১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার থেকে বেশি হবে। সাথে নিম্নের লক্ষণগুলোর অন্তত দুটি প্রকাশ পাবে
- তীব্র মাথা ব্যথা
- চোখের পিছনের দিকে তীব্র ব্যথা
- জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
- মাংসপেশী অথবা হাড়ে ব্যথা (এজন্য অন্য নাম: হাড় ভাঙ্গা জ্বর)
- হামের মত র্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়
- নাক, দাঁতের মাড়ি থেকে অল্প রক্তপাত হতে পারে
- রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ করে যাবে
ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা
ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কিনা তা বুঝতে যে পরীক্ষা করা হয় তা হলো সিবিসি টেস্ট (CBC Test) । এটা হলো রক্তের প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করতে করা। প্লাটিলেট ( platelets) সাধারণত দেড় লক্ষের নীচে হলে সন্দেহ করা হয় ডেঙ্গুর দিকে যাচ্ছে। আরডেঙ্গু এনএস১এজি (Dengue NS1AG) এই অ্যান্টিজেন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় ডেঙ্গু হয়েছে কিনা।যখন পরীক্ষা করবেন
জ্বর হওয়ার ৪/৫ দিন পর করবেন কারণ এর পূর্বে করলে রিপোর্ট নরমাল আসতে পারে।কখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে?
ডেঙ্গু জ্বর হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে তেমন নয়। প্লাটিলেট কাউন্ট যখন ৩০ হাজারের নিচে নামে তখন আপনি হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। এছাড়াও যদি অনেক বমি শুরু হয় আর দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত যায়, কালো পায়খানা হয় এবং রোগী অনেক দূর্বল হয়ে যায়, তখন প্রেশার কমে গেলে দেরী না করে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধ
এ রোগের কোন টিকা নেই। তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হয়। এজন্য -
- জমে থাকা খোলা পাত্রের পানিতে মশকী ডিম পাড়ে। পোষা প্রাণির খাবার পাত্র, পানির পাত্র, ফুল গাছের টব, নারকেলের মালা ইত্যাদিতে পানি জমে থাকতে পারে। সেগুলো পরিষ্কার রাখবেন।
- দিন ও রাতে আলোতেও এরা কামড়ায়। তাই দিনের বেলাতেও মশারী ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে যাতে মশা কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা
এই রোগের কোন সুনির্দিষ্ট এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই কারণ এটি হলো ভাইরাস জ্বর। তবে এর ভালো চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। এই রোগের লক্ষণগুলোর উপর চিকিৎসা দেয়া হয়। এর সাথে যা যা করবেন...
- রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখুন
- প্রচুর পানি পান করতে দিন
- ডাবের পানি খেতে দিতে পারেন
- কমলা খেতে দিতে পারেন রোগীকে
- ১ গ্লাস বিশুদ্ধ পানিতে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে দিনে কয়েক বার খেতে দিতে পারেন
- সহজে হজম হয় এমন খাবার এবং শাকসব্জি খেতে দিন
- স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর বারবার মুছে দিন
- রোগীকে অ্যাসপিরিন বা এজাতীয় ঔষধ দিবেন না তাতে রক্ত ক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে
- ডেঙ্গু জ্বরে ভয়ের কিছু নেই। অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা যায়।
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤