অটিজম Autism হল মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা। যা মূলত স্নায়ু বা স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও পরিবর্ধন জনিত অস্বাভাবিকতার ফলে হয়ে থাকে অর্থাৎ এটি নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার (Neurodevelopmental Disorder).অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) Autism Spectrum Disorder (ASD) শিশু জন্মানোর দেড় থেকে তিন বছরের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
অটিজমে আক্রান্ত শিশুর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে অসুবিধা হয়। অটিজমের কারণে কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি ও আচরণ একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে শিশুর মানসিক ও ভাষার উপর দক্ষতা কম থাকে।
বর্তমানে দেখা যায়, শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মায়ের কোন অসুখ করলে অথবা শিশু ভূমিষ্ঠ হাওয়ার পরে তার শারীরিক অবস্থার কোন ত্রুটি থাকলে মস্তিষ্কের উপরে চাপ পরে। ফলে মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ গঠন পরিবর্তিত হতে পারে। এর মুলে রয়েছে মূলত Post Trauma Syndrome (PTS).
নারীদের তুলনায় পুরুষদের অটিজমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৪ গুণ বেশি। এছাড়াও পরিবারে কারও অটিজম থাকলে শিশুর এই সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। আবার বেশি বয়সে সন্তান ধারণ ও গর্ভকালীন জটিলতা থাকলে সন্তানের অটিজমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মোট কথা হলো সুপারফিশিয়াল চিন্তা করে আমরা এই সমস্যার সাধারণ যে কারণগুলি খুঁজে পাই সেগুলি হলো -
অটিজমে আক্রান্ত শিশুর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে অসুবিধা হয়। অটিজমের কারণে কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি ও আচরণ একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকে আবার অনেক ক্ষেত্রে শিশুর মানসিক ও ভাষার উপর দক্ষতা কম থাকে।
অটিজম Autism - কারণ
পেছনের কারণ খুঁজতে গেলে বহু রোগের পেছনের কারণই খুঁজে পাবেন না। অটিজম সমস্যার ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। অর্থাৎ অটিজমের নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। উপরি উপরি চিন্তা করে অটিজম এর নানা কারণ সনাক্ত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে জিন ঘটিত কারণ তেমনই রয়েছে অনেক অসুখ যেগুলি থেকে অটিজম হতে পারে যেমনঃ ভাইরাল ইনফেকশন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্রোমোজোমের সংখ্যার হ্রাস বা বৃদ্ধির কারণেও এই রোগ হয়ে থাকে। এই রোগের প্রকৃত কারণ নিয়ে এখনও অনুসন্ধান চলছে। তবে একটা জিনিস বোঝা গিয়েছে তা হল আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন কোষগুলির পারস্পরিক সংযোগ কমে যাওয়া অথবা স্নায়ু থেকে নিঃসৃত কিছু রাসায়নিক পদার্থের অভাব— ইত্যাদির কারণেও এই রোগ হতে পারে।বর্তমানে দেখা যায়, শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মায়ের কোন অসুখ করলে অথবা শিশু ভূমিষ্ঠ হাওয়ার পরে তার শারীরিক অবস্থার কোন ত্রুটি থাকলে মস্তিষ্কের উপরে চাপ পরে। ফলে মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ গঠন পরিবর্তিত হতে পারে। এর মুলে রয়েছে মূলত Post Trauma Syndrome (PTS).
নারীদের তুলনায় পুরুষদের অটিজমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৪ গুণ বেশি। এছাড়াও পরিবারে কারও অটিজম থাকলে শিশুর এই সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। আবার বেশি বয়সে সন্তান ধারণ ও গর্ভকালীন জটিলতা থাকলে সন্তানের অটিজমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মোট কথা হলো সুপারফিশিয়াল চিন্তা করে আমরা এই সমস্যার সাধারণ যে কারণগুলি খুঁজে পাই সেগুলি হলো -
- জেনেটিক বা জীনগত সমস্যা
- ভাইরাল ইনফেকশন
- পরিবেশগত সমস্যা
- গর্ভকালীন জটিলতা ইত্যাদি
অটিজম Autism - প্রকৃত কারণ
হোমিওপ্যাথি কিন্তু এর গভীরে গিয়ে চিন্তা করে এই সমস্যার প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করে থাকে। জেনে রাখা ভালো মানুষ মূলত রোগ-ব্যাধি পেয়ে থাকে তাদের পূর্ব পুরুষ থেকেই জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালস এর মাধ্যমে। তাই অটিজম হওয়ার পেছনে দায়ী থাকে বিভিন্ন প্রকৃত রোগ বা True Diseases যেমন: Post Rabies Syndrome (PRS), Post Trauma Syndrome (PTS), Morbific Noxious Agent - Psora or Psoric Miasm And Infectious Miasms - Sycosis & Syphilis Miasm And Tubercular Diathesis...(Read More). তাই একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক মূলত কেইস টেকিং এর সময় পেসেন্টের মধ্যে কোন প্রকৃত রোগটি প্রি -ডোমিনেন্ট অবস্থায় রয়েছে সেটিই খুঁজে বের করে সেটিকে প্রচ্ছন্ন করার জন্য ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকেন আর তাতেই পেসেন্ট দিন দিন উন্নতির দিকে আগায়। তাই বর্তমান বিশ্বে অটিজমের একটি কার্যকর চিকিৎসার হলো হোমিওপ্যাথি।অটিজম হয়েছে কিভাবে বুঝবেন ?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুটির মা বাবা প্রথমেই বুঝতে পারে যে তাদের শিশুটি অন্যান্য শিশুদের থেকে কিছুটা আলাদা। অনেক সময় শিশুদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ওই শিশুটির প্রতি বাবা মার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে, শিশুটির আচরণ অন্যদের থেকে আলদা। এ ছাড়াও অনেক সময় মা প্রথম বুঝতে পারে যে তার শিশুটি কথা বলতে পারছে না বা কথা বলতে দেরি হচ্ছে। তখন তারা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তখন রোগটি ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা শুরু করা যায়।
অটিজম Autism - লক্ষণাবলী
- অনেক শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকঠাক ভাবে হয় না
- অটিজম থাকা শিশুদের মানসিক অস্থিরতার ঝুঁকি বেশী থাকে
- এসকল শিশুর বিষন্নতা, উদ্বিগ্নতা ও মনোযোগে ঘাটতিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে
- ঠিকমত কথা বলতে না পারা, একই শব্দ বারবার বলা, কথার মানে বুঝতে না পারা, ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে কথা বোঝানোর চেষ্টা করা ইত্যাদি
- কেউ কেউ একই শব্দ বারবার বলছে
- অতিরিক্ত রাগ বা জেদ করা, অনেক-বেশী কান্না বা হাসি
- রুটিন পরিবর্তনে ক্ষিপ্ত হওয়া, কারও চোখের দিকে কম তাকায় বা তাকায় না
- কাউকে কিছু অনুরোধ করে না এবং সাহায্য চায় না ইত্যাদি
- কেউ কেউ খুব আক্রমণাত্মক আচরণ করে থাকে যেমন কাউকে আঘাত করা, কামড়ানো, মারতে আসা, জিনিস পত্র ছুড়ে ফেলা বা জিনিস পত্র ভেঙে ফেলা ইত্যাদি
- অন্য বাচ্চাদের সাথে মিশতে চায় না, একা খেলাধুলা করে, কেউ তাকে কোলে নিতে গেলে বিরক্তি প্রকাশ করে, সামাজিক রীতি-নীতি বুঝতে পারেনা ইত্যাদি
- অটিস্টিক শিশুদের প্রায়ই হজমের অসুবিধা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের গ্যাস, বমি ইত্যাদি হতে পারে।
অটিজম Autism - চিকিৎসা
এই সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য হোমিওপ্যাথি একটি বেস্ট চিকিৎসা পদ্ধতি। যথা সময়ে পেসেন্টের এবং ফ্যামিলি হিস্ট্রি পর্যালোচনা করে একটি ভালো হোমিও চিকিৎসা দিলে আশাতীত ফলাফল চলে আসে। তবে এর জন্য চিকিৎসককে শিশুটির মধ্যে বিদ্যমান True Disease বা প্রকৃত রোগটি খুঁজে বের সামনে আগাতে হয় তাই পেসেন্টের পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী অর্থাৎ পূর্ববর্তী প্রজন্মের বিস্তারিত হিস্টি দিয়ে অবশ্যই চিকিৎসককে সাহায্য করতে হবে।
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤