টনসিলে Tonsil যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে তখনই তাকে টনসিলাইটিস Tonsillitis বলা হয়ে থাকে। যাদের জীবনী শক্তি কম বা ঠাণ্ডা সহ্য ক্ষমতা কম তাদের বেলায় ভাইরাসজনিত আক্রমণটা কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত টনসিলের প্রদাহ বর্ষা কালে বেশি হয়ে থাকে তবে শীতকালে টনসিল প্রদাহ হয়ে থাকে। টনসিলাইটিস সাধারণত দুই ধরনের হয়।
- তীব্র বা একিউট।
- দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক টনসিলাইটিস
টনসিলাইটিস লক্ষণ এবং উপসর্গ
- টনসিলের ইনফেকশন হলে মূলত গলা ব্যথা হবে, গিলতে অসুবিধা হবে। শরীরে সামান্য জ্বর থাকবে জ্বরের মাত্রা ৩৯ সেলসিয়াস =১০৩ ফারেনহাইট = অথবা এর বেশীও হতে পারে। অনেক সময় গলার স্বর পরিবর্তিত হয়, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ থাকে। সঙ্গে শিশুর খাবার গ্রহণে অনীহা কিংবা নাক দিয়ে পানি ঝরা ইত্যাদি থাকতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে গলার বাইরে দিকে গ্রন্থি ফুলে যেতেও দেখা যায়।
- ভাইরাসজনিত টনসিলাইটিসে টনসিলের প্রদাহ ধীরে ধীরে বাড়ে, ফলে উপসর্গগুলোও ধীরে ধীরে আবির্ভূত হয়। অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়াজনিত টনসিলাইটিস হঠাৎ করেই তীব্রভাবে আক্রমণ করে। ফলে উপসর্গ সমূহ এবং -গলাব্যথা , ব্যাদনা জ্বালা পোড়া ইত্যাদি হঠাৎ করেই দেখা দেয়।
- শিশুদের বেলায় বমি, পেটে ব্যথা বড়দের বেলায় মাথাব্যথাও থাকতে পারে। ৫ বছরের কম বয়েসীদের বেলায় ডাইরিয়া সহ খাওয়া দাওয়ায় অরুচির লক্ষণ পাওয়া যায় সেই সাথে সকলেরই কম বেশি কাশিও হতে পারে।
- অ্যাকিউট টনসিলাইটিসের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা- সর্দি, অত্যধিক জ্বর বা জ্বরের সাথে কাঁপুনি ,গলাব্যথা খুসখুসে কাশি,খাবার গিলতে বা পানি পান করতে ব্যাথা , নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা,মুখের ভেতরে টনসিল বেশ লালচে বর্ণ ধারণ করে , টনসিলের ওপর হলুদ বা সাদা আস্তরণ পড়তে পারে, গলার ভেতর এর আশপাশের অন্যান্য লসিকাগ্রন্থিও ফুলে যাওয়া অথবা গলায় ও মাড়িতে ব্যাথা ইত্যাদি।
- ক্রনিক টনসিলাইটিসের ক্ষেত্রে জিনিসের গন্ধ পাওয়া যায় না, জোর করে ঘ্রাণ নিতে গেলে সবকিছুতেই বাজে গন্ধ পাওয়া যায়।, ঘুমাতে খুব অসুবিধা হয়। শিশু ঘুমাতে ভয় পায় , নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে , অনেক সময় বাচ্চার ঘুমের ধরন পাল্টে যায়। থুতনি এগিয়ে আসে , মাথাব্যথা, গলায় ঘায়ের কারণে ব্যথা, কানে ব্যথা, ক্লান্তিময়তা, মুখে অনবরত লালা জমতে থাকে, খাবার খেতে কষ্ট ও মুখ হাঁ করতে অসুবিধা হয় , মুখ দিয়ে লালা বের হয় ও কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে যেতে পারে, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে।
টনসিলাইটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় যেসকল কারণে
- অ্যালকোহল গ্রহণ
- স্পেনেক্টমি Tonsil(Splenectomy) প্লীহা বা স্প্লিন অপসারণ
- টনসিলাইটিসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা
- সিকল সেল অ্যানিমিয়া (Sickle cell anemia)
- সাইনোসাইটিস
- ধূমপান
- সিগারেটের ধোঁয়া
- অঙ্গ প্রতিস্থাপন, কেমোথেরাপি, এইডস ইত্যাদি কারণে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যাওয়া
টনসিলের চিকিৎসা
এলোপ্যাথিতে মূলত এ রোগের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয় বা কখনো কখনো সার্জারী করে তা অপসারণ করতে বলা হয়। হোমিওপ্যাথিতে এই সমস্যার সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা রয়েছে। টনসিলাইটিস সেটা যে প্রকারেরই হোক না কেন অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড একজন হোমিও চিকিৎসকের তথ্যাবধানে চিকিৎসা নিলে এই সমস্যা এক সময় নির্মূল হয়ে যায়। রেপার্টরীতে আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য বহু মেডিসিন পেয়ে থাকি-
অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পেসেন্টের যথাযথ কেইস টেকিং করে উপযোগী ঔষধ নির্বাচন পূর্বক রোগীর শরীরে নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করে করে ইম্প্রোভমেন্টে নিয়ে যাবেন। এক সময় টনসিলের প্রদাহ এবং এর ফলে সৃষ্ট সকল জটিলতা নির্মূল হয়ে রোগী সুস্থতা লাভ করবেন ইনশা-আল্লাহ।
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤