কিডনির পাথরগুলো অর্থাৎ Kidney stones কেবল কিডনিতে নয়, এর বিভিন্ন অংশে হতে পারে- কিডনিতে হতে পারে, কিডনির ভেতর থেকে বের হওয়া বৃক্ক নালীতে হতে পারে, প্রস্রাবের থলেতে হতে পারে এবং থলে থেকে বের হয়ে অনেক সময় পাথর মূত্রনালিতে আটকা পড়ে। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে পাথর কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে। কিডনিতে পাথরের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।
শরীরে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, ইউরিক এসিড প্রভৃতির সমন্বয়ে কিডনির পাথর তৈরি হয়। আর এসব উপাদান শরীরে আসে খাবারের মাধ্যমেই। দৈনন্দিন খাবারে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, ইউরিক এসিড, সিস্টিনসহ নানা উপাদান থাকে। এগুলো কিডনির মাধ্যমে পুরোপুরি মেটাবোলাইজ বা বিপাক হয় না। কিছু কিছু মানুষের শরীরে এ ধরনের খনিজ পদার্থগুলো কিডনি হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়। এ ছাড়া অনেকের শরীরে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিড জমা হয়; আবার অনেক ক্ষেত্রে মেটাবলিক অস্বাভাবিকতার জন্যও সিস্টিন ও অক্সালেট রক্তে জমা থাকে। এই উপাদানগুলো কিডনি দিয়ে রক্ত পরিশোধিত হওয়ার সময় কিডনির নালিতে ক্রিস্টাল তৈরি হয় এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্রিস্টাল ক্রমান্বয়ে পাথর হয়। যাদের পানি পানের প্রবণতা একটু কম, তাদের এসব পদার্থের যেকোনো একটি দিয়েই ক্রিস্টিলাইজেশন হয়ে পাথর হতে পারে। কিডনির পাথর কয়েক ধরনের হয়।
ক্যালসিয়াম পাথর: বেশির ভাগ কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম পাথর। সাধারণত খাদ্যে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এবং বিভিন্ন ধরনের বিপাকজনিত শারীরিক সমস্যার কারণে কিডনি দিয়ে বের হওয়ার সময় টিবিউল বা অতিক্ষুদ্র নালিতে ক্যালসিয়াম ঘনীভূত হয়। ক্যালসিয়াম পাথর অনেক সময় ক্যালসিয়াম ফসফেট অথবা ক্যালসিয়াম অক্সালেট আকারে হয়। বয়স্কদের এই পাথর বেশি হয়।
স্ট্রুভাইট পাথর: সাধারণত মূত্রাধারে ইনফেকশন বা সংক্রমণের কারণে স্ট্রুভাইট পাথর হয়। এগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বেশ বড় হয়। যাঁরা বারবার প্রস্রাব সংক্রমণের শিকার হন, তাঁদের এটি বেশি হয়।
ইউরিক এসিড পাথর: যাদের রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি থাকে তাদের সাধারণত গাউট বা গেঁটে বাত হয়। ইউরিক এসিড রক্তে বেশি থাকার দরুন এদের কিডনিতে ইউরিক এসিড স্টোন হয়ে থাকে। অল্প বয়সীদের এই পাথর কম হয়।
অক্সালেট ও সিস্টিন পাথর: সাধারণত বংশগত কোনো সমস্যার কারণে এই পাথর হয়। এর ফলে কিডনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ অক্সালেট অথবা সিস্টিন বের হয়ে যায়। বিশেষ করে অল্প বয়স্কদের হয়। তখন তাকে সিস্টিন স্টোন, অক্সালেট স্টোন বলা হয়।
শরীরে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, ইউরিক এসিড প্রভৃতির সমন্বয়ে কিডনির পাথর তৈরি হয়। আর এসব উপাদান শরীরে আসে খাবারের মাধ্যমেই। দৈনন্দিন খাবারে ক্যালসিয়াম, ফসফেট, ইউরিক এসিড, সিস্টিনসহ নানা উপাদান থাকে। এগুলো কিডনির মাধ্যমে পুরোপুরি মেটাবোলাইজ বা বিপাক হয় না। কিছু কিছু মানুষের শরীরে এ ধরনের খনিজ পদার্থগুলো কিডনি হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়। এ ছাড়া অনেকের শরীরে বেশি পরিমাণ ইউরিক এসিড জমা হয়; আবার অনেক ক্ষেত্রে মেটাবলিক অস্বাভাবিকতার জন্যও সিস্টিন ও অক্সালেট রক্তে জমা থাকে। এই উপাদানগুলো কিডনি দিয়ে রক্ত পরিশোধিত হওয়ার সময় কিডনির নালিতে ক্রিস্টাল তৈরি হয় এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্রিস্টাল ক্রমান্বয়ে পাথর হয়। যাদের পানি পানের প্রবণতা একটু কম, তাদের এসব পদার্থের যেকোনো একটি দিয়েই ক্রিস্টিলাইজেশন হয়ে পাথর হতে পারে। কিডনির পাথর কয়েক ধরনের হয়।
ক্যালসিয়াম পাথর: বেশির ভাগ কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম পাথর। সাধারণত খাদ্যে উচ্চমাত্রায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এবং বিভিন্ন ধরনের বিপাকজনিত শারীরিক সমস্যার কারণে কিডনি দিয়ে বের হওয়ার সময় টিবিউল বা অতিক্ষুদ্র নালিতে ক্যালসিয়াম ঘনীভূত হয়। ক্যালসিয়াম পাথর অনেক সময় ক্যালসিয়াম ফসফেট অথবা ক্যালসিয়াম অক্সালেট আকারে হয়। বয়স্কদের এই পাথর বেশি হয়।
স্ট্রুভাইট পাথর: সাধারণত মূত্রাধারে ইনফেকশন বা সংক্রমণের কারণে স্ট্রুভাইট পাথর হয়। এগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বেশ বড় হয়। যাঁরা বারবার প্রস্রাব সংক্রমণের শিকার হন, তাঁদের এটি বেশি হয়।
ইউরিক এসিড পাথর: যাদের রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেশি থাকে তাদের সাধারণত গাউট বা গেঁটে বাত হয়। ইউরিক এসিড রক্তে বেশি থাকার দরুন এদের কিডনিতে ইউরিক এসিড স্টোন হয়ে থাকে। অল্প বয়সীদের এই পাথর কম হয়।
অক্সালেট ও সিস্টিন পাথর: সাধারণত বংশগত কোনো সমস্যার কারণে এই পাথর হয়। এর ফলে কিডনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ অক্সালেট অথবা সিস্টিন বের হয়ে যায়। বিশেষ করে অল্প বয়স্কদের হয়। তখন তাকে সিস্টিন স্টোন, অক্সালেট স্টোন বলা হয়।
কিডনির পাথর - কাদের বেশি হয়
নারীদের তুলনায় পুরুষদের পাথর হওয়ার হার বেশি। ৪০ বছরের পর থেকে পুরুষদের পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, যা ৭০ বছর পর্যন্ত বাড়তে থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে তা ৫০ বছর বয়স থেকে বাড়তে থাকে। তবে যেকোনো সময় যে কারো কিডনি বা মূত্রনালিতে বা ইউরেটারেও হতে পারে। যাদের একবার পাথর হয়েছে, তাদের বারবার হতে পারে।কিডনির পাথর - কারণসমূহ
কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়।
- কিডনিতে বারবার সংক্রমণ এবং এর ঠিকঠাক চিকিৎসা না করা।
- দৈনিক অল্প পানি পান
- খাবারে অধিক লবণ
- কম ফলফলাদি ও শাকসবজি খাওয়া
- বেশি লাল মাংস যেমন-গরু ও খাসির মাংস এবং পোলট্রির মাংস খাওয়া কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ
- বেশি বা খুব কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া
- যারা ক্যালসিয়াম জাতীয় ট্যাবলেট প্রচুর পরিমাণে খায় এদেরও পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি
- যেসব লোকের ইনফ্লামেটরি বাওয়েল রোগ থাকে, তারা কিডনির রোগ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন
- টপিরামেট জাতীয় (এটা টোপাম্যাক্স হিসেবে পাওয়া যায়) ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো সাধারণত মাইগ্রেনের রোগে ব্যবহার করা হয়
- অতিরিক্ত অক্সালেট জাতীয় শাকসবজি যেমন, পুঁই শাক, পালং শাক, বিট ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ অথবা বাতের ব্যথা কিংবা মূত্রাশয়ে প্রদাহের উপযুক্ত চিকিৎসা না করলে কিডনিতে পাথর হতে পারে
কিডনিতে পাথর - লক্ষণসমূহ
- অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। তবে-
- মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট ছোট পাথর যাওয়া
- হঠাৎ তলপেটে, নিচের পেটের দুই পাশে বা কোমরে তীব্র ব্যথা
- রক্তবর্ণের লাল প্রস্রাব, ব্যথা, জ্বালাপোড়া থাকতে পারে
- ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে
- ঘোলাটে এবং দূর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা অল্প একটু হয়েই আর না হওয়া।
- কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
কিডনির পাথর - নির্ণয় পদ্ধতি
- প্লেইন এক্স-রে। সাধারণত KUB কিডনি ইউরিনারি ব্লাডার অংশটুকু দেখা হয়।
- কিডনি, ইউরেটার ও ইউরেনারি ব্লাডারের আলট্রাসনোগ্রাম লাগতে পারে।
- প্রস্রাবের পরীক্ষায়ও পাথর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
- রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করলে পাথর হওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
- ২৪ ঘণ্টা প্রস্রাবে ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষার দরকার হতে পারে।
- অনেক ক্ষেত্রে আইভিইউ ও সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন হয়।
কিডনির পাথর - চিকিৎসা
কিডনিতে পাথর হলেই অপারেশন করতে হয় এমন ধারণা ঠিক নয়। চিকিৎসা নির্ভর করে পাথরের অবস্থান, আকার, ধরন, কিডনির কার্যকারিতা এবং প্রস্রাবের পথে প্রতিবন্ধকতার ওপর। হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনির পাথর Kidney Stones হলে দূর করা যায় অনেক সহজেই। তবে কিছু ক্ষেত্রে সার্জারী করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।কিডনির পাথর - প্রতিরোধ
- কখনোই প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
- প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
- আমিষ জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ পরিমিত রাখুন।
- ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজন ব্যতীত ক্যালসিয়াম ওষুধ ও ভিটামিন ডি যুক্ত ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
- বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে এর ঠিকমতো চিকিত্সা করান।
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।
- দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।
- ক্যাফেইন এবং সোডা এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত কফি পানে কিডনির অবস্থা আরো খারাপ হবে।
- কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত না হলেও অ্যালকোহল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে।
- কিডনির পাথর দুর করার উপায়
- কিডনির পাথর অপসারণ
- কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার
- কিডনি পাথর হোমিও
- কিডনি পাথরের ঔষধ
- কিডনিতে পাথর হলে করণীয় কি
- কিডনির পাথর গলানোর উপায়
- কিডনির পাথর ধ্বংস করার উপায়
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤