নারীদের ডিম্বাশয় বা ওভারিতে যে টিউমার হয়ে থাকে সেটিই মূলত ওভারিয়ান টিউমার (Ovarian Tumor) এই গুলি আবার দুই প্রকারের হয়ে থাকে। বিনাইন এবং ম্যালিগন্যান্ট। নারীদের দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। সেখানেই টিউমার হয়। ডিম্বাশয় বা ওভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওভারি থেকেই ওভাম বা ডিম উৎপন্ন হয় যা শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে একপর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা তৈরি হয়। ওভারিতে বা ডিম্বাশয়ে টিউমার হলে বিভিন্ন উপসগ দেখা যায়। এর মধ্যে আছে-
ওভারিয়ান টিউমার - লক্ষণ ও উপসর্গ
- তল পেটে ব্যথা
- বারবার প্রস্রাব হওয়া
- প্রস্রাব আটকে যাওয়া
- সহবাসের সময় তলপেটে ব্যথা
- হজমে সমস্যা
- কোমরের পেছনের দিকে ব্যথা
সবার যে একই রকম সমস্যা হবে তা নয়। একেক জনের ক্ষেত্রে একেকরকম সমস্যা হয়। আবার যদি টিউমার ছোট হয় তবে কোন সমস্যা নাও থাকতে পারে। ডিম্বাশয়ে টিউমার কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা করতে পারে। পেলভিসে টিউমার থাকলে প্রসব বাধাগ্রস্থ হয়। টিউমার পেঁচিয়ে গেলে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এটি জরুরি অবস্থা। এ অবস্থায় পেসেন্টকে হাসপাতালে পাঠানো জরুরি। টিউমারের ভেতরে রক্তক্ষরণও কিন্তু হতে পারে। আবার টিউমার ফেটে গিয়ে জটিল অবস্থা তৈরি হয়। টিউমার বাড়তে থাকলে উপসর্গও তত বেশী হয়। বমিভাব, বমি, ওজন কমে যাওয়া। শ্বাসকষ্ট, দূর্বলতা ইত্যাদি শুরু হয়।
ওভারিয়ান টিউমার - পরীক্ষা নিরীক্ষা
ভালভাবে ইতিহাস নিয়ে এবং পরীক্ষা করে অনেকটাই ওভারিয়ান টিউমার ডায়াগনসিস করা যায়। তবে নিশ্চিত হবার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি, রক্তের পরীক্ষা এবং বায়োপসি করা হয়।
ওভারিয়ান টিউমার - টিউমার
এই সকল রোগের কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। তাই ডিম্বাশয়ে টিউমার চিকিৎসায় সার্জারি, রেডিওথেরাপী এবং কেমোথেরাপী ব্যবহৃত হয়। শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিলে সমস্যাটি সমূলে নির্মূল হয়ে যায়।