এপেন্ডিসাইটিস Appendicitis এর কারণ লক্ষণ পরীক্ষা অপারেশন ঘরোয়া বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বা প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে এই পর্বে। মানবদেহের বৃহদন্ত্র নলের মতো ফাঁপা। বৃহদন্ত্রের তিনটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশ হচ্ছে সিকাম। এই সিকামের সাথে ছোট একটি আঙ্গুলের মত দেখতে প্রবৃদ্ধি হল এপেনডিক্স। আর এর প্রদাহকে বলা হয় এপেন্ডিসাইটিস। এটি অ্যাকিউট এবং ক্রনিক দুটিই হতে পারে।
এপেনডিক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেটি আমাদের হজমের সহায়ক উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার আশ্রয়স্থল। ডায়রিয়া বা অন্য কোন কারণে যখন আমাদের পেট পুরুপুরি পরিষ্কার হয়ে হজমে সহায়ক উপকারী সব ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস হয়ে পড়ে ঠিক তখনই অ্যাপেন্ডিক্স থেকে আগত সেই উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলে। আপনি অ্যাপেন্ডিক্সকে হজমে সহায়ক উপকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলির আশ্রয়স্থল হিসেবেও চিন্তা করতে পারেন।
কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকুন, এপেন্ডিসাইটিস এর দ্রুত কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে। আপনি এটিও জেনে রাখুন, আল্লাহ পাক মানব দেহের কোন অঙ্গকেই বৃথা সৃষ্টি করেননি।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস - কেন ও কীভাবে হয়
এপেন্ডিসাইটিস - প্রকারভেদ
- প্রদাহ অবস্থা: কোষ্ঠকাঠিন্য, অতিরিক্ত মাছ-মাংস আহার, এপেনডিক্সের মধ্যে মল, মাছের কাটা, ছোট হাড়ের টুকরা ইত্যাদি প্রবেশ করে এই জাতীয় প্রদাহের সৃষ্টি করে।
- ক্ষতযুক্ত অবস্থা: এই অবস্থায় এপেনডিক্স এর ভিতর ক্ষত সৃষ্টি হয় বা ছিদ্রের সৃষ্টি হয়। এতে ভয়ানক জ্বালা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়।
- পচনশীল অবস্থা: এটাই সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা। এতে উপাঙ্গের অগ্রভাগ সামগ্রিকভাবে উপাঙ্গটি বিনষ্ট হয়। এতে সিকাম এবং ক্ষুদ্রান্তের কিছু অংশ একসঙ্গে জড়িত হয়ে অন্ত্রনালীর আংশিক বা সামগ্রিক অবরুদ্ধভাবের সৃষ্টি করে।
এপেন্ডিসাইটিস - লক্ষণ ও উপসর্গ
এপেনডিসাইটিস - পরীক্ষা
এপেন্ডিসাইটিস এর চিকিৎসা
আগেই বলেছি এলোপ্যাথিতে এপেন্ডিসাইটিস এর কোন চিকিৎসা নেই তাই সার্জারি করে অঙ্গটি কেটে ফেলে দিয়ে থাকে তারা। এর কোন স্থায়ী ঘরোয়া নিরাময়ও নেই। তবে কোন প্রকার অপারেশন ছাড়াই আপনি এই সমস্যা থেকে ঠিক হয়ে উঠতে পারেন দ্রুত সময়ের মধ্যেই প্রপার একটি হোমিও চিকিৎসায়।কিন্তু যে বিষয়ে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে সেটি হলো দক্ষ একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ফলাফল শূন্য হতে পারে। অধিকাংশ হোমিও ডাক্তাররাই রেপার্টরির আলোকে গদবাধা কিছু হোমিও ঔষধ যেমনঃ বেলেডোনা (Belladona), আইরিস টেনাক্স (Iris Tenax), আর্নিকা মন্ট (Arnica Mont), প্লাম্বব মেট (Plumbum Met), এচিনেশিয়া (Echinacea), ফেরাম ফস (Ferrum Phos), লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium), ল্যাকেসিস (Lachesis) ইত্যাদি ঔষধ প্রয়োগ করে এপেন্ডিসাইটিস সারানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালায়। এই ঔষধগুলি রোগীকে কিছুটা আরাম দিলেও এপেন্ডিসাইটিস নির্মূলে ব্যর্থ হয়। অর্থাৎ শুরুর দিকে আরাম দিলেও কিছু দিন পর আবার সমস্যা দেখা দেয়।
যা যা জেনেছেন ?
- এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ
- এপেন্ডিসাইটিস এর কারণ
- এপেন্ডিসাইটিস এর ঔষধ
- এপেন্ডিসাইটিস চিকিৎসা
- এপেন্ডিসাইটিস ছবি
- এপেন্ডিসাইটিস এর পরীক্ষা
- এপেন্ডিসাইটিস ফেটে গেলে
- এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি
- এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন খরচ
- এপেন্ডিসাইটিস এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- এপেন্ডিসাইটিস হয় কি কারনে
- এপেন্ডিসাইটিস এর অপারেশন খরচ
- এপেন্ডিসাইটিস এর ব্যথা কোথায় হয়
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤