ক্রনিক কিডনি ডিসিজ Chronic kidney disease (CKD) সমস্যায় দ্রুত সিরাম ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানবো আজকের পর্বে। সাধারণভাবে সমস্যাটি লং টার্ম বা ক্রনিক রেনাল ডিজিজ বা Chronic Renal Failure (CRF) নামেও পরিচিত। এটি এমন একটি অসুখ, যা লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই কয়েক বছরব্যাপী ধীরে ধীরে কিডনিকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে যে কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এ অসুখে কিডনি ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয়, সাধারণত রোগের শেষ পর্যায়ে অসুস্থতা প্রকাশ পায়। এ রোগের জটিলতা হিসেবে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদি হতে পারে। যাদের দীর্ঘমেয়াদি কিডনির অসুখ থাকে তাদের কিডনি ফেইলিওর হতে পারে।
ক্রনিক কিডনি ডিসিজ - কেন হয়?
মানুষ যেসকল রোগে আক্রান্ত হয় সেগুলির প্রধান কারণ হলো জন্মলগ্ন থেকে নিয়ে আসা তার নিজের DNA তে বিদ্যমান বিভিন্ন True Disease. সেগুলির মধ্যে যেগুলি বা যেটি প্রি-ডোমিনেন্ট থাকে সেটিই মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন প্রকার লক্ষন উপসর্গ এবং বিশৃঙ্খলা তৈরী করে থাকে। আর স্থানিকভাবে সেসব লক্ষণ উপসর্গ বা বিশৃঙ্খলাকে রোগের নাম দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট সিস্টেম।উপরের দিকে সাধারণভাবে চিন্তা করে ক্রনিক কিডনি সমস্যায় কিছু কারণকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে যদিও সেগুলি প্রকৃত কারণ হয়
- দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয় তা হল- ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। দেখা যায়, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্তদের তিন ভাগের দুই ভাগেরই এ দুটি রোগের একটি বা দুটোই থাকে।
- ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে চিনির মাত্রা বেশি থাকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন- কিডনি, হার্ট, রক্তনালি, চোখ ও স্নায়ু।
- আবার উচ্চ রক্তচাপ হলেই যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি অসুখ হবে তা নয়, যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে সেটি ঠিক করা না হয় তাহলে এটি হবে। আবার কিডনি অসুখ হলে রক্তচাপও বাড়তে পারে।
- টিবি বা যক্ষ্মা রোগ
- গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস নামের কিডনির অসুখ যাদের থাকে, তাদেরও দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ হতে পারে। এ রোগের প্রধান লক্ষণ শরীর, হাত-পা ফুলে যাওয়া।
- বংশগত বা জন্মগত অসুখ যেমন পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি কিডনি অসুখ হতে পারে। আবার মাতৃগর্ভে কিডনির গঠনগত অস্বাভাবিকতার জন্যও হতে পারে।
- যাদের কিডনিতে পাথর, টিউমার আছে, যেসব পুরুষের প্রোস্টেটগ্রন্থি বড় তাদেরও কিডনির দীর্ঘমেয়াদি অসুখ হতে পারে। এমনকি যারা বারবার প্রস্রাব ইনফেকশনে আক্রান্ত হয় তাদেরও এ রোগ হওয়ায় ঝুঁকি থাকে।
- খাদ্যনালির বা পেটের ভেতর বড় কোন টিউমার কিডনি ও মূত্রনালিকে বাধাগ্রস্ত করলেও কিডনি নষ্ট হয়।
- অনেক সময় মেয়েদের জরায়ু বা ওভারি টিউমারের কারণে প্রস্রাব নির্গমন হতে না পারলে কিডনি বিকল হয়।
- এ ছাড়া কিডনি ধমনি সরু হয়ে যাওয়া, ম্যালেরিয়া, অতিরিক্ত এলোপ্যাথিক ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, নেশা ইত্যাদিতেও অসুখটি হয়।
ক্রনিক কিডনি ডিসিজ - লক্ষণগুলি কি কি ?
বেশির ভাগ মানুষই রোগটি বেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত বুঝতে পারে না। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে-
- বেশি দুর্বল বোধ করা
- পরিশ্রম করার শক্তি হারিয়ে ফেলা
- মনোযোগের ঘাটতি
- রুচি কমে যাওয়া
- ঘুমের অসুবিধা
- রাতে শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশিতে ব্যথা
- পা ও গোড়ালি ফুলে যাওয়া
- চোখের নিচে ফুলে যাওয়া, মুখ ফোলা ফোলা লাগা
- চুলকানি ও শুষ্ক ত্বক
- বারবার প্রস্রাব পাওয়া
- প্রস্রাব ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়া
- রাতে ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব পাওয়া
- অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা
- প্রায় সব সময়ই মাথাব্যথা
- পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন দুর্বলতা।
ক্রনিক কিডনি ডিসিজ - নির্ণয়ের উপায়
রোগীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ইতিহাস ছাড়া কিডনির রোগের ডায়াগনিসিস অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই যেকোন হোমিও চিকিৎসক রোগীর ফ্যামিলি হিস্ট্রি নিয়ে থাকেন। পরবর্তীক্ষেত্রে, ডাক্তার হৃৎপিণ্ড বা রক্তবাহী নালিতে হওয়া সমস্যার লক্ষণ পরীক্ষার জন্য, শারীরিক এবং স্নায়ুতন্ত্রেরও পরীক্ষা করেন।
কিডনি রোগের নির্ণয়ের জন্য রোগীকে সুনির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা করাতে হয়, যা হল-
- রক্ত পরীক্ষা: কিডনি ফাংশান টেস্ট, প্রধানত রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিয়ার মত বর্জ পদার্থের মাত্রা পরীক্ষা করে।
- মুত্র পরীক্ষা: মুত্রের নমুনা পরীক্ষা করলে কিছু অস্বাভাবিক কারণ বেরোনোর সম্ভবনা থাকতেও পারে, যা ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের দিকে ইঙ্গিত করতে পারে এবং একই সাথে কিডনির ক্রনিক রোগের কারণও চিহ্নিত করতে পারে।
- ইমেজিং টেস্ট: কিডনির সঠিক আকার ও আকৃতি মাপার জন্য ডাক্তাররা আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করতে পারেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য ইমেজিং টেস্টও ব্যবহার করা যেতে পারে।
- টেস্টের জন্য কিডনির টিস্যুর নমুনা বের করা: নির্দিষ্ট এই রোগ নির্ণয় করতে, কিডনি বায়োপসি বা কিডনির টিস্যুর বের করা হয়। চামড়া ফুটো করে কিডনির ভেতরে লম্বা ও পাতলা সূচ ঢুকিয়ে স্থানীয়ভাবে অ্যানাস্থেসিয়া করে কিডনি বায়োপসি করা হয়। কিডনির পরীক্ষা ও এর পেছনে কোন কারণ দায়ী সেটা বের করতে, বায়োপসির নমুনা তারপরে ল্যাবে পাঠানো হয়।
ক্রিয়েটিনিন কি ?
ক্রিয়েটিনিন হলো এক ধরনের বর্জ্য যেটি মাংসপেশীর কোষ ভেঙে তৈরি হয়। যখন ক্রিয়েটিনিন উৎপন্ন হয় তখন রক্তের সঙ্গে তা মিশে যায়। পরে রক্ত যখন কিডনির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন কিডনি এই রক্ত ছেঁকে ক্রিয়েটিনিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। তাই রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নির্ণয় করলে বোঝা যায় কিডনি কতখানি কর্মক্ষম আছে। ক্রিয়েটিনের মাত্রা নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে হলেই বোঝা যায় তার কিডনি সমস্যা হয়েছে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার বেশ কিছু উপায় আছে।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন - এর স্বাভাবিক মাত্রা
মানবদেহে মাংসপেশীর বিপাক কর্ম বা মেটাবলিজমের কারণে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থই হলো ক্রিয়েটিনিন, যা ক্রিয়েটিন থেকে উৎপন্ন হয় এবং রক্তের মাধ্যমে কিডনিতে পৌঁছায়। ক্রিয়েটিন মাংশপেশীতে শক্তি উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিদিন গড়ে ২% ক্রিয়েটিন বিপাকের ফলে ক্রিয়েটিনিনে পরিণত হয়। কিডনি ছাঁকনের মাধ্যমে দেহ হতে মূত্রের সাথে ক্ষতিকর ক্রিয়েটিনিন বের করে দেয়।
স্বাভাবিক নারীদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে ০.৫-১.১ মিলিগ্রাম। স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে এর মান ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম। একটা কিডনী যাদের নেই তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্বাভাবিক। কিশোরদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা। ০.৫-১.০ শিশুদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর বেশি হলে মারাত্মক কিডনী দুর্বলতা হয়েছে বলে বুঝা যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রক্তে ক্রিয়েটিনিন ৫.০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের চেয়ে বেশি হলে কিডনী ড্যামেজ হয়েছে বুঝা যায়।
প্রতি মিনিটে কিডনি যতটা রক্ত থেকে ক্রিয়েটিনিন বের করে দিতে পারে সেটাই ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স রেট। প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে এ হার ১২৫ মি.লি.। এর অর্থ প্রতি মিনিটে কিডনি ১২৫ মি.লি. রক্ত থেকে সম্পূর্ণভাবে ক্রিয়েটিনিন বের করে দিতে সমর্থ। বয়স, লিঙ্গ ও শরীরের আকৃতির ওপর নির্ভর করে এই হার।
ক্রনিক কিডনি ডিসিজ/কিডনি ফেইলিওর - চিকিৎসা
এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য ভালো কোন ঔষধ না থাকলেও চিকিৎসা দিয়ে রোগের গতি ধীর করা যায়। শেষ পর্যায়ে হয়তো কিডনি বিকল হওয়ার কারণে ডায়ালিসিস, এমনকি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করার চিন্তাও করছেন অনেকে। কিন্তু জানেন কি? এইগুলি করেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। সাথে তো মোটা অংকের একটা অর্থ ব্যায়ের দখল রয়েছেই। যদিও স্টেম সেল থেরাপি হয়তো একসময় স্বস্তি নিয়ে আসতে পারে কিডনি রোগীদের জন্য। তবে কনভেনশনাল ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে ক্রিয়েটিনিন কমানো এবং ক্রনিক কিডনি ডিসিজ বা কিডনি ফেইলিওর এর চূড়ান্ত অবস্থায়ও অনেক ক্ষেত্রে কার্য্যকর এবং আশানুরূপ রেজাল্ট দিয়ে চলেছে হোমিওপ্যাথি।যদিও বয়স ভেদে এবং রোগ জটিলতা অনুসারে একেক জনের ক্ষেত্রে চিকিৎসার রেজাল্ট একেক রকম হয়ে থাকে। কারণ, বলতে গেলে এই রোগীরা থাকে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিডনি বিকল এক দিনেই হয়ে যায় না। এই সমস্যা তৈরী হওয়ার পেছনে বহু বছরের বি-সদৃশ (এলোপ্যাথিক) চিকিৎসা এবং নির্বিচারে বিভিন্ন রাসায়নিক ঔষধের প্রয়োগও দায়ী থাকে।
যদি কেউ ক্রনিক কিডনি ডিসিজ/কিডনি ফেইলিওর সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং যাদের ক্রিয়েটিনিন এর লেভেল অনেক বেশি তারা এলোপ্যাথির পাশাপাশি রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে সুচিকিৎসা নিন।
কিডনি ফেইলিওর ও ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিও ঔষধ
হোমিওপ্যাথিতে কিডনি ফেইলিওর সমস্যায় এবং ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য রয়েছে বহু কার্যকর ঔষধ। এখানে Synthesis Repertory থেকে মাত্র দুটি রুব্রিক থেকে কিছু ঔষধ দেখানো হলো। প্রথমেই আসুন কিডনি ফেইলিওর সমস্যায় বা ক্রনিক কিডনি ডিসিজ এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কার্যকর হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি দেখে নিই-
আবার ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য রয়েছে বহু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ
পেসেন্টের হিস্ট্রি নিয়ে এই ঔষধগুলি থেকে নির্বাচিত মেডিসিন অথবা পেসেন্টের কনস্টিটিউশন অনুযায়ী নির্বাচিত ঔষধ নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগকরা হয়ে থাকে। দ্রুত রেজাল্ট পেতে এবং প্রপার ট্রিটমেন্টের জন্য রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদকিওয়ার্ডস
- কিডনি ফেইলিয়র
- কিডনি রোগের ঔষধ
- কিডনি রোগের লক্ষণ কি কি
- ক্রিয়েটিনিন টেস্ট
- ক্রিয়েটিনিন কেন বাড়ে
- ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
- ক্রিয়েটিনিন ১ ৫
- পলিসিস্টিক কিডনি রোগ
- ক্রনিক কিডনি রোগ
- কিডনি রোগের প্রতিকার
- কিডনি রোগ কেন হয়
- কিডনি রোগের কারন
- কিডনি রোগের চিকিৎসা
- সিরাম ক্রিয়েটিনিন টেস্ট
- ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিও ঔষধ
- সিরাম ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায়
- ডায়ালাইসিসের বিকল্প
- কিডনি ডায়ালাইসিস কিভাবে করে
- ডায়ালাইসিস করার নিয়ম
- ক্রিয়েটিনিন কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
- ডায়ালাইসিস করতে কত টাকা লাগে
- ডায়ালাইসিস রোগীর খাবার তালিকা
- ডায়ালাইসিস ছাড়া কিডনি চিকিৎসা
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤