ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ আইবিডি Inflammatory bowel disease - IBD একটি রূপ হলো Ulcerative Colitis আলসারেটিভ কোলাইটিস। আমাদের কোলন বা বৃহদান্ত্রের প্রদাহকেই মূলত কোলাইটিস বলা হয়ে থাকে। এ রোগ বৃহদান্ত্রের প্রদাহ হয়ে অন্ত্রের মিউকাস মেমব্রেনে ক্ষত সৃষ্টি করে। কোন অঞ্চলে হয়েছে এবং রোগের মাত্রা কেমন তার ওপর নির্ভর করে এর ধরন নির্ণয় করা হয়। যেমন -
পূর্বে ইউরোপ ও আমেরিকায় এ রোগটি দেখা গেলেও আমাদের উপমহাদেশের জনগণের মধ্যে তেমন দেখা যেত না। তাই আমাদের দেশের মানুষের এই অসুখটি সাথে খুব একটা পরিচিতি ছিল না। তবে বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলোর খাদ্যাভ্যাস ও সংস্কৃতি অনুকরণের ফলে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যেও আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং ক্রনস ডিজিজ হতে দেখা যাচ্ছে।
আলসারেটিভ কোলাইটিস হচ্ছে পেটের প্রদাহজনিত যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। এর ফলে কোলনে প্রদাহ ও ঘা হয় যা রোগীর পেটে মর্মান্তিক ব্যথার সৃষ্টি করে। ছোট ছোট আলসার বা ঘা গুলো পুরো কোলনকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। আলসারগুলো একে অন্যের সাথে আটকে থাকে। এই রোগ জীনগত কারণে বা পরিবেশগত কারণে হতে পারে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে -
আলসারেটিভ কোলাইটিস হচ্ছে ইনফ্ল্যামেটোরি বাওয়েল ডিজিজ-এর (আইবিডি) একটা রূপ কিন্তু তা ইরিটেব্ল বাওয়েল সিনড্রোম - আইবিএস বা ক্রনস ডিজিজ থেকে আলাদা। ইরিটেব্ল বাওয়েল সিনড্রোম হলো একটি পরিচিত পেটের পীড়া যা পাতলা পায়খানা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ পেটের আরো কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে। যাই হোক, আলসারেটিভ কোলাইটিস-এ বৃহদন্ত্রের প্রদাহ ঘা এবং ক্ষত দেখা যায়।
সময় মতো চিকিৎসা না করলে বিভিন্ন জটিলতা তৈরী হতে পারে যদিও জটিলতাগুলি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
- আলসারেটিভ প্রক্টাইটিস (Ulcerative proctitis) - রেক্টাম বা মলদ্বার পর্যন্ত সীমিত থাকে
- প্রক্টসিগময়েডাইটিস (Proctosigmoiditis) - রেক্টাম ও সিগময়েড জড়িত
- লেফট সাইডেড কোলাইটিস (Left-sided colitis) - বাঁ দিকের কোলনটি জড়িত
- প্যানকোলাইটিস (Pancolitis) - পুরো কোলনকেই আক্রান্ত করে
- অ্যাকিউট সিভিয়ার আলসারেটিভ কোলাইটিস (Acute severe ulcerative colitis) - পুরো কোলনকেই আক্রান্ত করে
পূর্বে ইউরোপ ও আমেরিকায় এ রোগটি দেখা গেলেও আমাদের উপমহাদেশের জনগণের মধ্যে তেমন দেখা যেত না। তাই আমাদের দেশের মানুষের এই অসুখটি সাথে খুব একটা পরিচিতি ছিল না। তবে বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলোর খাদ্যাভ্যাস ও সংস্কৃতি অনুকরণের ফলে আমাদের দেশের মানুষের মধ্যেও আলসারেটিভ কোলাইটিস এবং ক্রনস ডিজিজ হতে দেখা যাচ্ছে।
আলসারেটিভ কোলাইটিস - উপসর্গসমূহ
- ডায়রিয়ার সাথে রক্ত পড়া বা রক্ত আমাশয় হলো আলসারেটিভ কোলাইটিসের প্রধান লক্ষণ
- রক্ত বা পুঁজ মিশ্রিত পাতলা পায়খানা হতে থাকে
- রোগের তীব্রতা কম থাকলে দিনে মোটামুটি ৪/৫ বার পাতলা পায়খানা হতে পারে
- রোগের তীব্রতা খুব বেশি হলে দিনে ৬-১০ বার পর্যন্ত পায়খানা হতে পারে
- পায়খানার সাথে আমাশাও থাকতে পারে
- মলদ্বার দিয়ে অনেক সময় মিউকাস বের হয়
- পায়খানার বেগ আসা মাত্রই ছুটতে হয়
- তল পেট মোচড় দেয় এবং অনেক সময় তীব্র পায়খানার বেগ হয়
- সাধারণত তলপেটের বাম পাশে ব্যথা থাকে যা পায়খানা হবার পর কিছুটা কমে যায়
- গায়ে জ্বর থাকতে পারে
- পায়খানার সাথে রক্ত যাবার ফলে রোগীর রক্তসল্পতা দেখা দেয়
- মলদ্বারে ব্যথা হতে পারে
- অরুচি, অস্বস্তি হয়, ওজন কমে যেতে পারে
ক্রনস ডিজিজ পরিপাক নালীর যেকোন অংশকে আক্রমণ করতে পারে কিন্তু আলসারেটিভ কোলাইটিস প্রধানতঃ বৃহদন্ত্রের নীচের অংশ (মলদ্বার) আক্রমণ করে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটা সম্পূর্ণ কোলনকে আক্রমণ করতে পারে।
আলসারেটিভ কোলাইটিস - কারণ
আলসারেটিভ কোলাইটিসের নির্দিষ্ট কারণ এখনো অজানা। তবে উপরি উপরি চিন্তা করে যে সব কারণে রোগটি হবার সম্ভাবনা বেশি দেখা যায় সেগুলো হল -
- জিনগত বা পারিবারিক ইতিহাস
- অত্যধিক মানসিক দুশ্চিন্তা
- ইনফেকশন জনিত কারণ
- গ্যাসট্রোএন্টেরাইটিস জনিত কারণ
- অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ
- NSAID গ্রুপের ওষুধ অত্যধিক গ্রহণ
আলসারেটিভ কোলাইটিস - রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা
- রক্ত পরীক্ষা করলে হিমোগ্লবিন কমে যায় এবং ইএসআর বেড়ে যায়
- সিগময়ডোস্কোপি
- কোলোনোস্কপি
- বেরিয়াম ইনেমা
- আলট্রাসনোগ্রাফি
- এমআরআই
- সিআরপি
আলসারেটিভ কোলাইটিস - জটিলতা
- কোলন ক্যান্সার হতে পারে
- দেহের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে, যেমন-কোমর,মেরুদণ্ড, হাঁটু, পায়ের গোড়ালি, হাতের জয়েন্টে
- চামড়ার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লাল দাগ অথবা আলসার হতে পারে
- চোখের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহজনিত রোগ হয়ে অন্ধ হয়ে যেতে পারে
- মুখ, হাত ও পায়ে পানি এসে শরীর ফুলে যেতে পারে এবং
- জন্ডিস হতে পারে, লিভারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে
আলসারেটিভ কোলাইটিস - চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রে আলসারেটিভ কোলাইটিস এর কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই। বর্তমান বিশ্বে এর একমাত্র স্থায়ী চিকিৎসা হল হোমিওপ্যাথি। অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রে এই সমস্যার উপসর্গকে কমিয়ে রাখার চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে এবং জীবন যাত্রার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়ে থাকে। কিন্তু রোগীর নিজের বিস্তারিত জেনে এবং নিকট আত্মীয়ের হিস্ট্রি পর্যালোচনা করে যত্ন নিয়ে চিকিৎসা করলে ধীরে ধীরে এই সমস্যা স্থায়ীভাবে সেরে উঠে এক মাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়।
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤