ভেরিকোসিল Varicocele সার্জারী করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিগুলির প্রায় সবগুলিতেই মূলত স্ক্রোটামের মধ্যে শিরাগুলিতে (Pampiniform plexus veins) রক্ত চলাচল বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। সার্জারি করার পূর্বে স্থানিক চেতনানাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারণত নিন্মোক্ত দুই ধরনের অস্ত্রোপচার বা সার্জারী পদ্ধতি বেশি প্রচলিত -
সার্জারী করার ফলাফল ও ঝুঁকি:
এই প্রক্রিয়ার ফলাফল ও ঝুঁকি:
কোন ভালো এলোপ্যাথিক চিকিৎসকই আপনাকে ভেরিকোসিল সার্জারি করতে বলবে না তারা আপনাকে অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দিবে। যেসব পুরুষদের বয়স ৬০ বছরের উপর তাদের সার্জারি করলে হয়তো তেমন কোন সমস্যা নেই কিন্তু তরুণ এবং যুবকদের ভেরিকোসিল সার্জারি করলে পরিণামে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সারাজীবন ভুগতে হয়।
মাইক্রোস্কোপিক ভেরিকোসিলেক্টমি (Microscopic Varicocelectomy)
এই প্রক্রিয়ায় সার্জন স্ক্রোটামের উপরে ১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত কেটে থাকেন। এটি আবার পেটের দিকে বা কুঁচকির নিচের দিকে কেটেও করা হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট শিরাতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করতে সেটি কেটে দুই পাশ ব্লক করে দেয়া হয় অথবা বেঁধে দেয়া হয়। প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় নেয়।ল্যাপারোস্কপিক ভেরিকোসিলেক্টমি (Laparoscopic Varicocelectomy)
এই প্রক্রিয়ায় মূলত আক্রান্ত শিরাগুলিতে রক্ত চলাচল বন্ধ করতে পেটে চিকন টিউব প্রবেশ করানো হয়ে থাকে এবং আক্রান্ত শিরাতে রক্ত চলাচল বন্ধ করার জন্য দুইপাশ ব্লক করে মাঝে কেটে দেয়া হয়। প্রায় ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যেই এটি সম্পন্ন করা যায়।
- উপরিউক্ত দুটি সার্জারীর ক্ষেত্রেই ফলাফল একই হয়ে থাকে - কারো ক্ষেত্রে ভেরিকোসিল থেকে যায়।
- সার্জারী মূলত ভেরিকোসিলের একটি স্থানীক এবং সাময়িক সমাধান কোন স্থায়ী সমাধান নয়। ভেরিকোসিলের মূল সমস্যা হলো টেস্টিকুলার ভেইনের ভাল্ব অকেজো থাকে কিন্তু এখানে সেটা ঠিক করার কোন ব্যবস্থাই করা হয় না। তাই ব্যথা সাময়িক ভাবে কমলেও ভেরিকোসিল আবার হয়ে যায় অন্যান্য শিরাতে।
- সার্জারি করে সাময়িক কিছুটা আরাম পাওয়া যায় মাত্র। কিছুটা সময় পর আবার আগের থেকে আরো বেশি তীব্রতর আকারে ভেরিকোসিলের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
- সার্জারী করার পর হাইড্রোসিল হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- সার্জারী করার সময় টেস্টিকুলার আর্টারি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
পারকিউটেনিয়াস এম্বোলাইজেশন (Percutaneous Embolization)
এই মূলত মেইন টেস্টিকুলার ভেইনে করা হয়ে থাকে। সেখানে এঞ্জিওগ্রাফিক্যালি শিরাতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করা হয়ে থাকে। প্রথমে মেইন টেস্টিকুলার ভেইনে একটি ক্যাথেটার স্থাপন করা হয়ে থাকে। তারপর বিশেষ ধরণের প্লাগস (যাকে আমরা কয়েল বলে থাকি) স্থাপন করা হয়ে থাকে। দুটি কয়েলের মাধবর্তী স্থানে স্ক্লেরোসেন্ট ফোম (Sclerosant foam) ইনজেক্ট বা প্রবেশ করানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভেইনে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে সেখানে ভেরিকোসিল নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।এই প্রক্রিয়ার ফলাফল ও ঝুঁকি:
- ভেরিকোসিল থেকে যায় কারো কারো ক্ষেত্রে।
- কিছুটা সময় ভালো থাকলেও আবার ভেরিকোসিল হয়ে যায় তখন এর তীব্রতা থাকে বহুগুণ বেশি।
- কয়েল যেখানে স্থাপন করা হয় সেখান থেকে সরে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- সেখানে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ভেরিকোসিল সার্জারি কতটা নিরাপদ ?
সার্জারি মূলত ভেরিকোসিলের স্থায়ী কোন সমাধান নয়। এটি ব্যথা এবং অস্বস্থি লাঘবের একটি সাময়িক ব্যবস্থা মাত্র। সার্জারি করার ২ মাস থেকে ২/৩ বছরের মধ্যেই সমস্যা আরো দ্বিগুন বেগে দেখা দেয়, তবে মাঝের এই সময়টাতে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। যেহেতু এলোপ্যাথিতে ভেরিকোসিলের কোন চিকিৎসা নেই তাই ডাক্তারের কাছে দ্বিতীয়বার গেলে রোগীদের পুনরায় সার্জারি করতে বলা হয় অথবা তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। ঐ সকল ভুক্তভুগী রোগীরা তখন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার আশ্রয় নিয়ে থাকে এবং যথাযথ হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থতা লাভ করে।যে বিষয়গুলি আপনি জেনেছেন -
- ভেরিকোসিল অপারেশন
- ভেরিকোসিল রোগের অপারেশন
- ভেরিকোসিল অপারেশন খরচ
- ভেরিকোসিল থেকে মুক্তি
- ভেরিকোসিল রোগের এলোপ্যাথিক চিকিৎসা
- ভেরিকোসিল এর অপারেশন
- ভেরিকোসিল থেকে মুক্তি
- ভেরিকোসিল সার্জারি
- ভেরিকোসিল এর ক্ষতি
- ভেরিকোসিল রোগের প্রতিকার
- অন্ডকোষের ভেরিকোসিল চিকিৎসা
- ভেরিকোসিল সাজারির পরিনাম কি

ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
যোগাযোগঃ আনোয়ার টাওয়ার, আল-আমিন রোড, কোনাপাড়া, ডেমরা, ঢাকা।
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
যোগাযোগঃ আনোয়ার টাওয়ার, আল-আমিন রোড, কোনাপাড়া, ডেমরা, ঢাকা।
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤