অ্যাকিউট ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস বা অগ্ন্যাশয় প্রদাহের লক্ষণ উপসর্গ এবং জটিলতাগুলি কি কি রয়েছে। রক্তে অ্যামাইলেজের মাত্রা নির্ণয়, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটিস্ক্যান, ইআরসিপি, এমআরসিপি ইত্যাদি মেডিক্যাল টেস্ট করে এই রোগটি নির্ণয় করা হলেও আপনি কিছু শারীরিক আলামত দেখেও বুঝতে পারবেন প্যানক্রিয়াটাইটিস হয়েছে কি না। কোন কারণে আমাদের প্যানক্রিয়াসে আকস্মিক তীব্র প্রদাহ ঘটলে তাকে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস বলা হয়ে থাকে আবার ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর ঘন ঘন পেটে ব্যথা হয়।
এই রোগটিকে একটি মারাত্মক সমস্যা বলে প্রচার করে থেকে এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ, কারণ ইমার্জেন্সি কেইসে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ছাড়া এলোপ্যাথিতে এই রোগ নির্মূলের কোন সুচিকিৎসা নেই। অথচ হোমিওপ্যাথিতে প্যানক্রিয়াটাইটিসকে তেমন কোন জটিল সমস্যা হিসেবে মনে করা হয় না। অর্থাৎ এই রোগ হলে শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। এতে আপনি সব দিক থেকেই নিরাপদ থাকবেন।
তবে এই রোগ থেকে সেরে উঠতে প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাই হলো বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক কার্যকর উপায়। প্যানক্রিয়াটাইটিস এর মতো জটিল প্রকৃতির সমস্যার সুচিকিৎসার জন্য অবশ্যই দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করবেন। আশা করি নিরাশ হবেন না।

প্যানক্রিয়াটাইটিস - লক্ষণ ও উপসর্গ
- পেটের উপরিভাগে এবং পিঠে তীব্র ব্যথা।
- পেট ফুলে যাওয়া।।
- বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
- দ্রুত হৃদস্পন্দন।
- তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি হতে পারে।
- অনেক ক্ষেত্রেই রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়।
- জ্বর হওয়া, ডায়রিয়া হওয়া।
- ওজন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
- অগ্নাশয় বা পিত্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- পিত্তনালি সরু হয়ে গেলে জন্ডিস দেখা দিতে পারে।
- হঠাৎ প্রদাহে রোগী মারাও যেতে পারে।
প্যানক্রিয়াটাইটিস - জটিলতা
- অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কোষে ঘা বা ফোঁড়া তৈরি হওয়া।
- শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণে খিঁচুনি হওয়া।
- অগ্ন্যাশয়-সংলগ্ন অন্ত্রনালি সরু হয়ে যাওয়া।
- অগ্ন্যাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপন্ন তরল পদার্থ জমে জমে এক ধরনের সিস্ট Pancreatic Pseudocyst তৈরি করে।
- জটিলতা হিসেবে রোগীর ডায়াবেটিসও হতে পারে।
- শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে।
- অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে যেমন- কিডনি বিকল হওয়া, লিভার বিকল হওয়া ইত্যাদি।
- পিত্তনালি বন্ধ হয়ে গিয়ে জন্ডিস হতে পারে।
- ভালো হয়ে যাওয়ার পরও অনেক রোগী দীর্ঘমেয়াদি ধীরগতির প্রদাহে আক্রান্ত হতে পারে। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু না হলে রোগী মারা যেতে পারে।
প্যানক্রিয়াটাইটিস - চিকিৎসা
অগ্ন্যাশয়ে হঠাৎ প্রদাহ হলো একটি ইমার্জেন্সি কেইস। এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। মনে রাখতে হবে, আইসিইউ-এর ব্যবস্থা রয়েছে, এমন হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা ভাল। কারণ এ সময়ে হঠাৎই রোগীর বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আইসিইউ বা সিসিইউ জরুরি।
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤