বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯

স্বপ্নদোষ Nocturnal Emission! কখন স্বাস্থ্য সম্মত কখন রোগ এবং চিকিৎসা কি?

ছেলেরা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছালে তাদের বীর্যথলিতে বীর্য এবং অন্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি হয়। সময়ের সাথে সাথে বীর্য ক্রমাগত বীর্যথলিতে জমা হতে থাকে। বীর্যথলির ধারণক্ষমতা পূর্ণ হওয়ার পর নিদ্রারত অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপথে বীর্যপাত ঘটে দেহে বীর্যের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়, একেই স্বপ্নদোষ বলা হয়। স্বপ্নদোষের সময় অনেকে স্বপ্নে অবচেতনভাবে যৌন কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি অবলোকন করেন, তবে উক্ত অনুভূতি ছাড়াও স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষে বীর্যপাতের পরিমাণ কম বা বেশী হতে পারে।

স্বপ্নদোষ নারীদের ক্ষেত্রেও হতে পার, তবে তাঁর মাত্রা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া মেয়েদের স্বপ্নদোষের ফলে সাধারণত বীর্য নির্গত হয় না, ফলে তা স্বপ্নদোষ কিনা সেটি সহজে চিহ্নিত বা নির্ণয় করা যায় না।

স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এটি কোন শারীরিক সমস্যা নয়। এটি প্রজননক্ষম জীব হিসেবে মানব প্রজাতির স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার একটি অংশ। বয়ঃসন্ধিকালে দেহের যৌন বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ধনের ফলাফলস্বরূপ এটি ঘটে থাকে। স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটনের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে স্থান ও বয়সভেদে ব্যাপক বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। কিছু পুরুষ দাবি করেন যে তারা যে সময়কালটিতে সঙ্গম অথবা স্বমেহন কোনভাবেই যৌনকর্মে সক্রিয় হন না, কেবল তখনই এটি ঘটে থাকে।
কিছু পুরুষ তাঁদের টিন এজার বয়সে বা উঠতি কৈশোরে বহুসংখ্যকবার স্বপ্নদোষের সম্মুখীন হয়েছেন, আর বাকি পুরুষদের জীবনে একবারও এটি ঘটেনি। বয়ঃসন্ধিকালে যারা নতুনভাবে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন তারা অনেকেই প্রথমদিকে একে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না এবং আতঙ্ক ও হীনম্মন্যতা বোধ করেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নদোষের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এছাড়াও স্বপ্নদোষ হতে নানা কারণে পারে, যেমন-
  • বয়ঃসন্ধিকালে যৌন হরমোনের আধিক্যের জন্য
  • স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যৌন বিষয়ক চিন্তা করা
  • পর্ণগ্রাফি বা নীল ছবিতে আসক্ত হওয়া
  • যৌন উদ্দীপক বই পড়া
  • শয়নকালের পূর্বে যৌন বিষয়ক চিন্তা করা বা দেখা

স্বপ্নদোষ - স্বাভাবিক মাত্রা

স্বাভাবিক ভাবে সপ্তাতে ১/২ বা মাসে ৫/৬ বার হতে পারে। এছাড়া রাতের বেলা গুরুপাক খাদ্য খেয়ে ঘুমালে পেটের গোলযোগের কারণেও কখনো কখনো হতে পারে।

স্বপ্নদোষ - চিকিৎসা 

স্বপ্নদোষ যদি সপ্তাহে ২ বারের বেশি বা মাসে ৫/৬ বারের বেশি হতে থাকে এবং সেটা ক্রমাগত হতে থাকে তাহলে এটাকে রোগের পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়।  এ অবস্থায় এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন কারণ এর চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি। 
Dr. Delowar Jahan Imran
ডাঃ দেলোয়ার জাহান ইমরান
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (রেজিঃ নং-৩৩৪৪২)
ডিএইচএমএস (বিএইচএমসি এন্ড হসপিটাল), ডিএমএস; ঢাকা
যোগাযোগঃ নিউটাউন হোমিও হল, নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন, সাইনবোর্ড, ডেমরা, ঢাকা
Phone: +88 01671-760874; 01977-602004 (শুধু এপয়েন্টমেন্টের জন্য)
About Me: Profile ➤ Facebook ➤ YouTube ➤