Vital Force লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Vital Force লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০

সুস্বাস্থ্যবান মানুষের ক্ষেত্রে অশরীরী Vital Force ভাইটাল ফোর্সের ভূমিকা কি ?

মানুষের সুস্থাবস্থায় বস্তুগত দেহকে অর্থাৎ শরীরযন্ত্রকে যে শক্তি বাচিঁয়ে রাখে তাকে অপার্থিব বা অশরীরী (Spiritual) স্বয়ংচালিত বা Autocracy জৈবশক্তি বলে। তা অসীম প্রভাবে দেহকে পরিচালিত করে। ইহা অনুভূতি ও কার্যকারিতায় দেহযন্ত্রের যাবতীয় অংশকে সুন্দররূপে ও সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রিত করে। তার ফলেই অনুসন্ধিৎসু, যুক্তিবাদী মানুষ এই জীবন্ত, সুস্থ শরীরযন্ত্রকে মানবজীবনের মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনে স্বাধীনভাবে সমর্থ হয়। - স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।

জৈবশক্তি ব্যতীত জড় দেহ অনুভব করতে, কাজ করতে বা আত্বরক্ষা করতে পারে না। একমাত্র এই অশরীরী সত্তা (জৈবনিক মূলনীতি বা Vital Principal) হতেই জীবনের সর্বপ্রকার অনুভূতি ও কার্যকলাপ উদ্ভুত হয়। সুস্থ এবং অসুস্থ উভয় অবস্থাতে ইহাই এই জড় শরীরযন্ত্রকে সঞ্জীবিত রাখে। - স্যার স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।

একজন আপাতঃ সুস্থ Apparently Healthy মানুষের ক্ষেত্রে Vital Force ভাইটাল ফোর্সের ভূমিকা - 

  • কোন প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই দেহযন্ত্রকে বাচিয়ে রাখে এবং নিয়ন্ত্রণ করে।
  • দেহযন্ত্রের স্বাভাবিক অনুভূতি এবং কার্যকারিতার সমন্বয় সাধন করে।
  • জীবন্ত, সুস্থ শরীরযন্ত্রকে মানবজীবনের মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনে স্বাধীনভাবে নিযুক্ত করতে সমর্থ হয়।
  • রোগ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
ভাইটাল ফোর্স মানব দেহযন্ত্রকে আয়ত্ত এবং নিয়ন্ত্রণে রেখে তার জীবন্ত সত্তাকে অটুট রাখে। ভাইটাল ফোর্সের অধীনে দেহযন্ত্র দৈহিক, মানুষিক বিভিন্ন ধরণের কাজ করে। জীবন্ত দেহযন্ত্রের বিভিন্ন চেতনা বা অনুভূতি এবং শরীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ যেমনঃ শ্বাসপ্রশ্বাস, রক্ত চলাচল, পরিপাক, রেচন এবং অনাক্রমতা (নিরাপত্তা বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা) সব কিছুই ভাইটাল ফোর্সের উপর নির্ভরশীল। দেহযন্ত্রের জীবন্ত সত্তার বিভিন্ন ধরণের প্রকাশ ভাইটাল ফোর্সের উপর নির্ভরশীল।
সুস্বাস্থ্যবান মানুষের ক্ষেত্রে অশরীরী Vital Force ভাইটাল ফোর্সের ভূমিকা কি
ভাইটাল ফোর্স দেহযন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গ, তন্ত্রের শরীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কার্যকলাপ সুশৃঙ্খলভাবে সমন্বয় সাধন করে যেমনঃ হৃদপিন্ড স্পন্দিত হয়, ফুসফুস সম্প্রসারিত এবং সংকোচিত হয়, পরিপাকতন্ত্রের সঞ্চালন হয় ইত্যাদি। কিন্তু মজার ব্যাপার হল একজন সুস্বাস্থের অধিকারী মানুষ কিছুই বুঝতে পারে না যে তার দেহযন্ত্রের মধ্যে কত সব অঙ্গ-তন্ত্র রয়েছে এবং সেগুলির মধ্যে কত দ্রুত কত কিছু প্রতিনিয়ত অবিরাম ঘটেই চলেছে। সুস্বাস্থ্যকর অবস্থায় প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঐ মানুষটির ইচ্ছা অনুসারে পরিচালিত হয় এবং দেহ ও মনের মধ্যে ভারসাম্যতা বজায় থাকে।

স্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে দেহ এবং মনের মধ্যে যথাযথ ভারসাম্য বজায় থাকে বলে মানুষটি নিজেকে মাববজীবনের মহত্তর উদ্দেশ্য সাধনে স্বাধীনভাবে নিযুক্ত করতে সমর্থ হয়। 
সুস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে কোন মানুষ যে কোন ধরণের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সমর্থ হয়। আমাদের পার্থিব অস্তিত্ব প্রতিনিয়ত সহস্র রোগশক্তির কাছে উন্মোচিত অর্থাৎ আমরা সবাই সর্বদা সহস্র রোগশক্তি দ্বারা পরিবেষ্টিত, তা সত্ত্বেও সবাই রোগের কবলে পতিত হয় না বা রোগ যন্ত্রনা ভোগ করি না, কারণ ভাইটাল ফোর্স প্রতিনিয়ত মারাত্মক ক্ষতিকারক রোগ শক্তির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে চলেছে, যার জন্য আমরা সুস্থ থাকি।

ভাইটাল ফোর্সের দুর্বলতার জন্য দায়ী মূলতঃ দুটি ফ্যাক্টর

  • The Endogenous Factor
  • The Exogenous Factor
The Endogenous Factor গুলি জন্মগত (Innate) যা কোন মানুষের মধ্যে আসে বংশগতির মাধ্যমে Incurred from the heredity.
  • দুর্বল ভাইটাল ফোর্স কোন Individual এর মধ্যে আসতে পারে দুর্বল বাবা এবং মা অথবা দুজনের যেকোন একজন থেকে।
  • এক বা একাধিক Predominant প্রকট True disease নিয়ে জন্মাবার ফলে Vital Force দুর্বল হতে পারে।
  • Real Homoeopathic Therapeutic System অনুসরণ করে চিকিৎসা না করা হলে সুপ্ত সোরা Recessive Psoric Miasm প্রাকৃতিক নিয়মে প্রকট হবেই। Psora is the evolution of the state of man's will, the ultimate of his sin অর্থাৎ ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হবেই এবং তখনই অন্যান্য True disease গুলি ক্রমে ক্রমে প্রকট হবে
The Exogenous Factor গুলি হলো পরিবেশের বিভিন্ন অভ্যন্তরীন প্রভাব The various intimate details of the environment factors যা কোন মানুষকে জন্ম থেকে ক্রমাগত এবং নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে প্রভাবিত করতে থাকে যেমনঃ
  • জন্ম হয়েছিল অপরিণত অবস্থায় (আট মাসে), মায়ের রক্তচাপ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় অসময়ে গর্ভপাত করাতে হয়েছিল, তখন মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যায় অর্থাৎ শিশুটি কখনও মায়ের বুকের দুধ পায়নি বলে দুর্বল ভাইটাল ফোর্সের কারণে একের পর এক বিভিন্ন অসুখে কষ্ট পায়। 
  • Acute Infectious disease (Pox/Measles/Typhoid) ইত্যাদিতে ভীষণ কষ্ট পাওয়ার পর ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়, তারপর থেকে বিভিন্ন দৈহিক সমস্যা একের পর এক লেগেই আছে। 
  • মানুষিক আঘাত বা মানুষিক চাপের ফলে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয় যেমনঃ দৈনন্দিন জীবনে কোন দুর্ঘটনা Accident ঘটে যাওয়ার পর (ভালো চাকরিটা চলে গেলো, একমাত্র সন্তানের কঠিন দুরারোগ্য অসুখ ধরা পড়লো বা মারা গেল) ইত্যাদিতে প্রচণ্ড মানুষিক আঘাত। ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হলে রক্তচাপ Blood Pressure বেড়ে গেল, Diabetes ধরা পড়ল, একের পর এক বিভিন্ন সমস্যা শুরু হতে লাগলো। ভীষণ ভয় বা আতঙ্কেও এমন হতে পারে। 
  • পরিবেশের প্রতিকূলতায় ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়। বাসস্থান, কর্মক্ষেত্রে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মনের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং সেটি যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে তাহলে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়। 
  • Superficial Homeopathic Treatment অর্থাৎ যেক্ষেত্রে True disease এর চিকিৎসা না করে Result of the disease এর চিকিৎসা করা হয় অর্থাৎ Patient এর তাৎক্ষণিক Symptoms বা Rubrics কে গুরুত্ব দিয়ে ঔষধ নির্বাচন এবং প্রয়োগ করে কষ্টের উপশম দেয়া হয় ফলে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়। 
  • চিকিৎসা বিভ্রাটের ফলে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয় যেমনঃ 
    • একের পর এক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে বিভিন্ন ঔষধের প্রয়োগ।
    • বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন বা টিকা
    • হাই-পাওয়ারের ক্ষতিকর সব এন্টিবায়োটিক
    • ক্রমাগত বিভিন্ন এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ সেবন
    • ঔষধের ভুল প্রয়োগের ফলে। 
    • ঔষধের পরিমাপ অযৌক্তিক ভাবে বেশি হলে। 
    • ঔষধের Dose এবং Potency মাত্রাতিরিক্ত হলে। 
    • বিভিন্ন Results of the disease এর সমাধান করতে বিভিন্ন ঔষধের এক সঙ্গে প্রয়োগের ফলে এমন ঘটনা ঘটে। 
  • দীঘদিন ধরে বিষাক্ত পানি (Arsenic) যুক্ত এবং বিষাক্ত খাবার খেলেও ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হবে। 
  • নেশা হয় এমন বস্তু Intoxicant দীর্ঘদিন ধরে শরীরে প্রবেশ করলে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়। 
  • রোগগ্রস্থ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করলে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়। 

ভাইটাল ফোর্সের বৈশিষ্ট

  • Spiritual
  • Autocratic
  • Automatic
  • Dynamic
  • Unintelligent and instinctive
Spiritual এর অর্থ অপার্থিব বা অশরীরী Immaterial. ভাইটাল ফোর্স ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নয় অর্থাৎ একে প্রত্যক্ষ করা যায় না Imperceptible অর্থাৎ সূক্ষ্ম Subtle.

ভাইটাল ফোর্সের উপস্থিতি বা অস্তিত্ব বা বাস্তবতাকে উপলব্ধি করা যায় শুধুমাত্র তখনই যখন এটি পার্থিব দেহযন্ত্রের মাধ্যমে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় অংশ নেয়। ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় অংশ নেয় বলতে সর্বোচ্চ কর্তৃত্বকারী হিসেবে নিজের মতো করে দেহযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে দেহযন্ত্রের বিভিন্ন কোষ, কলা, সিস্টেম, অঙ্গপ্রতঙ্গের মধ্যে অখন্ডতা (Integrity) রক্ষা পায়।

বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কেউ কেউ কিভাবে সুস্থ থাকে?

বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করা সত্ত্বেও কোন কোন মানুষ সুস্থ থাকে যার বদান্যতায় Generosity, তার নাম ভাইটাল ফোর্স। এই ভাইটাল ফোর্সের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হলো Automatic or Self-acting যার অর্থ স্বয়ংক্রিয় সত্তা যা দেহযন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখে এবং যেকোন অপশক্তির বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে। এই কাজে যে শক্তির প্রয়োজন তার জন্য ভাইটাল ফোর্সকে কারো উপর নির্ভর করতে হয় না। কারণ এটি স্বাবলম্বী বা আত্মনির্ভরশীল একটি সত্তা অর্থাৎ Self-powered. ভাইটাল ফোর্স সর্বোচ্চ কর্তৃত্বকারী হিসেবে দেহযন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখে বলে একে Autocratic বলে।

এই ভাইটাল ফোর্স দেহযন্ত্রের বিভিন্ন কোষ, কলা, সিস্টেম, অঙ্গপ্রতঙ্গের মধ্যে অখন্ডতা (Integrity) রক্ষা করে। এই গতিশীল সত্তা, ভাইটাল ফোর্স, মানব দেহযন্ত্রের প্রতিটি কোষে, প্রতিটি অনু-পরমাণুতে সমানভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এই গতিশীল সত্তা মানব দেহযন্ত্রকে বিভিন্ন রোগ যন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা করে সদাসর্বদা প্রাণবন্ত Animated রাখে। তাই মানুষের ভাইটাল ফোর্স যদি Healthy থাকে তাহলে ঐ মানবদেহের প্রতিটি অনু-পরমাণু, কোষ, কলা, সিস্টেম, অঙ্গপ্রতঙ্গ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করতে সক্ষম হবে যার জন্য ঐ মানুষটি স্বাচ্ছন্দ Freedom উপভোগ করবে।

এরপরও কোন মানুষ রোগগ্রস্ত হয়, এই রোগগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে একটি মাত্র উপায় রয়েছে - সেটি হলো Real Homeopathic Therapeutic System এর রীতিনীতি কঠোরভাবে Strictly মেনে চিকিৎসা নেয়া বা চিকিৎসা দেয়া। 
বিস্তারিত

মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০

ভাইটাল ফোর্স, DNA, Psora, রোগ সৃষ্টিতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা ও ক্রনিক ডিজিসের চিকিৎসা পদ্ধতি

দুরারোগ্য পীড়া অথবা কোন ক্রনিক ডিজিসে কেউ আক্রান্ত হলে দেখা যায় আক্রান্ত ব্যক্তি খুব সহসাই সুস্থ হচ্ছেন না। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য ট্রিটমেন্ট সিস্টেম মূলত এই সকল সমস্যায় যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় সেগুলির পেছনের ঠিক কারণটি কি সেটা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করে স্থানিক সেই কারণটি ঠিক করার চেষ্টা করে থাকে। দেখা যায় চিকিৎসা দিলে বা ঔষধ খেলে সেই কারণটি দূর হয়ে যাচ্ছে এবং সাথে সমস্যাটিও ঠিক হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঔষধ না খেলে সেটি আবার ফিরে আসে। অর্থাৎ স্থায়ীভাবে রোগ আদৌ নির্মূল হচ্ছে না। এই যে স্থায়ী ভাবে রোগ ভালো হচ্ছে না - এর পেছনের প্রকৃত কারণটি মূলতঃ কি?

এর পেছনের প্রকৃত কারণ হলো - আপনার সমস্যাটি বার বার তৈরী করার পেছনে আরেকটি মূল বা প্রকৃত রোগ অর্থাৎ True Disease দায়ী যেটি রয়েছে আপনার DNA তে, আর সেটি জন্মকালীন সময়েই আপনি পেয়েছেন আপনার পিতা-মাতা থেকে।

DNA এবং এর কাজ কি ?

DNA এর পূর্ণরুপ হলো ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড (Deoxyribonucleic acid). ডিএনএ হলো একটি অণু যা কোনও জীবের বিকাশ, বাঁচতে এবং পূনরুৎপাদন করার প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী ধারণ করে। এই নির্দেশাবলী প্রতিটি সেল বা কোষের ভিতরে পাওয়া যায় এবং এর মাধ্যমে পিতামাতাদের বৈশিষ্ট্য তাদের সন্তানদের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। সুতরাং ডিএনএ হলো এক ধরনের নিউক্লিক এসিড যা ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিনের রাসায়নিক রুপ। এর কাজ নিম্নরুপঃ 
  • ক্রোমোজোমের গাঠনিক উপাদান হিসেবে কাজ করে।
  • বংশগতির আনবিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
  • জীবের সকল বৈশিষ্ট্য ধারন করে এবং নিয়ন্ত্রন করে।
  • জীবের বৈশিষ্ট্যসমূহ বংশ পরম্পরায় পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত করে।
  • জীবের যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটায়।
  • জীবের সকল শারীরতাত্ত্বিক ও জৈবিক কাজকর্মের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
  • মিউটেশনের মাধ্যমে প্রকরন সৃষ্টি করে এবং তা বিবর্তনে মুখ্য কাঁচামাল হিসেবে কাজ।
  • DNA এর কাঠামোয় গোলোযোগ সৃষ্টি হলে, তা সে নিজেই সংশোধন করে।
মনে করুন, শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মিলনে ঘন্টা খানেক হলো একটি জাইগোট তৈরি হয়েছে। সেখানে রয়েছে তার পিতা মাতা উভয়ের থেকে প্রাপ্ত ক্রোমোজোম যা হচ্ছে বংশগতির প্রধান উপাদান অর্থাৎ সেটি হচ্ছে বংশগতির ধারক এবং বাহক। মজার ব্যাপার হলো জাইগোটটির বয়স ১ ঘন্টা হলেও তার ভাইটাল ফোর্সকে ঘিরে যে ক্রোমোজোম রয়েছে তার বয়স কিন্তু কয়েক লক্ষ বছর। 
বিঃদ্রঃ এখানে কয়েক লক্ষ বছর বলতে, লক্ষাধিক বছরের সেই একই ক্রোমোজোমকে বুঝানো হয়নি বরং এর মাধ্যমে পূর্বেকার বহু বছরের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল স্থানান্তরিত হয়েছে বুঝানো হয়েছে। ক্রোমােজোমের কাজ হলাে মাতাপিতা থেকে জিন (যা জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে) সন্তান সন্ততিতে বহন করে নিয়ে যাওয়া। আর জীবের সব দৃশ্য এবং অদৃশ্যমান লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী এককের নাম জিন যার অবস্থান জীবের ক্রোমােজোমে।
কারণ আপনার পিতা মাতা সেগুলি পেয়েছে তাদের পিতা মাতা থাকে আর তারাও পেয়েছে তাদের পূর্ব প্রজন্ম থেকে। অর্থাৎ এর মাধ্যমেই আপনার পিতা-মাতা, দাদা-দাদী বা তারও কয়েক লক্ষ বছর পূর্বের আপনারই পূর্ব প্রজন্ম থেকে সকল রোগের জেনেটিক মেটেরিয়াল অর্জন করে রেখেছেন জন্ম সময় থেকেই। এই রোগগুলির সবকটি সরাসরি আপনার মধ্যে হয়তো প্রকাশিত হবে না। তবে যেটির জেনেটিক মেটেরিয়াল প্রকট থাকবে সেটি নানা প্রকার উপসর্গ প্রকাশ করে আপনাকে কষ্ট দিতে থাকবে, যতদিন না আপনি প্রপার হোমিও ট্রিটমেন্ট নিয়ে সেটিকে ঠিক করছেন। 
"That patient has the same disease he had when he was born" - Dr. James Tyler Kent
আপনার DNA তে বর্তমান True Disease মূলতঃ আপনার শরীরের নানা অঙ্গে বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ তৈরি করবে তার তীব্রতা অনুসারে। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য ট্রিটমেন্ট সিস্টেম মূলতঃ স্থানিক ভাবে প্রকাশিত লক্ষণ ও উপসর্গকে রোগের নাম দিয়ে স্থানিক ভাবে সেগুলির চিকিৎসা করে থাকে তাই সেগুলি স্থায়ীভাবে দূর হয় না বরং সেসকল চিকিৎসা শাস্ত্রের উদ্ভাবিত ওয়ান টাইম ঔষধগুলিই বার বার প্রয়োগ করে করে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। যেমন কোন কারণে আপনার শরীরে সুগার বেড়ে গেলো তাকে ডায়াবেটিস নাম দিয়ে সুগার নিয়ন্ত্রণের চিকিৎসা দিয়ে যাবে কিন্তু ডায়াবেটিস আদৌ নির্মূল হয় না। ঠিক তেমনি ভাবে DNA তে বর্তমান True Disease কর্তৃক শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে সৃষ্টি করা লক্ষণ ও উপসর্গকে আরো বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়ে থাকে যেমনঃ Cancer, Headache, CVA, Bronchitis, Laryngitis, Asthma, Varicocele, Schizophrenia, Constipation, IBS, IBD, Sinusitis, Goiter, Arthritis, Rheumatoid Arthritis, Ankylosing Spondylitis, Cervical Spondylosis, Scoliosis, Anal Fissure, Piles, Anal Fistula, Constipation, Cerebral Palsy, Down SyndromeGangrene ইত্যাদি।
জন্মের সময় প্রাপ্ত True Disease
যতদিন আপনার ভাইটাল ফোর্স শক্তিশালী অবস্থায় থাকবে তত দিন ভেতরের প্রকৃত রোগটি বা জটিল রোগের জেনেটিক মেটেরিয়াল এমনিতেই নিস্তেজ অবস্থায় থাকবে। আর যখন ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়ে যাবে তখন ভেতরের সেই True Disease বা প্রকৃত রোগটি প্রকট হয়ে উঠবে অথবা নানা প্রকার উপসর্গ প্রকাশ করে আপনাকে কষ্ট দিবে। 

ভাইটাল ফোর্স যে যে কারণে দুর্বল হতে পারে 

নিম্নোক্ত কারণে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হলে রোগ জেগে উঠতে পারে
  • বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন বা টিকা
  • হাই-পাওয়ারের ক্ষতিকর সব এন্টিবায়োটিক
  • ক্রমাগত বিভিন্ন এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ সেবন
  • বড় ধরনের শারীরিক আঘাত
  • বড় ধরণের মানসিক আঘাত
  • এছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ না করা, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করা ইত্যাদি
আপনাকে ঠিক রাখছে আপনার ভাইটাল ফোর্স এবং শত-সহস্র জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনাকে রক্ষা করে চলেছে আপনার ভাইটাল ফোর্স। শুধু তাই নয়, রোগাক্রান্ত হলে আপনাকে সুস্থ করে তুলছে আপনার ভাইটাল ফোর্স। রোগ হলে আমরা যে ঔষধ প্রয়োগ করি সেগুলি আপনার ভাইটাল ফোর্সকেই সঞ্জীবিত করে তুলে আর ভাইটাল ফোর্সই আপনাকে সারিয়ে তুলে। - এটা মূলতঃ আল্লাহ পাক প্রদত্ত একটি বিশেষ সেটআপ।

ভাইটাল ফোর্সের বৈশিষ্ট

  • Spiritual
  • Autocratic
  • Automatic
  • Dynamic
  • Unintelligent and instinctive
ভাইটাল ফোর্সের উপস্থিতি বা অস্তিত্ব বা বাস্তবতাকে উপলব্ধি করা যায় শুধুমাত্র তখনই যখন এটি পার্থিব দেহযন্ত্রের মাধ্যমে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় অংশ নেয়। ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় অংশ নেয় বলতে সর্বোচ্চ কর্তৃত্বকারী হিসেবে নিজের মতো করে দেহযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে দেহযন্ত্রের বিভিন্ন কোষ, কলা, সিস্টেম, অঙ্গপ্রতঙ্গের মধ্যে অখন্ডতা (Integrity) রক্ষা পায়। বিস্তারিত আরো দেখুন...

রোগ সৃষ্টিতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা

ধরুন, কিছু বাসি-পঁচা খাবার খেয়ে আপনার পেটের পীড়া হলো। পঁচা খাবারের সাথে যে জীবানু ছিল সেটি মূলত আপনার DNA তে বর্তমান True Disease গুলি থেকে তার Diathesis কেই অর্থাৎ তার স্বজাতীয় True Disease কেই জাগিয়ে তুলবে। অর্থাৎ রোগ আপনার ভেতরেই রয়েছে আপনি যদি পরিবেশ তৈরী করে দেন তাহলে প্রচ্ছন্ন অবস্থা থেকেও তা জেগে উঠবে। 
অর্থাৎ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া কোন রোগ সৃষ্টি করে না, এগুলি হলো রোগের চূড়ান্ত অবস্থার একটি বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
DNA তে বর্তমান True Disease
আধুনিক বিজ্ঞানে বিভিন্ন রোগের কারণ বা উৎস হিসেবে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করা হয় যদিও হোমিওপ্যাথিক বাস্তব অভিজ্ঞতা ভিন্ন করা বলে। হোমিওপ্যাথিক দর্শন অনুসারে, কোন মানুষ অসুস্থ হতে হলে বিশেষ সত্তা অর্থাৎ প্রকট Psoric Miasm এর উপস্থিতি প্রয়োজন। Psoric Miasm প্রকট হলে Vital Force বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত (Disordered) হয়। এই বিশৃঙ্খল বা বিকৃতি যখন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় তখন মানুষটি রোগগ্রস্থ হয়। এই অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করলে বিভিন্ন Virus বা Bacteria এর উপস্থিতির প্রমান পাওয়া যায়।

অন্য কথায় Vital Force যেহেতু অশরীরী (Spiritual), স্বয়ংক্রিয় (Automatic) চিরগতিশীল (Dynamic) একটি সত্তা। সুতরাং বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত করতে পারে শুধুমাত্র অনুরূপ জীবন বিরোধী রোগজনক রূপান্তর সাধক অশরীরী সত্তার (Morbific agent inimical to life) গতিশীল প্রভাব (Dynamic influence)।এক্ষেত্রে Vital Force কে বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত করতে বা Psoric Miasm কে প্রকট করতে Virus/Bacteria এর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন সম্পর্ক নেই।
Virus বা Bacteria হচ্ছে উদ্ভুত পরিস্থিতি জাত ফল বা রোগজাত সত্তা। রোগের সর্বশেষ বা চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে Virus তার আকৃতি এবং প্রকৃতিগত ভয়ঙ্কর সত্তাকে প্রদর্শন করে। চূড়ান্ত পরিস্থিতির কারণ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া নয় বরং অশরীরী বা অপার্থিব কোন সত্তা।
কোন মানুষ অসুস্থ বা রোগগ্রস্থ হতে হলে অভ্যন্তরীন মানুষটির (Inner Man)মধ্যে বিশেষ সত্তার উপস্থিতির প্রয়োজন যা Vital Force কে বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত করে শরীরযন্ত্রে কষ্টকর অনুভূতি সমূহের সৃষ্টি করে এবং রকমারী অনিয়মিত ক্রিয়াকলাপের জন্ম দেয়, যাকে রোগ বলে অবহিত করা হয়। বিশেষ সত্তা প্রকৃত পক্ষে Psoric Miasm এর প্রকট অবস্থা যার উপস্থিতি ছাড়া Acute বা Chronic কোন রোগেই আক্রান্ত হওয়া একেবারে অসম্ভব।
Had Psora never ben establish as a miasm upon the human race, the other two chronic disease would have been impossible, .... All the diseases of man are build upon psora; hence it is the foundation of sickness; all other sickness came afterwards. -- [James Tyler Kent]
প্রকৃতপক্ষে Psora প্রকট হলে Vital Force disordered বিশৃঙ্খলাগ্রস্ত হতে শুরু করে, এই বিশৃঙ্খলা বা বিকৃতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে মানুষ রোগাক্রান্ত হয়।

Psora বা Psoric Miasm সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা

Psora বা Psoric Miasm হচ্ছে কোন মানুষের ভাবনা চিন্তার উর্দ্ধতন বা ক্রমবিকাশ। একটি মানুষের ভাবনা-চিন্তা যতক্ষণ Healthy বা Positive থাকে ঐ মানুষটির মধ্যে অবস্থানকারী Psora বা Psoric Miasm প্রচ্ছন্ন Recessive থাকে। এই সময় জীবন বিরোধী কোন শক্তি ভাইটাল ফোর্সকে বিশৃঙ্খলাগ্রস্থ করতে পারে না। তখন মানুষটি পূর্ণ স্বাচ্ছন্দবোধ উপভোগ করেন এবং মানুষটিকে Healthy Individual বলা যেতে পারে। ক্রমে ক্রমে কোন মানুষের ভাবনা-চিন্তার যখন বিকৃতি হতে থাকে যার অর্থ হলো Psora প্রকট হতে শুরু করে, তখন Vital Force বিশৃঙ্খলাগ্রস্থ হতে শুরু করে অর্থাৎ অসুস্থতা শুরু হয় এবং বাড়তে থাকে। এরপর বিকৃতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে শরীরযন্ত্রে কষ্টকর অনুভূতিসমূহের সৃষ্টি হয় এবং রকমারী অনিয়মিত ক্রিয়াকলাপের জন্ম হয়, যাকে রোগ Disease বলে অভিহিত করা হয়।
Psora is the evolution of the state of man's will, the ultimate of his sin.

কিন্তু ভাইটাল ফোর্সের প্রাথমিক বিশৃঙ্খলাগ্রস্থ অবস্থায় মানুষটির অনুভুতিতে বিরূপ পরিবর্তনের সূচনা করলেও তখনই সেই পরিবর্তন জীবন্ত দেহযন্ত্রে বাহ্যিকভাবে প্রকাশিত হয় না, তবে রোগী নিজে জীবন বিরোধী পরিবর্তন অনুভব করতে পারে। তবে চিকিৎসক যদি যথেষ্ট দূরদর্শী, জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হন তাহলে মানুষটির বিভিন্ন বিশৃঙ্খল আচার আচরণ এবং সেগুলির অর্থ ঐ চিকিৎসকের গোচরে আসবেই। আবার আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে - ভাইটাল ফোর্স অস্বাভাবিকভাবে বিকৃত হলে শরীরযন্ত্রে কষ্টকর অনুভুতিসমূহের সৃষ্টি করে এবং রকমারী অনিয়মিত ক্রিয়াকলাপের জন্ম হয়, যাকে রোগ Disease বলে অভিহিত করা হয়।

ক্রনিক ডিজিসের কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি কি?

সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন, প্যাথলজি টেষ্টে ধরা পড়ার সময় বা তার কিছু দিন আগেই কিন্তু কোন রোগ জন্মায় না, রোগের উৎপত্তি হয়েছিল ঐ ব্যাক্তি মাতৃগর্ভে ভ্রূণরূপে জন্ম নেবার সময়, যা রোগীর জেনেটিক হিস্ট্রি ও আচরণ থেকে অনেক আগেই একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক নির্ণয় করতে ও চিকিৎসা দিতে পারেন ।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, যান্ত্রিক সভ‍্যতায় নিজেদের অতি আধুনিক মনে করা মানব সমাজ শারীরিক ও মানসিক কষ্টে ভোগার পরেও, কেবলমাত্র যান্ত্রিক প্যাথলজি বা কিছু মেডিক্যাল টেষ্টের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করে। ততদিনে যা কিছু ধ্বংস হবার তা হয়ে যায়। পরবর্তীকালে তা ঠেকিয়ে রাখতে চিকিৎসার নামে যে সকল ব‍্যবস্থা নেয়া হয়, তা মোটেও বাঁচার উপায় নয়। তা তিলে তিলে মৃত্যুরই ছায়া মাত্র বা প্রলয়ঙ্কারী ঝড়ের মাঝে সামান্য পাতার ছাউনি স্বরূপ।
এখন প্রশ্ন হলো "অতি আধুনিক বিজ্ঞান কোনটি?"
  • সারাজীবন ধরে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণায় ভোগান্তির চরম সীমায় পৌঁছানোর পরে কয়েক দফায় প্যাথলজি টেষ্টের রিপোর্ট অনুযায়ী রোগ ধরা পড়া?
  • নাকি রোগীর শারীরিক, মানসিক, আচরণগত  কষ্টের লক্ষণ এবং জেনেটিক হিস্ট্রি ইত্যাদি বিচারে DNA তে থাকা True Disease বা প্রকৃত রোগটি নির্ণয় করে প্যাথলজি টেষ্টের অনেক আগেই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া ব্যাক্তির ভবিষ্যতে ক‍্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগ হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পূর্ববর্তী চিকিৎসার মাধ্যমেই  তা আগে থেকেই রোধ করা?
আবার রোগাক্রান্ত হওয়ার পর, বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট সিস্টেম রোগ নির্ণয়ের জন্য শত প্রকার মেডিক্যাল টেস্ট করেই আপনাকে ঔষধ দিচ্ছে কিন্তু আদৌ আপনি ভালো হচ্ছেন না। এর কারণ মূলত আপনার DNA তে থাকা True Disease বা প্রকৃত রোগটি যার চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি ছাড়া আর কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমই ঠিক ভাবে দিতে পারে না। এই প্রকৃত রোগগুলি ভাইটাল ফোর্সকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী বাধা বা দেয়াল তৈরী করে রাখে। 
ভাইটাল ফোর্সকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী বাধা বা দেয়াল
যেহেতু একেক জনের ক্ষেত্রে একেক প্রকার True Disease প্রি-ডোমিনেন্ট থাকে তাই একেক জনের ক্ষেত্রে ভাইটাল ফোর্সকে কেন্দ্র করে তৈরীকৃত বাধার ধরণটাও একেক রকম। দেখবেন, একই রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথচ একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম লক্ষণ ও উপসর্গ তৈরি হচ্ছে। একজন দক্ষ হোমিও চিকিৎসক হোমিওপ্যাথির নিয়মনীতি অনুসারে ইনভেস্টিগেশন করে মূলত পেসেন্টের DNA তে  প্রি-ডোমিনেন্ট True Disease কে নির্ণয় করবেন এবং সে আলোকেই ডাইনানিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রয়োগ করে সবগুলি বাধা ভেঙে আপনার দুর্বল ভাইটাল ফোর্সকে শক্তিশালী করবেন। তখন দেখবেন আপনি যে রোগেই আক্রান্ত থাকেন না কেন আর সেগুলি যত প্রকার উপসর্গই প্রকাশ করুক না কেন একে একে সবগুলি দূর হয়ে আপনার মধ্যে সুস্বাস্থ্য ফিরে আসবে ইনশা-আল্লাহ। 

নানা প্রকার সুপারফিশিয়াল বা উপরি উপরি চিন্তা করে অথবা নানা প্রকার মেডিক্যাল টেস্ট করে একটি সমস্যার ঠিক পেছনের কারণটি নির্ণয়ের চেষ্টা করা হয়ে থাকে আর সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে। কিন্তু এক্ষেত্রে রোগ কিন্তু কখনও নির্মূল করা সম্ভব হয়না সাময়িক আরাম পাওয়া যায় মাত্র। আমাদের এলোপ্যাথিক সিস্টেমে মূলত রোগের স্থানিক কারণ নির্ণয় করেই চিকিৎসা দেয়া হয়। তাই সেটি না পেলে এলোপ্যাথিতে রোগের চিকিৎসাও হয় না ঠিক ঠাক ভাবে।
যেহেতু এলোপ্যাথিসহ অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রে উপরি উপরি অর্থাৎ ঐ স্থানের বর্তমান অবস্থা চিন্তা করে রোগের চিকিৎসা দেয়া হয় তাই সাময়িক একটু উপশম ছাড়া ক্রনিক রোগ আদৌ নির্মূল হয় না। যেমন ক্রনিক অবস্থায় আইবিএস বা আইবিডি তে পাতলা পায়খানা, আমাশয় বা কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তাৎক্ষনিক ভাবে সেটা ঠিক করার ঔষধ দেয়া হয়। সমস্যা সাময়িক ঠিক হয়ে রোগী আরাম পায় বটে কিন্তু ঔষধ না খেলেই সমস্যা আবার দেখা দেয়। কারণ সেই ঔষধগুলি স্থানিক লক্ষণের ভিত্তিতে প্রয়োগ করা হয়, বলতে গেলে সেগুলি ওয়ান টাইম মেডিসিন। আর ওয়ান টাইম ঔষধগুলি যদি আপনি দিনের পর দিন আপনার শরীরে প্রয়োগ করতে থাকেন তাহলে সেগুলি আপনার মধ্যে PTS - Post Trauma Syndrome (লিংকে ক্লিক করে আর্টিকেলটি পড়ুন) তৈরি করবে। আপনার ইন্টারনাল ভাইটাল অর্গানগুলি দিনের পর দিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হতে থাকবে সাথে সাথে আপনার ভাইটাল ফোর্সও দুর্বল থেকে দুর্বলতর হতে থাকবে। ফলশ্রুতিতে আপনার মধ্যে আরো নতুন নতুন রোগের লক্ষণ ও  উপসর্গ জেগে উঠতে থাকবে। 

এ দেশের অধিকাংশ মানুষই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কে খুব ভালো জ্ঞান রাখনে না বিধায় এলোপ্যাথি এবং হোমিওপ্যাথির পার্থক্য তারা বুঝেন না। ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রয়োগ করতে হয় পেসেন্টের DNA তে সক্রিয় True Disease এর অবস্থার আলোকে। এর জন্য দরকার হোমিওপ্যাথিক প্রিন্সিপ্যাল অনুযায়ী রোগ নির্ণয়। তাই এক্ষেত্রে এলোপ্যাথিতে রোগের স্থানিক কারণ নির্ণয়ের জন্য যে মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়ে থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলির তেমন কোন প্রয়োজন পড়ে না। ভিডিওটি দেখুন আরো কিছু বলা আছে বিস্তারিত ভাবে। ধন্যবাদ।
বিস্তারিত