পুরুষের স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পুরুষের স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯

টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষের ক্যান্সার Testicular Cancer ! পুরুষদের একটি ভয়াবহ রোগ

টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষের ক্যান্সার Testicular Cancer মূলত পুরুষদের একটি ভয়াবহ রোগ।  এর আগের একটি আর্টিকেলে অন্ডকোষের টিউমার সম্পর্কে আলোকপাত করেছিলাম। শুধু পুরুষকে আক্রান্ত করে এমন এক ক্যান্সার হলো টেস্টিকুলার বা অণ্ডকোষের ক্যান্সার। পৃথিবীতে প্রতি ২৬৩ জন পুরুষের মাঝে একজন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। লক্ষণগুলো সহজে ধরা যায় না বলে এই রোগ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আসুন  টেস্টিকুলার ক্যান্সারের লক্ষণগুলি -

অণ্ডকোষে ব্যথাহীন একটি পিণ্ড : এই ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো টেস্টিকল বা অণ্ডকোষে ব্যথাহীন একটি লাম্প বা পিণ্ড। এতে কোনো ধরণের ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা যায় না, ফলে তা খেয়াল করেন না অনেকে। অণ্ডকোষে কোনো পিণ্ড তৈরি হয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
অণ্ডকোষ বা অণ্ডথলি ভারী অনুভূত হওয়া : কোনো পিণ্ড না থাকলেও অনেক পুরুষের কাছে অণ্ডথলি বা স্ক্রোটাম ভারী অনুভূত হতে পারে, চাপা ব্যথাও হতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারকে জানান এ লক্ষণটি।

সময়ের আগেই বয়ঃসন্ধি : টেস্টিকুলার ক্যান্সার শুধু বয়স্কদেরই নয়, বরং টিনেজার বা বয়ঃসন্ধিকালের কিশোরদেরও হতে পারে। অন্য কিশোরদের তুলনায় আগে বয়ঃসন্ধির লক্ষণ যেমন স্বরভঙ্গ এবং গোঁফ-দাড়ি গজানোটা টেস্টিকুলার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

স্তনে ব্যথা : অনেকেই ভাবতে পারেন বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে শুধু নারীদের স্তনে ব্যথা হয়। কিন্তু টেস্টিকুলার ক্যান্সারের কারণে পুরুষের স্তনে ব্যথা এমনকি তরল নিঃসরণ হতে পারে। কিন্তু কেন? অণ্ডকোষে টিউমার হলে সেখানে এক ধরণের প্রোটিন তৈরি হয় যা স্তনে এসব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এ ঘটনায় বিব্রত না হয়ে অতিসত্বর তা ডাক্তারকে জানানো উচিত।
অণ্ডকোষের আকার পরিবর্তন : একটি অণ্ডকোষের তুলনায় অন্যটি ছোট বা বড় হওয়া, ফুলে যাওয়া বা একদিকে ঝুলে যাওয়া টেস্টিকুলার ক্যান্সারের উপসর্গ।

অণ্ডথলিতে পানি আসা : অণ্ডথলি বা স্ক্রোটামে পানি আসা স্বাভাবিক, কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে এই অবস্থা বজায় থাকাটা নিঃসন্দেহে অস্বাভাবিক। টিউমার থাকলে এমনটা হতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে  অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।

পিঠে ব্যথা ও কাশি :  ক্যান্সার যখন মেটাস্টেসিস প্রক্রিয়ায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়ায় তখন এর একটি লক্ষণ হতে পারে পিঠে ব্যথা, কাশি এমনকি ঘাড়ে ফুলে থাকা পিণ্ড। শরীরের যে কোনো স্থানে পিণ্ড দেখা দিলেই তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরী। কারণ এর অর্থ হতে পারে আপনার টেস্টিকুলার ক্যান্সার আছে এবং তা ছড়িয়ে পড়েছে।

তলপেটে ব্যথা: টেস্টিকুলার ক্যান্সার বেড়ে যাবার আরেকটি উপসর্গ হতে পারে তলপেতে ব্যথা। ফুলে যাওয়া লিম্ফ নোড এবং লিভারে এই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে।

এসব লক্ষণের যে কোনো একটি বা কয়েকটি শনাক্ত করতে পারলে অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারকে জানান দ্রুত। যত দ্রুত চিকিত্‍সা শুরু করতে পারেন, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ততই বেশি। পুরুষের টেস্টিস বা অন্ডকোষ সংক্রান্ত যত সমস্যাগুলি হয়ে থাকে মূলত সেগুলির তেমন কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। সেগুলির অধিকাংশগুলিই সার্জারি করে ঠিক করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে যদিও এই স্থানে সার্জারি ততটা নিরাপদ নয়। তবে টেস্টিস বা অন্ডকোষ সংক্রান্ত রোগের উন্নত চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। এর জন্য অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
বিস্তারিত

বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৯

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst পুরুষদের অন্ডকোষের রোগ ! উপসর্গ ও জটিলতা

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst পুরুষদের অন্ডকোষের রোগ। পুরুষদের প্রতিটি টেস্টিসের বা অণ্ডকোষের উপরের অংশ যেখানে শুক্রাণু সংরক্ষিত হয় তাকে এপিডিডাইমিস বলে। এর মাধ্যমে শুক্রাণু টেস্টিকল থেকে স্পার্মাটিক নালীতে যেয়ে থাকে। এতে কোন ধরনের অস্বাভাবিক থলি বা সিস্ট ডেভেলপ করলেই তাকে এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst বলা হয়।
জেনে নিনঃ  অন্ডথলিতে টিউমারের মতো ছোট ছোট গুটি - সেবাসিয়াস সিস্ট 

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst উপসর্গ

ছোট আকারের কারণে প্রথমে এপিডিডাইমাল সিস্টের লক্ষণগুলি অনেকের ক্ষেত্রেই বুঝা যায় না। তার বৃদ্ধির সময় ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে, এক সময় প্রসারিত সিস্টটি স্নায়ু এবং রক্তনালীগুলি সংকুচিত করতে শুরু করে। আরো যে যে লক্ষণগুলি দেখা যায়-
  • অণ্ডকোষে বা এপিডিডাইমিসে ব্যথা হয়
  • অণ্ডকোষ বা কুঁচকি ফোলে যেতে পারে
  • স্থানটি গরম হয়ে থাকতে পারে
  • মলত্যাগ করার সময় ব্যথা অনুভব করুন
  • বীর্যপাতের সময় বা যৌন মিলনের সময় ব্যথা
  • কারো কারো ক্ষেত্রে জ্বালাপোড়া হতে পারে
  • বেশি বড় হয়ে গেলে হাঁটতে অসুবিধা
  • জ্বর এবং আরও প্রদাহ হতে পারে

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst জটিলতা

কারো কারো ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে তীব্র ইনফ্লামেশন তৈরি করে তাদের শুক্রাণু এবং টেস্টোস্টেরোন হরমোন উৎপাদনে বাধাগ্রস্থ হয়ে থাকে। বেশি বড় হয়ে গেলে অবস্ট্রাক্টিভ এজোস্পার্মিয়া বা পুরুদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরী হয়ে থাকে। তাই ঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে বহু ক্ষেত্রেই জটিল সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst চিকিৎসা

এলোপ্যাথিতে এই সমস্যা নির্মূলের কোন চিকিৎসা নেই। তাই এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ এটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরেকটি শাখা সার্জারিতে ট্র্যান্সফার করে থাকে। কিন্তু সার্জারি করে এটি দূর করা হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যাটি আবার হতে দেখা যায়। তবে এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst নির্মূলের একটি কার্যকর চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। প্রথম পর্যায়ে এই সমস্যার ভালো একটি হোমিও চিকিৎসা নিলে অতি দ্রুত এই রোগ নির্মূল হয়ে যায়। কিন্তু বহু দিন যাবৎ ভুগতে থাকার পর অর্থাৎ ক্রনিক অবস্থায় এই রোগের হোমিও চিকিৎসা নিলে এই ভালো হতে বেশ সময় নিয়ে নেয়। তাই শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। 
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৯

স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে টিউমার Spermatic Cord Cyst or Tumor চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি

পুরুষদের স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে অনেকের ক্ষেত্রে সিস্ট এবং টিউমার হতে দেখা যায়। ঠিক কি কারণে Spermatic Cord Tumor হয় এর সঠিক কারণ অনেক ক্ষেত্রেই জানা যায় না। তবে অনেকের ক্ষেত্রে আঘাতের ফলেও এই টিউমার তৈরী হতে পারে। যখন এই সমস্যা হয় তখন অনেক পুরুষই বিষয়টি আমলে নেন না। এক সময় এটি তাদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও তৈরী করতে পারে। এখানে যে টিউমারগুলি হয়ে থাকে তাদের অধিকাংশই বিনাইন প্রকৃতির। যেমন লাইপোমা। তবে দেখা গেছে প্রায় ২৫% ক্ষেত্রে মালিগন্যান্ট প্রকৃতির কিছু টিউমার হয়ে থাকে। যেমন -
  • Liposarcoma
  • Leiomyosarcoma
  • Rhabdomyosarcoma
  • Malignant fibrous histiocytoma
  • Fibrosarcoma
স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে টিউমার হলে কি কি লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে আসুন জেনে নেই -
  • স্পার্মাটিক কর্ডে ফোলা অনুভূত হবে 
  • কারো ক্ষেত্রে শক্ত এবং কারো ক্ষেত্রে কিছুটা নরম অনুভত হতে পারে 
  • কারো ক্ষেত্রে ব্যথা অনুভত হতে পারে আবার কারো ক্ষেত্রে ব্যথা থাকে না
  • কারো ক্ষেত্রে শিরার পাশাপাশি অন্ডোকোষেও ব্যথা হতে পারে 
  • ইনফ্লামেশন বেশি থাকলে  অন্ডোকোষ ফোলে যেতে পারে 
স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে টিউমার হলে অবস্ট্রাক্টিভ এজোস্পারমিয়া বা একপ্রকার পুরুষ বন্ধ্যাত্ব হতে পারে। সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা না নিলে এটি বেশ জটিল আকার ধারণ করে। এই সমস্যা নির্মূলের মূলত কোন ভালো এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। স্পার্মাটিক কর্ড বা শুক্রবাহী নালীতে টিউমার Spermatic Cord Tumor নির্মূলের উন্নত চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ ক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী। 
বিস্তারিত

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

টেস্টিস বা অন্ডকোষের টিউমার ! স্থায়ী মুক্তি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

পুরুষদের টেস্টিস বা অন্ডকোষে যখন টিউমার হয় তখন তাকে Testicular Tumor বলা হয়ে থাকে। টেস্টিস বা অন্ডকোষের টিউমার হয় এর প্রকৃত কারণ অজানা। অন্ডকোষের বা টেস্টিকুলার টিউমার মূলত ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রেই বেশি হতে দেখা যায়।
অন্ডথলিতে টিউমারের মতো ছোট ছোট গুটি - সেবাসিয়াস সিস্ট!!
এখানে বিভিন্ন প্রকারের টিউমার হতে দেখা যায়। Germ cell tumors (95%) যেগুলির মধ্যে রয়েছে Seminoma tumor (40%) এবং Nonseminoma tumors 60% এর মধ্যে রয়েছে Embryonal carcinoma, Teratoma, Testicular choriocarcinoma, Yolk sac tumor, Mixed germ cell tumors তারপর আরেক প্রকারের মধ্যে রয়েছে Non germ cell tumors (5%) এখানে রয়েছে Leydig cell tumors, Sertoli cell tumors এবং Secondary testicular tumors যেমন Lymphoma. যখন অন্ডকোষে টিউমার হয় তখন মূলত টেস্টিস হঠাৎ করে ফুলে যায়, অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যায়। কারো ক্ষেত্রে ব্যথা থাকে কারো ক্ষেত্রে থাকে না।
টেস্টিস বা অন্ডকোষের টিউমার - লক্ষণসমূহ
  • টেস্টিসের অস্বাভাবিকভাবে বড় হওয়া
  • টেস্টিস হঠ্যাৎ ফুলে যাওয়া
  • বেশিরভাগ সময় ব্যথা থাকে না
  • কখনও কখনও প্রচন্ড ব্যথা নিয়েও আসতে পারে
  • ছোট বাদাম আকার থেকে কোকোনাট সাইজ পর্যন্ত হতে পারে
  • দূরবর্তী স্থানে ছড়াইয়া পরতে পারে যেমনঃ পেটে, গলায়, ফুসফুসে ইত্যাদি স্থান
  • স্তন ফুলে যেতে পারে
টেস্টিস বা অন্ডকোষের টিউমার - চিকিৎসা 
এই সমস্যার তেমন কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা না থাকলেও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অন্ডকোষের টিউমার দূর হয়ে যায়।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

যুবকদের যৌন সমস্যা নির্মূলের অব্যর্থ চিকিৎসা রয়েছে 100% Natural

প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশেন বা সহবাসে স্থায়িত্বের অভাব, ইরেকশন ফেইলিউর বা পুরুষাঙ্গের উত্থানে দুর্বলতা, পেনিট্রেশন ফেইলিউর বা যৌনাঙ্গ ছেদনে অক্ষমতা। উত্থান জনিত সমস্যা, ইরেকশন সমস্যা সমাধান, পুরুষত্বহীনতা দূর করার উপায়, ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা, শীঘ্রপতন বন্ধ করার ঔষধ, ইরেকটাইল ডিসফাংশন এর সমাধান হলো যথাযথ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করা। তবে এর জন্য এমন একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া দরকার যিনি ক্লাসিক্যাল, ক্লিনিক্যাল এবং কমপ্লেক্স হোমিওপ্যাথিতে পারদর্শী।

পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা আজকাল আমাদের সমাজে প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন সমস্যা।অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। এতে বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার। এই সমস্যা দূর করতে গিয়ে ৮০% তরুণরাই ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন এবং অকালে হারাচ্ছেন জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ। আপনার মনে রাখা জরুরী। পুরুষ ও মহিলাদের যৌন সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিরাময়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং অব্যর্থ চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি।
বিস্তারিত

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পুরুষদের অন্ডকোষের জটিল রোগসমূহ | অন্ডকোষের রোগব্যাধি VS পুরুষ বন্ধ্যাত্ব

পুরুষদের কিছু জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে যেগুলির সময় মত চিকিৎসা না নিলে জীবনভর ভুগতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো অধিকতর জটিলতা তৈরী করে থাকে। তাই প্রত্যেক পুরুষকেই বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে রাখা দরকর। Low Testosterone, Low Sexual Desire, Low Sperm Count, Azoospermia, Orchitis, Varicocele, Spermatocele, Hydrocele, Epididymitis, Testicular Atrophy, Testicular Microlithiasis 
এই সকল সমস্যার ভাল এলোপ্যাথিক চিকিৎসা না থাকলেও উন্নত হোমিও চিকিৎসা রয়েছে। তবে এর জন অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯

স্বপ্নদোষ Nocturnal Emission! কখন স্বাস্থ্য সম্মত কখন রোগ এবং চিকিৎসা কি?

ছেলেরা বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছালে তাদের বীর্যথলিতে বীর্য এবং অন্ডকোষে শুক্রাণু তৈরি হয়। সময়ের সাথে সাথে বীর্য ক্রমাগত বীর্যথলিতে জমা হতে থাকে। বীর্যথলির ধারণক্ষমতা পূর্ণ হওয়ার পর নিদ্রারত অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে বীর্যপথে বীর্যপাত ঘটে দেহে বীর্যের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়, একেই স্বপ্নদোষ বলা হয়। স্বপ্নদোষের সময় অনেকে স্বপ্নে অবচেতনভাবে যৌন কর্মকাণ্ডের প্রতিচ্ছবি অবলোকন করেন, তবে উক্ত অনুভূতি ছাড়াও স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষে বীর্যপাতের পরিমাণ কম বা বেশী হতে পারে।

স্বপ্নদোষ নারীদের ক্ষেত্রেও হতে পার, তবে তাঁর মাত্রা পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া মেয়েদের স্বপ্নদোষের ফলে সাধারণত বীর্য নির্গত হয় না, ফলে তা স্বপ্নদোষ কিনা সেটি সহজে চিহ্নিত বা নির্ণয় করা যায় না।

স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এটি কোন শারীরিক সমস্যা নয়। এটি প্রজননক্ষম জীব হিসেবে মানব প্রজাতির স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার একটি অংশ। বয়ঃসন্ধিকালে দেহের যৌন বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ধনের ফলাফলস্বরূপ এটি ঘটে থাকে। স্বপ্নদোষ সঙ্ঘটনের ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে স্থান ও বয়সভেদে ব্যাপক বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। কিছু পুরুষ দাবি করেন যে তারা যে সময়কালটিতে সঙ্গম অথবা স্বমেহন কোনভাবেই যৌনকর্মে সক্রিয় হন না, কেবল তখনই এটি ঘটে থাকে।
কিছু পুরুষ তাঁদের টিন এজার বয়সে বা উঠতি কৈশোরে বহুসংখ্যকবার স্বপ্নদোষের সম্মুখীন হয়েছেন, আর বাকি পুরুষদের জীবনে একবারও এটি ঘটেনি। বয়ঃসন্ধিকালে যারা নতুনভাবে স্বপ্নদোষের অভিজ্ঞতা লাভ করেন তারা অনেকেই প্রথমদিকে একে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না এবং আতঙ্ক ও হীনম্মন্যতা বোধ করেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বপ্নদোষের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এছাড়াও স্বপ্নদোষ হতে নানা কারণে পারে, যেমন-
  • বয়ঃসন্ধিকালে যৌন হরমোনের আধিক্যের জন্য
  • স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যৌন বিষয়ক চিন্তা করা
  • পর্ণগ্রাফি বা নীল ছবিতে আসক্ত হওয়া
  • যৌন উদ্দীপক বই পড়া
  • শয়নকালের পূর্বে যৌন বিষয়ক চিন্তা করা বা দেখা

স্বপ্নদোষ - স্বাভাবিক মাত্রা

স্বাভাবিক ভাবে সপ্তাতে ১/২ বা মাসে ৫/৬ বার হতে পারে। এছাড়া রাতের বেলা গুরুপাক খাদ্য খেয়ে ঘুমালে পেটের গোলযোগের কারণেও কখনো কখনো হতে পারে।

স্বপ্নদোষ - চিকিৎসা 

স্বপ্নদোষ যদি সপ্তাহে ২ বারের বেশি বা মাসে ৫/৬ বারের বেশি হতে থাকে এবং সেটা ক্রমাগত হতে থাকে তাহলে এটাকে রোগের পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়।  এ অবস্থায় এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন কারণ এর চিকিৎসা মূলত হোমিওপ্যাথি। 
বিস্তারিত