নারী স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
নারী স্বাস্থ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯

স্তন বা ব্রেস্ট ক্যান্সার টিউমার (Breast Cancer Tumors) কারণ লক্ষণ চিকিৎসা পদ্ধতি

শরীরের কোন স্থানে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি হলে সেটাকে টিউমার বলে। স্তনে দুই ধরনের টিউমার হতে পারে-  বিনাইন টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। বিনাইনের অবস্থান তার উৎপত্তি স্থলে সীমাবদ্ধ থাকলেও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আগ্রাসী ধরনের যা রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে দূরের বা কাছের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা গ্রন্থিকে আক্রান্ত করতে পারে।

স্তন ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে এতোদিন এই ক্যান্সারের ব্যাপারে নারীদের সচেতন করার জোরটা ছিল বেশি, কিন্তু এখন পুরুষদেরকেও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কারণ, পুরুষদের মধ্যেও স্তন ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। যদিও পুরুষদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। এক হিসেবে দেখা যায় যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ৪১ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, সেই তুলনায় মাত্র ৩০০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্তনের টিউমার দুই ধরনের-
  • বিনাইন টিউমার অক্ষতিকার টিউমার। উত্পত্তি স্থলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দূরের বা কাছের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে না।
  • ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আগ্রাসী, ক্ষতিকারক টিউমার। উত্পত্তি স্থলের সীমানা ছাড়িয়ে আশপাশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে কিংবা গ্রন্থিকে আক্রান্ত করে। এমনকি রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে দূরের কোনো অঙ্গেও আঘাত হানতে পারে। স্তনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই স্তন ক্যান্সার।
কারণসমূহ 
  • প্রথমত এর জন্য দায়ী আমাদের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন। যেমন আজকাল আমরা প্রচুর ফাস্ট ফুডখাচ্ছি, সবুজ শাকসবজি খুবই কম খাই, কম শারীরিক পরিশ্রম করি- যার ফলে আমরা অতিরিক্ত স্থূলতায় ভুগছি। অতিরিক্ত স্থূলতা ব্রেস্ট ক্যান্সার এর অন্যতম প্রধান কারণ।
  • দেরিতে বাচ্চা নেয়া
  •  বাচ্চাকে বুকের দুধ দিতে অনীহা বা অপারগতা (যেমন চাকরিজীবী মহিলারা এ সমস্যায় ভোগেন বেশি)
  • বেশি বয়স, গড় আয়ু বেড়ে যাওয়াতে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
  • এছাড়া রয়েছে বংশগত ভাবে প্রাপ্ত জিনগত ত্রূটি

লক্ষণ বা উপসর্গ

  • স্তনের কোন অংশ চাকা চাকা হয়ে যাওয়া অথবা কোন লাম্প দেখা যাওয়া
  • স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন
  • স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন
  • স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া
  • স্তনবৃন্তের আশেপাশে রাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
  • বগলে ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেয়া
  • স্তনের ভেতরে গোটা ওঠা বা শক্ত হয়ে যাওয়া
চিকিৎসা পদ্ধতি:
  • কেমোথেরাপি 
  • রেডিওথেরাপি 
  • হরমোন থেরাপি
  • সার্জারি
  • এছাড়া রয়েছে উন্নত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা 
বিস্তারিত

শনিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৯

নারীদের বন্ধ্যাত্ব (Female Sterility) সমস্যার জটিল কারণসমূহ এবং বাস্তব প্রতিকার

নারীদের বন্ধ্যাত্ব Female Sterility হওয়ার পেছনে যে বাস্তব কারণ গুলি রয়েছে সেগুলি হলো - ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম বা পিসিওএস (PCOS),হাইপোথ্যালামাস সংক্রান্ত সমস্যা,অনিয়মিত ঋতুস্রাব, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের সমস্যা, এন্ডোমেট্রিওসিস, হরমোন জটিলতা,অ্যান্টিবডির আক্রমণ,মানসিক চাপ, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।

নারীদের বন্ধ্যাত্ব  - কারণ

  • পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (PCOS)
  • ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেওয়া 
  • হাইপোথ্যালামাস সংক্রান্ত ত্রুটি
  • ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের না হলে বা বের হলেও তাদের আকৃতি স্বাভাবিক না হলে
  • ডিম্বাণু নিঃসরণের আগে ও পরে কিছু কিছু হরমোন নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী নিঃসৃত না হলে
  • ডিম্বনালির গঠনে সমস্যা থাকলে
  • জরায়ুর মধ্যের আস্তরণ জরায়ুর ভেতরের অংশ ছেড়ে ডিম্বনালি, ডিম্বাশয় বা জরায়ুর পেছন দিকে ছড়িয়ে গেলে
  • যৌনাঙ্গে যক্ষ্মা হলে
  • জরায়ুতে টিউমার হলে
  • জন্মগতভাবে জরায়ুতে ত্রুটি থাকলে
  • অকালে রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ হলে
  • যোনির মুখপথে সমস্যা থাকলে
  •  ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ থাকলে
  • পিটুইটারি গ্রন্থির কোনো সমস্যা হলে
  • থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য হলে
  • বহুমূত্র রোগ বা উচ্চরক্তচাপ থাকলে
  • কোন সংক্রমণ বা আঘাতের ফলে শুক্রাণু বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেলে
  • উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন, ধূমপান, মদ্যপান করলে
  • পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব হলে
  • নিয়মিত বিষণ্ণতার ওষুধ সেবন করলে
  • অতিরিক্ত ওজন হলে
নারীদের থাইরয়েড সমস্যা ও বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের একটি প্রাকৃতিক ফুড সাব্লিমেন্ট হল

নারীদের বন্ধ্যাত্ব  - লক্ষণ

  • অপ্রত্যাশিত মাসিক
  • দীর্ঘায়িত মাসিক
  • মাসিকে স্বল্প রক্তক্ষরণ
  • অবাঞ্ছিত লোম
  • মাসিক না হওয়া
  • নিপল দিয়ে রক্ত পড়া/তরল নির্গত হওয়া
  • যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়া
  • যৌনমিলনের সময় ব্যথা হওয়া
  • অস্বাভাবিক নাভি 

নারীদের বন্ধ্যাত্ব  - চিকিৎসা 

নারীদের বন্ধ্যাত্ব হওয়ার পেছনে যত গুলি কারণ রয়েছে সবগুলি কারণ দূর করে বন্ধ্যাত্ব নির্মূলের কার্যকর এবং স্থায়ী চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী। 
বিস্তারিত

বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নারীদের ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান ক্যান্সার Ovarian Cancer কারণ এবং উপসর্গ

নারীদের জরায়ুর দুই পাশে একটি করে মোট দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। সেখানে যে ক্যান্সার হয়ে থাকে তাকেই মূলত ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) বলা হয়ে থাকে। সেখানে তিন ধরনের ক্যান্সার হতে দেখা যায় -
  • এপিথেলিয়াল টিউমারস বা ক্যান্সার (Epithelial Tumor or Cancer)
  • স্ট্রোমাল(Stromal Cancer)
  • জার্ম সেল(Germ Cell Cancer)
সাধারণত সুস্থ অর্থাৎ স্বাভাবিক কোষগুলো জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষে পরিনত হয়ে থাকে। ক্যান্সার আক্রান্ত সেলগুলো খুব দ্রুত সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং টিউমার গঠন করে। এক পর্যায়ে মেটাস্টেসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।

ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) - উপসর্গ

ডিম্বাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ এবং উপসর্গ অনুপস্থিত বা খুব সূক্ষ্ম হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই রোগ সনাক্তকরণ এবং নির্ণয় করতে কয়েক মাস লেগে যায়, এর মধ্যেই রোগ ছড়িয়ে পড়ে অনেক। ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যথাহীন হতে থাকে। লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরে এর উপ্সর্গগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে। কম মারাত্মক টিউমারের সাধারণ লক্ষণগুলি পেটে ব্যথা বা শ্রোণীচক্রের ব্যথা অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। ডিম্বাশয় ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে....
  • পেট ফুলে যাওয়া বা স্ফীতি
  • পেটে ব্যথা বা পেলভিক ব্যথা
  • খাওয়ার অসুবিধা
  • ঘন ঘন মুত্রত্যাগ
  • অস্বাভাবিক মেন্সট্রুয়াল সাইকল
  • ক্ষুধা না লাগা
  • বদহজম
  • বমিভাব ও বমি
  • গ্যাস বেড়ে যাওয়া
  • কোষ্ঠ্যকাঠিন্য
  • পিঠ ব্যথা
  • ভ্যাজাইনাল ব্লীডিং
  • ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া
এই ক্যান্সারে ওভারিতে ব্যথা বাড়তে পারে । যে উপসর্গগুলিতে দেখা যাবে পেট-শ্রোণীচক্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে। যদি এই লক্ষণগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা বেশি গুরুতরভাবে ঘটতে থাকে, বিশেষত এই ধরনের উপসর্গগুলির উল্লেখযোগ্য ভাবে পুর্বের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সেটা ডিম্বাশয় ক্যান্সার বিবেচনা করা হয়।

ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) - ঝুঁকি

ডিম্বাশয় ক্যান্সারের হওয়ার ঝুঁকি থাকে মহিলাদের বেশি। সাধারণত যাদের কম মাসিক চক্র, মাসিক না হওয়া, বুকের দুধ খাওয়ানো, মৌখিক গর্ভনিরোধক ওষুধ, একাধিক গর্ভধারণ করা এবং অল্প বয়সে গর্ভাবস্থা থাকে ইত্যাদি সমস্যা থেকে এই রোগের সম্ভবনা বেশি। ডিম্বাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করা হয় টিউবাল লাইগেশনে উভয় ডিম্বাশয় অপসারণ করে বা গর্ভাশয় উচ্ছেদন বা হেস্টেরেক্টমি (একটি অপারেশন যা গর্ভাশয়, এবং কখনও কখনও গর্ভাশয়ের সার্ভিক্স অপসারণ করা হয়)। এছাড়াও বয়সও একটি ঝুঁকি কারণ। এ ছাড়া....
  • যে সব মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যানসার রয়েছে
  • ব্রেস্ট ক্যানসার বা ওভারিয়ান ক্যানসার এর পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে
  • যারা ৫ বছর বা তার অধিক সময় ধরে শুধু estrogen replacement নেয়
  • অধিক বয়স্ক মহিলা

ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) - চিকিৎসা

এর জন্য তেমন কোন এলোপ্যাথিক ঔষধ নেই তাই ওভারিয়ান ক্যানসার এর সকল স্টেইজ চিকিৎসার জন্য সার্জারী ব্যবহার করা হয়। মূলত ওভারিয়ান ক্যান্সার (Ovarian Cancer) চিকিৎসার জন্য উন্নত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে তবে এরজন্য এক্সপার্ট কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরী।
বিস্তারিত

সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নারীদের ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান টিউমার (Ovarian Tumor) লক্ষণ ও উপসর্গ

নারীদের ডিম্বাশয় বা ওভারিতে যে টিউমার হয়ে থাকে সেটিই মূলত ওভারিয়ান টিউমার (Ovarian Tumor) এই গুলি আবার দুই প্রকারের হয়ে থাকে। বিনাইন এবং ম্যালিগন্যান্ট। নারীদের দুইটি ডিম্বাশয় থাকে। সেখানেই টিউমার হয়। ডিম্বাশয় বা ওভারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওভারি থেকেই ওভাম বা ডিম উৎপন্ন হয় যা শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে একপর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ বাচ্চা তৈরি হয়। ওভারিতে বা ডিম্বাশয়ে টিউমার হলে বিভিন্ন উপসগ দেখা যায়। এর মধ্যে আছে-

ওভারিয়ান টিউমার - লক্ষণ ও উপসর্গ

  • তল পেটে ব্যথা
  • বারবার প্রস্রাব হওয়া
  • প্রস্রাব আটকে যাওয়া
  • সহবাসের সময় তলপেটে ব্যথা
  • হজমে সমস্যা
  • কোমরের পেছনের দিকে ব্যথা
সবার যে একই রকম সমস্যা হবে তা নয়। একেক জনের ক্ষেত্রে একেকরকম সমস্যা হয়। আবার যদি টিউমার ছোট হয় তবে কোন সমস্যা নাও থাকতে পারে। ডিম্বাশয়ে টিউমার কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা করতে পারে। পেলভিসে টিউমার থাকলে প্রসব বাধাগ্রস্থ হয়। টিউমার পেঁচিয়ে গেলে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এটি জরুরি অবস্থা। এ অবস্থায় পেসেন্টকে হাসপাতালে পাঠানো জরুরি। টিউমারের ভেতরে রক্তক্ষরণও কিন্তু হতে পারে। আবার টিউমার ফেটে গিয়ে জটিল অবস্থা তৈরি হয়। টিউমার বাড়তে থাকলে উপসর্গও তত বেশী হয়। বমিভাব, বমি, ওজন কমে যাওয়া। শ্বাসকষ্ট, দূর্বলতা ইত্যাদি শুরু হয়।

ওভারিয়ান টিউমার - পরীক্ষা নিরীক্ষা

ভালভাবে ইতিহাস নিয়ে এবং পরীক্ষা করে অনেকটাই ওভারিয়ান টিউমার ডায়াগনসিস করা যায়। তবে নিশ্চিত হবার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি, রক্তের পরীক্ষা এবং বায়োপসি করা হয়।

ওভারিয়ান টিউমার - টিউমার 

এই সকল রোগের কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। তাই  ডিম্বাশয়ে টিউমার চিকিৎসায় সার্জারি, রেডিওথেরাপী এবং কেমোথেরাপী ব্যবহৃত হয়। শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিলে সমস্যাটি সমূলে নির্মূল হয়ে যায়। 
বিস্তারিত

জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার (Endometrial Cancer) কারণ এবং লক্ষণ

নারীদের জরায়ুর (Endometrial Cancer) এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার এমন একটি ক্যান্সার যেটি শুরু হয় জরায়ুর ভেতরের লেয়ার এন্ডোমেট্রিয়াম বা গর্ভের আস্তরণ থেকে। মহিলাদের মেনোপজ বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এটি বেশি হতে দেখা যায়। ঠিকঠাক সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। এর জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে। .....
বিস্তারিত

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cysts) কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি

ওভারিয়ান সিস্ট Ovarian Cysts হল ডিম্বাশয় এর মধ্যে একটি তরল ভরা থলি যা হলে নারীদের বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়। মাঝে মাঝে উদরস্ফীতি, তলপেটে ব্যথা অথবা পিঠের নিচের অংশে ব্যথা দেখা যেতে পারে। অধিকাংশ সিস্টই ক্ষতিকর নয়। যদি সিস্টটি ফেটে যায় অথবা ডিম্বাশয় মুচড়ে যায়, প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে। এর থেকে বমি হতে পারে অথবা দুর্বল লাগতে পারে। ওভারিয়ান সিস্ট এর হোমিও চিকিৎসা রয়েছে যার মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। এর জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে।

ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cysts) - কারণ

ওভারিয়ান সিস্টের কিছু কারণ হলো - অনিয়মিত ঋতুচক্র শুরু হলে, বন্ধ্যাত্ব, বংশগত ইতিহাস, ১১ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সে ঋতুচক্র শুরু হলে, হরমনাল ইমব্যালান্স, শরীরের উপরের অংশে বেশি মেদ জমলে।

অধিকাংশ ওভারিয়ান সিস্ট যেমন ফলিকিউলার সিস্ট সমূহ অথবা করপাস লুটেয়াম সিস্ট সমূহ ডিম্বপাত এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়। অন্যান্য ধরনের মধ্যে আছে এন্ডোমেট্রিওসিস এর জন্য সিস্ট, ডারময়েড সিস্ট এবং সিস্টাডেনোমা সমূহ। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম অসুখে দুটি ডিম্বাশয়ে অনেক ছোট ছোট সিস্ট তৈরী হয়। শ্রোণীর প্রদাহ রোগ হলেও সিস্ট তৈরী হয়। কদাচিৎ, সিস্ট ডিম্বাশয় ক্যান্সার এ পরিবর্তিত হয়। আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে পেলভিক পরীক্ষা করে রোগনির্ণয় করা হয় অথবা আরও অন্যান্য পরীক্ষা করে বিস্তারিত অবস্থা বোঝা যায়।

যারা ঘন ঘন এই অসুখে আক্রান্ত হয় তাদের আর সিস্ট যাতে না হয় সেজন্য হরমোনাল গর্ভ নিরোধক ব্যবহার করা যায়। যদিও, বর্তমান সিস্টের চিকিৎসা হিসাবে গর্ভ নিরোধকের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কয়েক মাসের মধ্যে যদি এগুলি ঠিক না হয়, বড় হয়ে যায়, অস্বাভাবিক দেখতে লাগে, বা ব্যথা হয়, তাদের কখনো কখনো অস্ত্রোপচার করে সরানো যেতে পারে। প্রজনন সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলার প্রতি মাসে ছোট ছোট সিস্ট তৈরী হয়। রজোনিবৃত্তির আগে ৮% মহিলার বড় সিস্ট দেখা যায় যেগুলি অসুবিধা ঘটাতে পারে। রজোনিবৃত্তির পর প্রায় ১৬% মহিলার ওভারিয়ান সিস্ট থাকে এবং থাকলে সেগুলি থেকে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cysts) - লক্ষণ ও উপসর্গ

যদিও নিম্নলিখিত কিছু বা সব কটি উপসর্গই থাকতে পারে, তবুও কোনো উপসর্গই নেই এই অভিজ্ঞতাও সম্ভব-
  • পেটে ব্যথা, পেটে বা শ্রোণীচক্রে হাল্কা ব্যথা, বিশেষ করে যৌনসম্পর্কের সময়
  • জরায়ু থেকে রক্তপাত, ঋতু শুরুর প্রথমে বা চলার সময়ে বা শেষে ব্যথা; অনিয়মিত ঋতু, অথবা অস্বাভাবিক রক্তপাত বা রক্তের ছিটা লাগা
  • পেট ভরে থাকা, ভারি লাগা, চাপ লাগা, পেট ফোলা, বা পেট ফাঁপা
  • যখন ডিম্বাশয় তে একটি সিস্ট ফেটে যায়, তলপেটের একপাশে হঠাৎ ও তীব্র ব্যথা হতে পারে
  • মূত্রত্যাগ এর ঘটনের সংখ্যা এবং সহজতায় পরিবর্তন (যেমন মূত্রস্থলী) সম্পূর্ণরূপে খালি করায় অক্ষমতা, অথবা সংলগ্ন শ্রোণীচক্র এ চাপের কারণে বাওয়েল মুভমেন্ট এ অসুবিধা
  • ধাতগত উপসর্গ সমূহ যেমন অবসাদ, মাথাব্যাথা ইত্যাদি
  • বমি ভাব বা বমি
  • ওজন বৃদ্ধি

ডিম্বাশয় বা ওভারিয়ান সিস্ট (Ovarian Cysts) - প্রতিরোধ 

কিছু উপায় আছে যাতে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যা কিছুটা কমিয়ে দেয়া যায় - পরিমিত ও সুষম আহার ব্যায়াম ও বিশ্রাম অতিরিক্ত চাপ না নেয়া বা চাপ মুক্ত থাকা হরমোনাল ব্যালেন্স বজায় রাখা, প্রয়োজনে এক্সপার্ট চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে হোমিও চিকিৎসা চিকিৎসা গ্রহণ করা। সচেতনতা ও সময়নুযায়ী একটি প্রপার হোমিও চিকিৎসাই আপনাকে এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
বিস্তারিত

সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসার (Cervical Cancer) কারণ, উপসর্গ এবং প্রতিরোধ

মহিলাদের জরায়ুর মুখে যে টিউমার হয় তাকে বলে Cervical Tumor আর এ থেকে যে ক্যানসার হয় তাকে বলে Cervical Cancer বা জরায়ুমুখ ক্যানসার। নারীদের ম্যালিগনেন্ট টিউমার বা ক্যান্সারের মধ্যে মূলত এটিই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসারের কারণ 
  • জরায়ুর ক্যানসারের জন্য মূলত হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দায়ী। এই ভাইরাস সহবাসের মাধ্যমে ছড়ায়। অল্প বয়সে বিয়ে হলে এবং পাঁচ বছরের বেশি সময়কাল ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি খেলে জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
  • রোগটি দেখা যায় ৩৫ বছর ও ৫০-৫৫ বছর বয়সে। ২০ বছরের নিচের বয়সী কোনো নারী গর্ভধারণ করলেও হতে পারে।
  • বহুগামিতা এ রোগের অন্যতম একটি কারণ।
  • যৌনাঙ্গ অপরিচ্ছন্ন রাখলে জরায়ু ক্যানসার হতে পারে।
জরায়ুর ক্যানসারের​ লক্ষণ
  • অনিয়মিত মাসিক হওয়া।
  • দুই মাসিক এর অন্তর্বর্তী সময়ে হালকা রক্তপাত হওয়া।
  • মাসিকের সময় রক্তপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি এবং দীর্ঘমেয়াদী হওয়া।
  • সহবাসের পরে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
  • মাসিক বন্ধ হবার পরও মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হওয়া।
  • মাসিক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১ বছর পরেও রক্তস্রাব দেখা যাওয়া।
  • যৌনসংগমের পর রক্তস্রাব হওয়া।
  • যোনিপথে বাদামি অথবা রক্তমিশ্রিত স্রাবের আধিক্য দেখা দেওয়া এবং সাদা দুর্গন্ধযুক্ত যোনিস্রাব হওয়া
জরায়ু মুখের ক্যানসার (Cervical Cancer) এর কারণ লক্ষণ প্রতিকার এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত ভিডিওতে.... নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসার (Cervical Cancer) কারণ, উপসর্গ এবং প্রতিরোধ 

নারীদের জরায়ু মুখের ক্যানসার (Cervical Cancer) প্রতিরোধ

সাধারণত ১০ বছর বয়সের পর থেকেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধক টিকা নেয়া যায়। মোট তিন ডোজ টিকা নিতে হয় – প্রথম ডোজের এক মাস পর দ্বিতীয় ডোজ এবং প্রথম ডোজের ছয় মাস পর তৃতীয় ডোজ টিকা নিতে হয়। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত পরীক্ষা করালে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আক্রমণ হার কমিয়ে আনা যায়। ভাইরাস এইচপিভি-১৬, এইচপিভি-১৮, এইচপিভি-৬, এইচপিভি-১১-এর প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) নিয়মানুযায়ী নয় থেকে ২৫ বছর বয়সে এ টিকা কার্যকর হয়। গর্ভাবস্থায় এ টিকা প্রদানের অনুমোদন নেই। আক্রান্ত হয়ে ক্যান্সার সংঘটনের পর এই টিকা আর কোনো কাজে আসে না। তবে শুরু থেকে হোমিও চিকিৎসা নেয়া শুরু করলে ভালো ফল দিয়ে থাকে। 
বিস্তারিত