শরীরের কোন স্থানে অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধি হলে সেটাকে টিউমার বলে। স্তনে দুই ধরনের টিউমার হতে পারে- বিনাইন টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। বিনাইনের অবস্থান তার উৎপত্তি স্থলে সীমাবদ্ধ থাকলেও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আগ্রাসী ধরনের যা রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে দূরের বা কাছের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা গ্রন্থিকে আক্রান্ত করতে পারে।
- বিনাইন টিউমার অক্ষতিকার টিউমার। উত্পত্তি স্থলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। দূরের বা কাছের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে আক্রান্ত করে না।
- ম্যালিগন্যান্ট টিউমার আগ্রাসী, ক্ষতিকারক টিউমার। উত্পত্তি স্থলের সীমানা ছাড়িয়ে আশপাশের অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে কিংবা গ্রন্থিকে আক্রান্ত করে। এমনকি রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে দূরের কোনো অঙ্গেও আঘাত হানতে পারে। স্তনের ম্যালিগন্যান্ট টিউমারই স্তন ক্যান্সার।
কারণসমূহ
- প্রথমত এর জন্য দায়ী আমাদের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন। যেমন আজকাল আমরা প্রচুর ফাস্ট ফুডখাচ্ছি, সবুজ শাকসবজি খুবই কম খাই, কম শারীরিক পরিশ্রম করি- যার ফলে আমরা অতিরিক্ত স্থূলতায় ভুগছি। অতিরিক্ত স্থূলতা ব্রেস্ট ক্যান্সার এর অন্যতম প্রধান কারণ।
- দেরিতে বাচ্চা নেয়া
- বাচ্চাকে বুকের দুধ দিতে অনীহা বা অপারগতা (যেমন চাকরিজীবী মহিলারা এ সমস্যায় ভোগেন বেশি)
- বেশি বয়স, গড় আয়ু বেড়ে যাওয়াতে এ রোগের প্রকোপ বাড়ছে।
- এছাড়া রয়েছে বংশগত ভাবে প্রাপ্ত জিনগত ত্রূটি
লক্ষণ বা উপসর্গ
- স্তনের কোন অংশ চাকা চাকা হয়ে যাওয়া অথবা কোন লাম্প দেখা যাওয়া
- স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন
- স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন
- স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া
- স্তনবৃন্তের আশেপাশে রাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
- বগলে ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেয়া
- স্তনের ভেতরে গোটা ওঠা বা শক্ত হয়ে যাওয়া
- কেমোথেরাপি
- রেডিওথেরাপি
- হরমোন থেরাপি
- সার্জারি
- এছাড়া রয়েছে উন্নত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা