গ্যাংগ্রিন এর হোমিও চিকিৎসা সম্পর্কে আজ আমরা জানবো। আগের পর্বে আমরা গ্যাংরিন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। যখন টিস্যুতে কোন কারণে রক্তের সরবরাহ খুবই কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায় অথবা ব্যাক্টেরিয়ার গুরুতর সংক্রমণ ঘটে তখনই Gangrene গ্যাংরিন এর মতো পচনশীল দূষিত ক্ষত তৈরী হয়ে থাকে। সাধারণত ক্লোসট্রিডিয়াম পারফ্রিঞ্জেন্স নামক ব্যাকটেরিয়া, গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকোক্কাস, স্ট্যাফাইলোকোক্কাস অরিয়াস এবং ভিব্রিও ভালনিফিকাস এর কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া সর্বত্র বিরাজ করে। এটি শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন করে দেহের টিস্যু, কোষ ও রক্তনালীকে নষ্ট করে দেয় এবং গ্যাস গ্যাংরিন তৈরী করে থাকে।
আমরা সাধারণত দেখে থাকি, ডায়াবেটিক রোগীদের অনেকেরই পায়ে ঘা বা আলসার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকার কারণে রোগীর পায়ে যে আলসার হয়ে থাকে তাকে ডায়াবেটিক ফুট বা ডায়াবেটিক ফুট সিন্ড্রম বলা হয়ে থাকে। পায়ের ঘা বিস্তার লাভ করলে একপর্যায়ে পচন ধরে অর্থ্যাৎ গ্যাংরিন সৃষ্টি হয়। গ্যাংরিন তৈরী হলে তীব্র জ্বালা-যন্ত্রনাসহ কঠিন কষ্ট করতে হয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের। তাছাড়া পৃথিবীতে যত রোগীর পা কাটা লাগে তার মধ্যে ৮৪% হল ডায়াবেটিক ফুট বা পা। অথচ প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে ডায়াবেটিক রোগীদের গ্যাংরিন ভালো হয়ে যায় যা আমরা অনেকেই জানি না। রোগীর পা বা আক্রান্ত অঙ্গ কেটে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না।
গ্যাংরিন যে শুধু হাত, পা বা হাত-পায়ের আঙুলেই হয় বিষয়টি তা নয়। এটি কানে, গলায়, পুরুষ ও নারীদের প্রজননতন্ত্র, ফুসফুস ইত্যাদিসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। তবে সেটা শরীরের যেখানেই হোক না কেন তা নির্মূলের জন্য রয়েছে ডায়নামিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন। ভিডিওতে বিস্তারিত..
গ্যাংরিন সমস্যায় যারা আক্রান্ত হন তারা বলতে গেলে একটা নরকযন্ত্রনা ভোগ করে থাকেন। চিন্তা করে দেখুন - জীবিত থাকা অবস্থায় একটি মানুষের কোন অঙ্গে পচন ধরেছে, এর জন্য কি পরিমান দুর্বিসহ জ্বালা-যন্ত্রনা সহ্য করতে হচ্ছে তাকে। যখনই কেউ পচনশীল ক্ষত বা গ্যাংরিনে আক্রান্ত হন তাদেরকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ অঙ্গটির ঐ অংশ কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়ে থাকে কারণ গ্যাংরিন স্থায়ী ভাবে নিরাময়ের কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। এর চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। অথচ দেখা যায় নিজের অজ্ঞতার কারণে কোন প্রকার খুঁজ খবর না নিয়েই অঙ্গটির ঐ অংশ কেটে ফেলে দিচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তি। কিছুটা সময় ভালো থাকার পর সেখানে আবার গ্যাংরিন তৈরী হতে দেখা যায়, তখন আবার সেটা কেটে ফেলে দিয়ে বলা হয় - আর একভাবেই চলতে থাকে।
জেনে রাখুন গ্যাংরিন সেটা যত গুরুতরই হোক না কেন অধিকাংশ কেইসই প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তাছাড়া এর ফলে পেসেন্টকে যে ব্যথা, যন্ত্রণা বা জ্বালা-পোড়া সহ্য করতে হয় হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করার সাথে সাথেই সেটা কমতে শুরু করে। তাই কোন চিকিৎসক গ্যাংরিন আক্রান্ত অঙ্গ কেটে ফেলে দিতে বললে তাৎক্ষণিক ভাবে সেটা না করে নিকটস্থ রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন যিনি গ্যাংরিন এর সুচিকিৎসা দিতে পারেন। তখন আপনি একটা ম্যাজিক রেজাল্ট পেয়ে যাবেন ইনশা-আল্লাহ।
ডায়াবেটিক রোগীদের অনেকেরই পায়ে ঘা বা আলসার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকার কারণে রোগীর পায়ে যে আলসার হয়ে থাকে তাকে ডায়াবেটিক ফুট বা ডায়াবেটিক ফুট সিন্ড্রম বলা হয়ে থাকে। পায়ের ঘা বিস্তার লাভ করলে একপর্যায়ে পচন ধরে অর্থ্যাৎ গ্যাংরিন সৃষ্টি হয়। গ্যাংরিন তৈরী হলে তীব্র জ্বালা-যন্ত্রনাসহ কঠিন কষ্ট করতে হয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের। তাছাড়া পৃথিবীতে যত রোগীর পা কাটা লাগে তার মধ্যে ৮৪% হল ডায়াবেটিক ফুট বা পা।
ডায়াবেটিস রোগীর পায়ে আঘাত লাগলে বা ক্ষত হলে সেখানে ক্ষুদ্র রক্তনালীর বিকাশ, এক্সট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্স, ত্বক ইত্যাদির বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে হয়। ফলে ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং শুকাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতস্থানে দুর্গন্ধযুক্ত পচন ধরে যায় অর্থাৎ গ্যাংরিন তৈরি হয়। গ্যাংরিন বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে - শুকনো, ভেজা এবং গ্যাস গ্যাংরিন। একেক টির ক্ষেত্রে একেক রকম লক্ষণ প্ৰকাশ করতে পারে। চূড়ান্ত কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা না থাকায় রোগীর জীবন রক্ষার্থে অনেক সময় পা বা পায়ের কিছু অংশ কেটে বাদ দিতে পরামর্শ দেন এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা।
তবে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, ডায়াবেটিস রোগীদের গ্যাংরিন সারানোর কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে। ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ে ঘা, ক্ষতস্থানে দুর্গন্ধযুক্ত পচন বা গ্যাংরিন সমস্যায় অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। আশা করি বিফল হবেন না ইনশা-আল্লাহ।
ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ে ঘা - কারণ
দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের যেসব কারণে পায়ে ক্ষত তৈরি হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি, সেগুলো হলো :
পায়ের বোধশক্তি কমে আসা (নিউরোপ্যাথি)
পায়ের রক্ত চলাচলের পরিমাণ কমে যাওয়া (পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ)
ছোট কোনো ক্ষত বা পায়ের তলায় তৈরি হওয়া ফাটল (ক্র্যাক) দিয়ে জীবাণুর অনুপ্রবেশ ইত্যাদি।
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথী: ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথী হল পায়ে ব্যথার অনুভূতি কমে যাওয়া বা অসারতা। পা তখন গরম বা ঠাণ্ডা কোন বস্তুর সংস্পর্শে এলেও রোগী তা বুঝতে পারে না। তৈরি হয় ছোট একটি ক্ষত, যেটা পরবর্তী সময়ে বড় হতে থাকে। আবার বোধশক্তি না থাকায় অনেক সময় পায়ে ছোটখাটো আঘাত বা পায়ে কোনো কিছু ফুটে গেলেও রোগী বুঝতে পারে না। সেখান থেকে তৈরি হয় বড় ক্ষত।
পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ: পায়ের হাড়, মাংস অর্থাৎ পায়ের কোষ অথবা টিস্যুগুলো বা বাঁচিয়ে রাখার জন্য সঠিক মাত্রায় রক্তপ্রবাহ প্রয়োজন। ডায়াবেটিক রোগীদের এই রক্তপ্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে পায়ে সহজে ক্ষত সৃষ্টি হয়, তৈরি হওয়া ক্ষত সহজে সারে না। রক্তপ্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেলে পায়ে পচন ধরে, যেটাকে বলা হয় গ্যাংরিন।
পায়ের তলায় ফাটল (ক্র্যাক): দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের তলার চামড়া শুকিয়ে ফাটল তৈরি হয়। এই ফাটলগুলো দিয়ে রোগজীবাণুর সংক্রমণ ঘটে এবং পায়ে ও পায়ের হাড়ে ক্ষত বা অস্টিওমায়েলাইটিস সৃষ্টি হতে পারে।
ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ে ঘা - চিকিৎসা
এই সমস্যার ক্রনিক অবস্থায় তেমন কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা না থাকায় সার্জারি করে পা কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ে ঘা, ক্ষতস্থানে দুর্গন্ধযুক্ত পচন বা গ্যাংরিন সমস্যার কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রয়েছে। অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিলে এই সমস্যা দূর হয়ে পা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা এবং দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। আজ আপনারা জানবেন, অল্প খরচে এবং অল্প সময়ে বহু বছর যাবৎ ইনসুলিন নিচ্ছেন এমন Diabetes রোগীরা কিভাবে প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে ইন্সুলিন ফ্রি হবেন এবং ধীরে ধীরে এই সমস্যা থেকে কিভাবে সেরে উঠবেন কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই। এটি মূলত অল্প খরচে প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা এবং ডায়াবেটিস সারানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তবে এর জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। অন্যথায় আপনি হয়তো কোন ফলাফলই পাবেন না। এবার আসুন মূল বিষয়ে আসি-
দীর্ঘদিন যাবৎ মেডিক্যাল মাফিয়ারা মানুষকে বুঝিয়ে আসছে ডায়াবেটিসে একবার আক্রান্ত হলে, সে রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায় না বরং এলোপ্যাথিক বা বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক ঔষধ সারা জীবন ধরেই নিয়ে যেতে হয়। নিজেকে শিক্ষিত পরিচয় দেয়া এলিট শ্রেণীর বহু অজ্ঞ লোকজনই তাদের অনুসরণ করে আসছে শুরু থেকেই কোন প্রকার যাচাই বাছাই করা ছাড়াই। বিনিময়ে দিন দিন আরো নানা জটিল পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করে একসময় সুন্দর পৃথিবীর বুকে নরক যন্ত্রনা ভোগ করে করে একসময় পরপারে পাড়ি জমিয়েছে এবং এখনও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বিভিন্ন রাসায়নিক ঔষধ ক্রমাগত শরীরে প্রয়োগ করার ফলে মানুষ দিন দিন আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেডিসিনের সংখ্যাও। মূলত এটি হলো মেডিক্যাল মাফিয়াদের একটি বিজনেস পলিসি। রোগ নির্মূল না করে বরং রোগ নিয়ন্ত্রণ বা পুষে রাখার পদ্ধতি হলো তাদের ঔষধ ব্যবসার নীতি। মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে তারা এটি করে আসছে যুগ যুগ ধরে। যাদের জন্য যে ঔষধের কোন প্রয়োজন নেই তাদেরকেও নানা প্রকার ক্ষতিকর ঔষধ প্রয়োগ করে রোগী বানিয়ে দিচ্ছে। অথচ প্রোপার হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এবং আপনার দৈনন্দিন খাবার দাবার আর জীবন যাত্রায় কিছুটা পরিবর্তন আনলেই ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থেকে আপনি অনায়াসেই মুক্ত থাকতে পারেন। আজকাল মিডিয়ার সুবিধা সবার হাতের লাগালে চলে আসায় মানুষ সত্য মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে।
অনেকেই জানেন না যে - ডায়াবেটিস সমস্যায় প্রথম দিকে কোন প্রকার রাসায়নিক ঔষধ শরীরে প্রয়োগ না করে অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার দেখিয়ে প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে এই সমস্যাটি কয়েক মাসের মধ্যেই নির্মূল হয়ে যায়।
মানব দেহের অনেক দুরারোগ্য সমস্যার পেছনে দায়ী রয়েছে এই ডায়াবেটিস যেমন - চোখের সমস্যা, হৃদরোগ, স্ট্রোক বা কিডনির সমস্যা ইত্যাদি। ডায়াবেটিস হলে কেউ যদি প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সেটাকে না সারিয়ে এলোপ্যাথিক বিভিন্ন রাসায়নিক ঔষধের মাধ্যমে শুধু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে যায় তাহলে সেই সকল রাসায়নিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ব্যাক্তির ভাইটাল ফোর্স বা জীবনী শক্তি দিন দিন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হতে থাকে এবং যত দিন যেতে থাকে ততই নানা প্রকার দুরারোগ্য এবং জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় একটি দুঃসহ জীবন নিয়ে চলতে হয়। আপনার আশেপাশে একটু চোখ কান খোলা রাখলেই এই রকম অনেক রোগী পেয়ে যাবেন যারা বেঁচে থেকেও নরক যন্ত্রণা সহ্য করে চলেছেন শুধু মাত্র সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসাটি না পাওয়ার কারণে।
ডায়াবেটিস রোগীরা প্রথম দিকে কোন প্রকার এলোপ্যাথিক চিকিৎসা না নিয়ে অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তার কর্তৃক প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে অধিকাংশ রোগীরাই ৪-৬ মাসের মধ্যেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু যারা বহুদিন যাবৎ ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং বছরের পর বছর নানা প্রকার রাসায়নিক ঔষধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আরো দূরারোগ্য জটিল রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা থেকে সেরে উঠতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে হোমিও চিকিৎসা শুরু করার কিছু দিনের মধ্যেই যারা ইনসুলিন ছাড়া এক দিনও থাকতে পারতেন না তাদের অধিকাংশই অল্প সময়ে ইনসুলিন ফ্রি হয়ে যান অর্থাৎ সুগার লেভেল স্বাভাবিক হয়ে আসায় তাদের ইনসুলিন নেয়ার আদৌ কোন প্রয়োজন পড়ে না। এর সাথে ভাইটাল ফোর্স অর্থাৎ জীবনীশক্তি দিন দিন বাড়তে থাকায় শরীরে শক্তি অনুভব করতে থাকেন। তখন তাদের দেহ এবং মনে সতেজতা এবং আনন্দ বিরাজ করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের হোমিও চিকিৎসা নিলে সুবিধা
চিকিৎসা খরচ এলোপ্যাথির তুলনায় বহুগুন কম
ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোন ঝামেলা নেই
ঔষধ খুব দ্রুত কাজ করে এবং দ্রুত ফল দিতে শুরু করে
চিকিৎসার শুরুতেই শরীর ও মনে পরিবর্তন আসে
যারা ইনসুলিন নিচ্ছেন তারা খুব দ্রুত ইনসুলিন ফ্রি হয়ে যান
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকা যায়
কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই
দ্রুত ভাইটাল ফোর্স অর্থাৎ জীবনীশক্তি উন্নত হতে থাকে
অন্যকোন জটিল রোগে আক্রান্ত থাকলে সেটিও ঠিক হয়ে আসে
খুব তাড়াতাড়ি শরীরে শক্তি ফিরে আসে
দেহ এবং মনে দ্রুত সতেজতা এবং আনন্দ ফিরে আসে
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মূলতঃ হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে একটি শক্তিশালী জেনেটিক ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে - মানব শিশু তাদের পিতামাতা থেকেই ক্রোমোজোমের মাধ্যমে তাদের পূর্ব পুরুষের রোগ ব্যাধি বা সেগুলির জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালস পেয়ে থাকে। যেগুলিকে আমরা প্রকৃত রোগ বা True Disease বলে থাকি। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন কারণে যখন মানুষের ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হতে থাকে তখন ভেতরে থাকা সেই প্রকৃত রোগটি বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ করতে থাকে। আর সেই উপসর্গগুলিকে বিভিন্ন রোগের নামে নামকরণ করে থাকে বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট সিস্টেম।
ভাইটাল ফোর্স যে যে কারণে দুর্বল হতে পারে
নিম্নোক্ত কারণে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হলে ডায়াবেটিসের মতো জটিল সমস্যাগুলি জেগে উঠতে পারে
বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন বা টিকা
হাই-পাওয়ারের ক্ষতিকর সব এন্টিবায়োটিক
ক্রমাগত বিভিন্ন এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবন
বড় ধরনের শারীরিক আঘাত
বড় ধরণের মানসিক আঘাত
এছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ না করা, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করা ইত্যাদি
হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রগুলি যেহেতু প্রকৃত রোগটি নির্ণয় না করে সেটি দ্বারা সৃষ্ট উপসর্গগুলিকে রোগের নাম দিয়ে চিকিৎসা করে তাই True Disease বা প্রকৃত রোগটি কখনই নির্মূল হয় না, যার ফলে উপসর্গ কিছু সময়ের জন্য দূর হলেও আবার জেগে উঠে। এভাবে ঔষধ খেয়ে খেয়ে থাকতে হয় আর রোগ জটিলতাও দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি মানুষের প্রকৃত রোগটির চিকিৎসা দিয়ে সেটিকে ঠিক করে বিধায় সৃষ্ট উপসর্গগুলি একেবারে দূর হয়ে যায়।
যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তারা মূলত একাধিক প্রকৃত রোগ বা True Disease এর অধিকারী অর্থাৎ Multiple Miasm এর হয়ে থাকেন। তাই তাদের জীবন দর্শন, শিশুকাল থেকে এখন পর্যন্ত যাবতীয় রোগের ইতিহাস, পিতা-মাতা, নানা-নানী, দাদা-দাদীর হিস্ট্রি নিয়ে এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসক তার মধ্যে থাকা প্রকৃত রোগগুলি নির্ণয় করে ধাপে ধাপে সেগুলিকে ঠিক করার জন্য পর্যায়ক্রমে ডায়নামিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রয়োগ করে থাকেন। একসময় তার শরীরের যাবতীয় রোগ ব্যাধির উপসর্গ নির্মূল হয়ে পূর্ণাঙ্গ সুস্বাস্থ্য ফিরে আসে।
ফ্যামিলি হিস্ট্রি নিয়ে প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খুব দ্রুত দুর্বল জীবনীশক্তির ডায়াবেটিস পেসেন্টদের ভাইটাল ফোর্স শক্তিশালী করা হয় বলে ঔষধ প্রয়োগ করার সাথে সাথেই তারা শরীরে তার প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে থাকে। এর সাথে চলে ডায়াবেটিস নির্মূলের একটি প্রাকৃতিক ম্যাজিক থেরাপি।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ শরীরে প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট ট্রমা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দূর করে নির্জীব জীবনীশক্তিকে সঞ্জীবনী শক্তি দিতে অথাৎ দুর্বল ভাইটাল ফোর্সকে শক্তিশালী করতে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ডাইনামিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করার দরকার পড়ে কিছু কিছু পেসেন্টের। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে আরো কিছু ম্যানেজমেন্টেরও প্রয়োজন হয় যা চিকিৎসক প্রয়োজনবোধে দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা প্রকার অপচিকিৎসা নিয়েছেন এবং একের পর এক রাসায়নিক ঔষধ প্রয়োগ করে করে শরীরে আরো জটিল জটিল রোগ ব্যাধি যেমনঃ উচ্চ রক্ত চাপ, কিডনি সমস্যা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে নিবিড় যোগাযোগে রেখে ঔষধ প্রয়োগ করে করে স্বাভিবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হয়।
আর যারা কোন ধরনের অপচিকিৎসার খুব বেশি শিকার হননি অর্থাৎ বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ প্রয়োগের ফলে ভেতরে খুব বেশি মেডিসিনাল ট্রমা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরী করেননি অর্থাৎ আরো জটিল জটিল রোগ ব্যাধি যেমনঃ উচ্চ রক্ত চাপ, কিডনি সমস্যা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদিতে আক্রান্ত হননি তারা খুব দ্রুত ইম্প্রোভমেন্টের দিকে আগায় যা হয়তো অনেকের কাছেই ম্যাজিকের মতো মনে হয়।
ডায়াবেটিস চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ
হোমিওপ্যাথিতে ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য রয়েছে বহু কার্যকর মেডিসিন। যেগুলি থেকে কেইস টেকিং এর মাধ্যমে পেশেন্টের জন্য নির্বাচিত ঔষধ যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। আর এই কাজটি করে থাকেন এক্সপার্ট একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। এখানে Synthesis Repertory থেকে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলি দেয়া হলো -
এছাড়া ইউরিন চ্যাপ্টারে সুগারের জন্য আমরা পাই নিম্নুক্ত ঔষধগুলি-
বলতে গেলে একমাত্র হোমিওপ্যাথি ছাড়া আর কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেমে ডায়াবেটিস চিকিৎসার জন্য এতো ঔষধ নেই। তবে এই সকল ঔষধ থেকে পেশেন্টের জন্য কেইস হিস্ট্রি নিয়ে নির্বাচিত ঔষধটি প্রয়োগ করতে হয় হোমিওপ্যাথির নির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে। অন্যথায় আপনি কোন ফলাফল পাবেন না। তাই ডায়াবেটিস সমস্যায় কার্যকর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে অবশ্যই রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি।
যে বিষয়গুলি আপনি জেনেছেন -
প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা
ডায়াবেটিস চিকিৎসায় নতুন উপায়
ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে করনীয়
ডায়াবেটিস সারানোর উপায়
ডায়াবেটিস এর আধুনিক চিকিৎসা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হোমিও
ইনসুলিন হোমিও
বহুমূত্র রোগের হোমিও ঔষধ
ডায়াবেটিস এ হোমিও চিকিৎসা
ডায়াবেটিসের সর্বশেষ নতুন চিকিৎসা
ডায়াবেটিস এর আধুনিক হোমিও চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের স্থায়ী মুক্তি
প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা থাকছে আজকের পর্বে। ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত হবেনই ইনশা-আল্লাহ যদি আপনি Diabetes নির্মূলের এই ম্যাজিক থেরাপি অনুসরণ করেন যেটি মূলত প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নির্মূলের পরীক্ষিত চিকিৎসা পদ্ধতি। এর সাথে ভাইটাল ফোর্স বা ইমিউন সিস্টেমকে দ্রুত শক্তিশালী করার জন্য আমরা মূলত পেসেন্টের এবং তার ফ্যামিলি হিস্ট্রি নিয়ে ডাইনামিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রয়োগ করে থাকি কিছু জটিল ক্ষেত্রে। তবে নিজে নিজে বাড়িতে বসে ডায়াবেটিস নির্মূলের নিন্মোক্ত ম্যাজিক থেরাপিটি অনুসরণ করলে কোন প্রকার এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ ছাড়া ৪/৬ মাসের মধ্যেই রোগের তীব্রতা ভেদে প্রায় ৭০% পেসেন্টই ডায়াবেটিস থেকে সেরে উঠেন। আপনিও অনুসরণ করে দেখুন, ডায়াবেটিস নির্মূলের ম্যাজিক থেরাপিটি অনুসরণ করলে ম্যাজিকের মতোই ফল পাবেন ইনশা-আল্লাহ।
আমাদের মনে রাখা উচিত, বয়স বাড়ার সাথে সাথে এমনিতেই বিভিন্ন কারণে মানুষের ইমিউন সিস্টেম বা ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হতে থাকে। তার উপর মানুষ পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার না খেয়ে প্রক্রিয়াজাত বিভিন্ন খাবারে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়া খাদ্য দ্রব্যে ভেজাল, বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার, যখন তখন নানা প্রকার এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধের প্রয়োগ সব মিলিয়ে ইনসুলিন উৎপাদনকারী অগ্ন্যাশয় এবং মানব দেহের ভিতরের অঙ্গসমূহ দুর্বল হয়ে পড়ে বা তাদের স্ব স্ব কার্যক্রমে ব্যাঘাত তৈরি হওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের মত সমস্যা প্রকট হয়ে উঠে।
তাই আপনি ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে হলে এখন শুধু তার উল্টাটি করে যাবেন তাহলেই বাজিমাৎ। অর্থাৎ প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্রাণীজ খাবার, এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ সবকিছুকেই বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক অর্থাৎ উদ্ভিজ্জ খাবার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ৪/৬ মাস খেয়ে যাবেন। তাতেই দেখবেন আপনার ইনসুলিন উৎপাদনকারী অগ্ন্যাশয় এবং ভিতরের অঙ্গসমূহ আবার ঠিক হয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন এবং স্ব স্ব কাজ ঠিক ঠাক ভাবে করতে পারছে। এর সাথে আপনার ডায়াবেটিসও পালিয়েছে। অবাক হচ্ছেন তাই না ! এটি ডায়াবেটিস নির্মূলের বহুল পরীক্ষিত প্রাকৃতিক পদ্ধতি। আপনি নিজেই একবার করে দেখুন... প্রমানের জন্য এর চেয়ে বেশি কিছুর আর প্রয়োজন নেই। থেরাপিটি কাগজে লিখে রাখুন.....
ফল : পাকা কলা, আপেল, ডালিম, আনার, পেঁয়ারা, আঙ্গুর, ইত্যাদি এবং সাথে যেকোন প্রকার ফল প্রায় ৬০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত খেতে পারবেন। যখন যেসময় যেটা মন চায় সেটাই খাবেন দুপুর ১২ তা পর্যন্ত।
কাঠ বাদাম বা চিনাবাদাম খাবেন (১৫-৩০টি আপনার ইচ্ছানুযায়ী) সিদ্ধ করে।
প্রথম ৩ দিন দুপুরে এবং রাতে ভাত খাবেন না। ৩ দিন পর ডায়াবেটিস নেমে স্বাভাবিক অবস্থায় আসলে দুপুরে এবং রাতে সালাদের সাথে হালকা স্বাভাবিক খাবার অর্থাৎ কম পরিমান সরিষার তেল এবং লবন দিয়ে রান্না করা তরকারি দিয়ে পরিমান মতো ভাত খেতে পারবেন। যদি ৩ দিনে ডায়াবেটিস স্বাভাবিক না হয় তাহলে আরো কিছুদিন ভাত খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
যারা ইনসুলিন নেন, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস পেসেন্টসহ তারা দুপুরে এবং রাতে আরো যা যা যুক্ত করলে বেশি উপকৃত হবেন -
পালং শাক ৩০ গ্রাম, পান পাতা ৫ গ্রাম, নারিকেল ১০ গ্রাম
তুলসী পাতা ১০ গ্রাম, ধনে পাতা ১০ গ্রাম, পুদিনাপাতা ১০ গ্রাম
কিশমিশ ৫টি এবং বাদাম ৫টি
লেবু - ব্যবহার করবেন স্বাদ বাড়ানোর জন্য
সবগুলি কেটে এক সাথে করে খাবেন যারা যারা ইনসুলিন নেন, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস পেসেন্টসহ। সবগুলি সংগ্রহ করতে না পারলে যেগুলি পাবেন সেগুলিই খাবেন। আর যদি এই আইটেম তৈরী করতে সম্ভব না হয় তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। বাকি গুলি চালিয়ে যাবেন। কারণ এই প্রকারের রোগীদের প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার আওতায় চলে আসার কারণে ডাইনামিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের মাধ্যমেই তাদের ভাইটাল ফোর্স শক্তিশালী হয়ে উঠে।
যে সকল খাবার খাবেন না-
সর্ব প্রকার প্রাণীজ খাবার অর্থাৎ Animal Food প্রধানতঃ হাঁস মুরগি ইত্যাদির মাংস এবং হাঁস মুরগির ডিম। গরু ছাগলের মাংস, গরু ছাগলের দুধ এবং দুগ্ধজাত সকল খাবার বর্জন করবেন।
সর্ব প্রকার প্রক্রিয়াজাত পেকেট করা খাবার যেমনঃ প্যাকেটজাত সাদা আটা, বিস্কুট, রুটি, চিপস, চানাচুর, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি বর্জন করবেন।
আলু এবং এর থেকে তৈরি করা খাবার বাদ দিন।
চা এবং কফি বাদ দিবেন।
সরাসরি চিনি এবং মিষ্টি খাবেন না কিন্তু মিষ্টি ফল-ফলাদি খেতে পারবেন তবে জুস করে নয়।
বিঃদ্রঃ ভালো হয়ে যাওয়ার পর এই সকল খাবার আপনি পূনরায় খেতে পারবেন তবে পরিমান মতো।
কখন খাবার খাওয়া উত্তম -
সকালের খাবার: সূর্য উঠার ২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়া অধিক উত্তম
দুপুরের খাবার: সূর্য ঠিক মাথার উপর অবস্থানের ২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়া অধিক উত্তম
রাতের খাবার: সূর্য ডোবার ২ ঘন্টার মধ্যে খাওয়া অধিক উত্তম
হোমিওপ্যাথিক জেনেটিক ট্রিটমেন্ট
মানব শিশু মূলত পিতামাতা থেকেই ক্রোমোজোমের মাধ্যমে তাদের পূর্ব পুরুষের রোগ ব্যাধি বা সেগুলির জেনেটিক ম্যাটেরিয়ালস পেয়ে থাকে। যেগুলিকে আমরা প্রকৃত রোগ বা True Disease বলে থাকি। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বিভিন্ন কারণে যখন মানুষের ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হতে থাকে তখন ভেতরে থাকা সেই প্রকৃত রোগটি বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ করতে থাকে। আর সেই উপসর্গগুলিকে বিভিন্ন রোগের নামে নামকরণ করে থাকে বিভিন্ন ট্রিটমেন্ট সিস্টেম। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্রগুলি যেহেতু প্রকৃত রোগটি নির্ণয় না করে সেটি দ্বারা সৃষ্ট উপসর্গগুলিকে রোগের নাম দিয়ে চিকিৎসা করে তাই True Disease বা প্রকৃত রোগটি কখনই নির্মূল হয় না যার ফলে উপসর্গ কিছু সময়ের জন্য দূর হলেও আবার জেগে উঠে। এভাবে ঔষধ খেয়ে খেয়ে থাকতে হয় আর রোগ জটিলতাও দিন দিন বাড়তে থাকে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি মানুষের প্রকৃত রোগটির চিকিৎসা দিয়ে সেটিকে ঠিক করে বিধায় সৃষ্ট উপসর্গগুলি একেবারে দূর হয়ে যায়।
যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তারা মূলত একাধিক প্রকৃত রোগের অধিকারী বা Multiple Miasm এর হয়ে থাকেন। তাই তাদের জীবন দর্শন, শিশুকাল থেকে এখন পর্যন্ত যাবতীয় রোগের ইতিহাস, পিতা-মাতা, নানা-নানী, দাদা-দাদীর হিস্ট্রি নিয়ে এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসক তার মধ্যে থাকা প্রকৃত রোগগুলি নির্ণয় করে ধাপে ধাপে সেগুলিকে ঠিক করার জন্য পর্যায়ক্রমে ডায়নামিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রয়োগ করে থাকেন। একসময় তার শরীরের যাবতীয় রোগ ব্যাধির উপসর্গ নির্মূল হয়ে পূর্ণাঙ্গ সুস্বাস্থ্য ফিরে আসে।
ফ্যামিলি হিস্ট্রি নিয়ে প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খুব দ্রুত দুর্বল জীবনীশক্তির ডায়াবেটিস পেসেন্টদের ভাইটাল ফোর্স শক্তিশালী করা হয় বলে ঔষধ প্রয়োগ করার সাথে সাথেই তারা শরীরে তার প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে থাকে। এর সাথে চলে ডায়াবেটিস নির্মূলের এই ম্যাজিক থেরাপি।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ শরীরে প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট ট্রমা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দূর করে নির্জীব জীবনীশক্তিকে সঞ্জীবনী শক্তি দিতে অথাৎ দুর্বল ভাইটাল ফোর্সকে শক্তিশালী করতে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে ডাইনামিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্দিষ্ট নিয়মে নির্দিষ্ট মাত্রায় প্রয়োগ করার দরকার পড়ে কিছু কিছু পেসেন্টের। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে আরো কিছু ম্যানেজমেন্টেরও প্রয়োজন হয় যা চিকিৎসক প্রয়োজনবোধে দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা প্রকার অপচিকিৎসা নিয়েছেন এবং একের পর এক রাসায়নিক ঔষধ প্রয়োগ করে করে শরীরে আরো জটিল জটিল রোগ ব্যাধি যেমনঃ উচ্চ রক্ত চাপ, কিডনি সমস্যা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে নিবিড় যোগাযোগে রেখে ঔষধ প্রয়োগ করে করে স্বাভিবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হয়।
আর যারা এই ধরনের অপচিকিৎসার খুব বেশি শিকার হননি অর্থাৎ বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন এলোপ্যাথিক বা রাসায়নিক ঔষধ প্রয়োগের ফলে ভেতরে খুব বেশি মেডিসিনাল ট্রমা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরী করেননি অর্থাৎ আরো জটিল জটিল রোগ ব্যাধি যেমনঃ উচ্চ রক্ত চাপ, কিডনি সমস্যা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদিতে আক্রান্ত হননি তারা বাড়িতে থেকেই ডায়াবেটিস নির্মূলের ম্যাজিক থেরাপিটি অনুসরণ করে ভালো ফলাফল পাবেন ইনশা-আল্লাহ কোন প্রকার ঔষধ ছাড়াই।
যে বিষয়গুলি আপনি জেনেছেন -
প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস চিকিৎসা
ডায়াবেটিস কমানোর সহজ উপায়
ডায়াবেটিস চিকিৎসায় নতুন উপায়
ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে করনীয়
ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
ডায়াবেটিসের হোমিওপ্যাথি ওষুধ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হোমিও
ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
ডায়াবেটিস এর ভেষজ চিকিৎসা
দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ডায়াবেটিস চিকিৎসায় নতুন উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর খাবার
হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের স্থায়ী মুক্তি
সাধারণ ভাবে বলা যায়, ডায়াবেটিস Diabetes রোগ হলো অনিয়ন্ত্রিত খাবার-দাবার গ্রহণ এবং জীবন যাপনের ফলে শরীরে জেগে উঠা একটি শারীরিক সমস্যা যা মূলত মানুষের ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হয়ে পড়লে আরো তীব্র ভাবে প্রকাশ পায়। হোমিওপ্যাথির ভাষায় বলতে গেলে এটি মূলত একটি মাল্টি মায়াজমেটিক জটিল শারীরিক সমস্যা। দৈনন্দিন খাবার-দাবার যে ভাবে গ্রহণ করলে মানুষের শরীর সঠিক ভাবে পুষ্টি পায় সেগুলি সেভাবে গ্রহণ না করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বা প্রোসেস করে গ্রহণ করার ফলে মানুষের শরীর সেভাবে পুষ্টি পায় না। তাছাড়া প্রসেস করার ফলে খাবারে নানা প্রকার ক্ষতিকর উপাদান যেমন যুক্ত হয় তেমনি পুষ্টিগুনও বহুলাংশে কমে যায়। আর সেগুলি বাচবিচার না করে ক্রমাগত গ্রহণের ফলে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক ঔষধের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে যখন আমাদের ভাইটাল ফোর্স ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ে তখন ডায়াবেটিসের মতো জটিল স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি জেগে উঠে। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হওয়ার কারন গুলো একই রকম। কেবল ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে এটা ভিন্ন কারনে হতে পারে।
ভাইটাল ফোর্স যে যে কারণে দুর্বল হতে পারে
নিম্নোক্ত কারণে ভাইটাল ফোর্স দুর্বল হলে ডায়াবেটিস জেগে উঠতে পারে
বিভিন্ন প্রকার ভ্যাকসিন বা টিকা
হাই-পাওয়ারের ক্ষতিকর সব এন্টিবায়োটিক
ক্রমাগত বিভিন্ন এলোপ্যাথিক ঔষধ সেবন
বড় ধরনের শারীরিক আঘাত
বড় ধরণের মানসিক আঘাত
এছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ না করা, অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন করা ইত্যাদি
মানব দেহের অনেক দুরারোগ্য সমস্যার পেছনে দায়ী রয়েছে এই ডায়াবেটিস যেমন - চোখের সমস্যা, হৃদরোগ, স্ট্রোক বা কিডনির সমস্যা ইত্যাদি। ডায়াবেটিস হলে আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে সেটাকে না সারিয়ে রাসায়নিক ঔষধের মাধ্যমে শুধু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে যান তাহলে সেই সকল রাসায়নিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আরো দুরারোগ্য রোগ তৈরী হবে আপনার শরীরে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় আপনাকে একটি দুঃসহ জীবন নিয়ে চলতে হবে।
ডায়াবেটিস হলে সেটিকে রাসায়নিক ঔষধের মাধ্যমে শুধু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তুলুন। আপনি হয়তো জানেন না ডায়াবেটিস নির্মূলের একটি উন্নত চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। তবে এর জন্য এক্সপার্ট একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
ডায়াবেটিস হলে শরীরে যা ঘটে
আমরা খাবার খাওয়ার পরে আমাদের শরীর খাবারের শর্করাকে ভেঙে সুগার বা চিনিতে (Glucose) রুপান্তর করে। ইনসুলিন নামের একটি হরমোন নিসৃত হয় অগ্ন্যাশয় থেকে যে হরমোন সুগার বা চিনিকে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়ে থাকে আমাদের শরীরের কোষগুলোকে। এই চিনি শরীরের জ্বালানী বা শক্তি হিসেবে কাজ করে। শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না বা ঠিক মতো কাজ করে না তখনই মূলত ডায়াবেটিস হয়। এর ফলে রক্তের মধ্যে চিনি জমা হতে শুরু করে।
ব্লাড সুগার লেভেল অনুসারে ডায়াবেটিস নির্ণয়
ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে সঠিক ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো OGTT-Oral Glucose Tolerance Test. এই পদ্ধতিতে রোগীকে সকালে খালি পেটে একবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হয়, তারপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ শরবত পানের দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিতে নির্ভুলভাবে ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস নির্ণয় করা যায়।
আবার আঙুলে সূঁচ ফুটিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়। রক্তের গ্লুকোজের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়ে থাকে -
Plasma glucose test
Normal
Prediabetes
Diabetes
Random
Below 11.1 mmol/l
Below 200 mg/dl
N/A
11.1 mmol/l or more
200 mg/dl or more
Fasting
Below 5.5 mmol/l
Below 100 mg/dl
5.5 to 6.9 mmol/l
100 to 125 mg/dl
7.0 mmol/l or more
126 mg/dl or more
2 hour post-prandial
Below 7.8 mmol/l
Below 140 mg/dl
7.8 to 11.0 mmol/l
140 to 199 mg/dl
11.1 mmol/l or more
200 mg/dl or more
মেডিক্যালের ভাষায় ডায়াবেটিসের টাইপ
প্রিডায়াবেটিস Prediabetes
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস Type 1 diabetes
টাইপ টু ডায়াবেটিস Type 2 diabetes
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস Gestational diabetes (GDM)
এছাড়াও আরো কয়েকটি টাইপে ডায়াবেটিসকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে যেমনঃ
Diabetes LADA (Latent Autoimmune Diabetes of Adulthood)
Diabetes MODY (Maturity Onset Diabetes of the Young)
Double Diabetes
Type 3 Diabetes
Steroid Induced Diabetes
Brittle Diabetes
তবে আমরা মূলত সর্বাধিক পরিচিত টাইপের ডায়াবেটিসগুলি নিয়েই আলোচনা করব।
তবে আপনাদের চিন্তিত হওয়ার মোটেও কোন কারণ নেই এই জন্যে যে, ডায়াবেটিস এর পরিপোষক কিছু কারন চিহ্নিত করে সেগুলি দূর করার জন্য খাবারের মেন্যু পরিবর্তন করে সব প্রকারের ডায়াবেটিসকেই নির্মূল করা যায় প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে।
প্রি-ডায়াবেটিস
প্রিডায়াবেটিস অবস্থাটি হল সেই অবস্থা যখন রক্তে শর্করারর মাত্রা বেড়ে যায়, কিন্তু ততটাও বাড়ে না যাকে পুরোপুরি ডায়াবেটিস বলা যায়। যদিও শর্করার এই মাত্রাটির ফলেও আক্রান্তের শরীরে বেশ কিছু অনভিপ্রেত লক্ষণ দেখা যায়। প্রিডায়াবেটিস অবস্থাটির যদি চিকিৎসা না করানো হয়, তাহলে অচিরেই এই অবস্থাটি টাইপ টু ডায়াবেটিসে উত্তীর্ণ হয়। প্রিডায়াবেটিস অবস্থার কিছু অতি সাধারণ লক্ষণ হল -
অত্যধিক ক্ষুধা (Constant hunger)
অত্যধিক তৃষ্ণা (Excessive thirst)
ওজন বেড়ে যাওয়া (Weight gain)
ঘন ঘন মূত্রত্যাগ (Frequent urination)
ঝাপসা দৃষ্টি (Blurred vision) ইত্যাদি
টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস
এ ধরনের ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা এখনও বের করতে পারেন নি কী কারণে এমনটা ঘটে। তবে তারা বিশ্বাস করেন যে এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। এছাড়া ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও এমন হতে পারে বলে মনে করা হয়। ডায়বেটিস আক্রান্তদের মধ্যে সারা বিশ্বে ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত। এই ধরনের ডায়াবেটিস সাধারণতঃ ৪০ বছর বয়সের আগে দেখা দেয়। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসকে একসময় জুভেনাইল ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন-ডিপেন্ডডেন্ট ডায়াবেটিস বলা হত।
জিনগত কারন বা অন্য যে কারণেই ডায়াবেটিসের সমস্যা তৈরী হোক না কেন তার প্রোপার ট্রিটমেন্ট রয়েছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস সাধারণ ভাবে শৈশব বা বয়ঃসন্ধিকালে দেখা গেলেও প্রাপ্তবয়স্কদেরও টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয়। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা দেয় -
অস্বাভাবিক ভাবে পিপাসা বেড়ে যায় এবং মুখ শুকিয়ে যায় (Abnormal thirst and dry mouth)
হটাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে যায় (Sudden weight loss)
বার বার প্রস্রাব করা (Frequent urination)
অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগা (Constant hunger)
ছোটদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে বিছানা ভেজানো শুরু হওয়া (Bed wetting)
ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করা (Lack of energy, tiredness)
দৃষ্টিশক্তিতে অসচ্ছতা (Blurred vision)
টাইপ টু ডায়াবেটিস
এই ধরনের ডায়াবেটিসের আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা এই হরমোনটি ঠিক মতো কাজ করে না। ঠিক কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটে তা আজও স্পষ্ট ভাবে অজানা। তবে বংশগতি এবং কিছু পরিবেশগত শর্ত যেমন, স্থুলতা ও সক্রিয়তার অভাব অর্থাৎ দৈনন্দিন স্বাস্থ বিধি পালন না করে জীবনযাপন করার ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিস জেগে উঠতে পারে।
এই ধরনের ডায়াবেটিস সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা দেয়, যদিও এটা ৪০ বছর বয়সের আগেও হতে পারে। বোঝার সুবিধার জন্য টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে প্রাপ্তবয়স্ককালীন ডায়াবেটিস বলা হয় কারণ মূলত বয়স্ক লোকেরাই এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি যে আজকাল বহু শিশু এই রোগের শিকার। সম্ভবত শৈশবকালীন স্থুলতা শিশুদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার বড় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
টাইপ ২ ডায়াবেটিসে লক্ষণ ধীরে ধীরে বাড়ে। এমনও হতে পারে বছরের পরে বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত হয়েও অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তাঁর এই রোগ হয়েছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা দেয় -
পিপাসা তীব্রভাবে বেড়ে যায় (Excessive thirst and dry mouth)
বার বার প্রস্রাব করা (Frequent urination)
ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করা (Lack of energy, tiredness)
ক্ষত সারতে সাময় লাগা (Slow healing wounds)
বার বার ত্বকে সংক্রমণ হওয়া (Recurrent infections in the skin)
দৃষ্টিশক্তিতে অসচ্ছতা (Blurred vision)
হাত অথবা পায়ে অসাড়তা (Tingling or numbness in hands and feet)
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস
গর্ভাস্থায় যখন কোন মায়ের সুগারের লেভেল বেশি থাকে তাকে গর্ভাস্থায় ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes) বলে থাকে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মতো ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস (জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা জি ডি এম) বলা হয়। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মা ও শিশু দু'জনেরই ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এই ঝুঁকি প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়ে ডায়াবেটিস নির্ণয় ও এর চিকিৎসা।
গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই ঝুঁকিপূর্ণ সকল গর্ভবতী মহিলার ডায়াবেটিস শনাক্তকারী পরীক্ষা OGTT-Oral Glucose Tolerance Test করে ডায়াবেটিস শনাক্ত করতে হয়। এই পরীক্ষায় খালি পেটে ও ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ঘণ্টা পর রক্তের সুগার পরীক্ষা করা হয়। প্রথম সাক্ষাতে এই পরীক্ষা স্বাভাবিক থাকলে গর্ভকালীন ২৪-২৮ সপ্তাহে আবার একই ভাবে পরীক্ষা করে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে।
এই অবস্থা শিশু এবং মায়ের জন্য একটি মারাত্বক রিস্ক ফ্যাক্টর। পরবর্তি সময়ে সেই শিশুর ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডায়াবেটিসের এটাও একটা রিস্ক ফ্যাক্টর। যার কারনে ডায়াবেটিস রোগে ভুগতে পারে। জীবনের কোন এক পর্যায়ে এই ধরনের সমস্যায় মা ও শিশু উভয়ই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। বাচ্চা প্রসবের পর থেকে এই ধরনের সমস্যা যদিও থাকে না।
ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি
রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি হলে রক্তনালীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
শরীরে যদি রক্ত ঠিক মতো প্রবাহিত হতে না পারে, যেসব জায়গায় রক্তের প্রয়োজন সেখানে যদি এই রক্ত পৌঁছাতে না পারে, তখন স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এর ফলে মানুষ দৃষ্টি শক্তি হারাতে পারে।
ইনফেকশন হতে পারে পায়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্ধত্ব, কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদির পেছনে একটি বড় কারণ ডায়াবেটিস।
যেসব কারণে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে
সাধারণ সর্দি, ফ্লু বা অন্য কোনও ভাইরাস -যেমন করোনা ভাইরাস (COVID-19)
পেট খারাপ
গলা ব্যথা
মূত্রনালির সংক্রমণ
বুকের সংক্রমণ
ফোড়া
হাড় ভাঙা
অন্য অবস্থার জন্য স্টেরয়েড ট্যাবলেট বা ইঞ্জেকশন গ্রহণ
ডায়াবেটিসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়
হয়তো মেডিক্যাল মাফিয়ারা আপনাকে এতদিন তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে আসছে ডায়াবেটিস ভালো হয় না, এটি ঔষধ খেয়ে খেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। মিডিয়া সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে থাকায় তাদের একচেটিয়া প্রচারে মানুষ জানতোই না যে - ডায়াবেটিস একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। আজ মিডিয়া সকলের হাতের লাগালে থাকায় মানুষ সত্যটা জানতে পারছে এবং যাচাই করতে পারছে। প্রোপার হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে তারা এই রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে ৪/৬ মাসের মধ্যেই।
আপনি হয়ত দেখে থাকবেন, বিভিন্ন রাসায়নিক ঔষধ খেয়ে খেয়ে রোগ জটিলতা দিন দিন বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষদের। তাই যারা এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত আছেন তারা অবিলম্বে এই সকল রাসায়নিক ঔষধ খাওয়া বন্ধ না করলে সামনের দিকে আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। এখন হয়তো প্রশ্ন আসবে তাহলে কিভাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাবেন?
আপনার চিন্তা করার আদৌ কোন কারণ নেই। ৪/৬ মাসের মধ্যেই আপনি একটি ম্যাজিক রেজাল্ট পেয়ে যাবেন শুধুমাত্র রিয়েল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আর খাবারের মেন্যু পরিবর্তন করার মাধ্যমেই। পরবর্তী পর্বেই এই সম্পর্কে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা থাকছে যেগুলি আপনি ঘরে বসেই অনুসরণ করে নিজেই নিজের ডায়াবেটিস সারাতে পারবেন ইনশা-আল্লাহ। প্রাকৃতিক ভাবে ডায়াবেটিস নির্মূলের জন্য থাকছে ম্যাজিক থেরাপি। যদিও একেক জনের রোগ জটিলতা একেক রকম থাকে তারপরও প্রায় ৭০% ডায়াবেটিস রোগীরাই আমার ফর্মূলা অনুসরণ করলে কোন প্রকার ঔষধ ছাড়াই ডায়াবেটিস থেকে সেরে উঠবেন ইনশা-আল্লাহ। তাছাড়া যাদের রোগ জটিলতা বেশি অর্থাৎ চিকিৎসার প্রয়োজন, ম্যানেজমেন্টের শুরু থেকেই তাঁরা রেজাল্ট পেতে শুরু করবেন।
যারা দীর্ঘদিন যাবৎ ইনসুলিন নিচ্ছেন এবং সাথে আরো দুরারোগ্য জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন, তাদের জন্য রয়েছে অল্প সময়ে ইনসুলিন ফ্রি হওয়ার হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক ট্রিটমেন্ট।
এ ক্ষেত্রে মূলত রোগীর সার্বদৈহিক অবস্থা এবং ফ্যামিলি হিস্ট্রি নিয়ে একক মাত্রায় ডায়নামিক হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন প্রয়োগ করা হয় যা রোগীর ভাইটাল ফোর্সকে অতি দ্রুত দুর্বল অবস্থা থেকে শক্তিশালী অবস্থায় নিয়ে যায়। তখন রোগী কল্পনাতীত ভাবে শারীরিক এবং মানুষিকভাবে সুস্থ বোধ করতে থাকেন।
গ্যাংরিন Gangrene হলো টিস্যু বা সেলের মৃত্যু ঘটার ফলে তৈরী হওয়া পচনশীল দূষিত ক্ষত। এটি মূলত নেক্রোসিস ঘটার ফলে অর্থাৎ টিস্যু বা সেলের মৃত্যু ঘটার ফলে হয়ে থাকে। যখন টিস্যুতে কোন কারণে রক্তের সরবরাহ খুবই কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায় অথবা ব্যাক্টেরিয়ার গুরুতর সংক্রমণ ঘটে তখনই Gangrene গ্যাংরিন/গ্যাংগ্রিন এর মতো সমস্যা তৈরী হয়ে থাকে। সাধারণত ক্লোসট্রিডিয়াম পারফ্রিঞ্জেন্স নামক ব্যাকটেরিয়া, গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোকোক্কাস, স্ট্যাফাইলোকোক্কাস অরিয়াস এবং ভিব্রিও ভালনিফিকাস এর কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া সর্বত্র বিরাজ করে। এটি শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন করে দেহের টিস্যু, কোষ ও রক্তনালীকে নষ্ট করে দেয় এবং গ্যাস গ্যাংরিন তৈরী করে থাকে।
এই রোগটি হঠাৎ করেই হয়ে থাকে। সাধারণত কোন আঘাত প্রাপ্ত স্থানে বা অপারেশন হয়েছে এমন অংশে এটি বেশি হয়ে থাকে, এসময় ব্যক্তি কোন ধরনের জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভব করে না। রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যা যেমন - অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, ডায়াবেটিস বা কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। সাধারণতঃ হাত, পা, পায়ের আঙ্গুলে বেশি হতে দেখা যায় তবে তা আমাদের পেশী এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গেও হতে পারে।
শরীরে কোন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে আক্রান্ত স্থানের সেল অথবা টিস্যুর মৃত্যু ঘটে। আঘাতজনিত কারণে দেহের কোন অংশের রক্তনালী ছিড়ে গেলে ঐ অংশে পচনশীল ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে। আবার ডায়াবেটিসের মতো কিছু কিছু রোগের কারণে বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে হাত পায়ে পচনশীল ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।
গ্যাংরিন বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে - শুকনো, ভেজা এবং গ্যাস গ্যাংরিন। একেকটির ক্ষেত্রে একেক রকম লক্ষণ প্ৰকাশ করতে পারে। গ্যাংরিন Gangrene একটি গুরুতর অবস্থা সংঘটিত হয় শরীরের টিস্যু মারা গেলে। ডায়াবেটিস ও দীর্ঘমেয়াদী ধূমপান গ্যাংরিন এর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। নিম্নে বিভিন্ন প্রকার গ্যাংরিন এর বৈশিষ্টগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করা হল-
শুকনো গ্যাংরিন Dry Gangrene
এই প্রকার গ্যাংরিন মূলত ডায়বেটিস রোগীদের বেলায় বেশি দেখা যায়
ধীরে ধীরে রোগের বিস্তার হয়
খুব বেশি দুর্গন্ধ থাকে না৷
আক্রান্ত চামড়া শুকনো এবং কখনো কালো বর্ণের হয়ে থাকে
সাধারণত ইনফেকশন থাকে না
ভেজা গ্যাংরিন Moist Gangrene
সাধারণত ইনফেকশন থাকে
ক্ষতস্থান থেকে দুর্গন্ধ বের হবে
দ্রুত রোগের বিস্তার হয়
আক্রান্ত চামড়া ভেঁজা ভেঁজা হয়ে থাকে
প্রথম দিকে আক্রান্ত স্থানের চামড়া লালচে এবং পরে নীলাভ বর্ণ ধারণ করে
গ্যাস গ্যাংরিন Gas Gangrene
চামড়ার ক্ষতস্থানে ইনফেকশন থাকে
আক্রান্ত স্থান থেকে দুর্গন্ধ বের হয়
আক্রান্ত স্থান লালচে বর্ণের হয়ে থাকে
ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে গ্যাস তৈরি করে
দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে
ডায়াবেটিক রোগীদের অনেকেরই পায়ে ঘা বা আলসার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকার কারণে রোগীর পায়ে যে আলসার হয়ে থাকে তাকে ডায়াবেটিক ফুট বা ডায়াবেটিক ফুট সিন্ড্রম বলা হয়ে থাকে। পায়ের ঘা বিস্তার লাভ করলে একপর্যায়ে পচন ধরে অর্থ্যাৎ গ্যাংরিন সৃষ্টি হয়। গ্যাংরিন তৈরী হলে তীব্র জ্বালা-যন্ত্রনাসহ কঠিন কষ্ট করতে হয় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের। তাছাড়া পৃথিবীতে যত রোগীর পা কাটা লাগে তার মধ্যে ৮৪% হল ডায়াবেটিক ফুট বা পা। অথচ প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে ডায়াবেটিক রোগীদের গ্যাংরিন ভালো হয়ে যায়। রোগীর পা বা আক্রান্ত অঙ্গ কেটে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না।
গ্যাংরিন এর চিকিৎসা
গ্যাংরিন এর উন্নত চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। এর জন্য এক্সপার্ট কোন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। একসময় দেখবেন প্রপার একটা হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমেই এই সমস্যাটি দূর হয়ে রোগী স্বাভাবিক বা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হোমিওপ্যাথিতে গ্যাংরিন চিকিৎসার সাফল্য অনেক বেশি। রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিলে রোগীর আক্রান্ত অঙ্গ কেটে ফেলার প্রয়োজন পড়ে না বরং সমস্যাটি দূর হয়ে আক্রান্ত অঙ্গ পূনরায় স্বাভাবিক হয়ে উঠে।