অগ্ন্যাশয়ের রোগ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অগ্ন্যাশয়ের রোগ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

একিউট ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা !!

একিউট এবং ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা কি হবে সেটা নিয়ে এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যান। কারণ বহু রোগ ব্যাধি রয়েছে যেগুলির কোন এলোপ্যাথিক স্থায়ী চিকিৎসা নেই অথচ হোমিওপ্যাথিতে উন্নত ম্যানেজমেন্ট রয়েছে। এই আধুনিক যুগেও বহু মানুষই নিজের অজ্ঞতা বশত সেইসকল রোগের চিকিৎসা নিতে এলোপ্যাথিক ডাক্তারের নিকট গিয়ে কাল ক্ষেপন করে করে রোগের জটিলতা বাড়াতে থাকে। অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ অর্থাৎ প্যানক্রিয়াটাইটিস তেমনি একটি রোগ যার মূলত কোন স্থায়ী এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই।

যেহেতু প্যানক্রিয়াটাইটিস এর স্থায়ী এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই তাই এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের নানা প্রকার বিধি নিষেধ মেনে এবং এর সাথে খাবার দাবারের একটা তালিকা মেনে জীবন যাপন করার উপদেশ দিয়ে থাকে। কিন্তু একবারও অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নিকট গিয়ে প্রোপার ট্রিটমেন্ট দিয়ে এই রোগ থেকে মুক্তি লাভের উপদেশ দেয় না।
প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
যেহেতু প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এই রোগ ধীরে ধীরে ঠিক করে নিয়ে আসা যায় তাই হোমিও চিকিৎসকরা সারা জীবনের জন্য এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের কোন খাদ্য তালিকা ধরিয়ে দেন না।
প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ব্যক্তি স্বাতন্ত্র অনুসারে আলাদা আলাদা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে এবং একেক জন প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসাকালীন খাদ্য তালিকাও একেক রকম হয়ে থাকে। 
আপনি প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর জন্য ইন্টারনেটে বহু খাদ্য তালিকা পেয়ে যাবেন যেগুলি অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই তেমন কোন উপকারে আসে না। তাই, যদি কেউ প্যানক্রিয়াটাইটিস এর মতো জটিল সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে কাল ক্ষেপন করে করে রোগ জটিলতা না বাড়িয়ে এই রোগের চিকিৎসা দিতে পারেন এমন একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। আশানুরূপ ফলাফল পাবেন ইনশা-আল্লাহ।
বিস্তারিত

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস ও এর ফলে সৃষ্ট সিউডোসিস্ট চিকিৎসা

প্যানক্রিয়াটাইটিস যে সকল জটিলতা সৃষ্টি করতে করে থাকে এর মধ্যে রয়েছে- Pancreatic Pseudocyst  সিউডোসিস্টের গঠন, সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, কিডনি বিকল হওয়া, শ্বাসকষ্ট, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ইত্যাদি। এই জটিলতাগুলি সম্পর্কে আপনারা পূর্বের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনেছেন। যেমনঃ তীব্র প্যানক্রিয়াটাইটিস অগ্ন্যাশয়কে সংক্রমণ প্রবণ করে তুলতে পারে, দীর্ঘস্থায়ী প্যানক্রিয়াটাইটিস অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলির ক্ষতি করে থাকে, যার ফলে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা জেগে উঠে।

তীব্র প্যানক্রিয়াটাইটিস এর ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপন্ন তরল পদার্থ জমে জমে এই ধরনের সিস্ট তৈরি হয় যাকে সিউডোসিস্ট অর্থাৎ Pancreatic Pseudocyst বলা হয়ে থাকে যা পেটের ওপরের দিকে চাকার মতো অনুভূত হয়। আকারে ৬ সে.মি. এর চেয়ে ছোট হয় যা সাধারণত আপনা আপনি সেরে যায়। তবে যদি একটি বড় সিউডোসিস্ট ফেটে যায়, এটি সংক্রমণ এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত ঘটাতে পারে।
Pancreatic pseudocysts are collections of leaked pancreatic fluids. They may form next to the pancreas during pancreatitis.
প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহজনিত কারণে এর সেলগুলো এর নিজস্ব এনজাইম দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগ্ন্যাশয়ের গ্রন্থিযুক্ত অংশ থেকে প্রায় ২২ রকম এনজাইম নিঃসৃত হয়। স্বভাবিক অবস্থায় এই এনজাইমগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় অগ্ন্যাশয়ের কোষের মধ্যে থাকে এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে না পৌঁছা পর্যন্ত সক্রিয় হয় না। এখন উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য অগ্ন্যাশয়ের কোনো অংশ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অথবা এর নালিগুলোতে চাপবৃদ্ধির ফলে সক্রিয় অগ্ন্যাশয় রস কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়লে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়ে যায়।
Pancreatic Pseudocyst
এনজাইমগুলোর মধ্যে 'ট্রিপসিন' নামক এনজাইমটি এক্ষেত্রে ভাইটাল রুল পালন করে থাকে। এই এনজাইমটি নিজে সক্রিয় হয়ে অন্য ধ্বংসাত্মক এনজাইমগুলোকেও সক্রিয় করে তোলে। শুধু তাই নয়, এই ট্রিপসিন রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তাকারী কিছু ফ্যাক্টর এবং এনজাইমগুলোকেও সক্রিয় করে তোলে। এর ফলে অগ্ন্যাশয়ের চার ধরনের পরিবর্তন ঘটে-
  • অগ্ন্যাশয়ের প্রোটিন জাতীয় পদার্থের ক্ষতি সাধন হয় 
  • রক্তনালিতে ক্ষত তৈরি হয়ে পরবর্তীতে রক্তপাত হয়
  • চর্বি জাতীয় পদার্থ ধ্বংস হয় 
  • প্রদাহজনিত পরিবর্তন হয় 
কোনটি বেশি হয় তা নির্ভর করে ক্ষতির ভয়াবহতা এবং কতক্ষণ ধরে তা ঘটেছে তার ওপর। শুধু অগ্ন্যাশয়ের চর্বি নয় এর আশপাশের উদর গহ্বরের চর্বিগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদি এরপরও রোগী বেঁচে থাকে তবে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ক্ষয়ক্ষতি কমতে থাকে এবং এ ধরনের সিউডোসিস্ট অর্থাৎ Pancreatic Pseudocyst তৈরি হতে পারে। ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস এর ক্ষেত্রেই আমরা এরূপ দেখতে পাই। তাই এর সুচিকিৎসা প্রয়োজন। 

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস সারানোর কোন এলোপ্যাথিক চিকিৎসা নেই। হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের বেশ উন্নত ম্যানেজমেন্ট রয়েছে। অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শক্রমে প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে প্যানক্রিয়াটাইটিস ধীরে ধীরে ভালো হতে থাকে যার ফলে এই ধরণের সিস্ট আর তৈরী হতে পারে না আর যেগুলি আগে থেকেই তৈরি হয়ে থাকে সেগুলিও মিলিয়ে যেতে থাকে।
পরিশেষে যে কথাটি বলবো, এই রকম বেদনাদায়ক জটিল ব্যাধিতে কেউ আক্রান্ত হোক এটা কারো কাম্য নয়। দুৰ্ভাগ্যবশতঃ যদি কেই প্যানক্রিয়াটাইটিস এবং এই সক্রান্ত জটিল পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে কাল বিলম্ব না করে একজন অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন আশা করি সুফল পাবেন। 
এই রোগের কোন এলোপ্যাথিক স্থায়ী চিকিৎসা নেই আগেই বলেছি তাই বাংলাদেশ ভারত কেন সুদূর ইউরুপ আমেরিকাতে গিয়ে এলোপ্যাথিক ডাক্তার দেখালেও কোন সুফল পাবেন না, কথাটি মনে রাখবেন তাতে আপনার অর্থ ও সময় দুটিই বাঁচবে। 

আর যারা সার্জারি নামক চিকিৎসা নিতে যান তারাও একটি ভুল করে থাকেন। কারণ, সার্জারি করে আপনি ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস আদৌ সমাধান করতে পারবেন না। আর সিস্ট সার্জারি করে কেটে ফেলে দিলেও আবার হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায় যেহেতু প্যানক্রিয়াটাইটিস ঠিক করা হচ্ছে না। তাছাড়া সার্জারি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। খবরে হয়তো দেখে থাকবেন প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের সিস্ট সার্জারি (তথ্যসূত্র: যমুনা টিভি এবং তথ্যসূত্র: আর টিভি) করতে গিয়ে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে চলে যেতে হয় অনেক রোগীকেই।
বিস্তারিত

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২

প্যানক্রিয়াটাইটিস এর প্রকৃত কারণ এবং কার্যকর সমাধান

অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ অর্থাৎ প্যানক্রিয়াটাইটিস Pancreatitis অ্যাকিউট বা ক্রনিক যেটিই হোক না কেন এর পেছনে রয়েছে কিছু প্রকৃত কারণ। এই কারণগুলি হোমিওপ্যাথিক নিয়মে ইনভেস্টিগেশন করে নির্ণয় করতে হয় যা অন্য কোন প্রকারে নির্ণয় করা দুরহ ব্যাপার। হোমিওপ্যাথি ছাড়া অন্য যেকোন চিকিৎসা ব্যবস্থায় যে কারণগুলির কথা বলা হয়ে থাকে সেগুলি মূলতঃ অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ জেগে উঠার ক্ষেত্রে ট্রিগার করে থাকে। তাই উপরি উপরি চিন্তা করে সেগুলির উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দিলে এই রোগ আদৌ সারানো যায় না।

তাই এই রোগের চিকিৎসা নিতে হলে এর প্রকৃত কারণগুলি নির্ণয় করতে একটি প্রপার হোমিওপ্যাথিক ইনভেষ্টিগেশন প্রয়োজন। এবার আসুন প্যানক্রিয়াটাইটিস এর প্রকৃত এবং অপ্রকৃত কারণগুলি সম্পর্কে জেনে নেই।
প্যানক্রিয়াটাইটিস এর প্রকৃত কারণ

প্যানক্রিয়াটাইটিস এর অপ্রকৃত কারণগুলি কি কি

  • মদ্যপান
  • গলব্লাডারে পাথর
  • অগ্নাশয়ের বংশগত সমস্যা
  • এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন: স্টেরয়েড
  • পেটে আঘাত পাওয়া
  • প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার
  • মাম্পস

প্যানক্রিয়াটাইটিস এর প্রকৃত কারণগুলি কি কি

  • পিটিস (পোস্ট ট্রমা সিম্পট্রোম)
  • পিআরএস (পোস্ট রেবিস সিম্পট্রোম)
  • টিবি প্রিডোমিনেন্ট
  • সোরা
  • সাইকোটিক
উপরিউক্ত কারণগুলি হল আমাদের ডিএনএ তে বিদ্যমান প্রকৃত রোগ যেগুলি ভাইটাল ফোর্সের দুর্বলতম মুহূর্তে আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন প্রকার রোগলক্ষণ জাগিয়ে তুলে।
 
এই রোগ থেকে সেরে উঠতে প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাই হলো বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক কার্যকর উপায়। প্যানক্রিয়াটাইটিস এর মতো জটিল প্রকৃতির সমস্যার সুচিকিৎসার জন্য অবশ্যই হোমিওপ্যাথিক নিয়মে ইনভেষ্টিগেশন করে প্রকৃত রোগ বা কারণগুলি নির্ণয় করে সেগুলির চিকিৎসা করা জরুরী। এর জন্য দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং চিকিৎসা নিন। আশা করি নিরাশ হবেন না।
বিস্তারিত

শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২

প্যানক্রিয়াটাইটিস এর লক্ষণ উপসর্গ এবং জটিলতা

অ্যাকিউট ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস বা অগ্ন্যাশয় প্রদাহের লক্ষণ উপসর্গ এবং জটিলতাগুলি কি কি রয়েছে। রক্তে অ্যামাইলেজের মাত্রা নির্ণয়, আল্ট্রাসাউন্ড, সিটিস্ক্যান, ইআরসিপি, এমআরসিপি ইত্যাদি মেডিক্যাল টেস্ট করে এই রোগটি নির্ণয় করা হলেও আপনি কিছু শারীরিক আলামত দেখেও বুঝতে পারবেন প্যানক্রিয়াটাইটিস হয়েছে কি না। কোন কারণে আমাদের প্যানক্রিয়াসে আকস্মিক তীব্র প্রদাহ ঘটলে তাকে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস বলা হয়ে থাকে আবার ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর ঘন ঘন পেটে ব্যথা হয়। 

এই রোগটিকে একটি মারাত্মক সমস্যা বলে প্রচার করে থেকে এলোপ্যাথিক ডাক্তারগণ, কারণ ইমার্জেন্সি কেইসে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ছাড়া এলোপ্যাথিতে এই রোগ নির্মূলের কোন সুচিকিৎসা নেই। অথচ হোমিওপ্যাথিতে প্যানক্রিয়াটাইটিসকে তেমন কোন জটিল সমস্যা হিসেবে মনে করা হয় না। অর্থাৎ এই রোগ হলে শুরুতেই অভিজ্ঞ কোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিন। এতে আপনি সব দিক থেকেই নিরাপদ থাকবেন।
প্যানক্রিয়াটাইটিস এর লক্ষণ উপসর্গ এবং জটিলতা

প্যানক্রিয়াটাইটিস - লক্ষণ ও উপসর্গ

  • পেটের উপরিভাগে এবং পিঠে তীব্র ব্যথা।
  • পেট ফুলে যাওয়া।।
  • বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন।
  • তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি হতে পারে।
  • অনেক ক্ষেত্রেই রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়।
  • জ্বর হওয়া, ডায়রিয়া হওয়া।
  • ওজন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
  • অগ্নাশয় বা পিত্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
  • পিত্তনালি সরু হয়ে গেলে জন্ডিস দেখা দিতে পারে।
  • হঠাৎ প্রদাহে রোগী মারাও যেতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস - জটিলতা

  • অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কোষে ঘা বা ফোঁড়া তৈরি হওয়া।
  • শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণে খিঁচুনি হওয়া।
  • অগ্ন্যাশয়-সংলগ্ন অন্ত্রনালি সরু হয়ে যাওয়া।
  • অগ্ন্যাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপন্ন তরল পদার্থ জমে জমে এক ধরনের সিস্ট Pancreatic Pseudocyst তৈরি করে।
  • জটিলতা হিসেবে রোগীর ডায়াবেটিসও হতে পারে।
  • শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে।
  • অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে যেমন- কিডনি বিকল হওয়া, লিভার বিকল হওয়া ইত্যাদি।
  • পিত্তনালি বন্ধ হয়ে গিয়ে জন্ডিস হতে পারে।
  • ভালো হয়ে যাওয়ার পরও অনেক রোগী দীর্ঘমেয়াদি ধীরগতির প্রদাহে আক্রান্ত হতে পারে। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু না হলে রোগী মারা যেতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস - চিকিৎসা

অগ্ন্যাশয়ে হঠাৎ প্রদাহ হলো একটি ইমার্জেন্সি কেইস। এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। মনে রাখতে হবে, আইসিইউ-এর ব্যবস্থা রয়েছে, এমন হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা ভাল। কারণ এ সময়ে হঠাৎই রোগীর বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আইসিইউ বা সিসিইউ জরুরি।

তবে এই রোগ থেকে সেরে উঠতে প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাই হলো বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক কার্যকর উপায়। প্যানক্রিয়াটাইটিস এর মতো জটিল প্রকৃতির সমস্যার সুচিকিৎসার জন্য অবশ্যই দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করবেন। আশা করি নিরাশ হবেন না।
বিস্তারিত

বুধবার, ৮ জুন, ২০২২

একিউট বা তীব্র এবং ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ কি?

প্যানক্রিয়াটাইটিস সেটা একিউট বা তীব্র এবং ক্রনিক যেটাই হোক না কেন সব অবস্থাতেই জটিল এবং ভয়ঙ্কর একটি রোগ হিসেবে বিবেচনা করে হয়ে থাকে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে। কারণ এই রোগের স্থায়ী সমাধান আজ পর্যন্ত এলোপ্যাথি আবিস্কার করতে পারেনি। আর তাইতো এই রোগের কোন স্থায়ী চিকিৎসা নেই বলে মানুষের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকরা। বছরের পর বছর ভুগতে ভুগতে এক সময় যখন অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসাধীন চলে আসে তখন তাদের ঘুম ভেঙে যায়। তখন তারা বুঝতে পারে, কি ভয়ানক কুচিকিৎসা আর অপচিকিৎসার শিকার তারা হয়েছে এযাবৎকালে। 

একসময় যখন প্রপার একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেন তখন তারা বুঝতে পারেন, বর্তমান বিশ্বে একমাত্র হোমিওপ্যাথিই হলো প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের সর্বাধিক উন্নত চিকিৎসা আর হোমিও চিকিৎসকরাই হলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেডিসিন ডক্টর। তবে হ্যা, ইমার্জেন্সি অবস্থায় অর্থাৎ হাসপাতালে এই রোগের একটি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে পারে এলোপ্যাথি যদিও স্থায়ীভাবে সারাতে পারে না। এবার আসুন, এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
একিউট বা তীব্র এবং ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ

অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস

যে সকল কারণে উপরের পেটে মাঝারি হতে তীব্র ব্যথা হয় সেগুলির মধ্যে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটইটিস বা প্যানক্রিয়াসের আকস্মিক তীব্র প্রদাহ অন্যতম। কোন কারণে আমাদের প্যানক্রিয়াসে আকস্মিক তীব্র প্রদাহ ঘটলে তাকে অ্যাকিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস বলা হয়ে থাকে। এর ফলে কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে বা হার্টফেল হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিত্তনালির পাথর বা গলস্টোন ফলে অ্যাকুইট প্যানক্রিয়াটাইটিস জেগে উঠতে দেখা যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত মদ্যপান, রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, অগ্ন্যাশয়ে আঘাত, এলোপ্যাথিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত ওজন, সার্জারি, ইনফেকশন, জন্মগত ত্রুটি, আলসার বা জিনগত কারণেও অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ জেগে উঠতে পারে। তবে এইগুলি মূলত এই রোগের মূল কারণ নয়।

ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস

প্রচুর মদ্যপানের কারণে দীর্ঘমেয়াদী বা ক্রনিক প্যানক্রিয়াটিটিস জেগে উঠতে দেখা যায় প্রায় ক্ষেত্রেই। এছাড়াও এই রোগের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এটা দীর্ঘসময় ধরে থাকে এবং রিয়েল হোমিওপ্যাথিক ট্রিটমেন্ট ছাড়া এর ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর ঘন ঘন পেটে ব্যথা হয়। খাদ্য হজম হয় না। ওজন কমে যায়। ফেনাযুক্ত পায়খানা হয়। ডায়াবেটিস হতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগের প্রকৃত কারণ, লক্ষণ ও উপসর্গ এবং জটিলতা সম্পর্কে পরবর্তী পর্বে থাকছে বিস্তারিত।
বিস্তারিত

সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১

প্যানক্রিয়াটাইটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বাংলাদেশ ! পেটের ভীষণ ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি যখন

পেটে ব্যথা হলে বিশেষ করে উপর পেট থেকে ব্যথা শুরু হয়ে সম্পূর্ণ পেটে এবং বুকে ও পিঠে ব্যথা  অনুভত হলে অর্থাৎ অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস প্রদাহ হলে প্যানক্রিয়াটাইটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে এর সমাধান খুঁজতে যান অনেকেই। পেটের ভীষণ ব্যথা নিয়ে কিছু দিন পর পর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এই জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা। কিন্তু হায় ! এলোপ্যাথিক হাসপাতালে এই সমস্যার ইমার্জেন্সি ট্রিটমেন্ট দিতে পারলেও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগ নির্মূল করতে পুরুপুরি অক্ষম। কারণ এই সমস্যার স্থায়ী চিকিৎসা নেই এলোপ্যাথিতে। তারপরও এই রোগে আক্রান্ত লোকজন দৌড়াচ্ছেন এলোপ্যাথিক গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পেছনে - অযথাই !! কারণ, আধুনিক যুগেও শিক্ষিত সমাজ জানেনই যে, এই রোগের সর্বাধুনিক এবং কার্যকর চিকিৎসা হলো - হোমিওপ্যাথি।
যেখানে তাদের সমাধান পাওয়ার কথা সেখানে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত অনেকে নিজের ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিচ্ছে হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে। স্থায়ী কোন চিকিৎসা না থাকার কারণে যেখানে এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ বিষয়টিকে ভয়াবহ একটি পেটের রোগ বলে দাবী করেছে সেখানে অতি আধুনিক হোমিও চিকিৎসকরাই ঠিকই এই সমস্যা সারিয়ে তুলছেন প্রোপার ইনভেস্টিগেশন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন মেডিসিন প্রয়োগের মাধ্যমে।
প্যানক্রিয়াটাইটিস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বাংলাদেশ
তাই সাধারণ লোকজনকে আগে থেকেই জানতে হবে কোন রোগের স্থায়ী চিকিৎসা কোন ট্রিটমেন্ট সিস্টেম দিয়ে থাকে আর কোথায় গেলে সেটি পাওয়া যাবে। যথা সময়ে যথাযথ চিকিৎসা অর্থ এবং সময় দুটিই বাঁচিয়ে দেয়। আর অসময়ে ঠিকঠাক জায়গা পর্যন্ত যেতে পারলেও রোগের তীব্রতা তখন আগের মতো থাকে না বরং বিভিন্ন অপচিকিৎসা বা কুচিকিৎসায় সেটি আরো জটিল থেকে জটিল আকার ধারণ করে যা প্রপার চিকিৎসাধীন আসলেও রোগ আরোগ্যের সময়কে কিছুটা হলেও বিলম্বিত করে।

তাই অ্যাকিউট ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস হলে ইমার্জেন্সি ট্রিটমেন্ট এর জন্য মাঝে মাঝে হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও এর স্থায়ী চিকিৎসার জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড এবং দক্ষ একজন হোমিও চিকিৎসক খুঁজে বের করা উচিত যিনি এই সমস্যার কার্যকর চিকিৎসা দিতে জানেন। প্রোপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় Pancreatitis সমূলে নির্মূল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
  • pancreatitis treatment in Bangladesh
  • pancreatitis doctor in Dhaka
  • pancreatitis doctors near me
  • best doctor to treat pancreatitis
  • acute pancreatitis treatment
  • treatment for pancreatitis
  • pancreatitis when to worry
বিস্তারিত

সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১

প্যানক্রিয়াটাইটিস ও ডায়াবেটিস নির্মূল হচ্ছে হোমিও চিকিৎসায় ! প্রামাণ্য কেইস

প্যানক্রিয়াটাইটিস এবং এর ফলে সৃষ্ট ডায়াবেটিস থেকে সম্পূর্ণ সেরে উঠে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে একমাত্র আশার আলো হল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞান। বর্তমান বিশ্বে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে স্থায়ী চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে অ্যাকিউট ও ক্রনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস অর্থ্যাৎ অগ্ন্যাশয় বা প্যানক্রিয়াস প্রদাহ এবং এর ফলে সৃষ্ট ডায়াবেটিস নির্মূলের কার্যকর এবং স্থায়ী চিকিৎসা নিশ্চিত করছে হোমিওপ্যাথি। এটাও জেনে রাখুন, এর জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিতে হবে যিনি এই বিষয়গুলি ঠিকঠাক ভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেন।

ধারাবাহিক ভাবে এ সংক্রান্ত আর্টিকেল এবং ভিডিও পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে। এবার আসুন প্রামাণ্য একটি কেইস নিয়ে আলোচনা করি। ২৫ বছর বয়স্কা রোগিণীর মাসে অন্তত একবার পেটে ভীষণ ব্যথা এবং বমি হয়। সাথে সাথে হাসপাতালে ভর্তি করে হয়। এর সাথে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ডায়াবেটিস এবং এর জন্য দিনে দুইবার ইনসুলিন নিতে হয়। এ অবস্থায় রক্তে শর্করা বা সুগার এর মাত্রা-
  • খালি পেটে 14-15 mmol/l
  • ভরা পেটে 25-26 mmol/l
দুর্বিসহ এক জীবন যাপন করে চলেছেন। বিভিন্ন হাসপাতালে স্ত্রীকে নিয়ে দৌড়াচ্ছেন তার স্বামী। কিন্তু কোথাও এর কোন সমাধান পাননি। এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ বার বার তাকে হতাশ করছিলেন এই বলে যে- এটি পেটের খুবই খারাপ একটি রোগ এবং তার স্ত্রী কখনো সুস্থ হবেন না। এভাবেই চলতে হবে সারা জীবন আর ঔষধ নিয়ে যেতে হবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।

এরই মধ্যে একদিন অনলাইনে তিনি জানতে পারলেন এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় কোন ক্রনিক ডিজিসই ভাল হয় না ঔষধ খেয়ে খেয়ে থাকতে হয় অথচ হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে এই সব সমস্যার কার্যকর সমাধান। কিন্তু এলোপ্যাথিক মেডিক্যাল মাফিয়ারা কখনো মানুষকে জানতেও দেয় না হোমিওপ্যাথিতে স্থায়ীভাবে ভাল হয়ে যায় জটিল এই প্যানক্রিয়াটাইটিস এবং এর ফলে সৃষ্ট ডায়াবেটিস।
প্রপার একটি হোমিও চিকিৎসায় মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলেন সেই রোগিনী। প্যানক্রিয়াটাইটিস নেই এবং এর ফলে সৃষ্ট ডায়াবেটিসও নেই। এখন তার রক্তে শর্করা বা সুগার এর মাত্রা স্বাভাবিক। বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুন। ধন্যবাদ 
বিস্তারিত